জ্বলদর্চি

বার্লিনের ডায়েরি --২৮ পর্ব। // চিত্রা ভট্টাচার্য্য /(প্রাগ সাম্রাজ্যের পরবর্তী অংশ )

ভাল্টাভা নদীর তীরে প্রাগ শহর

বার্লিনের ডায়েরি --২৮ পর্ব। // চিত্রা ভট্টাচার্য্য     
   (প্রাগ সাম্রাজ্যের পরবর্তী অংশ )

প্রাগের চার্লস ব্রিজের ওপর সোনালী সূর্যের স্নিগ্ধ পরশের সাথে আল্পসের বিস্তীর্ণ পর্বতরাজী ডিঙিয়ে হিম শীতল বাতাস ভাল্টাভার স্নিগ্ধ স্রোতের  ওপর বয়ে যায়। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চললে ও  শ্রী অদ্ভুত ভালোলাগা নিয়ে নদীর দিকে অপলকে চেয়ে আছে - নিরন্তর স্রোতস্বীনি বয়ে চলেছে হাজার বছরের প্রাচীন শহর প্রাগ কে দ্বিখণ্ডিত করে । ব্রিজের ওপর পায়ে পা মিলিয়ে বেড়ানোর সময় অন্বেষণ এবারে  নদীর ইতিহাসের পাতা ওল্টায়। সৃষ্টির আদিতেএই স্রোতস্বিনী বোহেমিয়া অঞ্চলের পাহাড়ি এক  শীর্ণা নদী ছিল। প্রাগের কাছে এসে অধুনা বিশাল স্রোতস্বিনী নদীতে পরিণত হয়েছে। আবার প্রাগ থেকে বিদায়ের বেলায় উদ্দাম ছুটে বাঁকা তলোয়ারের মত বেঁকে প্রখরা  লাবে নদীতে মিশেছিল। তখন সে  প্রগলভা চঞ্চলা লাস্যময়ী যুবতী নারী । সব নদীমাতৃক দেশ শহর নগরের মত ভাল্টাবার তীরে গড়ে ওঠা প্রাগের মানুষের ও প্রতিদিনের জীবন গাঁথার গল্পের কোনো পার্থক্য নেই। তাঁদের ও জন্ম মৃত্যু হাসিকান্নার মালায় গাঁথা নিত্য সংগ্রাম এই নদী টিকে ঘিরেই।
ভালটাভার অপর তীরে

 তিতিরের ইচ্ছে হয় সেলর বোটে ভেসে বেড়ানোর। মার হাত ধরে বলে চলো যাই  নদীর বুকে ক্রুজে ঘুরবো কিন্তু  টিকিট পাওয়া গেল না।  অগত্যা তীরেই ঘুরে বেড়ানো। ঋষভ বলে , এখানে দেখছি লোকালয় ভারী জমজমাট। ওয়াটার স্পোর্টস ,দোকান বাজার রেস্তোরাঁ  শপিংসেন্টারের সব সুবিধা থাকায় ব্যবসা বাণিজ্য ও বেশ জমে উঠেছে। আপাত শান্ত নদীর ওপর দিয়ে তৈরী হয়েছে প্রায় সতেরো টি সেতু । যদিও অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সর্বাপেক্ষা প্রাচীনতম চার্লস ব্রিজ টির ওপর এসে দাঁড়ালে প্রাগবাসীরা মনে করেন চার্লস ব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়া মানে যেন অতীতে ফিরে যাওয়া। গল্পে কথায় আলাপ আলোচনায় সত্যি যেন সেই মুহূর্তে  অনাদি অতীত সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। এখান থেকে চার্লস ব্রিজ কে ধনুকের মত অর্ধ গোলাকার ১৬ টি খিলান সহ সম্পূর্ণ দেখা যাচ্ছিল। 

দূরের প্রান্ত সীমায় কালচে মেঘে ঢাকা পাহাড়ের উঁচু মাথাটি সূর্যের সোনালী আলোয় ভরে আছে। অনুপম ভাল্টাভা নদীর কোলে সুনিবিড় স্নেহের ছায়ায় সযত্নে লালিত প্রাগ।              প্রাগের বারক শিল্প                                                                                        
শ্রীময়ী  ইতিহাসের সূত্র ধরেই বলে যত দূর মনে পড়ে পঞ্চম ষষ্ঠ শতকেও স্লেটস স্লাভিক ট্রাইবস, জার্মানি ট্রাইবস,মার্কোমনি ,লম্বার্ডস ইত্যাদি জাতি উপজাতির মিশ্রনে ও সহাবস্থানে এবং মিলিত প্রয়াসে এখানে ধীরে এক জনপদ গড়েউঠেছিল। তাদের প্রচেষ্টায় এক বৃহত্তর জনপদে এই শহর ক্রমশঃ নির্মিত হয়ে এক নতুন সভ্যতার জন্ম হয়েছিল । রোম শহরের মত চেক রিপাব্লিক বা চেকিয়া শহর ও বহু ভাঙা গড়া যুদ্ধ বিগ্রহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ মহামারী রোগশোক ক্ষয় ক্ষতির অসহনীয় আঘাত প্রত্যাঘাত সহ্য করে ধীরে ধীরে স্বয়ং সম্পূর্ণ এক নগরী তে পরিণত হয়ে ওঠে । অন্বেষণ সেই সময়ের পূর্ণ বিবরণ দিয়ে বলে  নবম শতক থেকে ক্রমাগত ভাবে এ শহর উন্নত হতে থাকে এবং এই শ্রীবৃদ্ধি বহু কালের পথ ধরেই শতকের পর শতক অতিক্রম করে চলে। 

🍂

এরপর রোমান সম্রাট এবং রাষ্ট্রীয় প্রধান ব্যক্তিদের ও প্রিয় শহর তথা বাসস্থান হয়ে ওঠে এই বোহেমিয়ান রাজ্যের রাজধানীটি । কালের রথ চক্র ঘোরার সাথে  তিলোত্তমা প্রাহা নগরীর ভোগ দখল নিয়ে অস্বাভাবিক লোলুপতা হিংসার কালোছায়া থেকে যুদ্ধ রক্ত ক্ষয়ী সংগ্রামে লিপ্ত হয় প্রতিবেশী দেশের ক্ষমতাবান প্রবল শক্তি ধারী লোভী রাজ শক্তি বৃন্দ। দেশ জুড়ে শুরু হয় অরাজকতা ,কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প , নিরীহ মানুষের ওপর বন্য অত্যাচার ও বীভৎস হত্যা এবং হিটলারের নাজি বাহিনীর হাতে চলে নির্বিচারে মানুষ নিধন যজ্ঞ। সোভিয়েত রেড আর্মির হস্ত ক্ষেপ, জার্মানির নাশকতার হাত থেকে প্রাগ কে রক্ষা করা গেলে ও সোভিয়েত রাশিয়ার কমিউনিজিমের নামে হিংস্র অকথ্য অত্যাচারে সাধারণ জন জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। 
প্রাগের চত্বরে

শ্রীময়ীর মনেপড়ে  ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রিতে তৎকালীন সময়ে এই দেশটি ছিল পূর্ব ইউরোপের কট্টর কম্যুইনিস্ট শাসিত একটি দেশ এবং এক সময় এটি ছিল অস্ট্রোহাঙ্গেরীয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৮সালে কয়েকটি প্রদেশ মিলে চেকোস্লোভাকিয়া ফেডারেল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। এবং তারপর শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপোড়ন। অন্বেষণ বলে ,তারপর আশির দশকের শেষ দিকে সোভিয়েত সাম্রাজ্যের পতনের পর চেকস্লোভাকিয়া কমিউনিস্ট শাসন  থেকে মুক্ত হলে দেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এ দেশটিতে চেক এবং স্লোভাক নামক দুইটি আলাদা শান্তি প্রিয় জাতি গোষ্ঠির মানুষ পাশাপাশি  শান্তিপূর্ণ মিত্রতা স্থাপন করে শান্তিতে বসবাস করলেও  রাজনীতি বিদগণ নিজেদের কায়েমী স্বার্থ ক্ষমতার লোভে এই সৌহার্দ্যের সম্পর্ক মানতে রাজি ছিলেন না। 

   সেদিন  চার্লস ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে প্রাহা শহর গড়ে ওঠার এক অনবদ্য কাহিনী এই  ইতিহাস বিদের   মুখে নতুন করে মন্ত্র মুগ্ধের মত ওরা শুনেছিল। শ্রীময়ী যেন সেই অস্টম নবম শতকে প্রাহা শহরের জন্মের প্রথম লগ্নেই ফিরে গিয়েছিলো। পুরোনো প্রাগ শহরের কত যে মর্ম স্পর্শী কাহিনী অজানা গল্প পাথরের স্তূপে চাপা পড়ে থাকা ইতিহাস , অতীত যেন এক লহমায় বিস্মৃতির অতল গর্ভ থেকে ভেসে উঠে বর্তমানের ঘাটে নোঙ্গর বেঁধেছিল । ইতিহাসের কত যে  অপঠিত পাতা ক্রমশঃ প্রকাশিত হলো তার হিসেব রইলো না ।  

আবার পথ চলার শুরু ,অদ্রিজা ওর টিম কে নিয়ে পৌঁছলো আগ্নেসমনেস্ট্রির কাছে। সামনেই হেডলেস মঙ্কের স্ট্যাচু টি দেখে অনেক টা সময় মুড অফ থাকার পরে অদ্রিজা বলে তোমাদের একটা গল্প বলি , দুই বছর আগে প্রথম বার ও যখন ইনস্টিটিউট থেকে এই চার্লস ব্রিজে এসেছিলাম  তখন গাইড সাহেব বলেছিল , মাথাকাটা এক সাধুর অতৃপ্ত আত্মা নাকি মনাস্ট্রির সিঁড়ির প্রতিটি ধাপে ও বাঁকে এবং আলো হীন গলি পথে অহর্নিশি ঘুরে বেড়ায়।  সেই সাধু অভাবের তাড়নায় কোনো একটি প্রিয় বস্তু বেচার চেষ্টা করেছিলেন ,সে কথা জানতে পেরে অন্য সাধুরা তাঁর মাথা কেটে নিয়েছিল।এখানে মনেস্ট্রির ভেতরের আবছা অন্ধকারের আলোয় ছায়ায় এক গা ছমছম করা ভুতুড়ে পরিবেশের মত হয়ে আছে।  ঋষভ বিস্মিত দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে বলে কোথায় সেই সাধু ? যত সব অবান্তর গল্প ! আমিও তাঁকে দেখতে চাই। অদ্রিজা ও অন্বেষণ দুজনেই হো হো করে হেসে উঠে বলে ঐ হেডলেস মঙ্ক কে দেখার জন্য তার নাম জপ করে তোমাকে অন্ততঃ এখানে ঘন্টা দুইয়েক প্রতীক্ষা করতে হবে। 

ওরা নানা গল্প করে পথ পেরিয়ে এসেছিলো পাউডার গেটের কাছে। প্রাগের এক গথিক টাওয়ার সহ এই  প্রবেশ দ্বারটি  দেখতে অনেক টা ইন্ডিয়া গেটের মত। পথ টি ওল্ডপ্রাগ কে নিউপ্রাগ থেকে আলাদা করে রেখেছে। পাউডার গেটের এপার ওপার করে অন্বেষণ কপালের ওপর থেকে এলোমেলো চুল গুলো হাত দিয়ে সরিয়ে বলে এখানের গল্প টি  আবার একটু অন্য ধরনের। জীবন সংগ্রামে চলার পথের এক মন ব্যথিত করা করুণ কাহিনী। চেজিয়ার রাজকন্যা সেন্টএগনেস স্বেচ্ছায় আট বছর বয়সে বাগদত্তা হয়েছিলেন দশ বছরের এক রাজপুত্রের সাথে। কিন্তু বিবাহিত জীবনে অশ্রদ্ধা বীতরাগ জন্মানোর পরে তিনি সংসার ধর্মে বিবাগী হয়ে কঠোর কৃচ্ছসাধনে ব্রতী হয়ে সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করে ভক্তি মার্গে পৌঁছলেন। তাঁরই জীবন গাঁথা জড়িয়ে আছে এই স্মারক পাউডার গেট টির সাথে।    

এবারে প্রাগের হেরিটেজ সাইট ওল্ড টাউন স্কোয়ারের (wensessler) বা বেন্সেসলের স্কোয়ার এসে ঋষভ ও অন্বেষণ লম্বা পা ফেলে পৌঁছলো। মধ্যযুগে এখানে ঘোড়া বিকি কিনির ব্যবসা চলত। বেন্সেসলের অনবদ্য কালো পাথরের বিরাট উঁচু মনুমেন্ট টি এখানেই সজ্জিত রয়েছে। এবং পাশেই কালো মার্বেলপাথরে বাঁধানো  বিরাট চত্বর টিতে একটি ফাউন্টেনের সামনে  শ্রী ধুপ করে মেঝেতে বসে পড়েছিল । ফোয়ারা টি থেকে নিঃসৃত জলের ধারা কত উঁচুতে আকাশ ছুঁতে চায়। খুব এলোমেলো শীতল বাতাস বইছে আর ফোয়ারার জলকণা বাতাসে ধাক্কা খেয়ে চারদিক ভিজিয়ে দিচ্ছে।এই চত্বরে বড়ো আকারের অজস্র গোলা পায়রা মনের সুখে ঘুরছে যেন এটাই ওদের রাজত্ব। সেখানেই অল্প সময় একটু জিরিয়ে নিয়ে আবার পথে হাঁটা শুরু হলো।এক জায়গায় দৃষ্টি পড়তেই  শ্রী থমকে দাঁড়ালো। রাস্তার মোড়ে রঙিন উজ্জ্বল ইট স্তূপাকৃত সাজানো। ফুটপাতের কিনারায় দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে ভাবে এতো অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্যের মাঝে সহসা এমন আধুনিক রঙিন ইটের স্তুপের কারণ  কি ?  
প্রাগের প্রাসাদ।

 রঙিন ইটের পাশে আবার সাদা রঙের ইট ও রয়েছে। অন্বেষণ দূরে দাঁড়িয়ে মৃদু  হেসে শ্রী র  জিজ্ঞাসু চোখের দিকে তাকিয়ে  বলে অনুমান করো  কেন ??এই ইটের সারি সারি পাঁজা জমা রয়েছে ? ঋষভ ও অদ্রিজার জানা ওরা হাসছে । শ্রীময়ী শুধু বোকা  চোখে কারণ হাতরে চলেছে ।  ঐ ইট গুলোতে নিজের ইচ্ছে মত রঙিন করতে হলে রঙ লাগানোর জন্য পাশে রঙ তুলি ও রয়েছে ।অনেক ভ্রমণার্থী ই রঙ তুলি নিয়ে ব্যস্ত ইটের গায়ে নিজের খুশি মত ছবি আঁকতে। ভ্রমণার্থীরা কেউ বা নিজের দেশের নাম , দেশের পতাকা  বা নিজের নাম তারিখ ইত্যাদি লিখছে। তিতির একটু পরেই চুপি চুপি শ্রী কে বলে ,"জানতো  --মা " এটা প্রাগের এক অভিনবত্বের সুভেন্যির। ইট গুলোকে নিজের ইচ্ছের রঙে রাঙাতে হোলে বা ইট কিনতে হলে পাশের স্টল থেকে কিছু চেক ক্রাউনের বদলে কিনতে হয়। অন্বেষণ জানালো প্রাগের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বেশ কিছু বছর ধরে প্রাগের নানা অঞ্চলে এই রঙিন ইটের স্তুপ সংগ্রহ করে রাখছে।  ট্যুরিস্টরা চাইলে ইট কিনেও নিয়ে যেতে পারে কিন্তু  লাগেজের ওজন বাড়ানোর থেকে ইট কিনে সেখানে নিজের পরিচয় লিখে রেখে আসা অনেক সুবিধার। এই বিক্রির থেকে সংগৃহীত অর্থ চলে যায় চেক রিপাব্লিকের দুস্থ অসুস্থ প্রতিবন্ধী দের চিকিৎসা ও কর্ম সংস্থানের সাহায্যে। ওরা  ইট কিনে তারিখ সমেত ভারতের পতাকার ছবি এঁকে রেখে দিয়েছিলো ।     
                       
  একটি বড় দরজার দেওয়ালের গায়ে বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের মুখের ছবির সাথে কিছু কথা দেওয়ালে খোদাই করা দেখে  ওরা ভারী অভিভূত হয় কিন্তু এখানে অন্দরে প্ৰৱেশ নিষেধ ,দরজা  ভিতর থেকে বন্ধ। । প্রফেসার বলেছিল --আজ থেকে প্রায় একশ বছর আগে --সেকালে  ১৯১১--১৯১২ সালে-,- প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক থাকার সময়ে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন এই বাড়িটিতে থাকতেন। এই বাড়িটি  থেকেই তাঁর বিখ্যাত আবিষ্কারের গবেষণা পত্র থিওরী অফ রিলেটিভিটি লিখেছিলেন। বেশ  আশ্চর্য্য লাগলো  বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ আইনস্টাইনের বাসস্থান টি কে প্রাগ গভর্মেন্টের পক্ষ থেকে সংরক্ষণ করা হয়নি।       

          প্রফেসর এবার মিউজিয়ামের কাছে নিয়ে এসে বলে   প্রাগ হলো  ক্লাসিক অভিজ্ঞতার বিশাল এক ঝুলি ,প্রাগের শিল্প হয়তো ল্যুভর মিউজিয়ামের মত মোহনীয় নয় তবু ও এর বোহেমিয়ান আর্ট পৃথিবীর সেরা। অদ্রিজার সাথে আলোচনা হয়  সেন্ট এগ্রেস এর গথিক অল্টারপিস ,আলফন্স মুছার আর্ট বা বিংশ শতাব্দীর স্যুরিয়ালিস্ট কালেকশন ,কিউবিস্ট ও কনস্ট্রাক্টিভিস্ট ভেলেত্রেযনি প্যালেসের মত বিখ্যাত সব শিল্পীর এক বিরাট সংগ্রহ শালা হচ্ছে প্রাগ। শ্রী ও  ঋষভ আলোচনা করে , এই মিউজিয়াম গুলো সব দেখা মোটেই একদিনে সম্ভব হবে না। তবুও যত টুকু দেখেছি  বিস্ময়ে মুগ্ধ হয়ে যাই। প্রাগে র রাস্তায় এমন করে ঘুরতে গিয়ে আমরা ও এই শহরের প্রেমে পড়ে গেলাম। এই শহরটি যে   প্রফেসরের হৃদয়ের কত কাছের তা সহজেই ওর প্রতিটি জায়গার বর্ণনা তে প্রকাশ পাচ্ছিল। গল্প ফুরোয় না ,অদ্রিজা অধৈর্য্য হয়ে বলে প্লীজ-- চলো সামনেই এক ইটালীয়ান রেস্তোরাঁ আছে। এখন লাঞ্চ টাইম শেষের পথে দেখি যদি টেবিল খালি পাওয়া যায় ।                                                                                                                           ক্রমশঃ

Post a Comment

0 Comments