জ্বলদর্চি

কৃষ্ণা গায়েন ও শম্ভুনাথ শাসমল-এর কবিতা

কৃষ্ণা গায়েন ও শম্ভুনাথ শাসমল-এর কবিতা 

কৃষ্ণা গায়েন 
স্রোত 


সময় নদীর স্রোতে জোয়ারে ভাঁটায়
জীবনের ঢেউ এসে ভেঙে ভেঙে পড়ে
তারপর পড়ে থাকে বালুচর। 
আমি সেই তীরে বসে পদচিহ্ন খুঁজি—
সময়ের হাত আমাকে উপেক্ষা করে মুছে ফেলে সব। 
রঙিন গোধূলি শেষে নিভে যাওয়া আকাশের আলো আমাকে আশ্বাস দেয়, যদি
ওঠে চাঁদ; ফিরে আসে পুরানো
সে দিন মায়াময়! আমার ঘ্রাণের মাঝে আমার মনের মাঝে মিশে আছে সব। যদি কাছে পাই! 
তবুও সময়ের কাছে হেরে যায়
সকল ব্যগ্ৰতা। 
মন হয় হয়তো বা কথা ছিল হয়নি তো কওয়া; হয়নি তো যাওয়া  তার কাছে। 
হয়তো বা আমার মনেই এত কথা, এত নিঃসঙ্গতা। 
নিজের বোধের কাছে অসহায় আমি নিষ্ঠুরতার কাছে চেয়ে গেছি শান্তির আশ্রয়।

শম্ভুনাথ শাসমল
আবর্তন
            

কোকিলের সুর নিয়ে এসেছিলে সকালে 
নব পল্লবায়িত শাখায় সুবেশা হয়ে
আবিরের রঙে রাঙিয়ে আকাশ
শেষ রঙটুকু দিয়েছিলে আমার মনে।

ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে যখন নিস্তব্ধ চারদিক
ফুটিফাটা বিস্তীর্ণ মাঠ পেরিয়ে
কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়ে এসে
আমায় ভিজিয়েছিলে তোমার ভালোবাসায়।

সবুজ ক্ষেত পেরিয়ে ঝিলের ধারে পদ্ম শালুক কাশফুল নিয়ে
পড়ন্ত বিকেলের আঁকা ছবিতে তন্ময় যখন
পেঁজা তুলোর মেঘে আমায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলে।

রাত বাড়ার সাথে বাড়ছিল শীতের তীব্রতা
দূর থেকে ভেসে আসছিল হরিধ্বনি।
ঝরাপাতার মতো অপেক্ষায় আমি
তুমি এসে ঠিক নিয়ে যাবে হিম ঘরে।

🍂

Post a Comment

0 Comments