জ্বলদর্চি

বিমান মৈত্র ও তুলসীদাস মাইতি-র কবিতা

বিমান মৈত্র ও তুলসীদাস মাইতি-র কবিতা 

বিমান মৈত্র
বর্ণান্ধ 


অসংখ্য বিকল্প শেষে কফি ঢালো পটুয়াখালীতে 
শব্দ হোক রেলের চাকার 
পিস্টন নীরবে চলুক 
ইতিমধ্যে অভিমুখী টোন
জালকাটা ইঁদুর 
ঢুকে যাক যে পারে যেখানে

চোখের পাতার নিচে খয়েরী ও সাদা একাকার 
সিঁড়ি বেয়ে নামা যায় নিজস্ব অতলে অবিরাম 
দিগন্ত বিস্তৃত তুমি 
তোমার শুরুই নেই 
শেষ নিয়ে বাতুলতা বাকি
গবেষক পড়েছে তোমার পাগল ঘূর্ণিঝড়ে 

সে হোক খড়ের কুটো 
হলুদ হিমের নিচে জীবন্মৃত বোধ 
আদ্যরাতে বর্ণান্ধকে করেছে বিস্মিত 
তার কাছে বাঁধা থাক আমাদের আপাদমস্তক।

তুলসীদাস মাইতি
অদৃশ্য দহন


নির্ঝরিণীর দেশে বৃষ্টির দেখা নেই বহুকাল,
তবে সব দহন দিনেই রৌদ্র থাকে না। থাকে ছায়া, অন্ধকার। সুখে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা 
বিরল হলেও অদৃশ্য বিষ অন্তরালে ছবি এঁকে যায়। 
ক্ষতগুলির ওপর চাঁদের তাপ এসে পড়লে উপশম লাগে। 
জানালা দিয়ে ভয় ঢোকে। আগুনও ঢোকে ফাঁক দিয়ে।
তার মধ্যেই দরজার খিল এঁটে ঘুমিয়ে পড়ি। 
ভোর হলে মরা ঝরনার কাছে যাই। যেন সারা রাত কেউ পাথর পুড়িয়েছে। গায়ে তার লেগে আছে অজস্র ক্ষয়ের দাগ। 

তবে কি মেঘ ও আগুনের যুদ্ধ হয়েছিল রাতে!

🍂

Post a Comment

0 Comments