রাখহরি পাল
শাকান্নের পঙক্তি ভোজন
এক চিলতে নিরিবিলি ছায়ার তলায়
মুখোমুখি যদি, সব খুলে বলা যেত
কেন মেঘের জানালা খুলে চন্দ্রাবলীর খোঁজ করি
যদি বলা যেত নির্মোহ আকাশ
শত-সহস্র পরার্ধ আলোকবর্ষীয় ফাঁকের শূন্যতা—
তবু কেন নীল
তাহলে এই অনতিক্রম্য দূরত্বের ভার
অনবধি সইতে হতো না।
বলা হল না বলেই বলা
মেঘ আর বৃষ্টির মধ্যে এক আকাশ বন্যা
ভাবার্থের মতো শব্দলীন থেকে গেল
এক ঝলক শীতল বাতাস অনুক্ত বলেই,—
আয়োজন শেষে উড়ে গেল পাখি।
জটিল অঙ্কের এই গ্রহ-জীবন
একটু বিচ্যুতি ঘটলে সিন্টেক্স এর
হাইড্রোকার্বনের বন্ডগুলি ভাঙতে ভাঙতে—
অপূর্ণ থেকে যায় মিলনের আশ্লেষ
মহাশূন্যের বিপুলতার হালহকিকত দেয় না
পূর্ণতার কোন সংজ্ঞা নেই—এভাবে দায় এড়িয়ে
চরাচর জুড়ে শুধুই অপূর্ণতা, বিষণ্নতার হা-পিত্যেশ
সিদ্ধার্থ সাঁতরা
একলা খুব
ছিমছাম সেই রাস্তাজুড়ে সোনালি রোদের জলজ আবেশ
জলের পারে সেবার তখন বিকেল, সূর্য ডুবে দিনের শেষ
লিকার চায়ের পাশ কাটিয়ে সমুদ্র ঋণ
হাওয়ায় ছিল নিপাট সকাল একেকটা দিন ।
দিঘার ওই দিনগুলি সেসব কত ছবি আঁকে
ইচ্ছে যেন জোয়ার-ভাটা ঢেউ ভেঙে সে জলেই থাকে
তুমি ছিলে তোমার মতন ফোঁপায় ঠোঁট বালিয়াড়ি
ভাললাগা গল্পগুলি প্রহরবিহীন, স্বপ্নজুড়ে ওড়াউড়ি
আজ তুমি নেই ,শূন্যঘর, পাল্টে গেছে ভাষা
ঝাউ গাছেদের উথাল-পাথাল স্মৃতির থমকে ফিরে আসা
ভুলের মাশুল ফেরার তাগিদ এই শহরে সবাই চুপ
শস্যখেত, সাগরতীর, থেকেও নেই আজ একলা খুব ...
🍂
0 Comments