দিলীপ মহান্তী
রূপকথা
সেদিনের বৈরাগী পিয়ন হেঁটেছিল ধুলোমাখা পথে,
ট্রেন ধরে এসেছিল আঁকা বাঁকা নীল নদী খুঁজে...
সেসব রাতের তারা অস্ত গেছে মায়াবী আকাশে;
দেওয়ালের ফাঁকে ফাঁকে গুঁড়ো গুঁড়ো বসন্ত লেগেছে।
দৃষ্টিরা চঞ্চল ছিল, ধানজমি জলে ডুবে ভাসে!
কাদাপথে আল ধরে শ্রাবণও হেঁটে সুখ পায়!
তাদের আঙ্গুলগুলি ঘাস ছিঁড়ে রক্তাক্ত লাজুক —
এক পশলা বৃষ্টি এসে রোদকে স্মৃতিতে ভেজায়...
দিনগুলি চিঠি পড়ে: আগুন, বয়সের ভারে।
সেই সব বীজ থেকে জন্ম নেয় আরও আরও দিন।
এখনো পথের লালে চাপ চাপ রক্ত লেখা আছে!
বুকের অনেক নিচে কীভাবে প্রাচীর গড়েছে!
রূপকথা দুলে ওঠে: এলোমেলো ফাল্গুনের রাতে-
রজনীগন্ধার আলো ব্যথা দেয় কক্ষপথ জুড়ে...
জানালার পর্দা নড়ে, হাওয়ারা খবর দিতে চায়!
এসেছে কান্নার স্রোত ঘুমের অতল নীরবে।
নরেন হালদার
হে নয়ন হে বন্ধু
ও নয়ন,
চাদর সরিয়ে দেখ তোর নগ্ন জন্মভূমি
ঘাস হয়ে আছে উজ্জ্বল নীরবতায়।
দেখ, তোর পাপবিদ্ধ ভালোবাসায়
ভর করে আছে বর্ষার মত্ত মৌসুমী।
ও নয়ন,
পলক সরিয়ে দেখ তোর উর্বর জঠরভূমি
সজনে ফুল হয়ে আছে রৌদ্র তপ্ততায়।
মিলনের গানে বিকেল বৈষ্ণবীয় একতারায়
ঘেটু ফুলের জঙ্গল ভেঙে, নির্জল জলাভূমি।
হে বন্ধু,
ভ্রূকুটি সরিয়ে সম্ভাবনার বিশ্বস্ত বাদামী
আলো ফুটে উঠুক। কুয়াশাচ্ছন্ন মদিরতায়
আসুক ভাঙা পেয়ালা দুর্বল সরলতায়
একলা চলা তাই সবচেয়ে দামী।
হে বন্ধু,
সূর্য-কঠিন উপ্ত নাসিকা সরিয়ে রেখে পাশে
খঞ্জনীতে বাউল গাওয়া একতারায় বিধুর
শৈশব ভাঙা ঝলমল সকাল মিষ্টি-মধুর
কামনাগুলি সব একঘেয়ে শুন্যভূমি চষে।
🍂
0 Comments