এবার একটি গল্প
সাঁঝের তারা
পুলককান্তি কর
-- তবে এইটা কি তোমার ফাইনাল ডিসিশান, রুনু?
-- হ্যাঁ।
-- কিন্তু আমার অপরাধ? আমাকে কি তুমি পছন্দ করো না?
চুপ করে রইল রুনু। অকে নিরুত্তর দেখে চয়ন আবার জিজ্ঞাসা করল, ‘তবে কি তুমি বিয়েটাই করতে চাও না?’
-- বিয়ে করব না কেন ? পছন্দসই পাত্র পেলে নিশ্চয়ই করব।
-- তোমার পছন্দের ক্রাইটেরিয়াটা একটু শুনি?
-- ছেলেকে অনাথ হতে হবে। আমার মতো ব্যাকগ্রাউন্ড হলেও অবশ্য চলবে।
-- কিন্তু কোনও পরিবার যদি উদার হয়, তোমাকে সাগ্রহে মানিয়ে নিতে চায়, তাতে তো তোমার আপত্তি থাকার কারণ থাকতে পারে না।
-- চয়নদা, উদারতা হল শিক্ষিত বা বিচক্ষণ মানুষের শালীনতার একটা মুখোস। কোনও ক্রাইসিস এলে বা কোনও দুর্বল মুহূর্ত পেলে এই মুখোসটা সরে যায় আর সংস্কারগুলো ঠিক বেরিয়ে পড়ে। হাজার বছর ধরে যা রক্তে মিশে গেছে, তা কী একদিনে যায়?
-- কিন্তু আমি তো জেনেশুনে, বিচার বিবেচনা করেই তোমাকে প্রস্তাব দিয়েছি।
-- এটা আপনার মহত্ব। যারা আমার ইতিহাস জানে বলে আমায় অন্যভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছে, আপনি তেমন নন। আপনি বিয়ে করে আমায় স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চেয়েছেন-- এইজন্য আমি নিশ্চয়ই কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভেবে দেখুন, এখানে আপনার আমার প্রতি দয়া বা মোহ কাজ করেছে, বিচার-বিবেচনা নয়।
-- একথা বলছ কেন রুনু?
-- আজ আপনার বাবা-মা আমাকে মেনে নিতে চেয়েছেন শুধু তাঁরা আপনাকে হারাতে চান না বলে। আপনি ভালো চাকরি করেন, ওঁরা না মানলে আপনি হয়তো বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন, সেই ভয় কি ওঁদের নেই ?
-- তুমি কি বলতে চাও পৃথিবীতে ভালো মানুষ নেই? কথা কেড়ে নিয়ে বলল চয়ন।
-- থাকবে না কেন? কিন্তু বলুন তো, পৃথিবীতে কোন বাবা-মা স্বেচ্ছায় চায় তাদের ছেলে, বউ এর জন্য সব আত্মীয় স্বজনদের কাছে ছোট হয়ে যাক, নিজের অফিসের লোকজনদের কাছে বউ নিয়ে যেতে লজ্জা পাক?
-- এতে ছোট হওয়া বা লজ্জা পাওয়ার প্রশ্ন উঠছে কেন রুনু? তাঁদের ছেলে তো ছোট হয়ে যাওয়ার মতো কোনও কাজ করছে না!
-- নিশ্চয়ই করছে৷ সমাজ যে মেয়েকে উঁচু জায়গা দেয়নি, তাকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া তো কেউ মেনে নেবে না।
-- তুমি নিজেকে কেন তোমার মায়ের পরিচয় দিয়ে দেখতে চাও রুনু? তোমার মায়ের কৃতকর্মের দায় কি তোমার?
-- ওই মায়ের পেটেই যখন জন্মেছি, দায় তো নিতেই হবে চয়নদা।
-- তবে তোমার এত লড়াই, এত সংগ্রাম, সবই তবে বৃথা?
-- আইনি লড়াই দিয়ে হয়তো অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়, সংসারে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। তাছাড়া এতদিন যা করেছি, তা নিজের স্বার্থে করেছি, অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসাবে করেছি। কিন্তু আমার জন্য আপনার জীবন নষ্ট হয়ে যাক, এ আমি কিছুতেই হতে দিতে পারি না।
-- জীবন নষ্ট হওয়ার কথা বলছ কেন? তোমায় পেলে আমার জীবন সম্পূর্ণ হবে। কোনও মোহ বা দয়া নয় রুনু, আমি সত্যিই তোমাকে শ্রদ্ধা করি৷ ভালোবাসি
-- ভাবুন তো, আমাদের ছেলেমেয়ে হলে যদি এসব কথা জানাজানি হয়ে যায়? আমার মতো যদি তাদেরও স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেয়, তখন এই ভালোবাসা থাকবে তো? তখন আপনার বাবা-মা এসে দাঁড়াবেন আপনার পাশে?
-- এসব কথা উঠছে কেন? আর যদি সত্যি সেরকম কিছু হয়, আমি বাবা-মাকেও ত্যাগ করতে দ্বিধা বোধ করব না।
-- আজ আমার জন্য বাবা-মাকে ছাড়তে চাইছেন, এরপর তো অন্য কারোর জন্য আমাকেও ছেড়ে যেতে পারেন! মুচকি হাসল রুনু।
-- ছিঃ, তুমি আমাকে এই চোখে দেখ ? অভিমান ঝরে পড়ল চয়নের গলায়।
-- ঠিক আছে। আর রাগ করতে হবে না আপনাকে। একটু মজা করলাম।
-- এর মধ্যেও তোমার মজা আসছে? আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি রুনু, সুখে-দুঃখে কোনও দিন তোমাকে ছেড়ে যাব না আমি।
-- চয়নদা, আজ আপনার এমনটা মনে হচ্ছে। যখন দেখবেন বয়স হচ্ছে, কোনও কারণে আমার সাথে আপনার বনছে না, তখন কিন্তু আফসোস করবেন, অভিসম্পাত দেবেন নিজেকে। সেইদিনটা কিন্তু আমি সইতে পারব না।
-- কেন মিছিমিছি ভবিষ্যতের অহেতুক চিন্তা করে নিজেকে বঞ্চিত করতে চাইছ রুনু? আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করলেই কি তুমি সুখী হবে? তোমার ছেলেমেয়েদের স্কুলে তখন কোনও সমস্যা হবে না?
চুপ করে রইল রুনু। খানিকক্ষণ বাদে বলল, ‘সুলেখা এসে গেছে৷ গাড়ি থামান।‘
-- আরও একবার কি ভালো করে ভেবে দেখবে রুনু?
-- ভাবা আমার হয়ে গেছে চয়নদা। আপনি দয়া করে আমাকে ভুলে যান৷
চয়ন আজ আর ওকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেদাজেদি করল না। নতুন করে প্রত্যাখ্যাত হতে আর ইচ্ছে করল না তার। বাড়ির দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে নিল সে৷
🍂
২
সন্ধেবেলায় অন্যমনস্কভাবে চা খেতে খেতে রুনুর কথাই ভাবছিল চয়ন৷। রুনু “সংহিতা” নামের একটি এন.জি.ওতে কাজ করে৷ রেড লাইট এরিয়ায় যে সব নাবালিকাদের বেচে দেয় দালালেরা, “সংহিতা” সেইসব মেয়েদের নিয়েই কাজ করে৷ তাদের রিহ্যাবিলিটেশানের সাথে সাথে একটা স্কুলও চালায় তারা৷ রুনু ওই স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি শনি-রবিবার ওখানে গিয়ে মেয়েদের সাথে সময় কাটায়, তাদের সাহস দেয়। অনেক পেশার মানুষ যুক্ত আছেন এই স্বেচ্ছসেবী সংগঠনটিতে। চয়নও আসে এখানে প্রতি রবিবার সকালবেলায়। ওকে চুপচাপ দেখে ওর মা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী রে, ওকে বলেছিলি কথাটা?’
-- হ্যাঁ।
-- কী বলল ?
-- না বলে দিল।
-- কেন ?
-- জানি না। বোধহয় আমাকে পছন্দ নয়।
-- না, না। তা আবার হয় নাকি ?
-- কেন, তোমার ছেলেকে সবার পছন্দ হবে, তার কি কোনও মানে আছে?
-- না, তা নয়। আমার মনে হয় অন্য কোনও কারণ আছে৷ তোর মুখ থেকে যা শুনি তাতে মনে হয় ও তোকে পছন্দ করে।
-- আমারও তো তাই মনে হত।
-- আচ্ছা, ওর মায়ের সাথে একবার কথা বলব?
-- কী বলবে?
-- এই – মেয়ের বিয়েটিয়ে নিয়ে কিছু ভাবছেন কি না !
-- আমার কাছে ওর মায়ের ফোন নাম্বার নেই।
-- তাহলে কীভাবে বলব ? আমি কিন্তু ওসব পাড়ায় যেতে পারব না।
-- ওসব পাড়া মানে? রুনু যবে থেকে একটু আধটু রোজগার করতে পেরেছে, ওর মাকে আর ওসব কাজ করতে দেয়নি। নিয়ে এসে নিজের কাছে রেখেছে।
-- তাহলে ওর বাড়ি নিয়ে চল।
-- বাড়িটা ঠিক আমিও জানি না। তবে সুলেখায় নেমে রিক্সা করে যায় দেখি।
-- ওদের কি ভাড়াবাড়ি?
-- হ্যাঁ। বেশি টাকা তো আর মাইনে পায় না।
-- এস.এস.সিটা তো দিতে পারে! বললি তো বি.এ পাশ করেছে৷
-- রাজি করানো যায়নি৷ বললেই বলে ওকে নাকি নেবে না।
-- নেবে না কেন ?
-- ওই, বাবার নাম জিজ্ঞাসা করলে ও যখন মায়ের নাম বলবে, তখন নাকি আর সিলেক্ট করবে না। শিক্ষিকাদের ইমেজ ভালো না হলে কি অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবে? তাছাড়া “সংহিতা”র প্রতি ওর একটা অন্য দুর্বলতাও আছে। ও এটা ছাড়তে চায় না৷
-- কেন? দুর্বলতা কেন ?
-- আসলে ওর মা তো স্বেচ্ছায় এই লাইনে আসেননি৷। ওরা খুব গরিব ছিল। কলকাতায় বাবুর বাড়িতে কাজে লাগানোর নাম করে ওঁর স্বামী এসে বেচে দিয়ে গিয়েছিল সোনাগাছিতে। রুনু হওয়ার পর ওর মা চাইতেন মেয়ে যেন কোনওভাবে এই পেশায় না আসে। ওঁদের ছেলেমেয়েদের পড়ার জন্য যে স্কুল আছে, প্রথমে সেখানেই ভর্তি করেছিলেন মেয়েকে। ও একটু বড় হতেই যখন বুঝলেন এই পরিবেশে মেয়ের লেখাপড়া হবে না, তখন খোঁজ করলেন কোনও বোর্ডিং স্কুলের। সমাজের উঁচু স্তরের বহু মানুষ আসত ওঁর কাছে। তাদের কাউকে একজনকে ধরে একটা নামী স্কুলে ভর্তি করে দিলেন মেয়েকে। কিন্তু সত্য গোপন রইল না৷ অভিভাবকেরা ডেপুটেশন দিল, এই মেয়ে স্কুলে পড়লে তারা নাকি তাদের মেয়েকে ওখানে পড়াবে না৷ অগত্যা হেড মিস্ট্রেস ওকে বার করে দিয়েছিলেন স্কুল থেকে।
-- তবে ওর লেখাপড়া হল কী করে?
-- এইজন্যই তো ওর প্রতি শ্রদ্ধা হয় মা। ওইটুকু মেয়ে তখন ক্লাশ নাইনে পড়ে৷ চিঠি লিখল মহিলা কমিশনে, মানবাধিকারে। শেষ পর্যন্ত হেড মিস্ট্রেস ওর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলেন৷ তবে রুনু ওই স্কুলে আর পড়েনি। ও বলল, যেখানে অন্যায়ের কাছে প্রতিষ্ঠান মাথা নোয়ায়, সেখানে সে পড়বে না৷ তারপর কোনওভাবে যোগাযোগ হল ‘সংহিতা'র সাথে৷। ওখানেই ও টুয়েলভ পর্যন্ত পড়েছে। তারপর টিউশান আর ওখানেই কিছু কাজটাজ করে ও যে টাকা পেত, তাতে করে গড়িয়ার দিকে একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে সে তার মা'কে নিয়ে আসে।
-- বাবার নাম জিজ্ঞাসা করলে ও মায়ের নাম বলে কেন? মিছিমিছি মানুষের কৌতূহল বাড়ানো!
-- ও মনে করে, যে জীবনে বাবার কোনও ভূমিকাই নেই, সেখানে নিছক ফর্ম ফিলাপের জন্য বাবার নাম বয়ে বেড়াবার কী প্রয়োজন?
-- সংসারে থাকতে হলে অনেক কিছুর সাথে আপোষ করতে পারাও এক ধরনের শিক্ষা।
-- এখানে ওর বক্তব্যটা কৌশলগত নয় মা, নীতিগত।
-- আচ্ছা, রুনুর মা যখন কলকাতায় আসেন, রুনু কি তখন পেটে ?
-- তা জানি না।
-- একটু জিজ্ঞাসা করে দেখিস তো।
-- কেন? এসব জানার কী প্রয়োজন?
-- না, তাহলে ওর বংশ পরিচয়টা অন্তত জানা যেত।
-- ছিঃ মা! যে মানুষ নিজের বিয়ে করে স্ত্রীকে বেচে দেয়, সে কি একজন অচেনা লালসা কাতর মানুষের থেকে তোমার কাছে বেশি আকাঙ্ক্ষিত? বেশি মর্যাদার?
সংস্কার কি এভাবেই মাথা চাড়া দেয়? রুনু কি একথাই বোঝাতে চেয়েছিল চয়নকে? মনে মনে লজ্জা পেল সে।
৩
অনেক দিন আর দেখা হয় না রুনুর সাথে। ইদানীং রোববার আর “সংহিতা'য় আসছে না সে। বোধহয়, ইচ্ছে করেই চয়নকে এড়িয়ে যেতে চাইছে ও। প্রথম মাসখানেক খানিকটা অভিমানেই ফোন করার চেষ্টাও করেনি চয়ন। কিন্তু ইদানীং ওকে অনেক দিন না দেখার কষ্ট এমন মাথা চাড়া দিয়েছে তার, আর অভিমান আঁকড়ে বসে থাকতে পারল না সে। বহুবার ফোন করার চেষ্টা করল ওর মোবাইলে, কিন্তু সব সময়েই ‘সুইচ অফ’। রুনু কী তবে নাম্বারটা বদলে ফেলেছে? অবশেষে ‘সংহিতা’ থেকে ওর সাথে যোগাযোগ করার একটা নাম্বার পেল সে। ডায়াল করতে ওপারে এক পুরুষ কণ্ঠ।
-- আচ্ছা রুনুকে কি একটু পাওয়া যাবে ?
-- আপনি কে বলছেন ?
-- আমার নাম চয়ন। চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়
-- উনি তো এই মুহূর্তে এখানে নেই। কী দরকার বলুন। বলে দেব।
-- নেই মানে? উনি কি কলকাতার বাইরে গেছেন নাকি?
-- আরে না, না৷ আসলে আমি এখন দোকানে আছি তো। ও বাড়িতে আছে। আমি বাড়ি ফিরেই ওকে বলে দেব।
-- কিছু যদি মনে না করেন, আপনি কে বলছেন একটু বলবেন দয়া করে ?
-- আমার নাম সন্দীপ। আমি রুনুর হাজব্যান্ড।
মাথায় যেন বাজ পড়ল চয়নের। কোনও রকমে নিজেকে সামলে বলল, ‘সে কী ! রুনুর বিয়ে হয়ে গেছে? কবে হল?’
-- এই মাস খানেক হবে৷
-- কই আমাদের তো কিছু বলেনি!
-- আসলে হঠাৎ করে হয়েছে তো। রেজিস্ট্রি ম্যারেজ। কাউকেই নেমন্তন্ন করা হয়নি৷ সেজন্যই বোধহয় আপনারা জানেন না। কিন্তু আপনার কথা তো আমি রুনুর মুখে কখনও শুনিনি!
-- সংহিতা’য় আমি ওর সাথে কাজ করি।
-- ঠিক আছে, আমি ওকে আপনার কথা বলব। আপনি যদি সকাল ন’টা নাগাদ ফোন করেন, তবে ওর সাথে কথা হতে পারবে।
-- রাতে ফোন করলে হয় না? আসলে সকালে অফিস যাওয়ার তাড়া থাকে তো!
-- আমার বাড়ি ফিরতে তো রাত একটা-দেড়টা হয়!
-- এত রাত পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে?
-- হ্যাঁ। খদ্দের থাকে।
-- আপনার দোকানটা কোথায়? যাতায়াতের পথে তবে আপনার সাথে দেখাও হতে পারে কোনও দিন৷
-- তা কখনও হবে না দাদা। ভদ্রলোকেরা সচরাচর এসব পাড়ায় আসে না।
-- তাও কোথায় শুনি?
-- সোনাগাছি। এখানে দীপুর দোকান বললেই দেখিয়ে দেবে সবাই।
-- দেখুন, অহেতুক কৌতুহল। তবু যদি কিছু মনে না করেন -- আপনাদের কি প্রেমের বিয়ে?
-- আরে না, না।
-- তবে এত তাড়াতাড়ি যোগাযোগ?
-- আমি ওকে ছোটবেলা থেকেই চিনতাম। বেলামাসির মেয়ে তো! আমার মা মাঝে মাঝেই মাসির কাছে যেত। হাল্কা যোগাযোগ ছিলই। এবার যখন বেলামাসি প্রস্তাব দিলেন, আমিও রাজি হয়ে গেলাম।
কোনও রকমে ফোনটা রেখে একটা চেয়ারে বসে পড়ল চয়ন। কান মাথা ঝাঁ ঝা করতে লাগল তার৷। কেন সে এত জেদাজেদি করতে গেল রুনুকে ! নাহলে হয়তো এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত নিতে হত না তাকে। এখন রুনুকে ছাড়া কী করে দিন কাটাবে সে ? বুকের মধ্যে কেমন যেন হাহাকার করে উঠল তার।
🍂
0 Comments