নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুরজিৎ সেন
সুরজিৎ সেন: বাংলা থিয়েটারের প্রতি আকর্ষণ কবে থেকে এবং কিভাবে এ যেই আঙিনায় আসা , তা যদি সংক্ষেপে আমাদের বলেন?
বিভাস চক্রবর্তী: ঠিক করে ঐভাবে বলা সম্ভব নয়। আমি জন্মেছিলাম শ্রীহট্ট , সিলেট শহর, অসমে । দেশভাগের পরে অসম পূর্ববঙ্গে চলে যায়। সিলেটে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বরাবরই খুব উন্নত ছিল। আমার বাবা ছিলেন কংগ্রেসের নেতা , পাশাপাশি প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি ছিলেন। হেমাঙ্গ বিশ্বাস , সত্যভান চৌধুরী , প্রাণেশ দাস প্রমুখদের উপস্থিতিতে সাহিত্য সভায় বাবা আমাকে নিয়ে যেতেন। সেখানে কবিতা পাঠ , নাটক পাঠের আড্ডা হতো। বাবার লেখা কবিতা আমি আবৃত্তি করতাম।অমিয় দেব ( আমার বাল্য বন্ধু,যিনি পরবর্তী কালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন ) কবিতা পড়তেন । বছরে একবার সাংগঠনিক সাহিত্য সম্মেলন এর আয়োজন করা হতো। মাণিক বন্দোপাধ্যায় , তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখেরা আসতেন। তারাশঙ্কর বাবু ও তাঁর পুত্র সনৎ বন্দোপাধ্যায় একবার আমাদের বাড়িতে ছিলেন।বছরে একবার করে থিয়েটার হতো। এইভাবে খানিকটা করে এই পরিবেশে থাকতে থাকতে হয়তো অবচেতন মনে কখনও মানসিক ভাবে থিয়েটার এর সাথে একাত্ম হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের বাড়ির সামনে একটা খোলা জায়গায় মণ্ডপ বেঁধে থিয়েটার হতো। সেখানে কলকাতা থেকে থিয়েটার এর সাজসরঞ্জাম আসতো এমন কি স্ত্রী চরিত্রে পুরুষ অভিনেতারাও আসতেন। আই পি টি এ র শিল্পীদের নাটক দেখতাম। আমার বাবার লেখা নাটক হয়েছে, তাতে গান লিখে সুর করেছিলেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস।এইভাবে ধীরে ধীরে খুব ছোট থেকেই থিয়েটারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম।
সুরজিৎ: বাল্যাবস্থায় কলকাতায় আসার পরে স্কুল জীবন থেকে কীভাবে নাট্যচর্চায় যুক্ত হলেন?
বিভাস: রিফিউজি হওয়ার কারণে এই বাংলায় এসে আমি কোনো একটি স্কুলে একসাথে দু বছরের বেশী পড়ার সুযোগ পাইনি। প্রথমের দিকে আনুলিয়া গ্ৰামে এবং রাণাঘাটের স্কুলে কয়েকবছর পড়েছি। অষ্টম শ্রেণিতে উঠে আমরা কলকাতার শ্যামবাজারে চলে আসি। টাউন স্কুলে ভর্তি হলাম। কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে ওখান থেকে স্কুল ফাইনাল দিতে পারিনি। প্রাইভেটে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়েছি। পরবর্তী কালে প্রেসিডেন্সিতে দুবছর পড়ে আই.এ. এবং বি.এ. পাশ করেছি। সেই সময় প্রচুর থিয়েটার দেখতাম। কিন্তু নিজের উদ্যোগে থিয়েটার করার কথা তখন ও মনে হয়নি। পরবর্তীকালে শ্যামবাজারে হিন্দু সংঘ নামে একটি ক্লাবের নাটকে অংশগ্রহণ করেছি। তার পরে আমার সবসময়ই মনে হতো যে যা নাটক এদিক ওদিক করে বেড়াচ্ছি সেগুলোর মূল্যায়ন তো হচ্ছে না , ঠিক বা ভুল কোনোটাই সেভাবে বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। তখন আমার মনে হলো যে থিয়েটারের কাজটা করতে হলে জিনিসটা ঠিকঠাক ভাবে শিখতে হবে। সেই সময় বহুরূপী নাট্য সংস্থার একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়লো, ওরা শিক্ষার্থী নেবে, আমি আবেদন করলাম, ইন্টারভিউ হলো , আমি নির্বাচিত হলাম।
সুরজিৎ: কলকাতা শহরে আপনার থিয়েটার জীবনের প্রথম দিকে বহুরূপীতে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী কালে সম্ভবত ১৯৬০ সাল নাগাদ আপনি নান্দীকারে যোগদান করলেন। ওই সময়কালের কথা যদি আমাদের বলেন।
বিভাস: ১৯৫৮ সালে কলেজ থেকে বেরিয়ে ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি তে যুক্ত হয়ে পড়লাম। প্রচুর বই পড়ার সুযোগ হলো। দেশী বিদেশী প্রচুর ছবি দেখলাম, সেগুলো নিয়ে দু এক জায়গায় লেখালেখি করতে শুরু করলাম। তখন ভেবেছিলাম ফিল্ম সোসাইটির কাজটাই করবো। তারপর ১৯৬১ সাল নাগাদ বহুরুপী নাট্যদলে ছয় মাসের জন্য ট্রেনিং এ যুক্ত ছিলাম। ১৯৬৩ সালে বিবেকানন্দের জন্মশতবর্ষে আয়োজিত নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হলাম। অজিতেশ বন্দোপাধ্যায় সেই প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন। সেই সময় নান্দীকার প্রতি মঙ্গলবার মুক্তাঙ্গনে ‘নাট্যকারের সন্ধানে ছটি চরিত্র’ শো করতো। সেই নাটকে চিন্ময় রায় অভিনয় করতো। ওঁর হঠাৎ কোনো অসুবিধে হবার পরে অজিতেশ বন্দোপাধ্যায় ওই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আমায় ডেকে পাঠালেন। এইভাবে আমি নান্দীকারে যুক্ত হলাম।
সুরজিৎ: আপনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৬ পর্য্যন্ত নান্দীকারে ছিলেন?
বিভাস : ঠিক।
সুরজিৎ: ওখানে 'নাট্যকারের সন্ধানে ছটি চরিত্র' ছাড়া আর কি কি নাটকে অভিনয় করেছিলেন?
বিভাস: 'নাট্যকারের সন্ধানে ছটি চরিত্র' নাটক চলাকালীন আমি দলে যোগ দিই। পরে 'মঞ্জরী আমের মঞ্জরী' নাটকটি অভিনয় চলাকালীনই তৈরি হয়, একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আমি অভিনয় করি। এরপরের নাটকটি ছিল ‘যখন একা’। এর প্রথম অভিনয় এর পরেই নান্দীকার ভেঙে যায় , আমরা চোদ্দজন বেরিয়ে যাই।
সুরজিৎ: তাহলে এরপর আপনি থিয়েটার ওয়ার্কশপ তৈরি করলেন?
বিভাস: হ্যাঁ।
সুরজিৎ: ওখানে যে নাটকগুলি আপনি নির্মাণ করলেন, সে সম্পর্কে যদি কিছু বলেন।
বিভাস: হ্যাঁ , ওখানে প্রথমের দিকে করেছিলাম নাটক-ললিতা( জঁ পল সাত্রে -দ্য রেস্পেক্টবল প্রস্টিটিউট), নাটক -ছায়ায় আলোয় প্রভৃতি।এর পরে আমরা উৎপল দত্তের রাতের অতিথি নামে একটি নাটক করেছিলাম ।এগুলো আমি , চিন্ময় রায় , নিমাই ঘোষ মোটামুটি এই তিনজন যৌথ ভাবে করেছিলাম। ১৯৭১ সাল নাগাদ চিন্ময় রায় সিনেমাতে পাকাপাকি ভাবে যুক্ত হবার পর , দলে সর্বসম্মতিতেই আমি পরিচালক নির্বাচিত হলাম। থিয়েটার ওয়ার্কশপ ছেড়ে চলে আসা অবধি ১৯ বছর আমি নাটক পরিচালনার দায়িত্বে থেকেছি। ১৯৭১ সালে একক ভাবে আমার প্রথম নাট্যনির্মাণ হলো ‘ রাজরক্ত’, আর ১৯৭২ সালে ‘চাক ভাঙা মধু’, পরবর্তী কালে ‘ নরক গুলজার’, 'শোয়াইক গেলো যুদ্ধে ‘ প্রভৃতি নাটক মঞ্চস্থ করেছি। সে সময় আমাদের মাথার ওপর শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত, অজিতেশ বন্দোপাধ্যায় এরা ছিলেন। তবুও মানুষ আমাদের মতো নতুনদের নাটক এর কাজের ধরণ , বিষয়, ফর্ম ইত্যাদিকে গ্রহণ করেছিলেন। মোহিত চট্টোপাধ্যায়-এর লেখা ‘মহাকালীর বাচ্চা’ নাটকটি আমার হাতে সেভাবে জনপ্রিয় না হলেও বিদগ্ধ মহলে খুব সুনাম কুড়িয়েছিল।
সুরজিৎ: তাহলে এর পরে আপনি দল ছেড়ে ১৯৮৫ সালে অন্য থিয়েটার তৈরি করলেন?
বিভাস: ঠিক, ওখানে আমাদের প্রথম প্রযোজনা ছিল নাটক - হচ্ছেটা কী (দারিও ফো)।
সুরজিৎ: অন্য থিয়েটারের এক অনবদ্য প্রযোজনা ‘ মাধব মালঞ্চী কইন্যা’ আমরা মেদিনীপুর বাসীরা শহীদ প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে দেখেছি -
বিভাস: ওহ , কী ভীষণ মশা কামড়েছিলো সেদিন ! মেদিনীপুরের মশার কামড় আমার আজও মনে আছে , হাঃ হাঃ...
সুরজিৎ: নান্দীপথের প্রযোজনায় আপনি বেশ কিছু নাটক আমাদের উপহার দিয়েছেন।
বিভাস: পরবর্তী কালে নান্দীপথের প্রযোজনায় বেশ কয়েকটি বিদেশী নাটক অনুবাদ করে মঞ্চস্থ করেছি। এর মধ্যে উল্লেখ্য হলো 'শ্বেত সন্ত্রাস’ , ‘মৃত্যু না হত্যা’ ,’লাল ঘাসে নীল ঘোড়া’। এগুলো খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। পরে শেখর সমাদ্দারের লেখা ‘তীর্থযাত্রা' করেছি।
সুরজিৎ: থিয়েটারের পাশাপাশি আমরা আপনাকে বেশ কিছু বাংলা সিনেমায় দেখেছি। পরশুরাম , আমার পৃথিবী , ছেঁড়া তমসুক সহ আরো বেশ কিছু সিনেমায় আপনাকে দেখেছি। কিন্তু থিয়েটারের মতো সেভাবে আমরা আপনাকে সিনেমাতে পাইনি।
বিভাস: আমরা একটু একমুখী ছিলাম, থিয়েটারটাই ছিল প্যাশন, মন প্রাণ দিয়ে সেটাই করেছি। সিনেমা করতে চাইলে আরো সময় দিতে হয় , নয়তো এমন আউট স্ট্যান্ডিং হতে হয় যে প্রযোজকেরা আপনার বাড়ির দরজায় লাইন দেবে, এর কোনোটাই হয়ে ওঠেনি।
সুরজিৎ: বর্তমানে মফসসলে অনেক নাটকের গ্রূপ নিয়মিত থিয়েটার করছে। বহু ছেলে মেয়েরা এতে কাজ করছে, আবার অনেকেই বিষয়টা ভালোভাবে না শিখে শুধুমাত্র সস্তা জনপ্রিয়তা লাভের আশায় শর্ট ফিল্ম , সিরিয়ালের প্রতি মোহগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এই সামগ্রিক বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
বিভাস: দেখুন, আমাদের সময়কালে রুটি রুজির বিষয়টা এখনের চেয়ে অনেক সহজ ছিল। আমি এ জি বেঙ্গলে চাকরি করতাম, পরে দূরদর্শনে চলে আসি। রুদ্রবাবু, মনোজ বাবু কলেজে শিক্ষকতা করতেন, উৎপল দত্ত সিনেমায় অভিনয় করতেন, অরুণ মুখার্জী রাইটার্সে চাকরি করতেন। সে সময় আমাদের অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো না, ফ্যা ফ্যা করে ঘুরতে হতো না। কিন্তু এখনকার প্রজন্মের চাকরি বাকরির সুযোগ প্রায় একেবারেই নেই, ফলে এই প্রবণতা বেড়েছে। থিয়েটার করে তো আর পেট চলবে না, আর পেশাদারী থিয়েটার তো বহু আগেই উঠে গেছে। তাই সে সময় আমরা বুক বাজিয়ে , নিজের পছন্দমতো থিয়েটার করতে পেরেছি , কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা সেটা করবে কি করে? তাই এটা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার বিষয়।
সুরজিৎ: দীর্ঘদিন বাংলা থিয়েটারকে পুষ্ট করেছেন, বহু সম্মান পেয়েছেন , ভালোবাসা পেয়েছেন, সংগীত নাটক একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন। এমন কি কোনো খেদ আছে যা আপনি করে উঠতে পারেননি ?
বিভাস: হ্যাঁ , অনেক কিছু করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সবটা করে ওঠা গেলো না। কিছু কাজ করেছি। যৌথ নাট্য প্রযোজনা কিছু করেছি, দুঃস্থ শিল্পীদের সাহায্যের জন্য সংগঠন গড়ে তুলতে চেয়েছি , নাট্যস্বপ্নকল্প নামে একটা বড়ো প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি , সেখানে অনেক নতুন নতুন ছেলেমেয়েদের থিয়েটারের কাজে যুক্ত করতে পেরেছি। কিন্তু থিয়েটারটা যে জায়গায় যাওয়া দরকার ছিল, সেটা হয়ে ওঠেনি। এই দুঃখটা নিয়েই আমায় চলে যেতে হবে।
সুরজিৎ: ইদানীং কালে থিয়েটারে দর্শক নিয়ে একটা হতাশার কথা প্রায়ই শোনা যায় , আবার অন্য দিকে গ্রামাঞ্চলে ছোট থিয়েটারের দলে বেশ কিছু নতুন ছেলেমেয়েরা কাজ করতে এগিয়ে আসছে। এই দুটি বিষয়কে আপনি কিভাবে দেখেন?
বিভাস: সমাজে ভালো কাজ করার পথ ছোট হয়ে আসছে , দল করার বদলে দলাদলি বাড়ছে। কি করে সহজে মাতব্বরি করা যায় সে দিকে প্রবণতা বাড়ছে। ভালো কাজ একমাত্র থিয়েটার- ই করতে পারে। সমাজে এখনো ভালো মানুষ আছেন। তাই তাদের একটা অংশ থিয়েটারের প্রাঙ্গনে এখনো আসছেন। দর্শক ও তো একই ভাবে বহুধাবিভক্ত। তাদেরও তো বহু সস্তা জিনিস গেলানো হচ্ছে। মানুষ খুব তাড়াতাড়ি নীচে নামতে পারে , ওপরে উঠতে গেলে অনেক কষ্ট করতে হয়। তাই ও নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই, ভালো করে থিয়েটারের কাজ করে যেতে হবে, অনেক দর্শক একদিন সেইসব কাজের সাক্ষী হবে।
সুরজিৎ: জ্বলদর্চি পত্রিকার তিরিশ বছর পূর্ণ হলো। এ সম্পর্কে আপনার মতামত কি ?
বিভাস: জ্বলদর্চি পত্রিকা একটা অসাধারণ জায়গা অর্জন করেছে। আমাকেও অনেকবার লিখতে বলা হয়েছে , আমিও লিখতে বাধ্য হয়েছি। পত্রিকাটা যখন পাই তখন খুব আনন্দ হয়।
সুরজিৎ: বাংলা থিয়েটারের অগ্রগতি ও বিবর্তনের অন্যতম সাক্ষী হলো থিয়েটারের পত্রিকা। এ সম্পর্কে যদি দু চার কথা বলেন।
বিভাস: থিয়েটারের পত্রিকা আগেও কিছু ছিল। বহুরূপী এখনো ধারাবাহিকভাবে পত্রিকা প্রকাশ করে চলেছে। উৎপল দত্ত একসময় পাদপ্রদীপ, তারপরে প্রসেনিয়াম এবং শেষ পর্য্যন্ত এপিক থিয়েটার নামক পত্রিকা প্রকাশ করতেন। এছাড়া অনেক নাট্যদলই অন্তত বছরে একটা করে পত্রিকা প্রকাশ করে। আমার দলও পত্রিকা বের করে, নান্দীপটও একাজ করে চলেছে। সৌমিত্র মিত্রদের পূর্ব পশ্চিম বেরোচ্ছে। তবে চালিয়ে যাওয়া কঠিন। লেখা পাওয়া, পাঠক পাওয়া আর মূল্যবৃদ্ধিকে মোকাবিলা করে একাজ চালিয়ে যাওয়া খুব শক্ত।
সুরজিৎ: আপনার আগামী দিনগুলো কর্মময় হোক। আপনার সুস্থ,নীরোগ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করে আজ ইতি টানলাম।
🍂
0 Comments