জ্বলদর্চি

রম্য কবিতা : ৩২ / শুভশ্রী রায়

রম্য কবিতা : ৩২ / শুভশ্রী রায়


মধুর আটপৌরে 

জীবন কেমন, বলি? মধুর আটপৌরে!
খুব বড় কিছু মোটেই নেই তার ভেতরে,
এই যেমন কারুর কারুর ঘন ঘন বিমানে
যখন তখন চলে যাওয়া হাতের মোওয়া কাছে দূরে।

বেঁচে থাকা আমাদের তুচ্ছ কিছু ঘটনাময়,
একই রকম তাও তো নেহাৎ বিরস নয়,
সামান্য যা, তারই ডালে ডালে কত না ফল
টক ও মিষ্টি স্বাদের, বেঁচে থাকার বৈচিত্রে নেই ক্ষয়!

🍂


লুকোচুরি

ধরতে চাইলে কখনোই দেয় না তো সে ধরা!
ঠিক তখন যেন তার পড়ে যায় রাজ্যের ত্বরা,
যে সময় আলগা মুঠো, ধরতে তাকে না চাই; 
এক লহমায় কাছে আসে, অমূল্য পরশ পাই।



অস্পষ্ট পশরা

কখনো দুপুরবেলায় ক্লান্ত, ব্যর্থ ছায়ায়
শহর একটু জিরিয়ে নেয়, ভীড় হতে চায় একলা, 
তখন এই রাস্তা, ওই রাস্তায় বিনা গন্তব্যে 
তার আসা চাই, উদাসী ডাকের ফেরিওয়ালা।

কে জানে ঠিক কিসের পশরা, অস্পষ্ট!
হয়তো কাঁচের চুড়ি বা সামান্য খেলনা-পুতুল,
ডাক মিলিয়ে যাওয়ার পর হৃদয়ে শূন্যতা;
কিসের পশরা নিয়ে আসে, করে না তো ভুল?


কাঁচের চুড়ি

সূর্যকে কাছে পাই না, দূর থেকেই কত না জ্বালায়!
কাছে না পাওয়াই ভালো, আমরা বরং
হাতে পড়ে নিই উজ্জ্বল লাল-হলুদ কাঁচের চুড়ি!
সূর্যের বলয় হাতে নিয়ে মহানন্দে হো'ক ঘোরাঘুরি।

সরাসরি সূর্যের আলোয় খুব বেশি যাওয়া চলবে না,
ফিকে হয়ে যাবে বড় সাধের চুড়ির রং,
জল ঘাঁটা, যতটা দরকার ততটুকু করতেই হবে;
ঘরোয়া কাজে সোহাগের চুড়িগুলো বাজবে টুংটাং রবে!

Post a Comment

0 Comments