ইন্দ্রনীল দে
প্রিয় আগামী
কাল সূর্য টাকি নতুন ভাবে উঠবে?
না মানে আকাশে গাঢ় নীল,
মাঝে হালকা সবুজ একটা টিপ আঁকা থাকবে।
টকটকে লাল দিগন্তে,
পরিযায়ী বকের ঝাঁক দুমুঠো আরামে নিঃশ্বাস রাখবে।
অপার শূন্যতায় ঘন সাদা স্তূপ
পরতে পরতে ঝুলবে।
আলতা মাখা আঙুল বুলিয়ে
মেঘের বাড়ি, মেঘের সিংহ, মেঘের জলসা শুনবে।
কাল সূর্য টাকি নতুন ভাবে উঠবে?
না টকটকে ফল না জ্বলন্ত কয়লা,
তোমাকে ঠিক সদ্য ফোটা পদ্মের মত লাগবে
নীহারিকা আর জলের ঘোড়া
ঠিক তোমায় ভালোবেসে থামবে।
তুমি সূর্য কাল শুধু কি এমন ভাবে উঠবে!
দু চোখ ভরে দেখবো তোমায় শুধু
কবচের আর হবে না দরকার
দূর থেকে তোমায় রাখবো মুঠোয় বন্দী
শ্যামা ভিখারিনী বরং তোমায় খোঁপায় সাজাবে!
ইকারিস বলবে হেসে,
এই জন্যই তো তোমায় ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিলাম
তারপর আবার হাসি মুখে
কাগজের জাহাজ বানাবে।
কাল তুমি কি বন্ধু, এমন ভাবে আসবে?
🍂
কসমস ন ইতি
গোটা আকাশ ভেঙে পড়ুক, আমার কিস্তিও বরফ ভেঙে এগোবে,
অল্প যদি ধার দিতে পারো আজ, মিশিয়ে নেবো বুকের জমা রক্ত -
থাকে থাকে কাদা জমে, এঁটে বসেছে শক্ত কঠিন পাথর,
বিস্মৃতির বাসনায়, আদিম শরীর হয়ে উঠেছে সিক্ত।
হে, বরুণদেব! তুমি কি কান্নার দেবতা নও!
পচাগলা রক্ত জমে, পাথরটা গ্যাংগ্রীনে ধুঁকছে,
তোমার জলের তীর গুলো, সোজা এসে পড়ুক বুকের ওপর।
ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাক, পাঁজরের ফাঁকে বড্ডো ধুলো জমছে।
আজ উঠুক প্রলয় ভেতর থেকে বাইরে,
ভাসিয়ে নিয়ে যাক অনন্ত পরম শূন্যতায়,
আছড়ে ফেলুক আবার শুষ্ক বুকে,
ঘোর ভাঙবে চরম লোভী নির্মমতায়।
মরুভূমির বালি, কাঠফাটা রোদ্দুর চারিদিকে;
শ্বাসকষ্ট কোনোদিন সারবে না মনে হয়,
তুমি বরং আমাকে অমরত্বের আশীর্বাদ দাও,
এ জীবনে যেনো আর, কান্নার অভাব না হয়!
ভাঙা গড়ার আহ্বান
দিন বদলের ডাক এসেছে বন্ধু,
পুরোনো কালশিটেতে পড়েছে নরম রোদ;
চিবুক ছোঁয়া চোখের জল যেনো ঝলমলে হীরে,
সোনালী খামে এসেছে নিমন্ত্রণ।
চলো আরো শক্ত হাতে কোদাল ধরি,
লজ্জাবতীর কাঁটাকে সমূলে করি উৎখাত;
কাটাকুটির খেলাটা থাক না একটু বাদ -
0 Comments