বিনোদ মন্ডল
আলোকণা
যে হরিণ ঘাই দিল ম্যানগ্রোভ বনে
সীতার কপালে ঘাম, কেন তা জানিনা।
নামে দ্রুত অবিরত গভীর অরণ্য।
আজকাল লালসাও পাশ ফিরে শোয়।
একরাতে শিখে ফেলি নামতা রামানুজ
হাই হ্যালো বলা ভালো হ্যালোজেন ব্যাসে
কতবার কর্তামার এলোখোঁপা ছুঁয়ে
চাষ করে পার্থেনিম পথভোলা কবি।
উপমার ঝোলা থেকে ঝামেলাও মেলে;
গন্ধবণিকেরা কবে অন্ধমুনি সাজে?
তবু এসে পাকশালা জুড়ে সাজোরব,
আলোকণা অগণন সৃষ্টিসুধা ঝরে।
আয়োজন
একটুখানি ব্যতিক্রমও শ্রেয়
টোপরপানায় শিশির বিন্দুসাজ,
আলতাসিঁদুর ধূপের কাঠি নিও
দক্ষিণালীন পুরুত মহারাজ।
পাটভাঙা সেই নতুনশাড়ি পরে
শিউলিতলায় চরণখানি রেখো
আজ আকাশে আগমনী ঝরে
আলোর রেণু চক্ষে এঁকে রেখো।
আমি বসে ব্রাত্য উদাস বাউল
মগ্ন থাকি পূজার আয়োজনে
সময়-কশায় পৃষ্ঠে বসায় হুল
আবেশ মাখি গৃহের প্রাঙ্গণে !
🍂
ক্রান্তিকাল
কে যেন কার মাথায় চেপে ট্রিগার
বাঙালিকে বানিয়ে দিল ভিখারি
আজকে নিজে নিন্দা ঝড়ে মাটাল
প্রমাণিত আস্ত এক ভোটশিকারী।
গাধার গাধা কে বা কারা উহ্য থাক
বিচারে যাক ইতিহাসের আস্তাকুড়ে
সময় এখন মনস্তাপে দগ্ধ হওয়ার
আন্দোলিত মুষ্টি চাই গগনজুড়ে।
তোমার পথ ভাত-কাপড়ের খোঁজে
লক্ষ হাতে কাজের ট্যাটু আঁকা
গরিব দেশে স্বপ্ন ফেরি করা
বিশ্বজুড়ে দৃপ্ত কদম রাখা।
যাবার বেলায় নিও প্রণাম, প্রিয়
পাঁকের দেশে পোক্ত আলাদিন।
ট্রিগার হাতে হাঘরে এক হাঙর
ঘনিয়ে আসে বিদায়বেলা দিন।।
অনিকেত
তোর গলার স্টেথো গেলো কোথায়?
কে পরালো অপরাজিতার মালা?
তুই তো লাকি হিজ মাস্টার্স ভয়েস।
কেন শয্যায় পাংশু জবালা?
মুখভর্তি আগাছা গোঁফ দাড়ি
ঘুমহীন রাত কাটায় দেশের মা
মাটি খুঁড়ে অস্থি রাখার মতো
স্বপ্নচাষে সাথীরা জেরবার।
ন্যূব্জ সমাজ গা ঝাড়া দেয় সবে৷
রামদার খোঁজ সদ্য খড়ের চালে
অনিকেত তুই খানিক সবুর কর
বৈঠা নিয়ে অমরাবতীর খালে।
আসছে ঝড়, তুলুক হাওয়া মন
চড়কগাছে চড়বো দিব্যি কাটি
অনিকেত তুই লক্ষীসোনা ভাই
1 Comments
Darun lekha. Antornihito artho pathak k vabte bhdhyo korbe.
ReplyDelete