জ্বলদর্চি

গৌতম বাড়ই ও বিমান মৈত্র-র কবিতা

গৌতম বাড়ই ও বিমান মৈত্র-র কবিতা 

মেলেছি চোখ  খদ্যোৎপ্রভায়
গৌতম বাড়ই 

চাঁদ হেলে পড়ে ঘুমে তার ঘোরে শেষ প্রহরে
কাকজ্যোৎস্না এই চরাচরে নিভৃতে নির্জন
মায়ালোক তার বিস্তীর্ণ এই প্রান্তরে 
দাঁড়িয়ে আছে ঋষ্য দাঁড়িয়েছে ধবলা 
আলোর সরোবরে একে একে উঠবে ফুটে
পুণ্ডরীকেরা, আমাদের মেয়েগুলো কবেকার 
সেই থেরীগাথায় আবদ্ধ হল 

বৌদ্ধভিক্ষুণী এক এখনও গভীররাতে ছায়াপথে 
উড়ায়ে বসন কাঁধেতে মাধুকরী ঝোলা চলে
সুমঙ্গলের জননী ! 
প্রিয়ার পরিতাপের থেকেও নিষ্ঠুর মাতৃ উবাচ 
ত্যাগ ও তিতিক্ষায় সমস্ত ক্রোধ অবদমিত হোক
মানুষের জীর্ণতা ধুয়ে মুছে ফেলে কাকজ্যোৎস্নার চরাচর

🍂

সমীক্ষা 
বিমান মৈত্র 

পাশাপাশি কয়েকটি অক্ষর। অনির্দিষ্ট। বহুমাত্রিক বাসভূমে নিস্তরঙ্গ তুলে নিভু নিভু মুখে একে অন্যের থেকে কেবলই দূরে সরে যাওয়া, আর করোটি? বিকারগ্রস্থ দ্বিধায় কখনও নীল কখনও হলুদ যদিও সেটা ততটা প্রাসঙ্গিক নয় কারণ অনুদান ও ভিক্ষা চিরকালই সন্মানিত এক দেবীপ্রসাদ আঙ্গুলহারা, মুখে একটি মাত্র কালো চামড়া পোড়া দাগ পিত্যেশ নিশান যদিবা প্লাটফর্ম বলে দূর হটো যে গাড়ি থামে না ওদের কোন ঠিকানায় পৌঁছে দিতে - যে গাড়ি চড়ার জন্য ওরা এক পুরুষানুক্রম অপেক্ষার দাস, পুরুষানুক্রম তাদের বিবর্তন তত্ত্ব থেকে লাল ফোটা  এবং  কালোজিরে ফোটা আলো ঘেরা পোকা মাকড়ের মত, স্বপ্ন তার উড়ন্ত কবরে পুরুষানুক্রম অপেক্ষা, সেই সব অপেক্ষার শরীরি বিভব অসীম অহম্ থেকে যোগচিহ্নিত কিউ আধান --- তবে তুমি তার উপর কোন শর্ত চাপাতে পারো না এ প্রকৃতি 
নিঃসঙ্গ অবিকার 
অগ্নিকুণ্ড বীজাধার....

Post a Comment

0 Comments