প্রতীতি
আবীর ভট্টাচার্য্য চক্রবর্তী
কিঞ্চিৎ অচ্ছেদ্য মায়া অহৈতুকী আঁচলে জড়িয়ে
দূরে হেঁটে যায় সেই ছায়া
কতটুকু পরবাসে অর্বাচীন শিকড়ের তৃষা
কুহকে কুহকে ডাকে মনোজ্ঞ আঁধার
দিনে দিনে বাড়ে ঋণ, ছন্দোবদ্ধ নীরব আহ্বান
অলক্ত আখরে আঁকা অপ্রলম্ব শ্লোক
এখনও তোমার মনে জাগে!
এখনও তোমায় ডাকে ফেলে আসা পথের নিশান!
রূদ্ধশ্বাস জাগৃতির সুখে,অকস্মাৎ বজ্রপাতে
নিলাজ প্রস্তাবে লেখ মেঘদূত চিঠি!
দুহাত বাড়িয়ে খোঁজ সমাগত বিবৃতির মতো
আলো আলো দিঠি…
দিন যায়, বাঁশরী মর্মরে বাজে ঝরাপাতা বল্কল যতো
যে পথে জড়ানো ভ্রম,যে পথে জড়িয়ে থাকে ভুল
চিরায়ত আর্দ্র শোকে সেখানেই ফোটে কি বকুল!
🍂
পলাতকা
স্বপন কুমার দে
নদী, মাঠ, জলাভূমি পেরিয়ে
এই শহরে, মানুষের অরণ্যে,
তোমাকে খুঁজি, হে প্রিয়তমা!
হারানো প্রেমের খোঁজে ছিন্নমূল, পরবাসী।
ছবির ক্যানভাসে ফুটে ওঠে মুখ; মানবীর।
কল্পনার সাথে মিশে যায়
সেই নির্ভীক কিশোরীর চোখ।
হাতে গড়া কাহিনীতে বিশ্বকর্মা।
শহরের কোলাহল বাড়ে।
মিশে যাই পথের স্রোতে
চিনে নিতে চাই, দেখে যাই--দেখে যাই।
ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস উত্তাপ বাড়ায়।
হয়তো চোখের কোণে কালি, ক্ষান্তি চায়।
হয়তো নিস্পৃহ দিন চোখ এড়ায়।
তবুও তোমাকে পাওয়ার আশা; ক্ষমাহীন।
1 Comments
👍🙂👍
ReplyDelete