ইস্কুল ফিস্কুল / পর্ব -২৪
সৌমেন রায়
চিত্র – অসিত কুমার সেনাপতি।
আচার্য দেব ভব (২)
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
‘যে গুরুর অন্তরে ছেলেমানুষটি একেবারে শুকিয়ে কাঠ হয়েছে তিনি ছেলেদের ভার নেবার অযোগ্য’ , এমন একটা কথা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন। শিক্ষকের অন্তরে শিশুটি কি বেঁচে আছে? এটা একদম সত্য কথা যে আগের থেকে মাস্টার মহাশয়রা অনেক স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি। আগে মাস্টার দেখলে ছেলেরা ঘাবড়ে যেত। এখন অনায়াসে বলে স্যার ঘরের ম্যাডামকে নিয়ে সরস্বতী পূজা দেখতে আসবেন। শিক্ষকও অনেক আন্তরিকভাবে মেশে। ব্যবধানটা অনেকটা কমেছে এ কথা অনস্বীকার্য। ফল ভালোই হয়েছে। শাস্ত্রে বলেছে প্রাপ্তেতু ষোড়শ বর্ষে পুত্র মিত্র বদাচরেত। তবে মিত্রের মত হতে বলা হয়েছে , মিত্র হয়ে পড়লে মুশকিল। এক দিদিমনি বলছেন তাদের স্কুল নকল বৃন্দাবন। একদিন ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে ডাকতে এসেছে। ম্যাডাম চলুন চলুন , ক্লাস নাইনের অমুক আর সেভেন এর তুসুক কিসিং মোডে আছে। ম্যাডাম গেলেন তাদের ছবি তুললেন। আবার একদল আছেন যাদের মন সংসারের চাপে দরকচা মেরে গেছে। এরা সর্বদা খিঁচিয়ে থাকেন। দুটিই প্রান্তবর্তী অবস্থান। সামান্য ব্যবধান রেখে হাতে হাত রাখাটি জরুরী। ভোগলিপ্সু , আদ্যন্ত আগ্রাসী সমাজে শিশু মনটি বাঁচিয়ে রাখা ক্রমশ দুষ্কর হয়ে উঠছে।
শরৎচন্দ্রের সৃষ্ট বৃন্দাবন (পন্ডিতমশাই) ছাত্রের সঙ্গে সংযোগের কথা বলেছিলেন। তারপর গঙ্গা সহ সব নদী দিয়েই অনেক জল গড়িয়ে গেছে। যেরূপ সংযোগের কথা তিনি বলেছিলেন তেমন সংযোগ আর এখন সম্ভব নয়। বর্তমানে ধুতি-পাঞ্জাবি বা মলিন শার্ট-প্যান্ট পরা শিক্ষক প্রায় দেখা যায় না। অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মাস্টারও ঝকঝকে হয়ে গেছে। এখন অনেক শিক্ষক অনলাইনে নাইকের জুতো খোঁজেন, টার্টেল এর শার্ট আর ডেনিমের জিন্স পরেন। এগুলো অন্যায় কিছু নয়। পয়সা থাকলে সবাই জীবনযাত্রা উন্নত করে । মলিন ধুতি বা শার্ট আলাদা করে ভালো শিক্ষক হতে সাহায্য করে এমনও নয়। কিন্তু মনটি যদি যান্ত্রিক, পালিশ করা হয়ে যায় তবে গ্রামাঞ্চলের গরিব গুর্বোদের সঙ্গে খানিক দূরত্ব তো বাড়েই। তুমি আমাদেরই লোক এই ভাব নিশ্চয়ই কমে। একে তো এখন তিনি দূরবাসী, আবার পোশাক, আদবে ভিনগ্রহী। এই সমস্ত শিক্ষক মহাশয়দের শৈশব যদি গ্রামে কাটে তাহলে খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু এমন শহুরে শিক্ষক যদি গ্রামাঞ্চলে আসেন তাহলে দূরত্ব তৈরি হয় (ব্যতিক্রম নিশ্চয় আছে)। এখানেই যে কথাটা বলা হয়েছিল যে গ্রামাঞ্চলের ছেলেমেয়েরা পেশাতে বৈচিত্র আনে তার কিছুটা সত্যতা খুঁজে পেতে পারেন।
ক্লাসে গিয়ে গল্প করা, অনর্থক সময় ব্যয় করা কিছু শিক্ষকের অভ্যাস । কারণ এনারা পড়ানোতে ইন্টারেস্ট পাননা। কিশোর বয়সী ছেলে মেয়েরা গল্প করতে পেলে খুশি। এই সমস্ত শিক্ষকরা প্রাথমিকভাবে বেশ জনপ্রিয় হন। ছাত্র-ছাত্রীরা বড় হলে বুঝতে পারে বিষয়টা। অনেক সময় শিক্ষক-ছাত্রের গল্প শ্লীলতা, অশ্লীলতার সীমা ছাড়িয়ে যায়। উদাহরণ আছে। তবে এখানে বলাটা সমীচীন হবে না। ছোটবেলায় দেখেছি স্বর্গীয় পিতৃদেবের স্কুলমুখী কর্মকাণ্ডে মাতৃদেবী কখনো কখনো ধৈর্য্য হারাতেন(ধৈর্য্য হারানো যে সর্বদা অমূলক ছিল এমন নয়)। এমনই এক দিনে তিনি একবার অন্য এক শিক্ষকের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন যে অমুক বাবু তো এমন ভাবে হাঁটেন যে পেটের জলটি পর্যন্ত নড়ে না। তোমার এমন ‘ঘর জ্বালানি পর ভালানি’ স্বভাব কেন? স্কুল ব্যবস্থাটাই এরকম। কেউ সারা জীবন গল্প করেই কাটিয়ে দিতে পারেন,কেউ শিক্ষার সেতুবন্ধনে কাঠবিড়ালির মতো ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। কেউ পেটের জল না নাড়িয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন, আবার কেউ স্টুডেন্টের মস্তিষ্কে ফেনিল উর্মি জাগাতে পারেন। বুক পকেটের একটু নিচেই হৃদয়টির সন্ধান ( নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী) পান ‘কোটিতে গুটিক’।
যেখানে আচার্যগণ স্বয়ং জ্ঞান চর্চায় প্রবৃত্ত সেইখানে ছাত্রগণ বিদ্যাকে প্রত্যক্ষ দেখিতে পায়।আমার কথা না।রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন। সে পরিবেশ আছে কি? সেটি জানতে গেলে উকি দিতে হবে স্টাফ রুমে। সেখানে কি কথা হয় পড়াশুনা নিয়ে? এ বিষয়ে এত কম কথা হয় যে উত্তরটি ‘না’ হবে। স্টাফ রুমের কথা বলছি বলে ভেবে নেবেন না যে সব কথা আমার স্কুলেরই।স্টাফ রুম হওয়া উচিত একটি পরিবারের মত। যে পরিবারের মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত পড়াশোনা। কিন্তু বেশিরভাগ স্টাফ রুম বিশেষ করে বড় স্টাফরুমগুলি গোষ্ঠীদ্বন্দে জীর্ণ। তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয় নিয়ে সেখানে দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে রগড় হয়। অযথা শক্তি ব্যয় হয়। শিক্ষক ঘরে ফেরেন উদ্বেগ নিয়ে। সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে। স্বভাবতই তারা পড়াশোনা বহির্ভূত কাজে ব্যস্ত থাকেন। কেউ কেউ জমির দালালির সঙ্গেও যুক্ত। সে সংক্রান্ত কাজকর্ম স্কুলে বসে করেন। কেউ ইনকাম ট্যাক্স এর হিসাব নিকাশ করেন, রিটার্ন জমা করেন অর্থের বিনিময়ে। সে কাজ তিনি স্কুলে বসে করতেই পছন্দ করেন। শেয়ার বাজার, বাড়ি করা, ফ্ল্যাট কেনা এসব নিয়ে অন্তহীন আলোচনা তো আছেই। কেউ কেউ আবার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এর সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারটা মানে ফোন টোন গুলো নিয়মকরে স্কুলেই সেরে নেন।এদের কাছে ঘরের সময় ঘরের সময়। স্কুলের সময়ও ঘরের সময়।কারো আছে ছোট খাটো ট্রাভেল এজেন্সি। স্বভাবতই অজস্র ফোন আসে।এক বন্ধু শিক্ষক একাডেমিক কাউন্সিলের সেক্রেটারি। প্রভিশনাল রুটিনটি করা তার দায়িত্ব। সে বলছিল এক মাস্টারমশাই তাকে বলে রেখেছেন যে স্যার তিনটা থেকে তিনটা পঁয়তাল্লিশ ক্লাস দেবেন না। কারণ ওই সময় শেয়ার মার্কেট ক্লোজিং। হরি হে মাধব, পড়াবো না শেয়ার কিনব! শেয়ার বাজারে সর্বদা নজর রাখতে হয়। শেয়ার ট্রেডিং করা শিক্ষক মহাশয়রা পড়ানো বাদ দিয়ে বাজারেই ঝাপিয়ে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে না পড়লে সাত ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে কি করে! দেশের অর্থনৈতিক বিপ্লবে শিক্ষক হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? কিছুদিন আগে একটা প্রকল্প এসেছিল নির্দিষ্ট সংখ্যক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেখলে একাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। দেখা গেল কোন কোন স্টাফ রুমের অনেকেই ছুটে ক্লাসে যাচ্ছেন আবার এসে অ্যাড দেখছেন ।আবার ক্লাসে যাচ্ছেন, আবার অ্যাড দেখছেন। রামমোহন – বিদ্যাসাগরের সৌভাগ্য যে প্রকল্পটি বেশিদিন চলেনি। এসব করার অধিকার কি শিক্ষকের নেই? রাজনীতি করার অধিকার নেই? বড়লোক হওয়ার অধিকার নেই? শিক্ষকের কি ব্যবসা করার অধিকার নেই? এর কোনটায় আইনগত বাধা নেই। সমস্যা যেটা সেটা হল স্কুলে বসে করা। স্কুলের সময়টার জন্য তিনি বেতন পান। তাই এই সময়টা সম্পূর্ণরুপে স্কুলকে দেওয়া উচিত। অফ পিরিয়ডগুলি নিজের কাজ করার জন্য নয়। কিন্তু উপরোক্ত কাজগুলি সময়ের নিগড়ে বাঁধা যায় না। বিশেষ করে মোবাইল আসার পর বেঁধে রাখা অসম্ভব। সবকালেই কোন কোন শিক্ষক শিক্ষাবহির্ভূত কাজ করতেন। কিন্তু স্কুলের সময় করার সুযোগ পেতেন না। মোবাইল আসার ফলে সে সুযোগ পাচ্ছেন এবং তার ‘সদ্ব্যবহার’ করছেন। এতে করে বিদ্যালয় শিক্ষার সমূহ ক্ষতি হচ্ছে কিনা বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আবার আইন আর মনের বিষয়টি খানিক আলাদা। শিক্ষকরা যদি উপরোক্ত সব কাজে মগ্ন থাকেন তাহলে তার আস্তিনে থাকা শিক্ষার্থীর মনাগ্নি প্রজ্জ্বলনের চকমকিটি কি চকচকে থাকবে? মনে হয় না। কিন্তু বিশ্বাস করুন এসবের সংখ্যাও কিন্তু টিউশন করা শিক্ষকের মতই খুব বেশি নয়। বৃহৎ একটি ব্যবস্থার সবাই নিবেদিত প্রাণ হবেন এমন প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু এরা ছাড়াও বড় যে অংশটি বাকি থাকে তার সিংহভাগ উদাসীন। ব্যবস্থাটির ক্ষতি বা বৃদ্ধি কিছুই তাদের স্পর্শ করেনা। শিক্ষকের শিক্ষা বহির্ভূত কাজে যুক্ত থাকাটা সমস্যা ,আর সংখ্যাতাত্ত্বিক ভারে উদাসীনতা আরো বড় সমস্যা।
আচ্ছা এরা কি সবাই প্রথম থেকেই ফাঁকিবাজ? এদের উপর সামাজিক চাপই বা নেই কেন? সবাই কিন্তু প্রথম থেকে ফাঁকিবাজ থাকেন না। এরা অনেকেই চাকরির প্রথম দিকে নিষ্ঠার সঙ্গে পড়ানো শুরু করেছিলেন। পরিস্থিতির চাপে সরে এসেছেন। দেখেছেন কিছু হওয়ার নয়। তবে বর্তমানে শিশুরা দেখবেন যন্ত্র চালানোতে ছোট থেকেই দক্ষ হয়ে ওঠে। মনে হয় যেন জন্মের আগে থেকেই প্রোগ্রামড হয়ে আসে। সেই রকম কিছু শিক্ষক আছেন যারা চাকরি পাওয়ার শুরুতেই ( আগেও হতে পারে) বুঝে যান যে বিদ্যালয় ব্যবস্থাকে তার কিছু দেওয়ার নেই।তাই প্রথম থেকেই সরস্বতীর হাতটি ছেড়ে লক্ষ্মীর সাধনায় মগ্ন হয়ে যান।এদের উপর সামাজিক চাপও গত কয়েকবছরে কর্পূরের মত উবে গেছে। তার কারণ সমাজ ধরে নিয়েছে ওর জায়গায় যেই থাকুক না কেন পড়াশুনার খুব একটা হেরফের হবে না। এই সমস্ত শিক্ষকদের বরং মাঝেমাঝে ধমকানো চমকানো যায়। কারো কারো কাছ থেকে কলাটা, মূলাটাও পাওয়া যায়। যেমন, কোন শিক্ষকের ফার্নিচার দোকান থাকলে তিনি স্কুলে থাকুন বা নাই থাকুন স্কুলে ফার্নিচারের কোন অভাব থাকেনা। বস্তুত শিক্ষকের কাছে সমাজের পড়ানোর ব্যাপারে প্রায় কোন প্রত্যাশাই অবশিষ্ট নেই।
অনেক শিক্ষক তার বিষয়ের বাইরে যেতেই চান না। তিনি হয় বোঝেন না, না হয় বুঝতে চান না যে শিক্ষার একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য আছে। অনেকেই শিক্ষাটিকে প্রান্তিক শিশুর অবস্থান থেকে দেখেন না বা দেখতে পারেন না। প্রান্তিক শিশুর কাছে প্রথাগত শিক্ষা খানিকটা বিজাতীয় বিষয়। তাই তার মনের অর্গলটি প্রথমে উন্মুক্ত করতে হয় । অনেক শিক্ষক ভাবেন আমি এত দিচ্ছি কিছু নিতে পারছে না, আমার কিছু করার নেই।এই ভাবনায় খানিক গলদ আছে। উপর থেকে ছড়ানো দান গ্রহণ করা মুশকিল। আমরা অভিযোগ করি ছেলেমেয়েরা আজকাল লাইব্রেরী থেকে বই নেয় না। অভিযোগ করে ক্ষান্ত থাকি। আসলে বাইরের বই পড়ার যে আনন্দ সেই আনন্দের সন্ধান এরা পায়নি । তাকে সেই সন্ধানটুকু দিতে হয়। সুনির্বাচিত বই ধরিয়ে, প্রথমে খানিকটা জোর করে পড়িয়ে সেই আনন্দের স্বাদ টুকু দিতে হয়। এইরকম অজস্র ক্ষেত্র আছে দ্বার মুক্ত করার। এটিই শিক্ষকের মূল কাজ।এর পরিবর্তে আমরা উদাহরণ দিই এর হচ্ছে তাহলে ওর হচ্ছে না কেন? সম্পূর্ণ জঘন্য একটি ব্যবস্থা থেকেও দু’চারটে ভালো স্টুডেন্ট বেরিয়ে আসতে পারে। তাই উদাহরণগুলি সুপ্রযোজ্য নয়। আমরা অনেকেই শিক্ষাকে সম্পূর্ণ শিক্ষকের অবস্থান থেকে দেখি।
তাহলে স্কুলগুলি চলছে কি করে? সবই যদি এত অব্যবস্থা তাহলে বিদ্যালয় শিক্ষা টিকে আছে কি করে? এখনো পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভালো স্টুডেন্ট বেরোচ্ছে কি করে? তার একটা কারণ পূর্বে আলোচনা হয়েছে। যাদের হচ্ছে তাদের অভিভাবক সচেতন এবং তারা বুক দিয়ে ছেলে-মেয়েকে আগলে রেখে, হাতে ধরে শিখিয়ে নিচ্ছেন। আর বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই। আরেকটা কারণ এখনো কিছু ‘লড়াই ক্ষ্যাপা’ শিক্ষক আছেন।কিছু ছেলে মেয়ে এখনো ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’ স্কুলে আসে। সেসব নিয়েই আমাদের আগামী দুটি পর্ব।
বাড়িতে বসেই সংগ্রহ করতে পারেন 👇
8 Comments
🙏🙏🙏🙏🙏
ReplyDelete🙏🙏
Deleteআগে শিক্ষক কক্ষের উঁকি দেবার আগে দুবার ভাবতে হতো , সৌমেন স্যার দরজাটা হাট করে খুলে দিলেন। রঙ্গভরা কুশীলবদের দেখে দু হাত দিয়ে চোখ ঢাকলাম নিতান্তই বাধ্য হয়ে।
ReplyDeleteআপনি কে জানিনা।একটি সতর্ক বার্তা দিয়ে রাখি ( লেখার মধ্যেও আছে) কথাগুলি কোন একটি স্টাফ রুমের নয়। বেশ কিছু স্কুল থেকে সংগৃহীত।
Deleteহাঁড়ির একটা ভাত টিপলেই অন্য ভাতের হাল বোঝা যায়।
ReplyDeleteতা ঠিক
Deleteআলোচনা বেশ জমে উঠেছে বলে মনে হচ্ছে। জনৈক মন্তব্য করেছেন হাঁড়ির একটা ভাতের কথা বলে। খুব ভুল হয়তো বলেননি। শিক্ষক কক্ষ তো পাঠ ভাবনার আঁতুড়ঘর। সেখানেই যদি এমন কাণ্ড কারখানা চালু থাকে তাহলে পাঠের আসর জমে কী করে?
ReplyDeleteপরের দুটি পর্বে আসর জমার গল্প।
Delete