নাট্যব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্র। শিল্প মানুষকে কী আশ্চর্য মাটির মানুষ, কী গভীর মনের মানুষ করে তোলে, তাঁকে দেখে শিখেছি। জ্বলদর্চিতে শুধু লিখতেন তা নয়, দিতেন পরামর্শও। ২০১২ সাল থেকে যোগাযোগ। ২০১২ সালে জ্বলদর্চি-র 'কেন লিখি' সংখ্যায় লিখেছিলেন। তারপর ২০১৫ সালে 'স্মৃতি প্রসঙ্গ ও প্রয়োগ' এবং ২০২০ সালে প্রকাশ পায় 'ছেলেবেলা' সংখ্যা। এই দুটি সংখ্যাতেও দিয়েছিলেন বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ। কাজের চাপে লেখা না দিতে পারার আক্ষেপ জানাতে ভুলতেন না। পোস্ট কার্ড পাঠাতেন। তাঁর স্বভাব ও সৃষ্টির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা চিরকাল বজায় থাকবে।
ঋত্বিক,
পৃথিবীর জরুরি কাজগুলি হাতে এলে একটু বেশি সময় দিয়ে সারবো, যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে সময় নিয়ে সমাধা করব—এমন একটা ভাবনা শৈশব থেকে বয়ে এসে, এখন যথেষ্ট বদনাম কুড়িয়েছি— অনেক প্রয়োজনের কাজ শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে না—নিজেকে বোকা কুঁড়ে বলে বিশ্রী লাগতে থাকে তখন, লাগছে এই মহূর্তে আপনার দু'দুটো পত্র আসার পরে। কী বলব,— যা সবাইকে বলি, ক্ষমা চাই, ক্ষমা! আপনার জ্বলদর্চি বহুগুণে উজ্জ্বল। কতোদিন ভাবি, আপনি ছাড়া আর কেউ কি এমন একটা পত্রিকা এতোদিন চালাতে পারতেন— ভাবতে পারতেন? এই অদ্বিতীয় পত্রিকার স্বপ্ন কে বুনল আপনার চোখে!
ঋত্বিক, অনেক নমস্কার—
মনোজ মিত্র
0 Comments