মেদিনীপুরের মানুষ রতন, পর্ব -- ১৩৭
গৌতম কুমার বোস (শিক্ষারত্ন, সমাজসেবী, কোলাঘাট)
ভাস্করব্রত পতি
"আমি 'জয়ফুল লার্নিং' এর পক্ষে। তার জন্য আমি নেচার স্টাডি, ল্যাবের মধ্যে ক্লাস, স্মার্টরুমে ক্লাস, বোর্ড ওয়ার্ক কালার চক দিয়ে করা, ছাত্র ছাত্রীদের সাথে গল্প করা, পড়ানো, প্রশ্নের উত্তর নেওয়া, কোনো অসুবিধা থাকলে তার পুনরায় সমাধান করার চেষ্টা করি। বই প্রদানের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে গিয়েছি। লাইফ স্টাইল ক্লাসে বন্ধুর মতোই মিশে যে যে বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা সেগুলো খোলামেলা আলোচনাও করেছি। খেলার মাঠে প্রিয় ছাত্র ছাত্রীদের সাথে খেলাধুলাও করেছি। সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছি পাশে থাকতে। আমাকে ভয় করে যেমনি, তেমনি ভালোবাসেও। আমি শাসন করি প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত। জীবনে শৃঙ্খলা না থাকলে কোনোদিন কোথায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা। আগে শাস্তিও দিতাম নানাভাবে। এখন বরং উল্টোটা। বেশি করে ভালোবাসি। বন্ধুর মতো মিশেই একমাত্র সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব। একসময় আমার দশাসই চেহারা আর গম্ভীরভাব সকলের মনে ভয় ধরাতো। সেসময় খুব জনপ্রিয় ছিল 'গৌতম বটিকার প্রয়োগ' কথাটি। তা অবশ্য ছাত্র ছাত্রীদের ভালো করার জন্য। তবে কোনও ছাত্র ছাত্রীকে আমার স্নেহ ভালোবাসা থেকে কখনও বঞ্চিত করিনি"।
গৌতম কুমার বোসের পরিবারের তিনজন 'শিক্ষারত্ন'
এ কথা এক শিক্ষকের মনের কথা। হৃদয়ের কথা। ভালোবাসার কথা। যে শিক্ষক গর্বিত করেছে মেদিনীপুরকে। আলোকিত করেছে মেদিনীপুরের মাটিকে। প্রস্ফুটিত করেছে মেদিনীপুরের শিক্ষা ব্যবস্থাকে। আর শিক্ষার পাশাপাশি সমাজসেবার আবহে বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। সেই শিক্ষক হলেন গৌতম কুমার বোস।
ছাত্র ছাত্রীদের সামনে বক্তব্য রাখছেন
১৯৬৪ সালের ৩১ শে জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন কোলাঘাটের সাহাপুর গ্রামে। আর আজ গোটা মেদিনীপুরবাসীর কাছে মেলে ধরেছেন নিজেকে -- নিজের কাজ এবং অবদান দিয়ে। বাবা হরিসাধন বোস ছিলেন ব্যবসায় কাজে নিযুক্ত। মা শিবানী বোস ছিলেন নিতান্ত সাধারণ গৃহবধূ। ছয় বোন ও চার ভাইয়ের সংসারে সকলেই উচ্চ প্রতিষ্ঠিত। শ্যামসুন্দরপুর পাটনা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন ১৯৮৮ এর ২৫ শে মে। এখন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। কিন্তু তাঁর কাজের অবসর নেই। মোট ৩৬ বৎসর ২ মাস ৬ দিন শিক্ষকতার অন্তরালে সবসময় লেগেছিলেন সমাজসেবামূলক কাজে।
সারা জীবন নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কাজের সাথে যুক্ত। তাই বহু সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এগুলির মধ্যে মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। এই সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ছিলেন। এই মুহূর্তে তিনি হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার শ্রী জৈন বুক ব্যাঙ্কের কো অর্ডিনেটর। হাওড়া সমতা যুব সংঘের দক্ষিণবঙ্গের কো অর্ডিনেটর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পতঞ্জলি যোগ সমিতির সভাপতি। এছাড়াও সদস্য হিসেবে যুক্ত রয়েছেন কলকাতার শ্রী জৈন বুক ব্যাঙ্ক, হাওড়ার সমতা যুব সংঘ, পাঁশকুড়ার বিনয় বাদল দীনেশ সংঘ, কোলাঘাটের সংকেত ক্লাব, মাইশোরার মৌচাক সেবাশ্রমের সাথে।
মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিচ্ছেন শিক্ষারত্ন পুরস্কার
কখনও বন্যা দুর্গতদের খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ, আবার কখনও ইয়াশ ও আইলা বিধ্বস্ত পরিবারদের জন্য খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ -- সবেতেই তিনি হাজির। জঙ্গলমহলে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের অতি সাধারণ দুস্থদের প্রতিবছর শীতবস্ত্র বিতরণেও তিনি সর্বাগ্রে। জঙ্গলমহলের বিধবা মহিলাদের ফলের গাছ, গরু, রেশন বিতরণের কাজেও তাঁকে পাওয়া যায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে। মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অন্যতম মানবিক কাজ মানবিক দেওয়ালের মাধ্যমে দুঃস্থ শিশু, মহিলা ও পুরুষদের বস্ত্র বিতরণের মতো মহান কাজেও উপস্থিত থাকেন নিয়মিত। কোনও অহংকার নেই, কোনও দেখনদারি স্বভাব নেই, কোনও উদ্দামতা নেই, কোনও ভয়ডর নেই। সবসময় মানুষের পাশে মানুষের সেবায় থাকতে পছন্দ করেন জনহিতকর কাজের মাধ্যমে।
মাথায় করে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে চলেছেন জল পেরিয়ে
দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদানের কাজেও তাঁকেই পাশে পায় ছাত্র ছাত্রীরা। নিজের উপার্জিত অর্থে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজে দিয়েছেন কম্পিউটার সেন্টার। বিদ্যালয় ও কলেজে গ্রন্থাগারের জন্য দিয়েছেন অসংখ্য বইপত্র। দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য মাসিক স্কলারশিপের ব্যবস্থাও তিনি করেছেন নিজের সাধ্যমতো। স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রসমাজে এহেন শিক্ষকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বিভিন্ন বালিকা বিদ্যালয়ে শৌচাগার নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্যেও শৌচালয় নির্মাণে অর্থ দিয়েছেন অকাতরে। ক্রমাগত বাল্য বিবাহের কুফল ও তার প্রতিকার সম্পর্কে ছাত্রী ও অভিভাবকদের সচেতন করে তোলেন। বিদ্যালয় সংলগ্ন গ্রামগুলিতে জলের অপচয় রোধ, জল সংরক্ষণ, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সম্পর্কে প্রচারের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করেন সবসময়। গ্রীষ্ম পরবর্তী সময়ে গ্রামীণ এলাকায় সাপ ও সর্পদংশন সম্পর্কে ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে এগিয়ে আসতে তাঁর ভূমিকা তারিফযোগ্য।
কখনো ডাইনি প্রথার বিরুদ্ধে, কখনো সর্প দংশনের পর ওঝা গুণিনের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে তিনি এগিয়ে আসেন জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে। তাঁর কথায়, এইসব সামাজিক ব্যাধি দূর করতে আমাদের সকলের এগিয়ে আসতে হবে। মেদিনীপুর শহরে একাধিক পথনাটিকার মাধ্যমে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া সম্পর্কে জনমানসে সচেতনতার বার্তা দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে আরও বেশি মাত্রায় মানুষের পাশে থাকা যায়। এই আপ্তবাক্য মেনে চলেন তিনি। তাই এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ টির বেশি রক্তদান শিবিরে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও জনমানসে রক্তদান সম্পর্কে ক্রমাগত বার্তা দিতে তাঁকে দেখা যায় নিরলসভাবে।
তিনি মানেন এবং জানেন, গাছ লাগানো হলে আমাদেরই লাভ। যত বেশি গাছের সংখ্যা বাড়বে, তত বেশি ভারসাম্য বাড়বে পরিবেশের। তাই একটু অন্যভাবে গাছ লাগানোর পন্থা নিয়েছেন এই মানুষটি। নিজের বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণির নবাগত ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিবছর ২৫০ টি করে চারাগাছ দান করেন নিজের অর্থ খরচ করে। এর ফলে এলাকায় সবুজায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় পরোক্ষভাবে। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয় পরিসরে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ১০০ টির বেশি বৃক্ষরোপণ করেছেন। মেদিনীপুর শহরে একাধিক জায়গায় ভেষজ উদ্ভিদ ও তার উপকার এবং গৃহপোযোগী গাছ লাগানোর উপকারিতা সম্পর্কে জনমানসে স্লাইড শো'র মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন।
গৌতম কুমার বোসকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা
প্রাকপূজায় দুঃস্থ মানুষজনদের জন্য নতুন পোশাক ও মশারি তুলে দেন ফি বছর। জঙ্গলমহলে মহিলা ফুটবল দলগুলিকে জার্সি ও ফুটবল দিতেও তিনি এগিয়ে আসেন নির্দিধায়। শ্রমিক দিবসে নতুন পোশাক দেওয়ার কাজ করেছেন দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য। বিভিন্ন গ্রামীণ ক্ষেত্রে কৃষকদের জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝিয়ে তা তৈরির প্রক্রিয়া শেখাতে প্রশিক্ষক হিসেবে পাওয়া যায় তাঁকেই।
জেলায় কোথাও বন্যা, ঝড় বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সশরীরে হাজির তিনি। মাথায় বস্তা ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে একবুক জল পেরিয়ে অকুতোভয়ে পৌঁছে যান অকুস্থলে। দুর্গতদের কাছে হয়ে ওঠেন আশা ভরসার অন্যতম মসীহ। মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মাধ্যমে তিনি সমুদ্র সৈকত দীঘা সহ বিভিন্ন শহর ও বিদ্যালয়ে প্লাস্টিক ও থার্মোকল ব্যবহারের কুফল, সরাসরি সাফাই অভিযান ও সাইকেল র্যালির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অন্তরে পৌঁছে যান অবলীলায়। আসলে তিনি সবসময় চান মানুষ যেন নিজের পরিবারের পাশাপাশি নিজের পরিবেশ প্রকৃতিরও যত্ন নেয়। সেবা করে। আর সেজন্য কিছু ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সচেতন থাকা জরুরি। সেগুলিই তিনি ধরিয়ে দেন নানাভাবে। একজন যথার্থ শিক্ষকের যা কাজ, তা তিনি করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরেই।
🍂
নিজে একজন ভালো যোগ শিক্ষক। ইতিমধ্যে গ্রাম থেকে শহর এবং শহর থেকে কর্পোরেট সংস্থায় ২৫০ টির বেশি ফ্রি যোগ শিবির আয়োজন করেছেন মানুষের নীরোগ জীবনযাপনের লক্ষ্যে। নিজে যোগ ব্যায়ামে অসাধারণ এবং পারদর্শী হওয়ায় সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি পাইয়ে দিতে বিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র ছাত্রীদেরও নিয়মিত যোগ প্রশিক্ষণ দেন। ৭০০ জন সহ যোগশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
গৌতম কুমার বোস লিখেছেন, কাঁচা হাতের নকশা, ভারতীয় যোগ বিজ্ঞান ও আরোগ্য লাভ, জীব বিজ্ঞান পরিচয় (পর্ষদ অনুমোদিত ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য), বি.এস.সি নার্সিং প্রস্তুতি, জি.এন.এম / এ.এন.এম প্রস্তুতি, প্রশ্নোত্তরে জীবন বিজ্ঞান (নবম ও দশম শ্রেণির জন্য) ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ক বই তিনি লিখেছেন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় অসংখ্য বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। নিজে সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন বেশ কিছু ম্যাগাজিনের সাথে। এগুলির মধ্যে শ্যামসুন্দরপুর পাটনা হাইস্কুলের বার্ষিক পত্রিকা 'বিসারী', দেওয়াল পত্রিকা 'লেসার ও উড়ান' (প্রতিবছর) উল্লেখযোগ্য।
ছাত্র ছাত্রীদের নয়নমনি
এই মানুষটি সম্মাননার পেছনে ছোটেননা। বরং সম্মাননা তাঁর পেছনে ছোটে। তিনি কাজ করেন মানুষের জন্য, ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। তিনি কাজ করেন পাশের গ্রামের লোকটির জন্য, যে কিনা বঞ্চিত, নিপীড়িত, অবহেলিত, প্রতারিত এবং অনুচ্চারিত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর এই 'লেগে থাকা' তাঁকে আদর্শ শিক্ষকের মর্যাদা দিয়েছে। হাওড়ার শ্রী জৈন হসপিটাল তাঁকে দিয়েছে সেরা সমাজসেবী হিসেবে সম্মাননা। কোলাঘাটের সংকেত ক্লাব থেকে পেয়েছেন সমাজসেবী সম্মাননা। কলকাতার শ্রী জৈন বুক ব্যাঙ্ক তাঁকে দিয়েছে সেরা শিক্ষক সম্মননা। এছাড়াও বিশেষ শিক্ষক সম্মান পেয়েছেন শ্যামসুন্দরপুর পাটনা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌচাক সেবাশ্রম, মেচেদা লায়ন্স ক্লাব থেকে। মেদিনীপুর ক্যুইজ কেন্দ্র সোসাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি থেকে পেয়েছেন 'আচার্য্য রত্ন' সম্মাননা। ২০২৩ এ কলকাতার বিনোদ বিহারী বাগ ট্রাস্ট তাঁকে দিয়েছে 'বিদ্যাসাগর শিক্ষারত্ন' সম্মাননা। গত ২০১৭ তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দপ্তর থেকে পেয়েছেন মর্যাদাপূর্ণ 'শিক্ষারত্ন' সম্মাননা। সেইসাথে এক বিরলতম কৃতিত্ব তাঁর পরিবারের মধ্যে এই শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাওয়াকে কেন্দ্র করে রয়েছে। এই শিক্ষারত্ন পুরস্কার এরপরে ২০২২ এ পেয়েছেন তাঁর ভাগ্নে ড. মৌসম মজুমদার এবং ২০২৩ এ পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী আলপনা দেবনাথ বোস। তিনিই পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র শিক্ষক যে স্বামী স্ত্রী দুজনেই শিক্ষারত্ন পেয়েছেন। এই পরিবারের মোট তিনজন এই সম্মান অর্জন করেছেন। শিক্ষার প্রতি নিবিড় ভালোবাসা এবং নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই খুঁজে পান আনন্দ। খুঁজে পান পরশপাথর। খুঁজে পান ভালোবাসা। সেই নিরিখে আজ তিনি সত্যিই মেদিনীপুরের মানুষ রতন হয়ে উঠেছেন।
0 Comments