ভাঙা আয়নার মন
পর্ব -৩৫
মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনীয়া
আবাবিল পাখির ডানায়
পরদিন মা ফিরল,গানের রিহার্সেল চলল,জ্বর দুবার ওঠা-নামা করল,আর সন্ধের পরে চায়ের সাথে মার বানানো নোনতা সুজি নিয়ে সে গেল ছোড়দার ঘরে।
জানিস মিতু,জ্বর নিয়ে খুব উৎপাত করলাম ঠিকই কিন্তু রবিঠাকুরের একটা গল্পের লাইন ফের পড়া হয়ে গেল। কী আবার পড়ে ফেললি রে?ওই যে,"বালিকা এক মুহূর্তেই জননীর পদ অধিকার করিয়া বসিল..."। পোস্টমাস্টার? ঝিনি বলে উঠল।
ঠিক।পোস্টমাস্টার।কাল এত যত্ন করে সব করছিল ঝিনি,ওই লাইনটাই মনে আসছিল।
তবে গান শোনাতে বললে, ঝিনি এত গম্ভীর 'না' বোললো বাপরে! ভয় খেয়ে গেলাম। বলিস কি? ঝিনির গানতো থামতেই চায় না। চলতে ফিরতে দৌড়তে গান তো ঠোঁটের আগায়।ওই কারণেই ঝিনিউদ্দিন বাচস্পতিকে রানারের মতো আমরা গানার উপাধি দেব ঠিক হয়ে আছে।তুই বলে তাও শুনতে চেয়েছিস!নাইলে ন্যাড়ার মত ঝিনিই তো সবাইকে ডেকে ডেকে গান শোনাতে চায়!
মোটেও কক্ষনো আমি ন্যাড়ার মত করি না। ছোড়দা হা হা করে হেসে গান ধরে আষাঢ় সজল ঘন আঁধারে/ভাবি বসে দুরাশার ধেয়ানে... আর সে গেয়ে উঠল,...আমি কেন তিথি ডোরে বাঁধা রে/ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে... দুজনে একসাথে যখন গাইছিল ঋতুর দুধারে থাকে দুজনে/মেলে না যে কাকলি ও কূজনে/আকাশের প্রান করে হু হু হায়...
মৃদুলদা চুপ করে থাকল।তারপর বলল ভরাট মেঘের সাথে দোয়েলপাখির চিকন শিস বেশ লাগলো কিন্তু।
মিতু -ঝিনির গান শুনেই টের পেয়েছি ডাক্তারবাবুর জ্বর নেমে গেছে,বলতে বলতে বিনিদি,অহনাদি আর ছোট বুলাদা ঢুকল।অত সাঁতার কাটতে বারণ করলাম কিন্তু শরতকালীন কাকচক্ষু পুষ্করিণী দেখিবামাত্র ডাক্তারবাবু লম্ফ দিয়া ধাবিত হইলেন এবং শীতল হইতে গিয়া জ্বরে উত্তপ্ত হইয়া নিতান্তই কাহিল হইয়া পড়িলেন!বিনিদির কথায় হাসছিল সবাই। আরে মাঝে মাঝে একটু জ্বরটর হলে বেশ যত্ন আত্তি পাওয়া যায় কী বলো ঝিনুক?
তা যায় কিন্তু আমার বইদুটো কি পড়া হয়েছে আপনার? হ্যাঁ বিনতা,আপনি বনলতা সেনটা,নিয়ে যান তবে আন্তন চেকভটা মিতুর কাছে দিয়ে দেবোখন, ওটা পড়ে উঠতে পারিনি।বেশ তাই দেবেন কিন্তু ঝেঁপে দেবার চেষ্টাও করবেন না,বই দিলে আমি লিখে রাখি।আজ পর্যন্ত কেউ পারেনি এমনকি বই ঝাঁপানোতে স্পেশালিস্ট মিতুও না।
🍂
মিতু সেবার জন্মদিনে আমায় নাজিম হিকমত আর পাবলো নেরুদার বই দিল। আমিও গাঁটের পয়সা খরচা করে ওকে চা আর অনাদির মোগলাই খাওয়ালাম। আমাকে ধর্মতলায় বাসে তুলে সে হস্টেলে ফিরল। জানলার সিটে আরাম করে বসে পাতা উল্টিয়ে দেখি ঘুচিমুচি করে কী যেন কেটে দেওয়া। সত্যি বলছি দেখেই ফস করে আমার চোখের সামনে খেঁটো মুগুর হাতে অহনার ওই কটমটে চক্ষুসমেত রাগ রাগ মুখখানা ভেসে উঠলেও মনটা ভাই দুলে উঠলো একটু।
চোখ গোল্লা করে উল্টে পাল্টে পড়তে চেষ্টা করছি আর কষে ভাবছি লিখে ফের মিতু কেটে দিলটা কী? আমার জন্মদিন শুনেই বাঘের মতো যেভাবে লাফ দিয়ে উঠল , ম্যাজিশিয়ানের মতো কোত্থেকে বই বের করে দিল আবার উপহারের পাতায় কিসব কাটাকুটিও করেছে বিশ্বাস কর তোরা আর এট্টু হলে ভেবে ফেলেইছিলাম প্রেম !ওরে ম্মা! খুব ভালো করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পড়ে দেখি লেখা অরুণাভকে ঊর্মি। কাদের নাম কেটেকুটে ভাবুন কি'রম পাষণ্ড,আমার জন্মদিনে উপহার বলে চালিয়ে দিয়ে আমারই পয়সায় অমন ভালো মোগলাইটা সাঁটালো? গোটা ব্যাপারটাই মাথার তিনহাত ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেল।বুঝতেই পারছি না ঊর্মিই বা কে আর অরুণাভই বা কোন হতভাগা! কিন্তু ছাড়ব তো না হতচ্ছাড়াকে।আমার সাথে ঘাপলা!পরের হপ্তা চেপে ধরতেই বাবু চিঁ চিঁ করে বললেন হস্টেলের স্বর্ণাভদের বাড়ি গেছিলো। তার দাদার বইদুখানা পড়তে নিয়ে একটু ঘুরিয়ে দিয়েছে আর কী!
তো কী?ছোড়দাও সমান তেড়েফুঁড়ে বলল বই কি আলমারিতে তুলে রাখার জিনিস না পড়ার? গোমুখ্যুর দল,জানিস না নিজের সংগ্ৰহে দশটার বেশি না পড়া বই রাখা ক্রিমিনাল অফেন্স। রিসাইক্লিং দরকার সবকিছুর।বইয়ের তো বটেই।
পছন্দ মতো দশখানা রেখে তোমার কালেকশন এক্ষুণি হ্যাণ্ডওভার করে দাও দিকি তা'লে।অহনাদি লাফিয়ে উঠলো।নারদ নারদ! ছোট বুলাদা বলল।আরে না শান্তি শান্তি? মৃদুলদা হেসে হাত নাড়ল।
আরে বিনতা,ভয় নেই আপনিতো কলকাতা যাতায়াত করেন,আমাদের হস্টেলেও যান,ঝাঁপবার চেষ্টা করলেও পেরে উঠবো না।ইয়েস স্যার,মনে রাখবেন "পালাবার নেই কোনো গোপন দুয়ার!",বিনিদির কথায় সবাই হেসে উঠল।
ঝিনিইই চা নিয়ে যা ওদের। সে দৌড় লাগালো মায়ের ডাকে।
মা,ওমা রিবন কোথায় আমার?পরদিন নীল পাড় শাদা শাড়িতে স্কুলের ব্যাচ লাগাতে লাগাতে তাড়াহুড়ো করছিল সে । আগে থেকে গুছিয়ে রাখো না কেন? মা বকতে বকতে ফিতে খুঁজে আনল,তুমি যাও মাসি,আমি দিচ্ছি।বকুলদি তার দুই বিনুনিতে নীল ফিতে বেঁধে দিলে স্কুল ব্যাগ নিয়ে সে গেল ছোড়দার ঘরে।আরে!শাড়ি পরে তুমিতো দেখি বড় হয়ে গেলে,মৃদুলদার চোখে অবাক ঘনিয়ে উঠতে দেখে লজ্জা পেল সে।
বনলতা সেন পড়েছো ঝিনি? হ্যাঁ,ওই হাজার বছর আমি পথ হাঁটিতেছি-টাতো? গতবারের কম্পিটিশনেই ছিল।'পাখির নীড়ের মত চোখ' মানে জানো?পাখির বাসার মত সুন্দর চোখ? না,চশমা মুছতে মুছতে হাসল মৃদুলদা।
এটা যেদিন বুঝতে পারবে সেদিন তুমি সত্যি বড় হয়ে যাবে।কিন্তু মিতু সেই ভোরে উঠে গেল কোথায় বলো দেখি? দুপুরের ট্রেনটা ফেল না করে যাই।ছোড়দার মাথায় খালি ক্লাবের কথা ঘোরে,তবে ট্রেনের দেরি আছে,চলে আসবে ঠিক।
আর তুমি,সকালবেলার রোদে নীলশাদা ডোরাকাটা এক পুঁচকে দোয়েলপাখি,তোমার মাথায় কি কি ঘোরে বল দেখি? মৃদুলদা এগিয়ে এসে তার মাথায় হাত ছোঁয়ালো। এত করেছো এই দুদিন,মনে থাকবে তোমার কথা।
অন্যমনস্ক লাগলো ঝিনির। জলের তল থেকে যেন কয়েক মাস আগে নাকি কয়েক জন্ম আগে কিছু কথা আবছা মতো ভেসে এল।তড়বড় করে সে বলল প্রেয়ারের ঘণ্টা পড়ে যাবে আমি যাই? আর ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে তার মাথায় বনলতা সেন ঘুরতে লাগল।
ব্রততীদি,একটা কথা।মঙ্গল গ্রহ না প্রশান্ত মহাসাগর? ওসব না, বনলতা সেনের একটা লাইন,মানে পাখির নীড় দেখতে তো সুন্দর না,অথচ রূপতো দেখার মধ্যেই থাকে দিদি, তা'লে পাখির নীড়ের মত বলছেন কেন চোখ?
মোটেও রূপ খালি দেখার জন্য নয়, অনুভবেরও ব্যাপার বটে তবে আলাদা করে শব্দদুটোর ধ্বনিমাধুর্য ছাড়াও নীড় হল পাখির ঠিকানা অর্থাৎ কিনা যে চোখের দিকে তাকালে সেই আশ্রয় মেলার অনুভবটা হয় সেরকম চোখ বলছেন আর কি কিন্তু এখন লিখছিস তো মা
মাইটোকন্ড্রিয়া,রাইবোজোম সেখানে আঠারোশো নিরানব্বুইয়ে জন্মে এক বেচারা জীবনানন্দ কি করে কবিতাসুদ্ধু তার মধ্যে ঢুকে পড়ছেন বল দিকিনি। বড়দি জানলে কিন্তু সাড়ে সব্বোনাশ!
কিছুদিন পরে ঝিনির চিঠি এল দুটো,ছোড়দা লিখেছে এবার খোলা চোখে পত্রিকায় অনুলিখন থাকবে কিন্তু যে সব প্রান্তিক মানুষ মরিয়া লড়াই দিচ্ছে টিকে থাকার জন্য তেমন মানুষদের কথা লিখতে হবে এবং এই লড়াইয়ে ধর্মের বিভেদকে তারা আদৌ গুরুত্ব দেয় কিনা সেটাও জেনে নিয়ে লেখা চাই। বাবরি মসজিদ নিয়ে এত যে বিতর্ক সেটা নিয়েও তাদের ভাবনা কী লিখতে পারে সে।বাগানে যে করিমভাই আর বিশুকাকা কাজ করে, দুলু যেন তাদের সঙ্গে কথা কথা বলে এ বিষয়ে।
কাওরা পাড়ায় যারা ঝুড়ি বোনে আর শুকর চরায় তাদের কাছেও যেতে পারে সে।
অন্য ইনল্যান্ডটা খুলতেই গা ছমছম করে উঠল তার, ডট পেনে আঁকা ছবিতে ছায়াগাছে বসে আছে ছোট এক পাখি আর পাশে লেখা... গান গেও দোয়েলপাখি।এখানে শহরের রাস্তায় ধুলো ওড়ে বড্ডোই। ঘুমের ভেতর ভাবি জ্বরের কপালে ভেজা হাত।অচেনা গ্রামের নামে যেন পাখিদের ডাক শুনি আজো। মাসিমা মেসোকে আমার প্রণাম।হায়ার সেকেন্ডারিতে লেখাপড়ার চাপ খুব।তা সত্ত্বেও তোমরা সবাই মিলে কতকিছু করতে চাইছো। ভালো থেকো।দোয়েল পাখিকে অনেক ভালবাসা জানিয়ে মৃদুলদা।
বারবার পড়ল সে চিঠিটা। ঝিনিইই খুব দূর থেকে মা বোধহয় ডাকছে নাকি কাঁচের কোন স্বচ্ছ দেওয়াল ফের ঘিরে ধরল তাকে। বারবার কেন তারই চারধারে এমন সব কথারা ঘুরপাক খায়?অন্য এক জন্মের মতো ধ্রুবদা তার সব লেখা নিয়ে কোথায় চলে গেছে আর তো আসেনি কোনোদিন আবার এই মৃদুলদাই বা কেন হঠাৎ চিঠি দিয়ে বসল তাকে?
ফাঁকা আর অবশ লাগে তার যেন আঙুল কাটলেও এখন ব্যাথা লাগবে না মোটে।
কাজে আর পড়ায় কষে মন লাগাতে চেষ্টা করে সে।ছুটির এক দুপুর দেখে কাওরা পাড়া না গিয়ে সাইকেল ঠেঙিয়ে করিম ভাইয়ের একচালা খোলার ঘর থেকে ঘুরে এলো সে। উঠোনের একধারে টক কুলের গাছ ছেয়ে আছে কুলে।পেকে হলদেটে রং ধরেছে শাঁস ভর্তি বোড়ইয়ে।বোড়ই খাবা ছোড়দি? দাঁড়াও লগা দে পেড়ি দিচ্ছি।পাকাগুণো বেছি বেছি খাও। কাঁচা বোড়োই খেলিপ্পর পেট কামড়াবে বলো। কুল গাছের ধারে দুটো ছাগল কাঁঠাল পাতা চিবোচ্ছে। মুরগি মা'র কুঁকড়ো ছানারা পিলপিল করছে।
বিচলি কাটতে কাটতে অবাক হয়ে করিম ভাই বলল হ্যাঁদে বাবরি মসজিদ আবার কণে?কারা মন্দির করতি চাচ্ছে? রোজ শুক্কুরবার করি নামাজ পড়তি যাচ্ছি কেউ তো কমনে বলতিছ না।ওসব আজৌরি কতা থোওদিন।
আজ পেথ্যোম এইছো আমার বাড়ি একোন তোমার খেতিই বা দোবো কী?বাড়িতি বলি এইছো? মা জানে?মোছলমানের ঘরে খাবা তো ও ছোদ্দি?কোত্থেকে ছোট এক কুঁকড়োর ডিম সেদ্ধ করে কলাই করা থালায় তার সামনে ধরে দিল করিম ভাই।আর এট্টু নুন দ্যাও তা বলে নুন ছিটিয়ে তরিবত করে সেও ডিমটা খেয়ে ফেলল।
করিম ভাইয়ের কথাই কিভাবে লিখবে সেটা ছোড়দাকে চিঠিতে জানালো।
মৃদুলদাকে বেশ কিছুদিন ধরে কি লিখবে ভেবে না পেয়ে শান্ত এক বিকেলে খামে করে চিঠির কাগজে মুড়ে কয়েকটা বকুল ফুল পাঠিয়ে দিল সে। পোস্টাপিস মোড়ে লাল ডাকবাক্সও শুনতে পাচ্ছিল এত জোর ধুকপুক করছিল তার বুক।
আশ্চর্য না পাঠিয়ে শান্তি পাচ্ছিল না অথচ পাঠিয়েও মন খারাপ লাগল খুব।একি অপরাধ করে বসলো সে?সে কি ফেল করবে এবারে?ঘুম আর জাগরণে নিষিদ্ধ কিসের মধ্যে সে যেন ঢুকে পড়ছে রাতদিন।
আক্কেল জ্ঞান আছে এদের?টিফিনের সময় ফুল কুড়োচ্ছিল তারা। অসময়ে কিছু ফুল ফোটে এই বকুল গাছে।ঘাসের ফাঁক ফোকরে উঁকি দেওয়া সেই ঝরা ফুল প্রায়ই তারা কুড়িয়ে নেয়।
ঋতু বলে উঠল,স্কুলগেটের একধারে বকুলতো আর একপাশে কদম লাগিয়ে মরেছে। ?আর বর্ষায় ফুলও ফোটে এত? ছেলেপিলের মাথা কী করি ঠিক থাকে বল দিকিনি?
কথা ঠিকই,তাদের স্কুলের সামনে সাইকেলের আনাগোনা লেগেই থাকে আর প্রেয়ারের আগে,টিফিন বা ছুটির সময় কাগজের গোল্লা এসে পড়ে লেডিবার্ড সাইকেলের বাস্কেটে।
ঝিনি দেখেছে ঘুরেফিরে একই কথা তাও বানান ভুলে ভরা তবে তাই নিয়ে হাসাহাসি আর চাপা অহংকার মেয়েরা ঢেকে রাখে স্কুলড্রেসের ব্লাউজে। কেননা স্যার আর দিদিমণিদের কড়া নজর আর গার্জেনকল তারা ভয় পায়।
ইলেভেনের অ্যানুয়াল পরীক্ষা দিয়ে ফুরফুরে হাওয়ায় বাড়ি ফিরে নতুন একটা খাম দেখতে পেয়েই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এল তার।
চিঠির কাগজ খুললে নীলচে -গোলাপি-শাদা খুব পাতলা ছোট্ট ঝিনুকগুলো ঝুনঝুন করে নীচে পড়ল। চিঠির একপাতায় লেখা ...পাখিদের ডানা নিভে এলে ভেসে ওঠে যেসব ঝিনুক,শঙ্খচিলের মত উড়তে চেয়েও তটভূমি বরাবর পড়ে থাকে ঝিনুকের বিষণ্ণ ডানা। শুধু আমি দেখতে পাই পাখিদের ভোর জেগে ওঠে।
আর উল্টো পাতায় লেখা দোয়েলপাখি,ছুটিতে গোপালপুর এলাম। এত হইচই করছে ঢেউরা,ঝিনুকরা শুধু শুনছে অথচ ফাঁকা তাদের বুক ভরেতো রাখে ওই জলই। উড়তে শেখায় তাদের। তুমি নিশ্চই ভাবছো মৃদুলদাটা কি ভুলভাল বলছে,ঝিনুক আবার ওড়ে নাকি? সমুদ্র দেখেছো? শাদা ফেনার ঢেউয়ে চেপে শাঁখ আর ঝিনুক এত দূর যায় মনে হয় উড়ছে।তোমার বকুলফুলের উত্তরে এই ডানা পাঠালাম। পরীক্ষা ভাল হোক। ভালবাসা জেনো।মৃদুলদা।
তপ্ত আর হাল্কা হয়ে এল বাতাস।যেন তার কাঁধ ফুঁড়ে আবাবিল পাখিদের ডানা গজালো এক্ষুনি,উড়ে যাবে সেও।সোয়ালো পাখিদের সাথে ঢেউয়ে ঢেউয়ে উড়ে যাবে সমুদ্র উপকূল ধরে।
0 Comments