ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী (জাতীয় শিক্ষক, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, মেদিনীপুর)
ভাস্করব্রত পতি
তিনি একজন শিক্ষক। কিন্তু তিনি অন্য শিক্ষকদের চেয়ে আলাদা। ভয়, শ্রদ্ধা, গর্ব এবং সমীহ জেগে ওঠে তাঁর সাহচর্যে এলে। অগাধ পাণ্ডিত্য আর অমায়িক মানসিকতা নিয়ে তাঁর জীবনের চৌকাঠ। এগিয়ে চলার গতিপথ আর নিরুপদ্রব যাতায়াত। তাঁর সবুজ কোমল স্পর্শে আলোড়িত হয় ছাত্র ছাত্রীরা। আলোলিত হয় শিক্ষা জগত। আলোচিত হয় পঠন পাঠন। আলোকিত হয় অন্ধকারময় দিনগুলি। আর আলুলায়িত হয় শিক্ষা বিরোধী শত্রুরা। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর গাম্ভীর্য এককথায় সত্যিকারের শিক্ষকসুলভ প্রতিকৃতির নিদর্শন। তিনিই ভারতের জাতীয় শিক্ষক ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী।
প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর সাথে আলোচনারত ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুরুনিয়া গ্রামে ১৯৬৩ এর ৫ ই মে জন্মগ্রহণ করেন ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী। বাবা ছিলেন রমেশচন্দ্র চক্রবর্তী ও মা বাসন্তী চক্রবর্তী। প্রাথমিক শিক্ষা নিজের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়েই। এরপর নিজের অধ্যবসায়, মেধা, জ্ঞান এবং গভীর ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে চললেন সামনের দিকে। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যচর্চা তাঁর পারিবারিক সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে সচেষ্ট হয়েছেন সবসময়। ছোট থেকেই ভালো লেগেছিল ইংরেজী সাহিত্য সম্পর্কে পড়াশোনা এবং চর্চা। তাই অন্য কোনো বিষয় মনে ধরেনি। প্রথমে সাম্মানিক স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পরে পি-এইচ. ডি.করেন ইংরেজী সাহিত্যেই। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল "PICTURE OF DALITS IN INDIAN ENGLISH FICTIONS WITH SPECIAL REFERENCE TO THE NOVELS OF MULK RAJANAND, RAJA RAO AND KAMALA MARKANDYA"। এছাড়াও পেয়েছেন সাম্মানিক ডি.লিট. ডিগ্রি।
জাতীয় শিক্ষকের পুরস্কার
এই মুহূর্তে তিনি পোষ্ট ডক্টরেল রিসার্চের কাজে যুক্ত রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে বেছেছেন ভারতীয় লেখকদের লেখা ইংরাজী উপন্যাস তথা INDO ANGLIAN FICTIONS। সেইসব উপন্যাসে উত্তর আধুনিকতা বা POST MODERNISM কিভাবে উঠে এসেছে, তা নিয়েই তাঁর নিরন্তর অনুসন্ধান। এককথায় অনবদ্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন মেদিনীপুরের বুকে দাঁড়িয়ে।
লণ্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত সম্মান
তাঁর লেখা প্রতিটি প্রবন্ধের নির্যাস পাঠকদের আকৃষ্ট করে গভীরভাবে। সেসব প্রায় শতাধিক প্রবন্ধ দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এবং বোদ্ধাজনের প্রশস্তি ও প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রতিনিয়ত। প্রবন্ধ ছাড়াও তিনি লেখেন কবিতা ও ছোট গল্প। 'বিদ্যালয় শিক্ষার ইতিহাস' নিয়ে তাঁর লেখা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ইংরেজীতে। তবে তাঁর মূল আগ্রহের বিষয় হল 'স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস' ও 'লোকসংস্কৃতি চর্চা'। সারাজীবন ছাত্র ছাত্রীদের পাশে থাকা আর নিরন্তর গবেষণাকর্মের সাথে নিজেকে ব্যাপৃত রেখে সুমুখপানে এগিয়ে চলতে পছন্দ করেন। তাঁর সিলেবাসে থেমে যাওয়ার কোনও অপশন নেই। তাঁর মতে থেমে যাওয়া বা থমকে যাওয়ার অর্থ মৃত্যুকে আবাহন করা। আর তিনি চান এই শিক্ষা জগতের মধ্যে নিজের যাবতীয় নির্যাসটুকু বিলিয়ে দিতে।
স্বাগত ২০২৫
তিনি একসময় ১৩৫ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেদিনীপুর টাউন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বিংশ শতকের তিরিশের দশকে মেদিনীপুরের ছাত্রদের মধ্যে যে বিপ্লবী আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার আঁতুড়ঘর ছিল এই 'মেদিনীপুর টাউন স্কুল'। বহু শহীদ এবং কৃতি ছাত্র এখানে পড়াশোনা করতেন। সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিজের কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন অবসর নেওয়ার সময়কাল পর্যন্ত। সেইসব মহান ছাত্রদের সৌজন্যে ধন্য এই বিদ্যালয়। যা কিনা মেদিনীপুরের গর্ব বলা যায় নির্দিধায়। নিজের ঐকান্তিক উদ্যোগে ও শ্রমে শতাব্দী প্রাচীন এই মেদিনীপুর টাউন স্কুলকে রাজ্যের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের তকমা এনে দিতে পেরেছেন। ২০১০ এ ‘পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন’ এই স্কুলকে ‘হেরিটেজ’-এর স্বীকৃতি দিয়েছে। পরবর্তীতে ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগ এই মেদিনীপুর টাউন স্কুলকে দিয়েছে ‘মডেল স্কুল’-এর স্বীকৃতি।
১৯৮৭ সালে ২৪ বছর বয়সে ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবনের শুরু করেন। পরবর্তীতে এই মেদিনীপুর টাউন স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন টানা ২১ বছর। সুদীর্ঘ ৩৫ বছর ৬ মাসের কর্মজীবন শেষ করে বিগত ৩১ মে, ২০২৩ কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তিনি তো শিক্ষক। তাই সরকারিভাবে কর্মজীবনের অবসর নিলেও আদপে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর শিক্ষকতা। স্কুলের চার দেওয়ালের গণ্ডীর মধ্যে নয়, এই সমাজ পরিবেশ আর প্রকৃতির উন্মুক্ত বাহুডোরে।
ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তীর কলমের আঁচড়ে প্রকাশিত হয়েছে দুটি কবিতার বই 'আলোকিত অনুভব' এবং 'এ পৃথিবী সুন্দর'। এগারোটি মননঋদ্ধ গদ্যে বুদ্ধি মেধা মননের অনন্য সংকলন এই গ্রন্থ 'আলোকিত অনুভব'। বুদ্ধি বা বোধশক্তি বলতে 'ইনটেলেক্ট'। আর পান্ডিত্যকে বলা যায় প্রজ্ঞা, পন্ডিত মানুষকে জ্ঞানী বলে। জ্ঞান বলতে 'কগনিশন'। বুদ্ধি জ্ঞানের একটা ধাপ, বুদ্ধিই জ্ঞান নয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে জীবনের পরিবর্তন কবিতা অন্তরে গ্রহণ করে। কবিতার দর্শন থাকে অপরিবর্তিত। আর গভীর মননজাত আটচল্লিশটি কবিতার অনবদ্য সংকলন রয়েছে তাঁর 'এ পৃথিবী সুন্দর' বইতে।
শিক্ষকতার সাথে সাথে বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ধারাবাহিক করে চলেছেন সাহিত্যচর্চা। তাঁর বিশেষ ইন্টারেস্ট এবং প্রাধান্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে। বিশেষত রবীন্দ্র গবেষক হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে বিদ্বজ্জন সমাজে। রবীন্দ্রদৃষ্টিতে স্বদেশ, ভূগোল বা মানচিত্রে নির্দেশিত কোনও ভূখণ্ড নয়। রবীন্দ্রভাবনায় 'স্বদেশ', বস্তুসত্তা ও ভাবসত্তার সমন্বয়ে এক অবিশ্লেষ্য সমগ্রতা নিয়ে লিখেছেন, 'রবীন্দ্রভাবনা গ্রন্থমালা ১'। আবার রবীন্দ্রনাথই যখন প্রথম ঐতিহ্য সন্ধানী, যিনি অতীত থেকে সমকাল পর্যন্ত ধারাবাহিকতার ভিত্তিভূমির ওপর ঐতিহ্যচর্চা করেছেন। এই গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে রবীন্দ্র সাহিত্যে গভীর মনোযোগী অধ্যয়ণ ও উপলব্ধির মধ্য দিয়ে 'রবীন্দ্রভাবনা গ্রন্থমালা ২' বইতে। সহস্ররশ্মি অংশুপতির মতো রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে আলোকমন্ডল। রবীন্দ্র আলোকে আলোকিত চেতন নিয়ে সমগ্র রবীন্দ্র বীক্ষণই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণে 'রবীন্দ্র আলোকে' গ্রন্থ রচনা করেছেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন আমাদের রবীন্দ্রনাথ। অসাধারণ সাহিত্য সৃষ্টির পাশাপাশি নানান কর্মমুখী সাংগঠনিক কাজেও তাঁর ছিল অসামান্য দক্ষতা। রাষ্ট্রভাবনায় স্বাদেশিক হয়েও তিনি ছিলেন গভীরভাবে আন্তর্জাতিক। এসব কিছু সত্ত্বেও তিনি ছিলেন আদর্শ শিক্ষক, শিক্ষাতাত্ত্বিক ও শিক্ষাদার্শনিক। এসব নিয়েই লিখেছেন 'রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শন'। রাজা রামমোহন রায় স্বপ্ন দেখেছিলেন আধুনিক এক ভারতের মানুষকে কুসংস্কার থেকে, মধ্যযুগীয় মানসিকতার গণ্ডী থেকে বের করে এনে এক আধুনিক জীবন দর্শনের আলো দেখাতে। তাঁর সমাজদর্শনই 'রাজা রামমোহন রায়ের সমাজদর্শন' গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয়। এছাড়াও লিখেছেন, 'BEACON LIGHT'। এই বইটি ভারতের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ধর্ম এবং স্বাধীনতার লড়াইয়ের অগ্রণী প্রচেষ্টার মধ্যে একটি। বৈশ্বিক ক্ষমতায়নে ভারতের আরোহণের এই মুহূর্তে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গির উপর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থ।
জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের পঞ্চাশটির বেশি সেমিনারে যোগ দিয়েছেন। গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে। বক্তব্য রেখেছেন। ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী ছিলেন 'পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ' নিযুক্ত মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজী বিষয়ের 'প্রধান পরীক্ষক'। 'পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়' নিযুক্ত উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ইংরেজী বিষয়েরও 'প্রধান পরীক্ষক'। পর্ষদ, সংসদ ও 'সর্বশিক্ষা মিশন' দ্বারা নিযুক্ত ইংরেজী বিষয়ে এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে রাজ্য স্তরের 'মুখ্য সম্পন্ন ব্যক্তি' তথা KEY RESOURCE PERSON একজন।
তিনি International Benevolent Research Foundation (IBRF) এর Vice President রয়েছেন। South Asian Institute for Advanced Research & Development (SAIARD) এর ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসাডর পদেও আসীন। কলকাতার 'সুজন সৃজন ট্রাষ্ট' কতৃক প্রকাশিত জাতীয় স্তরের বার্ষিক পত্রিকা 'সৃষ্টি'র তিনি অবৈতনিক সম্পাদক। এই ট্রাষ্টে'র সহ সভাপতিও তিনিই। আরও বহু সংগঠনের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত এই কর্মমুখর মানুষটি। 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' এর মেদিনীপুর শাখা, একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান 'মৈত্রি', আরেকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান 'বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন' এর আজীবন সহ সভাপতি পদে আসীন। 'মেদিনীপুর নাগরিক পরিষদ' এর সহযোগী সম্পাদক পদে সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। এই মুহূর্তে অখণ্ড মেদিনীপুরের একজন প্রোথিতযশা শিক্ষানুরাগী শিক্ষা ব্যক্তিত্ব। একজন আদর্শ গবেষক এবং সত্যিকারের শিক্ষাপ্রেমী মানুষ। জেলার শিক্ষা প্রসারে ও প্রচারে তাঁর ভূমিকা অনবদ্য এবং অনস্বীকার্য।
তিনি হলেন 'জাতীয় শিক্ষক'। তাঁর শিক্ষানুরাগী কর্মতৎপরতা এবং নিজের কর্মদক্ষতা ছিল একজন সত্যিকারের শিক্ষকের প্রতিচ্ছবি। তার দরুন ২০১৬ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন জাতীয় শিক্ষকের ‘রাষ্ট্রীয় পুরস্কার’। এরপর ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগ থেকে পেয়েছেন ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান। তিনি ইতিমধ্যে সংবর্ধিত হয়েছেন শতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ২০১৩ এর ১০ ই মার্চ তাঁকে সংবর্ধিত করেছেন স্বয়ং কলকাতার শেরিফ উৎপল চ্যাটার্জী।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পেয়েছেন আরও অসংখ্য পুরস্কার। এর মধ্যে 'আসাম বঙ্গীয় সারস্বত মঠ' থেকে পেয়েছেন 'লাবণ্যপ্রভা স্মৃতি পুরস্কার' (২০০৫), 'রাজীব গান্ধী ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট' দিয়েছে 'রাজীব গান্ধী স্মৃতি পুরস্কার' (২০১১), 'শিশু কিশোর সাহিত্য একাডেমী' থেকে পেয়েছেন 'বঙ্গ গৌরব অনন্য সম্মান' (২০১২), 'বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন' দিয়েছে 'বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য পুরস্কার' (২০১২), ভারত নির্মাণ পুরস্কার সমিতি দিয়েছে 'ভারত নির্মাণ ২০১৩', রিপোর্টার্স এন্ড ফটোগ্রাফারস এ্যাসোসিয়েশন থেকে পেয়েছেন 'বঙ্গ শিরোমণি ২০১৩', 'আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি'র মাধ্যমে পেয়েছেন 'আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক' (২০১৩), 'ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এ্যান্ড টেকনোলজিকেল রিসার্চ' এর 'ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস' ২০১৩ অনুষ্ঠানে পেয়েছেন 'ন্যাশানাল এওয়ার্ড ফর একাডেমিক এক্সেলেন্স' (২০১৩)। পারুল প্রকাশনী থেকে পেয়েছেন 'পারুল শিক্ষা সম্মান' (২০১৪)। International Publishing House দিয়েছে 'Best Citizens Of India' পুরস্কার (২০১৭) এবং Constitution Club of India দিয়েছে 'Lifetime Achievement Award (২০১৯)। এছাড়াও তিনি ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা থেকে পেয়েছেন ‘ইন্টারন্যাশনাল পিস আম্বাসাডর’ খেতাব। শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি এযাবৎ সত্তরটিরও বেশী পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন। যা যেকোনো মেদিনীপুরবাসীর মননে গর্বের অনুভব ফুটিয়ে তোলে। যদিও এসব পুরস্কার তাঁর কাজের মাপকাঠি নয়। তাঁর কাজ, তাঁর তিতিক্ষা, তাঁর অবদান, তাঁর মেধা এবং তাঁর জ্ঞানের পরিচয় উপলব্ধি করেছে মানুষ। তাই মানুষের হৃদয়ের অন্তঃস্থলেই রয়েছেন তিনি।
🍂
1 Comments
👍👍👍
ReplyDelete