জ্বলদর্চি

পর্যটন দিবস (২৫শে জানুয়ারি)/দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে

পর্যটন দিবস (২৫শে জানুয়ারি)
দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে

পর্যটন হলো এক ধরনের বিনোদন, যা অবসর বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থান বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করাকে বোঝায়। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যটনকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী অবসরকালীন কর্মকাণ্ডের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
১৯৪৮ সালে প্রথমবার 'পর্যটন দিবস' পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর ২৫ শে জানুয়ারি দিনটি 'জাতীয় পর্যটন দিবস' হিসেবে পালিত হয়। পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে এবং পর্যটনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে শক্তিশালী করতে প্রতিবছর 'পর্যটন দিবস' পালন করা হয়।
প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ, লক্ষ মানুষ ভারতে বেড়াতে আসেন। দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে পর্যটন শিল্পের বিশেষ ভূমিকা আছে। পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই বিশেষভাবে পর্যটন দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
ব্যস্ত জীবনে সকলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেই ক্লান্তি দূর করতে অবসর যাপনের জন্য, মানুষ কাছে-দূরে কোথাও গিয়ে মন ও শরীরকে চাঙ্গা করার জন্য বেরিয়ে পড়েন।

আমাদের দেশ ভারতবর্ষ এমন এক ভূমি, যেখানে পর্বত- মালভূমি- সমভূমি- সমুদ্র- জঙ্গল এমনকি মরুভূমি পর্যন্ত আছে, শুধু তাই নয়, বলতে পারি এক আধ্যাত্মিক পুণ্যভূমিও ভারতবর্ষ।আমরা সারা জীবন ধরে ভারতবর্ষের নানা স্থানে ঘুরে বেড়ালেও তা শেষ করতে পারবো না।

🍂

জাতীয় পর্যটন দিবসের উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বের কাছে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলি কে তুলে ধরা। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশের এমন অনেক স্থান আছে, যা শুধু পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটলে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি সেই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের মানুষের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও ঘটবে।
পর্যটনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ভারতে গঠন করা হয়েছে 'পর্যটন ট্রাফিক কমিটি'। কমিটি গঠন হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চেন্নাই ও কলকাতাতে তৈরি করা হয় আঞ্চলিক কার্যালয়। এরপর পর্যটন এবং যোগাযোগ মন্ত্রীর নেতৃত্বে পালিত হয়, 'পর্যটন দিবস'। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৪৮ সাল থেকে 'জাতীয় পর্যটন দিবস' পালন করা শুরু হয়। ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে পর্যটনের গুরুত্ব বোঝানোর জন্যই পালন করা হয় এই দিনটি। 'পর্যটন দিবস'এই দিনটির গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে  আমরা অনেক আশাবাদী, কারণ সাধারণ মানুষ পর্যটনকে এখন অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।
প্রত্যেক দিবসের ভিন্ন, ভিন্ন থিম থাকে। গত বছরের পর্যটন দিবসের থিম ছিল 'সাসটেনেবল জার্নি, টাইমলেস মেমোরিজ' অর্থাৎ পর্যটকেরা ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করবেন।

Post a Comment

0 Comments