জ্বলদর্চি

জাতীয় কন্যা শিশু দিবস (২৪ সে জানুয়ারি)/দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে

জাতীয় কন্যা শিশু দিবস (২৪ সে জানুয়ারি)
দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে
কন্যা শিশু দিবস লিখতে গেলে প্রথমেই লিখতে হয়, মেয়েরা যখন শিক্ষিত হয়, তখন তাদের দেশ আরও  শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হয়।
জাতীয় শিশু কন্যা দিবস প্রতিবছর ভারতে ২৪ শে জানুয়ারি পালিত হয়। এটি ২০০৮ সালে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক এবং ভারত সরকার দ্বারা শুরু হয়েছিল। ভারতীয় সমাজে মেয়েরা যে বৈষম্যের মুখোমুখি হয়, সে সম্পর্কে জনসচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
দিনটি 'সেভ দ্য গার্ল চাইল্ড'অর্থাৎ শিশু কন্যাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরীর বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান সহ সংগঠিত  কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়।
২০১৯ সালে দিনটি আগামী উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, মেয়েদের ক্ষমতায়ন প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হয়েছিল।
মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী রেনুকা চৌধুরী ২০০৯ এর ১৯শে জানুয়ারি দিল্লিতে কন্যা শিশুর কল্যাণের জন্য নতুন উদ্যোগ এবং জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের লোগো চালু করার সময় একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেন।

প্রত্যেকটা দিবসের যেমন একটা উদ্দেশ্য থাকে এই দিবসেরও সেরকম উদ্দেশ্য আছে যেমন-মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমাজে কন্যা শিশুদের জন্য সুযোগ প্রদান করা।

🍂

কন্যা শিশুর মুখোমুখি হওয়া সমস্ত বৈষম্য দূর করা।
দেশের কন্যা শিশু যেন তাদের মানবাধিকার, সম্মান ও সকল মূল্য পায় তা নিশ্চিত করা।
লিঙ্গ -বৈষম্য নিয়ে কাজ করা এবং মানুষকে শিক্ষিত করা।
ভারতের শিশু লিঙ্গ অনুপাত হ্রাস্বের বিরুদ্ধে কাজ করা এবং কন্যা শিশুদের শিশু হিসেবে বিবেচনা করা ও মানুষের মন পরিবর্তন করা।
কন্যা শিশুর গুরুত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
মেয়েদের সুযোগ ও তাদের উন্নতির জন্য অধিকার প্রদান করা।
কন্যা শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা।
সমান অধিকার  ও দেশের সমস্ত প্রান্তে যাতে যাতায়াত করতে পারে তার সুবিধা প্রদান করা।

দেশের মেয়েরা যে সমস্যার সম্মুখীন হয়, সে সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াই হল শিশু কন্যা দিবসের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

প্রত্যেক দিবসের মতো শিশুকন্যা দিবসেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। শিক্ষা, পুষ্টি, বাল্যবিবাহ, আইনি অধিকার, চিকিৎসা, যত্ন,সুরক্ষা ও সম্মানের মত ভারতের কন্যা শিশুর সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করা।

জাতীয় শিশু কন্যা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে  বলা যায় যে, ২০০৮ সালে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক দ্বারা প্রথম শুরু হয়েছিল। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো মেয়েদের মুখোমুখি হওয়া বৈষম্য গুলি তুলে ধরা এবং একটি মেয়ে শিশুর অধিকার শিক্ষা স্বাস্থ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব সহ সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বর্তমানে লিঙ্গ বৈষম্য একটি প্রধান সমস্যা, যা মেয়েদের তথা মহিলাদের সারা জীবন ধরে সম্মুখীন হতে হয়।

প্রত্যেকটি দিবসের যেমন একটি নিজস্ব থিম থাকে কন্যা শিশু দিবসের ও সেরকম অতীতের কতগুলি থিম হল-'একটি উজ্জ্বল আগামীর জন্য মেয়েদের ক্ষমতায়ন'(২০১৯)। ২০২০ র বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের অধীনে থিম ছিল, 'সচেতন মেয়ে শিশু সক্ষম'। ২০২৩ এর থিম ছিল, 'আমাদের অধিকার আমাদের ভবিষ্যৎ'
শেষে, আমি টোনির ভাষায় এই কথা বলতেই হয়, বিশ্বে শক্তিশালী নারী দরকার। নারী, যারা অন্যকে উত্তোলন করবে এবং গড়ে তুলবে, যারা ভালবাসবে এবং ভালবাসবে। নারী যারা সাহসী ভাবে বাস করে, কোমল এবং উগ্র উভয়ই। অদম্য ইচ্ছা শক্তি মানেই নারী।

Post a Comment

0 Comments