জ্বলদর্চি

প্রজাতন্ত্রের উত্থান। মূল্যবোধের পতন /অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রজাতন্ত্রের উত্থান।  মূল্যবোধের পতন

অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় 

আজ এই দিনে স্মরণ করা যেতে পারে অ্যারিস্টটল এবং প্লেটোর দুটো “রাজনীতি” নামে বইয়ের। রোমানরা প্লেটো আর তাঁর শিক্ষক সক্রেটিসের কথোপকথনের বইটাকে নাম দিলে “প্রজাতন্ত্র” বা রিপাব্লিক যা জনগণের ব্যাপার। প্রজাতন্ত্র এমন একটা রাষ্ট্র যেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতা তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের সাথে থাকে, রাজতন্ত্রের বিপরীতে। সেই থেকেই প্রজাতন্ত্র শব্দের উৎপত্তি। তখন রাজা আর প্রজার যুগ। প্লেটোর কথায় প্রজাতন্ত্র মানে আজকের অতি পরিচিত শব্দ জাস্টিস বা বিচার। কিসের বিচার? তাঁর মতে “ইমপরটেন্স অব বিইং জাস্ট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড, অ্যান্ড বাই বিইং জাস্ট ওয়ান ইজ হ্যাপি”।  সক্রেটিসের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি “গণতন্ত্র” শব্দটি ব্যবহার করেন। প্রজাতন্ত্র দুটো প্রধান শর্তের ওপর আধারিত- ন্যায়বিচার ও ন্যায়পরায়ণ। ন্যায়বিচার হচ্ছে নাগরিকের কর্তব্যবোধ- মানবিক গুণাবলী এবং বন্ধনের একটা অংশ যা মানুষকে সমাজে একত্রিত করে। সামাজিক করে তোলে। প্রজাতন্ত্র ও গণতন্ত্র তার সংজ্ঞা যুগে যুগে বদলে আজকের এই পরিচিতি পেয়েছে যার ওপর আমরা দাঁড়িয়ে কিন্তু মূল ধারনাটা বজায় থেকেছে, রাজনৈতিক ক্ষমতা জনগণের হাতে। অনেক রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক না হয়েও প্রজাতান্ত্রিক বলে পরিচয় দেয় সেখানে নাম-কা-ওয়াস্তে ভোটে শাসকের জয়লাভ সুনিশ্চিত। সংজ্ঞার পরিবর্তনের উত্থানের সাথে পতনও আছে আর সেই পতন মানবতা আর মূল্যবোধের। 

পতন একবার শুরু হলে তাকে আটাকানো অসম্ভব। পতনের গতির হেরফের হতে পারে কিন্তু তা চলতেই থাকবে। নিউটনের প্রথম সূত্রে সমতলে কিছু গড়িয়ে দিলে বাহ্যিক কোনো শক্তি প্রয়োগ না করলে তা একই বেগে চলতেই থাকবে আর দ্বিতীয় সূত্রে গাছ থেকে আপেল পড়ার মত যে কোনো কিছুর পতন হতেই থাকবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য। তবে পতনের গতি নির্ভর করে পতিত বস্তুর ভরের ওপর, ভারি হলে পতন দ্রুত আর হালকা বস্তু অনেক সময় ধরে পড়তে থাকে। যেমন একটা লোহার বল আর তুলোর বল। আর তৃতীয় সূত্র বলছে প্রতিটি কাজের সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়ার কথা। দ্বিতীয় সূত্র ধরে পতনের এই রূপ শুধু বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বিশ্বের সামগ্রিক মূল্যবোধের ওপর। 

🍂

মানুষের সভ্যতার শুরু থেকে যে সমস্ত পরিবর্তন হয়ে চলেছে তাকে এই তিনটে সূত্রে ব্যাখ্যা করা যায় শুধু গতির ক্ষয়-বৃদ্ধি মেনে নিতে হবে। এখানে সভ্যতাকে ধরা হবে হলসিন বা উষ্ণযুগের শুরু থেকে অর্থাৎ বারো হাজার বছর আগে থেকে মানুষের নানাবিধ কার্যকারিতার উপর। জঙ্গল থেকে শস্যদানার গাছ তুলে এনে বাসস্থানের কাছে রোপন করা যদি কৃষিকাজের প্রথম সঙ্কেত হয় তাহলে সেখান থেকেই আধুনিক মানুষের সভ্যতার শুরু। এরপর সংঘটিত কৃষির শুরু। পশুচারণ এবং তাকে গৃহে প্রতিপালনও সভ্যতার অগ্রগতির অঙ্গ। এরপর মেসোপটেমিয়া থেকে চিন পর্যন্ত সমগ্র এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার পাঁচটা নদীর অববাহিকায় শুরু হোল উন্নততর সভ্যতা। সভ্যতার গতি গেল বেড়ে। লিপি আবিষ্কার ও মুদ্রার ব্যবহার একদিকে যেমন শিক্ষাকে প্রসারিত করল অন্যদিকে বিনিময় প্রথার সূচনা হোল। শিক্ষা এবং বিনিময়কে ভাল কাজে ব্যবহার করার সাথে সাথে অন্যায়ভাবে কাজে লাগাতে লাগল কিছু মানুষ। প্রথম সূত্রের বস্তুটি গড়ানে জায়গা পেয়ে তার গতিবৃদ্ধি করল, তরতরিয়ে এগিয়ে চলল সভ্যতা, নানামুখী তার বিকাশ আর সেই সাথে শুরু হোল মূল্যবোধের পতন যা দ্বিতীয় সূত্র ধরে পড়েই চলেছে। শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সীমাহীন লক্ষ্যে, অভাবনীয় দ্রব্যসামগ্রী উদ্ভাবনে মানুষ তার জীবনকে করে তুলছে ভোগের। আবার সেই মানুষই সেই বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও তা থেকে উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে শুধু মানুষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা বা যুদ্ধ করছে না প্রকৃতিকেও তার শত্রু মনে করে তাকে নিধন করে তার ভারসাম্য নষ্ট করছে। 

শিক্ষা লিপি এবং মুদ্রণ মানুষের চিন্তা ভাবনাকে স্থায়ী রূপ যেমন দিয়েছে তেমনই সেই ভাবনাকে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে বহুজনের মাঝে বহুহিতায়। কিন্তু মানুষের আর সেই সাথে সমাজের চিন্তা ভাবনা তো শুধু ভালোর দিকে নয়, মন্দের দিকটাও তাই লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। সেখানেই দৃষ্টান্ত মেলে একাধিক মূল্যবোধ পতনের। এই মূল্যবোধ অবশ্য মানুষেরই বোধ, কিছু চিন্তাশীল মানুষ সমাজকে সুস্থ রাখার জন্য ভেবেছিলেন এবং চর্চাও করেছিলেন। তার থেকে চ্যুত হলেই সেই বোধের সমাপ্তি, দুর্বোধের জন্ম। মনুষ্যকৃত স্মৃতি এবং পরে লিপিবদ্ধ সাহিত্য কাব্য পুরাণ ইত্যাদিতে এমন সুবুদ্ধি ও দুর্বুদ্ধিজাত হিংসা ও হিংস্রতার ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। জমি দখল, নারীর অধিকার হরণ ও নারী হরণকে কেন্দ্র করে তুমুল যুদ্ধ নিয়ে হোমর বাল্মিকী বেদব্যাস লিখে গেছেন মহাকাব্য যা তখনকার সমাজের প্রতিফলক বলে মনে করা হয়। শঠতা কপটতা চৌর্যবিদ্যার নানাবিধ উদাহরণ রয়েছে এইসব কাব্যে। ঢালু জমিতে গড়িয়ে চলেছে বল, ঢাল কখনও কম আবার কখনও বেশি। সেই অনুসারে পতনের গতি। 

সভ্যতার অগ্রগতি জন্ম দিল যন্ত্রের এবং যন্ত্রশিল্পের। বেড়ে গেল অগ্রগতি। একটা কাজ মানুষ যে সময় নিয়ে করত যন্ত্র তার কয়েকগুণ কম সময় কাজটা সম্পন্ন করে। যে হারে মানুষ কাজ হারাতে শুরু করল সেইমত কাজ আর পেল না কারণ কাজের প্রকৃতি ও বৈচিত্র সীমিত। তীব্র প্রতিযোগিতা মানুষকে ঠেলে দিল অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে। ন্যায় নীতি শুভবুদ্ধি সব লোপ পেতে থাকল দিনান্তে দুমুঠো আহার যোগাড়ের জন্য। হিংসা প্রতিহিংসা তো ছিলই এবার ঢুকে পড়ল দুর্নীতি। মরিয়া হয়ে উৎকোচ দিয়ে কাজের জোগাড় বাধ্য হয়ে করতে শুরু করে মানুষ। যন্ত্রশিল্প মালিকদের মধ্যে রেষারেষির রোষ সমাজের উপর এসে পড়ে। তার ছায়া মূর্তি হয়ে ওঠে দেশের মধ্যে, দেশের বাইরে। আন্তর্জাতিক স্তরে শুরু হয় অর্থনৈতিক ও শাসনের অধিকার দখলের প্রতিযোগিতা। দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গেল এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে। ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার গুণমানের বৈষম্য। একদল মানুষ ভোগ-বৈভবে উথলে উঠছে অন্যদিকে এক বিশাল সংখ্যক মানুষ অশিক্ষা-অনাহার-অর্দ্ধাহারে রয়েছে। 

যন্ত্রশিল্পের জন্য প্রয়োজন ছিল কাঁচামাল যা প্রকৃতি থেকে আহরণ, কিছু ক্ষেত্রে খনন করে পাওয়া যেত। বিশ্বযুদ্ধ ও ঠান্ডাযুদ্ধ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদা। একদা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মত দেশ শাসনের নামে সম্পদ শোষণ পরিণতি পেল শাসন ছাড়াই সম্পদ শোষণ। আধিপত্য বিস্তার করে প্রাকৃতিক তেল গ্যাস কয়লা ও নানাবিধ খনিজ পদার্থ লুণ্ঠন চলতে লাগল। বিশ্বের দুই মহাশক্তিধর দেশ অন্য সম্পদশালী দেশে আধিপত্য বিস্তারের নিমিত্তে সেই দেশের জমিতে শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে দিল। অশান্ত ও অসাম্য পরিবেশে পতন দ্রুত গতি পেল। বিশ্ব থেকে মানুষের চিত্তে দুর্নীতির বিহার। সারা পৃথিবীতে স্থানীয় রাজনীতি থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা থেকে কার্যালয় ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সর্বত্র ব্যপকহারে মূল্যবোধের পতন হতে লাগল। এর ছায়া এসে পড়ল মানুষেরই তৈরি সমাজ এমনকি পরিবারে। কিছু মানুষ দুর্নীতির জোরে প্রচুর আর্থিক লাভবান হচ্ছে দেখে অন্যেরাও নকল করতে শুরু করে দিল কিন্তু যারা দীর্ঘকাল প্রজন্মধরে দুর্নীতিতে অভ্যস্ত তাদের সাথে পাল্লা দিতে না পেরে ধরা পড়ে গেল। দুর্নীতিও যে একটা নীতিকে মান্যতা দেয় সে শিক্ষা তাদের নেই কারণ তা অভিজ্ঞতা দ্বারা অর্জন করতে হয়। এখন সারা পৃথিবী জুড়ে আর্থিক দুর্নীতির খবর কিন্তু ধরা পড়ছে সব নতুন খেলোয়াড়। 

এবার আমাদের দেশ ও রাজ্যগুলোর দিকে ফিরে তাকালেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়। যারা পুরনো ব্যবসাদার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ব্যবসা করে আসছে, নীতি আর দুর্নীতির সামঞ্জস্য বজায় রেখে, অতিরিক্ত লোভের ফাঁদ এড়িয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। আর এক প্রজন্মের, তাও আবার কম সময় অত্যধিক মুনাফার লোভে রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে অস্বাভাবিক গতিতে উত্থান, প্রতিষ্ঠানের পতন ছিল সময়ের অপেক্ষা। রাজনীতি ধর্মীয় ভাবাবেগকে সাথে নিয়ে সর্বত্র যে অন্যায় অত্যাচার ও দুর্নীতি করে চলেছে শাসকেরা তার পতন অনিবার্য। ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গ সমেত সব রাজ্যে দুর্নীতি এবং অপশাসন একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। ‘ছিঁচকে’ চোরেরা ধরা না পড়লেও বৃহৎ দুর্নীতির নবজাতকেরা শিষ্টাচার না-মেনে চলায় তারা প্রতি ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যাচ্ছে আর যারা দুর্নীতিতে প্রশিক্ষিত তারা তামাশা করছে। সর্বাধুনিক ডিজিটাল দুনিয়া দুর্নীতিকে এক ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে। আজ সবাই সবাইকে অবিশ্বাস করছে, বিছানার পাশের লোকটিও বাদ যাচ্ছেনা। আর্থিক প্রতারণার আতঙ্ক সর্বদা। 

আশা করা গিয়েছিল প্রজাতন্ত্রের উত্থান সমাজ এবং মানুষের মানবিক বোধ ও মূল্যবোধকে স্থায়ী রূপ দেবে।  দেখলাম নিউটনের প্রথম সূত্র মেনে অনেকটা পথ গড়িয়ে চললেও একসময় রাস্তায় ঢাল দেখা যায়, পতনের শুরু। সেই ঢাল বিংশ-একবিংশ শতকে ক্রমশ বেড়ে প্রায় খাড়া হয়ে গেছে, মূল্যবোধের পতন দ্রুত, অপ্রতিরোধ্য। উন্নয়নের নামে অবৈজ্ঞানিক ও অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় জঙ্গল অরণ্য কেটে নষ্ট করে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করায় প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারানোর জন্য রুষ্ট। তাই তৃতীয় সূত্র মেনে বন্যা ধস প্লাবনের মত বিবিধ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিয়ে প্রকৃতি ‘প্রতিশোধ’ নিচ্ছে।

Post a Comment

1 Comments

  1. কমলিকা ভট্টাচার্যJanuary 26, 2025

    অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের "প্রজাতন্ত্রের উত্থান, মূল্যবোধের পতন" প্রবন্ধটি গভীর দর্শন ও চিন্তাশীলতার অনন্য উদাহরণ। লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রজাতন্ত্রের অগ্রগতি ও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন। নিউটনের তিনটি সূত্রের সাহায্যে এই অবক্ষয় ব্যাখ্যা করার পদ্ধতি প্রবন্ধটিকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছে।

    নিউটনের সূত্রগুলির সাহায্যে মূল্যবোধের অবক্ষয় ব্যাখ্যা করা অত্যন্ত সৃজনশীল এবং প্রাসঙ্গিক। সভ্যতার গতি, তার বিকাশ এবং এর সাথে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের দিকগুলিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বোঝানোর এই প্রচেষ্টা একটি নতুন দৃষ্টিকোণ সৃষ্টি করেছে। লেখক অত্যন্ত সফলভাবে দেখিয়েছেন যে সভ্যতা যত দ্রুত অগ্রসর হয়েছে, তত দ্রুত মানুষ তার নৈতিকতা হারিয়েছে।

    তাছাড়া, প্রবন্ধে যে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। লেখক দেখিয়েছেন কীভাবে ক্ষমতা, লোভ, এবং দুর্নীতি মানুষের মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছে এবং সমাজে অসাম্য এবং অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে।

    প্রথম সূত্রে সভ্যতার গতি ও তার সাথে মূল্যবোধের অবক্ষয়কে বিশ্লেষণ করেছেন; দ্বিতীয় সূত্রে দেখিয়েছেন, একবার অবক্ষয়ের গতি শুরু হলে তা থামানো কঠিন; এবং তৃতীয় সূত্রে বুঝিয়েছেন, প্রকৃতির শোষণের ফলাফল হিসেবে সমাজের উপর প্রকৃতির প্রতিশোধ। লেখকের এই ব্যাখ্যা যেমন সৃজনশীল তেমনই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনুভবযোগ্য।

    প্রবন্ধটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত এবং আমাদের সমাজের বর্তমান পরিস্থিতির গভীর চিত্র তুলে ধরে। এটি আমাদের নতুনভাবে ভাবতে শেখায়—সভ্যতার উন্নতির সাথে নৈতিকতার ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা করা যায়। আমার ধারণা এই নিবন্ধটি প্রত্যেক চিন্তাশীল মানুষকে অন্তত একবার আত্মসমীক্ষা করার জন্য প্রেরণা দেবে।

    লেখকের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।

    ReplyDelete