কবিতার ছবি - ২/ অর্ণব মিত্র
ঋতু পরিবর্তনে
অন্তরা সরকার
আড়মোড়া ভেঙে সদ্য জেগে ওঠে তারা।
যতটা ক্ষয়েছে আয়ূ,
নিভেছে জ্বলন্ত দীপ
ঝড়ের তান্ডবে ধূ ধূ অন্তরীপ
সকল ভস্ম ঝেড়ে
হলদে আলোয় ফেরা।
এ ফেরা মসৃণ নয় ,
দুর্গম পথ, প্রতিকূল ফাঁদ
কালো ফসিলের যত অবসাদ
ভুল স্রোতে কাটাকুটি খেলা ।
গোপন দুয়ার ভেঙে
উজানের দাঁড় বেয়ে
আজ যে বিদায় নেবার পালা!
তবে,আর সংকোচ নেই
পরাভবে বিলাপ নেই
ওম্ ধ্বনি ছুঁয়ে থাকে ঠোঁট।
আমরণ সাধনা যত,
গভীর কাজলের মতো,
নিঃস্বার্থ ভাবনার জোট।
সব ছেড়ে ফিরছি যে ঘরে
ডুবুডুবু ঋণে জলমগ্ন শহরে
জিয়ন কাঠি ছুঁয়ে বেঁচেবর্তে ওঠা।
মেঠো আলপথ ধরে
রাখালিয়া বাঁশি সুরে
তোমার আশ্রয়ে ‘ছইহারা বৈঠা।’
ভালোবাসা
অমিত মণ্ডল
দিনের প্রথম আলো
যেন গান
কাঁচা হলুদের আভা যেন
আগে কোনোদিন এমন মনে হয়েছিল!
কে ওখানে দাঁড়িয়ে
বুড়ো লিচুগাছের নরম ছায়ায়
চোখ দুটি ঘন কালো
নাম কি তার?
জানিনাতো!
নীল দিগন্তে তখন আলোর ম্যাজিক।
হেমন্তের কোলাজ
মহুয়া ব্যানার্জী
রোদের আঁচ নরম হয়ে আসছে
তোমার চোখের আলগা আদরের মত-
ছাদের কিনারে হেমন্তের শিশির আসন্ন
শীতার্ত দিনের পাতাঝরার গল্প বলে।
বারান্দার একলা চেয়ার অপেক্ষায় বহুযুগ...
ছেড়ে যাওয়া পথের বাঁকে কৃষ্ণচূড়ার লালিমা অসমাপ্ত বিরহের চাদর বিছিয়েছে।
ঝিমধরা সময় বাগানের টবে থমকে আছে।
না বলা কথার চিঠি খড়কুটো হয়ে চড়ুইয়ের ঠোঁটে,
তুমি কি আজ আসবে সুরঙ্গমা ?
সম্পর্ক
দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়
নিঝুম রাতে নদীর জলে চাঁদ নেমেছে অবগাহন স্নানে
চাঁদকে এভাবে পেয়ে নদীর আনন্দ আর ধরে না
সে গভীর আশ্লেষে জড়িয়ে ধরে চাঁদের নগ্ন শরীর
এক অপার্থিব সহবাস মুগ্ধ হয়ে দেখে রাতের আকাশ
নদীর শান্ত জলে ফুটে ওঠে চাঁদের সিগ্ধ শরীর।
🍂
0 Comments