অপরূপ চেন্নাই
পারমিতা রায়
আমি বসবাস করি দীর্ঘ বছর ধরে বাংলার বাইরে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই শহরে। শহরটি বেশ সুন্দর এবং সাজানো। এ শহরের বুকেও আছে নানান সুন্দর সুন্দর ঘুরবার জায়গা। বহু পর্যটকই আসেন চেন্নাই ঘুরতে, তবে বেশিরভাগ মানুষই দেখি আসেন চিকিৎসা সুব্যবস্থা পাবার জন্য নেত্রালয় এবং অ্যাপোলোকে ভিত্তি করে।
চিকিৎসার পরে অবশ্য তারা ভ্রমণ ও সেরে নিয়ে চেন্নাই শহরে এবং তার আশেপাশের স্থানগুলিতে মন ভালো করে নিজের জায়গায় ফিরে যান।
চেন্নাই শহরে রয়েছে অপূর্ব সুন্দর মেরিনা বিচ, বেসন নগর বীচ, এই বীচগুলির ধারে বসলে অগুন্তি জলে ঢেউ দেখতে দেখতে খোলা আকাশের নিচে মন ভালো হয়ে যায়, সাথে বীচের ধারে বিক্রি হওয়া ভুট্টা সেদ্ধ, বাদাম ভাজা, সুন্ডাল, চা, কফি, পাকোড়া, নারান সামুদ্রিক মাছ ভাজা খেলেও মন তরতাজা হয়ে ওঠে।বীচগুলি সত্যিই খুবই সুন্দর।
চেন্নাই থেকে কিছুটা গেলেই মাহাবলিপুরাম , এই স্থানটিও খুবই মনোমুগ্ধকর । বিচ রিসোর্ট গুলিতে থেকে সমুদ্রের আনন্দ উপভোগ করলে মন মেজাজ সুস্থ হয়ে যায়। এছাড়াও চেন্নাই শহরের মন্দিরগুলিও ভীষণ সুন্দর এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে দর্শনকারীদের দেব-দেবীদের কাছে পৌঁছে দেয়। চেন্নাই শহরের মন্দির তথা টেম্পেল অনুসারে এখানে টেম্পল জুয়েলারিও তৈরি হয় যা সত্যিই অপূর্ব। শাড়িতেও টেম্পেল ওয়ার্কস থাকে যা পরিধান করলে নারীদের সৌন্দর্য্য বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। চেন্নাই থেকে বাস অথবা ট্রেন ধরে কিছুক্ষণের পথ গেলেই আমরা পৌঁছে যাব মীনাক্ষী মন্দিরে। অপূর্ব সুন্দর এই মীনাক্ষী মন্দির। মীনাক্ষী মন্দিরের যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমি কোনদিনো ভুলতে পারবো না। মীনাক্ষী মন্দির এর শুরু থেকে শেষ প্রান্ত ঘুরে শেষ করা বহুক্ষণের সময় সাপেক্ষ। মন্দিরে শুরুর দরজা দিয়ে ঢুকলে সেই দরজায় আবার ফিরে আসা দুষ্কর ব্যাপার।
🍂
অনেক ছোট ছোট দোকানও আছে মন্দিরকে কেন্দ্র করে যেখানে পাওয়া যায় ছোট্ট ছোট্ট পিতলের নানান ঠাকুরের মূর্তি ঠাকুর ঘর সাজানোর বহু জিনিস, আর পাওয়া যায় এখানে অপূর্ব সুন্দর দক্ষিণ ভারতের শাড়ি। অবশ্যই শাড়ি গুলি পর্যটকদেরও আকর্ষিত করে। এর পরে বলব চেন্নাই থেকে এক রাতে ট্রেনে করে আমরা পৌঁছে যেতে পারি, দক্ষিণ ভারতের শেষ প্রান্ত কন্যাকুমারীতে । কন্যাকুমারী সৌন্দর্য সত্যিই অতুলনীয়, তিনটি সমুদ্রের মিলন স্থান এই কন্যাকুমারী বিবেকানন্দ রক, যদিও স্বামী বিবেকানন্দের বিরাট মূর্তির কাছে আমি বাংলায় কোন লেখা দেখিনি। এতে আমার কষ্ট হয়েছে কিন্তু কিছু বলার নেই। তবে এই লেখাতে আমি পাঠকদের কাছে মনোকষ্ট জানালাম। স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির সামনে সারদা মা এবং শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূর্তিও রয়েছে। মূর্তিগুলো কি ঘিরে হিন্দিতে তামিলে এবং ইংরেজিতে লেখা রয়েছে মূর্তি কারদের নাম ইত্যাদি, যেখানে বাঙ্গালীদের প্রিয় স্বামী বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণদেব এবং মা সারদা বিরাজমান সেখানে বাংলা ভাষা খোদাই করা থাকবে এটুকু বাঙালি মনে আশা জেগে ওঠা স্বাভাবিক। তবে বিবেকানন্দের রকে খুব সুন্দর করে সাজানো রয়েছে। বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে ঘোরার ব্যবস্থা রয়েছে ধ্যান করার আলাদা ঘর রয়েছে, বড় লাইব্রেরিও আছে । বইয়ের দোকানও অনেক আছে সেখানে খুঁজলে অল্পবিস্তার বাংলা বইও পাওয়া যায়। বোটে করে ওই চত্বরে ঘোরার ব্যবস্থা আছে। বিবেকানন্দের রকের ওখানে খোঁজ নিলে জানা যায় স্বামী বিবেকানন্দের উদ্দেশ্যে করা অপূর্ব সুন্দর পর্যটকদের বাসস্থান ও কাছাকাছি কন্যাকুমারিকায় তে রয়েছে। যেখানে নিত্যদিন যোগ ব্যায়াম শেখানো হয়। নিয়ম অনুসারে খাবার দেওয়া হয় সকলকে। থাকার জন্য রুমের ও ব্যবস্থা ব্যবস্থা আছে বেশ স্বল্প টাকায়। তবে সেখানে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয় এবং নিয়মিত যোগ ব্যায়ামে অংশগ্রহণ করতে হবে। অপূর্ব সুন্দর পরিবেশ সেখানে। এছাড়াও বহু লজ রয়েছে। কন্যাকুমারিকা থেকে বাসে বা ট্রেনে যাওয়া যায় আরেকটি সুন্দর জায়গায় রামেশ্বরম এ , এখানে বিরাট মন্দির রয়েছে সেই মন্দিরে বড় বড় কুয়ো আছে, বহুতল বাড়ির সমান গভীর ওগুলি। হাজার হাজার দর্শনার্থী এবং পর্যটক ওই মন্দিরে আসেন। ঘুরে ঘুরে স্নান করেন। মন্দির চত্বরে বহু দোকান রয়েছে যেখানে পুজোর সামগ্রী বিক্রি হয়। খুবই সুন্দর ব্যবস্থা মন্দিরে ঢোকার পূজো দেবার। পর্যটকদের আকর্ষণ এই মন্দির কে ঘিরে। দক্ষিণ ভারতের বেশিরভাগ মন্দিরেই যেতে হয় পুরুষদের সাদা পোশাক পরিধান করে, এবং মহিলাদের করতে হয় শাড়ি। দক্ষিণ ভারত মূলত মন্দির কেন্দ্রিক এবং সমুদ্রকে কেন্দ্র করেও বহু পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসেন। দক্ষিণ ভারতের মন্দির গুলির গঠন বাংলা বিহারের এবং উড়িষ্যার মন্দির গুলি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কন্যাকুমারিকাতে পদ্মনাভ মন্দির রয়েছে যা বিশাল জায়গা জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে বহু লোকের সমাগম হয় । ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মাটি থেকে উঠে পা মেলে বিশ্রামে আছেন, তার দর্শন পাবার জন্য বহু পর্যটকের ভীড় হয়।
এই মন্দিরে ঢুকতে গেলেও পুরুষদের সাদা পোশাক পরিধান করতে হবে এবং মহিলাদেরও সাদা শাড়ি কেরালা কটন পরিধান করে প্রবেশ করতে হবে। মন্দিরের নিয়ম শৃঙ্খলা অপূর্ব। মন্দিরগুলি ভবন করলে মন ভরে যায়। দক্ষিণ ভারতের মূল শহর চেন্নাই থেকে আমরা যেতে পারি কোডাই কানাল পাহাড়ে। বিশাল পাহাড় নয় ঠিকই তবে বেশ উচ্চতা আছে। এই পাহাড়ে প্রচন্ড শীত লাগবে না আবার প্রচন্ড গরমও লাগবে না। মনোমুগ্ধকর আবহাওয়া এখানে। এই পাহাড়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্য এবং গরম থেকে হালকা ঠান্ডার অনুভূতি পাবার জন্য দক্ষিণ ভারতের বহু মানুষ বেড়াতে আসেন উপরোন্ত দক্ষিণ ভারতের বাইরে থেকেও বহু পর্যটক ভিড় করেন। কোডাই কানালের হোমমেড চকলেট ভীষণ বিখ্যাত এছাড়াও এখানে পাওয়া যায়, নানান আয়ুর্বেদিক তেল যা চুলকে অনেক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করে চুলের সুদৃদ্ধি ঘটায়, এছাড়াও পাওয়া যায় এখানে নানান আয়ুর্বেদিক মেসেজ অয়েল ব্যথা বেদনা শরীরে দূর করার জন্য। এবং পাওয়া যায় অনেক রূপচর্চার আয়ুর্বেদিক উপাদান। চেন্নাই শহর থেকে বেশি দূরে নয় কেরালা , রাতে ট্রেনে উঠলে পরের দিন ভোরবেলায় পৌঁছে যাওয়া যায় কেরালায় এর্নাকুলামে । আমিও গেছিলাম সপরিবারে। কেরালায় বিখ্যাত খাবার পুটটু , এখানে বেশিরভাগ রান্নায় নারকেল তেলে তৈরি হয়। তবে খেতে লাগে বেশ সুন্দর এবং এগুলি সহজ পাচ্য। মালাইলি লোকজন ভীষণ ভদ্র এবং ভালো ব্যবহার করেন পর্যটকদের সাথে। কেরালায় বোটহাউস মূল আকর্ষণ পর্যটকদের।
অপূর্ব লাগে বোর হাউসে জলে ঘুরতে এবং ছোট্ট কোন গ্রামে গিয়ে সেখানে ছোট্ট হোটেলে কেরালার ভাত তরকারি বড় বড় নদীর জলের সুন্দর তাজা মাছ খেতে। কেরালা আমার খুব প্রিয় স্থান আমি অনেকবার গেছি। কেরালার মুন্নার অপূর্ব এক পাহাড়ি এলাকা । আমার বাপি অর্থাৎ আমার বাবা ভীষণ ভালোবাসতেন মুন্নার। বহু চা বাগান এই মুন্নারে পাহাড়ের গায়ে গায়ে। হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং এবং হেলিকপ্টারে পড়ে পাহাড়ে চারপাশে আকাশে ঘোরার ব্যবস্থা রয়েছে। চা বাগানের মালিকরা হেলিকপ্টারে ই চা বাগান গুলি দেখাশোনা করেন। তা বোঝা যায়। মুন্নারে চা ,কফি ,স্ট্রবেরি অপূর্ব সুস্বাদু। পাহাড়ের ধারে ধারে আবার অপূর্ব সুন্দর তাজা লম্বা লম্বা লাল গাজর বিক্রি হয় যা অত্যন্ত সুস্বাদু। এর্নাকুলাম শহরও খুব সুন্দর। এখানেও সমুদ্রের ধারে অনেক পর্যটকের ভিড় হয় এবং সমুদ্র ভ্রমণের জন্য অনেক সুন্দর বোটের ব্যবস্থা রয়েছে। আবার স্পিডবোটও রয়েছে অনেক জায়গায়। স্কুবা ডাইভিং এর ব্যবস্থা ও রয়েছে অনেক জায়গায়। কেরালায় ভ্রমণ করতে গেলে কেরালা কটন শাড়ি, কেরালা কটক ধুতি সকলকে অনুরোধ করবো কিনবার জন্য, কেরালা কটনের চুড়িদার সালোয়ারের মেটারিয়াল ও সুন্দর পাওয়া যায় যা পর্যটকদের মূল আকর্ষণ অবশ্যই। এছাড়া কেরালার মশলাপাতি যেমন এলাচ , দারুচিনি , লবঙ্গ, বিরিয়ানি মশলা খুবই সুস্বাদু করে তোলে নানান রান্নাকে। প্রচুর নারকেল গাছ পাবেন আপনারা পুরো কেরালা শহর জুড়ে, গাছপালায় ভরা কেরালা শহর। লুলু মল আছে কেরালায় এরনাকুলামে এর কাছাকাছি। বিরাট মল এটি, পর্যটকরা ভীষণভাবে ভিড় করে এই মলে তবে ভিতরের ব্যবস্থা খুবই সুন্দর। কেরালাতে গেলে কথাকলি নৃত্যের মুখোশ অবশ্যই কিন্তু অনুরোধ করবো আমি পর্যটকদের এবং এই লেখাটির পাঠকদের। রঙিন কথাকলি নৃত্যের মুখোশগুলি ঘরে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে সাজিয়ে রাখলে , কাঠের তৈরি কথাকলি নৃত্যের মুখোশো পাওয়া যায় বিভিন্ন দোকানগুলিতে। আয়ুর্বেদিক নানান গাছের সুন্দর কাঠের চিরুনি পাওয়া যায় কেরালার বিভিন্ন দোকানগুলিতে যা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
এবারে বলি আরেকটি সুন্দর আয়ুর্বেদিক নানান তেল বিক্রি হয় কেরালার বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক দোকানগুলিতে এবং সাথে কাঠের তৈরি নানান বডি মেসেজে এর টুলসো পাওয়া যায় যা ব্যবহার করলে শরীরের ব্যথা যন্ত্রণা লোপ পায় , আর একটি জায়গা চেন্নাই শহর থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টার পথে গেলেই আপনারা পৌঁছে যাবেন এলাগিরিতে। ছোট্ট পাহাড়ি সুন্দর একটি জায়গা এলাগিরি। এখানে অনেক ঘোরার জায়গা আছে এবং আবহাওয়া খুব মনোমুগ্ধকর। পাহাড়ের ধারে ধারে অনেক হোটেল আছে খুবই সুব্যবস্থা হোটেল গুলিতে। আর ভীষণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এখানেও বড় লেক আছে পাহাড়ের ধারে ধারে যেখানে বোটিং এর ব্যবস্থা আছে। খুব সুন্দর এখানেও হোমমেড চকলেট পাওয়া যায়, এবং পাহাড়ি অঞ্চলে তৈরি নানান জরিবুটি দিয়ে আয়ুর্বেদিক তেল চুলের তেল , শরীরের ব্যথা কমার তেল পাওয়া যায়। এখানেও আপনারা সুন্দর সুন্দর চা কফি কিনতে পারবেন বিভিন্ন দোকানে। আরেকটি সুন্দর ছোট্ট পাহাড়ি জায়গা হোলো ইয়ারকার্ড , এটিও একটি ছোট্ট পাহাড়ি জায়গা চেন্নাই শহর থেকে বেশি দূরেও নয়। অনেক বাস যায় এখানে প্রাইভেট কারও যায়। পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় এই ইয়ারকার্ড। পাহাড়ের ধারে বিভিন্ন হোটেলগুলিও খুব সুসজ্জিত এবং সুবন্দোবস্ত রয়েছে পর্যটকদের জন্য।
চেন্নাই শহর থেকে আবার ট্রেন বা বাসে করে যাওয়া যায় তিরুপতি যা অপূর্ব ভারত বিখ্যাত বিশ্ব বিখ্যাত বালাজির মন্দির। অপূর্ব সুন্দর তিরুপতির পাহাড়ের দৃশ্য ও , এই মন্দির ভারতের সুবিখ্যাত মন্দির। সকল পর্যটকরা ভ্রমণকারীরা চেন্নাই শহরে আসলে বা দক্ষিণ ভারতের কোন প্রান্তে আসলে ত্রিপতি দর্শন করতে ইচ্ছুক থাকেন। চেন্নাই শহর থেকে তামিলনাড়ু সরকারের বাস ও যায় তিরুপতি মন্দির যা অতি সুব্যবস্থা সাথে পর্যটকদের নিয়ে যায়। এ ছাড়া অনেক প্রাইভেট বাসে যায় তিরুপতিতে। বালাজি দর্শন খুব সুন্দর ভাবে নিয়ম মেনে করানো হয় সকল ভ্রমণকারীদের।
চেন্নাই শহরের কাছাকাছি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমি জানালাম এখানে।
দক্ষিণ ভারতে বহু জায়গা আছে যা পর্যটকদের জন্য আনন্দদায়ক এবং স্বাস্থ্যকরও বটে।
এছাড়াও চেন্নাই শহর থেকে খানের দূরে ট্রেনে করে ৫ ঘন্টা মত লাগে খুব সুন্দর একটি স্থান আছে। সেখানে একটি অপূর্ব মন্দিরও আছে যা অনেকের অজানা। আমরা এই দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর বহু বছরের বাসিন্দা বলে জানি। শ্রীসাইলাম মন্দির এটি।
শিব পার্বতীকে নিয়ে এখানে ছিলেন, বহু পৌরাণিক গল্প রয়েছে এই মন্দির কে কেন্দ্র করে। অবশ্যই এই মন্দিরেও প্রবেশ করতে গেলে পুরুষদের সাদা ধুতি পাঞ্জাবি বা পাজামা পড়ে যেতে হবে এবং মহিলাদের শাড়ি পড়তে হবে।এছাড়াও চেন্নাই শহরের বহু সুন্দর সুন্দর দোকান রয়েছে যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে যেমন সারভানা স্টোর, পোথিজ।
এসব দোকানগুলিতে গেলে একই ছাদের নিচে সবকিছু পায়ে পর্যটকরা এবং এখানকার স্থানীয় লোকেরা ও। চেন্নাই শহরে টিনগরে খুব সুন্দর সুন্দর দোকান রয়েছে মার্কেট রয়েছে যা ভ্রমণকারীদের মন কারে। সেখানে গেলে সবাই পাবে খুব সুন্দর সুন্দর সাউথ ইন্ডিয়ান শাড়ির কেরালা কটন শাড়ি চুরিদার এখানকার গহনা আরও অনেক কিছু এবং স্টিলের বাসনও খুবই সুন্দর চেন্নাই দের দোকানগুলিতে এবং বেশ মজবুত যা বহু পর্যটনকারীরা সংগ্রহ করে নিয়ে যান চেন্নাই থেকে। চেন্নাই শহরের বিভিন্ন দোকানে টেম্পেল জুয়েলারি গুলি অপূর্ব হয় যা এখানকার মন্দিরের ছাঁচগুলির অনুযায়ী তৈরি হয়। এগুলি পর্যটকদেরও মন কাড়ে, তাই পর্যটকরা ভিড় করেন চেন্নাই শহরের বুকে বিভিন্ন দোকানগুলিতে। খুব সুন্দর সুন্দর সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারের ভান্ডার রয়েছে এখানকার বিবিধ হোটেল গুলিতে। তার মধ্যে বেশ নামকরা হোটেল গুলি হল সারবানা ভবন, শ্রী মিঠাই, হট চিপস, আরিয়া ভাবান, সঙ্গীতা হোটেল ইত্যাদি। এগুলি খুব সুন্দর ভাবে নানান সাউথ ইন্ডিয়ান নিরামিষ খাবার পরিবেশন করে পর্যটকদের মন ভরিয়ে দেয়। এছাড়াও চেন্নাইতে বিভিন্ন হোটেলে ননভেজ খাবারও পর্যটকেরা পেয়ে যাবেন। চেন্নাই তথা তামিলনাড়ুর বিরিয়ানির স্বাদও বেশ ভালো এবং একটু অন্যরকম বাংলার বিরিয়ানি থেকে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে চেন্নাই শহর এবং চেন্নাই শহরে কাছাকাছি বিভিন্ন স্থানগুলি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমি এখানে লিপিবদ্ধ করলাম, যাতে পাঠকদের কিছুটা অভিজ্ঞতা হয় দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন স্থানগুলি সম্পর্কে এবং দক্ষিণ ভারতের রাজধানী চেন্নাই শহরের সম্বন্ধে।
0 Comments