জ্বলদর্চি

মাধ্যমিকে সবাই ফেল /সৌমেন রায়

মাধ্যমিকে সবাই ফেল

সৌমেন রায়

চিত্র – অসিত কুমার সেনাপতি

সদ্য প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল। এই দিনটা বাঙালির কাছে অনেকটা উৎসবের মত। টিভি চ্যানেল গুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে উচ্চস্থান অধিকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা, একই উত্তর। রায় মার্টিন নেমে পড়ে তাদের কোশ্চেন ব্যাংক সহ অন্যান্য বইয়ের বিজ্ঞাপন দিতে। স্থানীয় স্তরে কোচিং সেন্টারগুলো যথাসাধ্য প্রচার চালায় তাদের কাছ থেকে কি রকম রেজাল্ট করেছে দেখানোর জন্য। ইদানিং স্কুলগুলিও ফেসবুকে তাদের স্কুলের রেজাল্ট পোস্ট করে জানাতে চায় তাদের স্কুল কতটা সফল। সাফল্য কার বোঝা মুশকিল। তবে ব্যর্থ যে আমরা সবাই সেটা দ্ব্যর্থহীন ভাবেই বলা যায়। কেনো সে কথাই বলি।

মেধা তালিকা স্থান পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ইন্টারভিউ গুলির টুকরো টাকরা কানে এসেছে। তাতেই দেখলাম অনেকেই বলেছে তারা স্কুলে খুব একটা  যায় না। তাদেরই একজন বলল তার টিউশনের সংখ্যা 12 টি। যদিও একজন বলল কিন্তু  নিশ্চিতরূপে এটা প্রায় সবারই কথা। মাধ্যমিক স্তরে সাতটি বিষয়, তার বারোটি টিউশন কিভাবে হয় সেটা বোঝাও মুশকিল। যদি ভৌতবিজ্ঞানের ফিজিক্স কেমিস্ট্রিকে আলাদা ধরেও নিই তাও 12 টা হয় না। অবশ্য যুগটা এমন সরল পাটিগণিতের নয়। বর্তমানে ট্রেন্ডটা বাইরে একজন এক্সপার্ট দিয়ে পড়ানো। যে হবে নাম করা, চাপ দিয়ে আদায় করে নেবে, খানিক আগিয়ে পড়াবে, প্রচুর অনুশীলন করাবে। আর একজন ঘরে। ঘরোয়া ভাবে গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে  বাবা বাছা করে বোঝাবে। বড় টিউশনের অসুবিধার জায়গাগুলো দেখে দেবে। এইরকম পাটিগণিতেই বোধহয় বারোটা টিউশন হয়।এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে বারোটা টিউশন পড়ার পরে একটি ছাত্র বা ছাত্রীর কি নিজের ভাবার ক্ষমতা থাকে? নাকি সময় থাকে? এরকম স্পুন ফিডিং  তার ভবিষ্যৎ কি বিপন্ন করে দিচ্ছেনা? কিছুদিনের মধ্যেই তো সাধারণ বুদ্ধিমত্তার কাজগুলি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স করে দেবে। তাই কাজের অনুসন্ধানে মৌলিক চিন্তাই গুরুত্ব পাওয়ার কথা। এই ব্যবস্থায় সেটার বিকাশ কি হচ্ছে? চিন্তার ব্যাপার! কিন্তু উত্তর জানা নেই। 

🍂
ad
টিউশন সবার বারোটা না হলেও আট দশটা প্রায় সকলেরই আছে। নিদেন পক্ষে সাতটা তো আছেই। অধিকাংশ ছেলে মেয়ে স্কুলে আসে না। শুধু উঁচু ক্লাসেই নয়, নিচু ক্লাসেও। শুধু ভালো ছেলে নয়, সাধারণ ছেলেরাও স্কুলে আসে না। স্কুলগুলি অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। কেন আসে না ? স্কুলে কি পড়াশোনা হয়না? কিছু ক্ষেত্রে অবহেলা, গাফিলতি তো আছেই। কিন্তু কোথাও কেউ পড়ায় না এটা সত্য হতে পারে না। যারা অপেক্ষাকৃত বুদ্ধিমান ছেলে তাদেরকে ভবিষ্যতের কথা ভেবে খানিকটা আগিয়ে থাকতে হয় । ভবিষ্যৎ বলতে উচ্চ মাধ্যমিকের পরে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা দেওয়ার রসদ তাদেরকে পূর্বাহ্নেই সংগ্রহ করতে লাগতে হয়। কারণ সেখানে যে প্রবল প্রতিযোগিতা তাতে সফল হতে গেলে আগের থেকে প্রস্তুতি দরকার। তাদের খুব একটা দোষও দেওয়া যায় না । কারণ সত্যিই জীবিকার বড়ই অভাব। তবে শুধুই জীবিকা নয় আমাদের সমাজের নম্বর নিয়ে আদিখ্যেতা একটা কারণ। দু চার নম্বর কম পেয়ে গেলে অভিভাবক সমাজে মুখ দেখাতে পারেন না। ছাত্র ছাত্রীর কোন অসুবিধা হয় বলে মনে হয় না। তাই অনবরত অনুশীলন করে নির্ভুল লেখার প্রচেষ্টা করে যায় ছেলেরা। তাকে সঙ্গ দেয় অভিভাবক, শিক্ষক সবাই। মানে অনন্ত সম্ভাবনার উন্মোচন কেউই চায়না , চায় নির্ভুল করণিক। সরকার থেকে প্রশ্নপত্রের ধরনও পাল্টানো হয়েছে টিউশন নির্ভরতা যাতে কমে। আমরা টিউশন নির্ভরতা কমিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিইনি। বরং টিউশনের সংখ্যাটা বাড়িয়ে দিয়েছি। যাতে ওই ধরনের প্রশ্ন অনুশীলনের মাধ্যমে রপ্ত করা যায়। সে কারণে বারোটা টিউশন শুধু নয় স্টুডেন্ট প্রায় সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে তার সম্পূর্ণ কৈশোর কালটি। এই ক্রমাগত চাপ কেউ সহ্য করে নেয়, কারো ক্ষেত্রে সেটা অসহ পীড়ন হয়ে দাঁড়ায়।মানসিক স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়। শিক্ষার ভরকেন্দ্রে এখন টিউশন। আপনি হয়তো ভাবছেন যে এটা তথাকথিত ভালো ছেলেদের ব্যাপার। তা নয় সকলেই টিউশন নির্ভর। স্কুলের উপর কেউ ভরসা করেনা। এবং শহর থেকে গ্রাম পুরোটাই এই মানসিকতা আক্রান্ত। সেসবের বিভিন্ন কারণ আছে। স্কুলগুলি যে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে তা তাদের কর্মকাণ্ড দেখলেই বোঝা যায়। আপনি দেখবেন যে বর্তমানে স্কুলে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন, দেওয়ালের রং করা, বিভিন্ন প্রোগ্রামের ছবি, সিড়িতে সূত্র লেখা এই সমস্ত করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে।সারা বছর স্কুলগুলোতে হইচই কান্ড।  শিক্ষার আনুষঙ্গিক কাজে বেশি ফোকাস।এসব করার প্রয়োজন আছে কিন্তু বাড়াবাড়ি করাটার অন্যতম কারণ অস্তিত্বের সংকট। যদি সত্যিকারের পড়াশোনাটা স্কুলে হতো তাতে যে আনন্দের প্রবাহ ঘটতো আর কোন অতিরিক্ত আনন্দের প্রয়োজন হতো না । সরকারও যে জানে না তা নয়, সকলেই জানে। তারা বোধহয় চোখ বন্ধ করে নেই। ‘প্রগতিটি’ কে খানিক গতিদান করছেন। গরম পড়ার আগেই বাড়তি গরমের ছুটির ঘোষণা তার একটা প্রতিফলন। এই অবস্থায় স্কুলগুলিকে বেঁচে থাকতে হলে তাদের পাঠ পরিকল্পনা, সিলেবাস, পরিকাঠামো সহ টিচারদের মানসিকতা সম্পূর্ণরূপে পাল্টাতে হবে । নয়ত স্কুলগুলো ধীরে ধীরে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। পাল্টানোর বার্তাটি বুঝতে পারললেও ঠিক কি ধরনের, কতটা পরিবর্তন করা উচিত তা আমার মত ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। সে নিয়ে আলোচনা করা উচিত। জহরলাল নেহেরু একবার গণতান্ত্রিকতা ,আমাদের দেশের বিপুল জনসংখ্যা প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং কার্যকর করার গতি এত মন্থর যে কার্যকর হতে হতে নতুন ধারণা চলে আসে( বিশ্ব ইতিহাস প্রসঙ্গ)।আলোচনা শুরু হলেও এ ক্ষেত্রেও সে আশঙ্কা থেকেই যায়। সঙ্গে আরও একটি বিষয় ভেবে দেখা উচিত। বিদ্যালয়গুলিকে যেভাবে সামাজিক প্রকল্প রূপায়ণের জায়গা করে তোলা হচ্ছে সেজন্য কি শিক্ষিত সম্প্রদায়  তাদের সন্তানকে সরিয়ে নিচ্ছে অন্যত্র? তার ফলে কি বৈষম্য বৃদ্ধি হচ্ছে? দুটো আলাদা শ্রেণি তৈরি হচ্ছে? যারা সরকারি বিদ্যালয়ে পড়ে ঢিলে ঢালা ব্যবস্থার মধ্যে, আর যারা পয়সা খরচ করে বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়ে বা সরকারি বিদ্যালয়ে পড়লেও বারোটা টিউশন দিয়ে শিক্ষা কিনতে পারে।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে নবজাগরিত বঙ্গ সমাজ চেয়েছিল যে কোন ভাবে তার এলাকায়, গ্রামে একটা বিদ্যালয় গড়ে উঠুক। বিদ্যালয়ের ভিত্তিভূমিগুলি খুঁজলে অনেকেরই রক্ত, ঘামের সন্ধান পাওয়া যাবে। এখন সেই সমাজ আবার চাইছে স্কুলগুলোর কোন প্রয়োজন নেই। সহযোগিতা - সহমর্মিতা শেখার জায়গা, সহ নাগরিককে চেনার জায়গা, একত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করার জায়গা, সুস্থ মনের বিকাশ ঘটানোর জায়গাটি সমাজ অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছে। মুক্তচিন্তার বিকাশের পরিবর্তে আমরা বেছে নিয়েছি রোট লার্নিং। ভেবে দেখুন আমরা সবাই ফেল কিনা!


Post a Comment

6 Comments

  1. শিক্ষা বিশেষ করে স্কুল স্তরের পড়াশোনা নিয়ে সৌমেন বহুদিন ধরেই চিন্তা ভাবনা করে চলেছেন যাকে তৃণমূল স্তরের গবেষণা বললে হয়তো ঠিক বলা হয়। আলোচনায় যে সব প্রশ্ন উঠেছে সেগুলো শুধু তাঁর একার জিজ্ঞাসা নয় সকলের। আগে ফলাফল ঘোষণার পর কৃতীদের নিয়ে যেসব অনুষ্ঠান হতো সেগুলো খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতাম। আজকাল দেখিনা। বাগিয়ে ধরা মাইকে যখন তাঁরা বেশ গলা বাগিয়ে বলে - আমার এই সাফল্যের পেছনে আমার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বড়ো ভূমিকা আছে , তখন মনে হয় কেউ যেন সপাটে আমার গালে চড় মারলো। দু একজন ছাড়া বাকিরা ডাহা মিথ্যে বলে।
    সৌমেন এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় জানতে চান। খুব স্বার্থপরের মতো শুনতে লাগলেও বলি এই মহা ভাঙনের সময় এটাই হয়তো হবে মুক্তির পথ। ঘোলা জলের প্লাবনের মধ্যে দ্বীপ হয়ে উঠতে হবে।
    আলোচনা চলুক।


    ReplyDelete
    Replies
    1. AnonymousMay 06, 2025

      যথার্থ বলেছেন।

      দ্বীপ হলে উঠতে পারলে নিজের শান্তি,কিছু জন আশ্রয়ও পাবে।কিন্তু বাস্তুতন্ত্রটি বাঁচবে কি?

      Delete
  2. AnonymousMay 06, 2025

    অবশ্যই বাঁচবে। একটা দ্বীপকে দেখে জন্ম নেবে আরও আরও দ্বীপ। বড়ো ভাই সাফল্য পেলে অভিভাবকরা যেমন পরের গুলোকে ঠেলে দেন ঐ পথে এটাও হবে ঠিক তেমন ব্যাপার। ঐ দ্বীপ জন্ম দেবে নতুন ইকোসিস্টেমের।

    ReplyDelete
  3. AnonymousMay 06, 2025

    বাস্তব শিক্ষা ব্যবস্থার অবক্ষয়ের অতি সুচিন্তিত বিশ্লেষণ। ঠিক তো মার্কসিটে নাম্বার বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় ছাত্র ছাত্রীরা দিশেহারা। অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে পূর্ণ আস্থা রাখছেন না। টিউশনের মাদকতায় বিভোর হচ্ছেন। সমস্যার
    কারণ নির্ণয় করা গেলেও সমাধান করা অতি কঠিন।
    নিম্নবিত্ত পরিবার পারিপার্শ্বিক চাপে কষ্টের সাথে টিউশন দিচ্ছেন। সন্তান কিছু নাম্বার বা বেশি কিছু পেয়ে পাশ করলে ধন্যবাদটা
    বিদ্যালয়ের থেকে টিউটরের দিকে একটু বেশি যায়। বিত্তবানরা অধিক রিটার্নের আশায় ইনভেস্টমেন্টে দরাজ হতে কার্পণ্য করেনা।
    জানি- শিক্ষা বিস্তৃত মনোজগৎকে জগতকে আলোকিত,বিকশিত করতে সাহায্য করে। কিন্তু আজকাল ছাত্ররা হৃদয়ে গ্রহন না করে স্মৃতি শক্তি কে শান দিয়ে নাম্বার বাড়াতেই মরিয়া ।ফলে নিজস্ব ভাবনার বীজ অঙ্কুরিত হচ্ছেনা। ভাবনা প্রসূত নতুন আলোর আনন্দের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।ফল স্বরূপ মানসিক ট্রেস কোমল অন্তর্জগতকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে। ঢাকা ‌পড়ে যাচ্ছে
    বিস্তীর্ণ ছাত্র সমাজের এই গভীর সমস্যা। নিদারুণ ভাবে এর নেতিবাচক প্রভাব সমাজ কে অসুস্থ করছে। শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থান হওয়া জরুরি।তা না হওয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষা ছাড়া অন্য পেশায় নিযুক্তদের কাজের আউট পুটের পরিমাপ করা যায়। কিন্তু বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাত্রের মনোজগতে কতোটা প্রবেশ করলেন, কতটা শেখানোর আনন্দে ভরিয়ে তুললেন তা সর্বত্র পরিমাপ করা যায় না। তাঁদের সদিচ্ছাকেই শিরোধার্য করতে হয়। রেজাল্টে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে ছাত্র ও অভিভাবকের উপর বহুলাংশে বর্তায়।নিচু ক্লাসের গোড়ায় গলদ , পাঠাভ্যাসে ধারাবাহিকতার ক্ষুন্নতা ও মুখস্ত নির্ভরতা পাঠ বিমুখতা র অন্যতম কারণ। সব শিক্ষকও ত্রুটি মুক্ত নন। তাছাড়া সমাজের সর্বক্ষেত্রের ভালো মন্দ প্রভাব ছাত্রদের উপর পড়ে। অভিভাবকেরা বেশি চাইতেই পারেন ,কিন্তু বেশি চাওয়া তে সন্তানের অনেক কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে কুসুম কোমল মানবিক গুনের অঙ্কুর গুলি।এগুলি আজ গুরুত্ব হীন হয়ে আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
    এ ব্যাপারে অভিভাবকদের কাউন্সিলিং, এবং শিক্ষক অভিভাবক আলোচনা জরুরি।
    তবে শিক্ষার এই প্রতিযোগিতার বাজারে ইঁদুর দৌড় চলতেই থাকবে।ইউরিয়া দেওয়া হাইব্রিড নাম্বারে আসল মূল্যায়ন সম্ভব নয়। শিক্ষা উদ্দেশ্য হীন হয়ে কানা গলিতে আবর্তিত হতেই থাকবে।যদি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন না হয়।

    ReplyDelete
  4. AnonymousMay 06, 2025

    শিক্ষা নিরন্তর সংলাপ ও সমন্বয় দাবি করে। দুঃখের বিষয় এই দুটি মূল্যবান শর্ত‌ই একালে খারিজ করে দিয়েছি আমরা। আমার শিক্ষকতা জীবনের সামান্য অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণীয় হয়ে ওঠাটা খুব জরুরি। পরিবেশ পরিস্থিতি খুব বদলে গেছে। তাই শিক্ষকতার কাজটা খুব চ্যালেঞ্জের হয়ে গেছে। অনেক অনেক সংবেদনশীল মাস্টারমশাই ও দিদিমণি রয়েছেন, কিন্তু তাঁদের ভাবনা সমগ্র শিক্ষা পটভূমিতে খুব বেগবতী হতে পারছেনা।





    ReplyDelete
    Replies
    1. AnonymousMay 06, 2025

      গভীর ভাবে পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ।আপনার সঙ্গে সহমত।

      Delete