কৃষ্ণেন্দু পাল
সাম্প্রতিক ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫-এ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের খেলোয়াড় ইব্রাহিম জাদরান শতরানের পর ভরা মাঠের মাঝখানে ভারতীয় ভঙ্গিতে নমস্কার জানানোর ছবি সারা ভারতের প্রায় সব প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকাতে বড় করে ছাপিয়েছে। এ দৃশ্য আমরা সবাই দেখেছি। প্রথম দর্শনে যে কেউ ভারতীয় খেলোয়াড় ভেবে ভুল করবেন তাতে সন্দেহ নেই। ভারতীয়দের প্রতি ঠিক কতটা ভালোবাসা থাকলে একজন আফগান খেলোয়াড় এমনটা করতে পারেন ভেবে দেখার বিষয় বৈকি! কিন্তু এমনটা একদিন বা একবছরে হয়নি। আফগানদের ভারতের প্রতি ঐকান্তিক ভালোবাসার ইতিহাসের শেকড় অনেক গভীরে।
কেন তালিবান শাসিত আফগানিস্থান প্রায়শই বলে থাকে ভারত তাদের বন্ধুরাষ্ট্র এবং তারা ভাই-ভাই! সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন আফগান পত্র পত্রিকাতে তারা ভারতকে তাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু বলে আসছে, এবং এর পেছনে বিভিন্ন কারণও দেখায়। তবে সব কিছুর মূল কথা ভারতীয়দের প্রতি তাদের ভালোবাসা। ভারতীয়রাও তাদের কম ভালোবাসেনা। যেহেতু ভারত ধর্মীয় সম্প্রীতির মেলবন্ধনের পীঠস্থান, সেহেতু ভারতীয়রা ভালোবাসতেই পারেন। কিন্তু আফগানিস্তান একটি মুসলিম প্রাধান্য দেশ। তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও তাই। তবুও আফগানিস্তান পাকিস্তানকে তাদের প্রধান শত্রুদেশ ভাবে। এই বিষয়টি অবাক করার মতই। এখন আফগানিস্তানে তালিবান নামক অতি উগ্ৰপন্থী শাসক গোষ্ঠী সরকার চালাচ্ছে। এরা যখন ক্ষমতায় আসে তখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ভেবেছিল এবার তো আফগানিস্তান-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হবে। কিন্তু তা হয়নি। এত সবের মধ্যেও কেন এই দেশ ভারতকে এত ভালোবাসে? এবং পাকিস্তানকে এতটাই ঘৃণা করে? অন্যদিকে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ তো ভারতের প্রতিবেশী, কিন্তু এদের সাথে আমাদের সম্পর্ক কতটা মধুর তা ভারতের প্রতিটি শিশুও জানে এখন। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের অবনতি প্রকট হয়েছে সে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার পর। কিন্তু আফগানিস্তানের এত ভারতপ্রীতির কারণ জানার জন্য আমাদের অনেকটা সময় আগের ইতিহাস জানতে হবে।
🍂
৩৩০০ বি সি ই (3300 BCE) তে সবচেয়ে পুরোনো সভ্যতার কথা জানা যায়। সিন্ধু সভ্যতা। এই সভ্যতার মানচিত্র যদি দেখা হয়, লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল, এখনকার ভারত এবং পাকিস্তানের অঞ্চল ওখানে ছিলই, আফগানিস্তানের সারতুগাই, মুক্তিগাক ইত্যাদি অঞ্চলও এই সভ্যতার অন্তর্গত ছিল। এর প্রায় দুই হাজার বছর পরও আমাদের বৈদিক কাহিনীগুলিতে আফগানিস্তানের কথা লিপিবদ্ধ রয়েছে। গান্ধারী যিনি ছিলেন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের সুযোগ্য স্ত্রী এবং গৌরবদের মা, তিনি গান্ধারের রাজা সুবালার কন্যা ছিলেন। এই গান্ধার শব্দের উৎপত্তি ঋক বৈদিক শব্দ গান্ধা (Fragrance) থেকে। গান্ধার সে সময় কান্দাহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই আফগানিস্তান অনেক সময় ধরেই অখন্ড ভারতের অংশ ছিল। এখানে মৌর্য, কুষাণ, গুপ্ত সাম্রাজ্যের শাসন সময়ের সঙ্গে প্রবাহিত হয়েছে। শিখরা শাসন করেছে। হিন্দুশাহী সাম্রাজ্যের কথা বাদ দেওয়া যাবেনা। এই বংশের শাসকদের শাসন ব্যবস্থার প্রমাণ আজও আফগানিস্তানের আনাচে-কানাচে দেখা যায়। বামিয়ান শহরে আজও এক সুবিশাল বৌদ্ধমূর্তির দেখা মেলে যা বড় পাহাড়ের গায়ে খোদাই করে তৈরি করা। অনেক বৌদ্ধ গুহা ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এই গুহার মধ্যে শিবের রঙ্গিন ছবি ও মূর্তির দেখা মেলে। কিছু আফগান শহরের নাম সংস্কৃত শব্দ থেকেই এসেছে। বাল্খ (Balkh) এসেছে বালিকা (Bhalika) থেকে, নানগরহর (Nangarhar) সংস্কৃত শব্দ নাগরাহারা (Nagrahara) থেকে, কাবুল (Kabul) এসেছে কুভা (Kubha) থেকে। আফগানদের ভাষা পাস্থো ভাষা। এই ভাষার মধ্যেও অনেক সংস্কৃত শব্দের প্রয়োগ রয়েছে। যেমন হালাকা (বালাকা-Boy), নর (নর-Male), বান্দি (বান্ধি-Prisoner), মর (মাতৃ-Mother) ইত্যাদি। একাদশ শতাব্দী অব্দি হিন্দুশাহী সাম্রাজ্যের ধ্বংস হওয়ার আগের সময় পর্যন্ত আফগানিস্তানে হিন্দুদের সভ্যতাই ছিল প্রধান। সুতরাং এটা বলা যেতে পারে, ভারতীয় আর আফগানদের সভ্যতার ইতিহাস একই সুতোয় বাঁধা ছিল। বিস্তার, সংস্কৃতি, আচার, অনুষ্ঠান, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মেলবন্ধন সবদিক থেকেই দুই অঞ্চলের একে অপরকে মন খুলে ভালোবাসায় আবদ্ধ রেখেছিল।
১২০০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে আফগানিস্তানের ধর্মীয় গঠনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তুর্কি, উজবেকিস্তান, পারসিয়া থেকে বিভিন্ন ইসলামিক গোষ্ঠী আক্রমণ হানে তৎকালীন হিন্দু রাজা শাসিত অঞ্চল এবং জনগণের উপর। অধিকাংশ স্থপতি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। জনগণকে চাপ দিয়ে অত্যাচার করে ধর্মান্তরিত করে। ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বাবর শাসন শুরু হয়। শুধু আফগানিস্থান নয় পুরো ভারত জুড়েই মোঘল শাসন চলে। কিন্তু মূল প্রশ্নটা থেকেই যায়, আফগানিস্তান আর পাকিস্তান দুটোই তো ইসলামী দেশ, তাহলে এদের সম্পর্ক এত খারাপ হল কেন?
১৮৭৯ সালের মে মাস। ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি হয়। ব্রিটিশ এবং মোহাম্মদ ইয়াকুব খানের মধ্যে গান্দামাকের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী বার্ষিক ভর্তুকি ও বিদেশি আগ্রাসনের সময় সহায়তা প্রদানের বিনিময়ে ব্রিটেন আফগানিস্তানের বৈদেশিক সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। যদিও ব্রিটিশরা পরে আফগানিস্তান থেকে সরে আসে এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের উত্তর পশ্চিমে ডুরান্ড লাইনের ওপারে আফগানিস্তানে ব্রিটিশরা উপনিবেশিক শাসন চালানো থেকে বিরত থাকে। সমস্যা এখানেই। ব্রিটিশরা ডুরান্ড লাইনের যে সীমানা তৈরি করে তার মধ্যে খাইবারপাখতুনখাওয়া অঞ্চল পড়লই না। সেটি থেকে গেল ব্রিটিশদের শাসনে। এটি আদতে ছিল আফগান সাম্রাজ্যের অংশ। এখানকার অধিকাংশ জনগণ ছিল পাসতুন সম্প্রদায়ের। তারা অভিযোগ করলো, একদিকে তাদেরকেই তাদের এলাকা থেকে বাদ দেওয়া হল, আবার অন্যদিকে তাদের উপর অন্য সম্প্রদায়ের সামন্ত রাজা (পাঞ্জাবি) শাসন-শোষণ করছে। পাসতুনরা গান্দামাক চুক্তি নিয়ে একেবারেই খুশি ছিল না। পরে ১৯৪৭ এ স্বাধীনতার পর পাকিস্তান এই নির্দিষ্ট অঞ্চলটিকে পুনরায় আফগানিস্তানকে ফেরত দেয়নি। আর ঠিক এই কারণটির জন্যই আফগানিস্তান আর পাকিস্তান এখনো সাপে-নেউলে সম্পর্কের মধ্যে জড়িয়ে আছে। আর মজার ব্যাপার হল, এই ডুরান্ড লাইনের কারণে আফগানিস্তান ভারতের এত ভালো বন্ধু হয়ে উঠল। দুটি দেশের সাধারণ শত্রু, পাকিস্তান। ভারতের কাশ্মীরের কিছু অংশ এবং আফগানিস্তানের পাখতুন প্রদেশ পাকিস্তানের শাসনে এখনো। স্বাধীনতার দুই মাসের মাথায় পাকিস্তান ভারতের উপর হামলা করে। ১৯৪৭ সালে যখন রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তান সদস্য পদের জন্য আবেদন রাখে তখন ভারত বিরোধিতা করে। সে সময় ভারতকে সমর্থন জানায় বন্ধু আফগানিস্তান। ১৯৫০ সালে আফগানিস্তান কয়েকটি অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারতের সাথে। আরো দৃঢ় হয় ভারত-আফগান বন্ধুত্ব।
ভারত-আফগান বন্ধুত্বের বন্ধন ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আরো বেশি গাঢ় করে। এখনো পর্যন্ত বলিউডের প্রায় সমস্ত সিনেমা ভারতের সাথে সাথে আফগানিস্তানেও মুক্তি পায়। আফগানদের ঘরে দেওয়ালে একসময় বলিউডের নায়ক নায়িকাদের ছবি থাকত। নয়ের দশকে আফগানিস্তানে কিছু ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যা রীতিমতো অবাক করে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রেমিকদের। এক তালিবানকে দেখা যায় পাহাড়ের চূড়ায় বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে, তার পরনের গেঞ্জিতে অক্ষয় কুমারের ছবি। শাহরুখ আমির অমিতাভ সলমন সানি দেওল-র সিনেমাগুলো রম-রমিয়ে চলত আফগানিস্তানে। এও শোনা যায় একবার অমিতাভ বচ্চন ১৯৯২ তে যখন কাবুল যান তার সিনেমা খুদা গাওয়া শুটিংয়ের জন্য, তখন আফগানিস্তানে তালিবান এবং সরকারের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। কিন্তু যেহেতু মানুষটি অমিতাভ বচ্চন, তাই দুই পক্ষই ঘোষণা করে সেইদিনটির জন্য যুদ্ধ বন্ধ থাকবে, যেদিন বলিউড শাহেনশা কাবুলে থাকবেন। ভাবা যায়! এইভাবে ভারতীয় সিনেমা ভারত-আফগান সুসম্পর্কে অবদান রাখে।
ভারতীয় ক্রিকেট আফগানদের প্রাণের বিষয়। তারা এর কদর বরাবরই দিয়ে আসছে। এমনকি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের ক্রিকেট টিমটির ট্রেনিং এবং অর্থ সাহায্য প্রায় বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন অনিশ্চিত কারণে। ভারত তখনও বন্ধু হয়ে পাশে থাকে। অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য ছাড়াও বিভিন্ন নামী স্পনসরশীপের যোগান দেওয়া ও ট্রেনিংয়ের বন্দোবস্ত করা, বন্ধুর মতো কর্তব্য পালন করেছে ভারত। নয়ডার স্পোর্টস কমপ্লেক্সটি ভারত সরকার আফগান ক্রিকেট টিমের জন্য অবাধ করে দিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই কান্দাহারে একটি বিশ্বমানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রস্তুত করে দিয়েছে। এসবের জন্য শুধু তালিবান সরকারই নয়, সেখানকার সাধারণ আফগান নাগরিক মাত্রই ভারতীয়দের তাদের প্রকৃত বন্ধুই মনে করে।
শুধু রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সাহায্যতে আটকে থাকেনি ভারত। সামাজিকভাবেও পাশে থেকেছে। সালমা ড্যাম আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় জলাধার। এটি ভারত বানিয়েছে নব্বই মিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা খরচ করে। আফগান সংসদ গৃহ বানিয়ে দিয়েছে ভারত। একশ বছরের বেশি পুরোনো ঐতিহাসিক স্থপতি স্টোর প্যালেস পুনরায় সুসজ্জিত করেছে ভারত। ভারতের এইমসের ধাঁচে একটি বৃহৎ শিশু হাসপাতাল তৈরি করেছে ভারত। রাস্তা, বাঁধ, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যালয়, হাসপাতাল ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ভারত সাহায্য করেছে আফগানদের। ভারতের উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে আফগান ছাত্রছাত্রীদের জন্য। উন্নত মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা, রকম ভেদের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য আফগানদের ভরসার জায়গা ভারত। তালিবান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন বিশ্বের প্রায় দেশ আফগানিস্তানে সব রকমের রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে আফগান সরকার সহ জনজাতি প্রবল খাদ্য সংকটে পড়ে। পাশে দাঁড়ায় একমাত্র বন্ধু ভারত। অন্যান্য উন্নত ও উন্নয়নশীল পাশ্চাত্য দেশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মানবিকভাবে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে খাদ্য, বস্ত্র ও দরকারি ওষুধ দিয়ে সাহায্য করে ভারত। আফগানিস্তানের মানুষ প্রতিদানে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে ভারতকে। এক সমীক্ষায় প্রায় পঁচাত্তর শতাংশ আফগান জনসাধারণ তাদের প্রিয় বন্ধু হিসেবে ভারতকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। এ পাওনা ভারতের কাছে পরম গৌরবের।
শুধু জনতা নয়, তালিবান সরকারও ভারতকেই পছন্দের শীর্ষে রেখেছে। তালিবানরা ক্ষমতায় আসতেই অনেক দেশের কূটনীতিকদের মত ছিল, এবার কাশ্মীর সমস্যা আরো জটিল হবে ভারতের কাছে। পাকিস্তান আর আফগানিস্তান দুই দেশ মিলেই কাশ্মীরে অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা চালাবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং তালিবান সরকার প্রকাশ্যে ঘোষণা করে, কাশ্মীর ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এতে কোনোভাবেই তালিবান নাক গলাবে না। অন্যান্য আফগান সরকারগুলোর মত তালিবান সরকার ভারতের সাথে সুসম্পর্ক মজবুত রাখবে। তারা আরও জানায় অতি দ্রুত ভারতে আফগান দূতাবাস তৈরি করা হবে। পূর্বতন সরকারের চুক্তি অনুযায়ী ছাবাহার বন্দর ভারতের সামরিক ভাবে ব্যবহারের জন্য মুক্ত করে দেওয়া হয়। ভারত সরকারও পিছিয়ে থাকেনি। তারা জানিয়ে দেয় তালিবান সরকারের সহিত দুই দেশের স্বার্থে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরো কয়েকটি চুক্তি করা হবে। মূলত ব্যাপারটি এমনভাবেই বিশ্লেষণ করা যেতে পারে, আফগানিস্তানে যে সরকারই আসুক না কেন তারা ভারতের সাথে তাদের বন্ধুত্ব আরো জোরদার করবে। ভৌগলিক দিক থেকে এটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কৌটিল্য অর্থশাস্ত্রে লিখেছেন, 'যদি আপনার প্রতিবেশী দেশ আপনার শত্রু হয়, তবে আপনি অবশ্যই তার প্রতিবেশী দেশের বন্ধু হয়ে উঠুন'। এ যাবৎকাল ভারতের সরকারগুলি যা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আসছে।
4 Comments
Khub tathyasamriddha anobadya lekha....
ReplyDeleteএত তথ্য কিন্তু আমার জানা ছিল না। এত সুন্দর উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। বরং বলব আরো এইরকম লেখার পরিমাণ বাড়াও।শুভেচ্ছা রইল।
ReplyDeleteঅসাধারণ লেগেছে লেখাটা ।
ReplyDeleteSotti Encyclopedia
ReplyDelete