পর্ব -৩৯
মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনিয়া
|| চন্দন পিঁড়ি নদী...||
তাদের ন্যাশনাল মেডিকেলে ডান আর বাম এই দুটো ছাত্র ইউনিয়ন। ডি এস ওর কয়েকজন টিমটিম করলেও তৃতীয় ফ্রন্টের কোনো অস্তিত্বই নেই। হস্টেলের মুনদিদির সঙ্গে সে অবশ্য এ বি এস এর কাজেকম্মে যাতায়াত করে আর ক্রিক রোর অফিসে গিয়ে বাজে হাতের লেখায় পোস্টার লিখে আসে।
বাস ভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কলেজ স্ট্রিটে তাদের পথ অবরোধ ছিল। যেখানেই যাই বাসের ভাড়া বাড়ে জানো মুনদি? যখন ইস্কুলে পড়তাম বাসভাড়া দিয়েই হাতে খড়ি হয়েছিল।হাসিস না যে কোনো মুহূর্তেই লাঠি চার্জ হতে পারে।একটু পরেই কাঁদানে গ্যাস আর লাঠিরা এসেও পড়ল।অনেকের সঙ্গে সে আর মুনদি মেডিকেল কলেজের দিকে দৌড় দিল। হাঁপাতে হাঁপাতে দুজনে যখন ক্যান্টিনে গিয়ে ঢুকল ততক্ষণে টিয়ার গ্যাসে নাকের জলে চোখের জলে একাক্কার দুজন।ঝিনির আবার একপাটি জুতো হারিয়ে গেছে। খালি পায়ে বাসে চড়ে হস্টেলে ফিরতে হলো।
পরে জানা গেল আঠারো জনকে গ্ৰেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে গেছে। পরের দিন ব্যঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দিতে হবে এই মর্মে সন্ধ্যাবেলা তাদের জামিন হয়েছে মেডিকেল কলেজের বাবলাদা এসে জানিয়ে গেল।
কোর্টে অন্যান্য কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সে আর মুনদিও গেল পর দিন। নানা কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা হাজির হয়েছিল তাদের মতোই।
বন্দুক হাতে পুলিশকে দেখে এন আর এস এর সুনন্দদা বলল দাদা দেখছি জ্যান্ত আর এমন বেয়াকুব আমি ভাবলাম স্ট্যাচু কিনা কাছে গিয়ে দেখি?আর নীলদা হাসতে হাসতে গুজগুজ করছিল মনে আছে আগে বাবা কাকারা স্লোগান দিত ,পুলিশ তুমি যতই মারো/মাইনে তোমার একশো বারো!
ফুরফুরে মেজাজে ফেরার পথে সবার কাছ থেকে বাসভাড়া একসাথে জড়ো করছিল কে যেন।অলিদি বলল, আচ্ছা পুর্ণদা,চাঁদা তুলে বাসের ভাড়া না দিয়ে চাঁদা তুলে পুলিশ পেটালে হয় না?এসব
ঝামেলাঝাঁটির মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ল ফার্স্ট এম বি বি এস।
ফার্স্ট ইয়ারে শনিবার হলেই সে বনগাঁ লোকাল ধরে বাড়িমুখো হতো। বারাসাত ছাড়ালেই ইটের খাঁচা গুলো ছাড়িয়ে দুধারে ধান মাঠের উধাও সবুজ দেখে শান্তি লাগত চোখের আবার সোমবার সকালে ফেরত আসার সময় চলন্ত জানলার দুধারে বস্তির মুখোমুখি আলিশান ঘরবাড়ি চেপে এলে মনে হতো তার গলা বুকও চেপে আসছে।
নানা ছুতোনাতি ধরে প্রায় প্রায় সোমবার সে কামাই দিত বলে ফার্স্ট এম বি বি এসের আগে পার্সেন্টেজ কমের জন্য রাবণের ঘরে ডাক পড়ল তার।
লম্বা চওড়া দশাসই চেহারার জন্য প্রিন্সিকে আড়ালে রাবণ বলত সবাই।এই যে ম্যাডাম, অ্যাটেনডেন্স এত কমের কারণটা কী?
বাজখাঁই গলার সামনে বুজবুজ করে সে বলল,স্যার শনিবার হলেই বাড়ি যেতে ইচ্ছে করে আর সোমবার বা কোনো কোনো মঙ্গলবার অবধি আমার আসতে ইচ্ছেই করে না; সেই কারণে।নাকের ডগায় চশমা ঝুলিয়ে খানিক হাঁ মতো মুখ করে রাবণ ভোম্বল মতো হয়ে তাকিয়ে রইল তার দিকে। গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন পরীক্ষার আগে অবধি আর যেন এরকম না হয়। তারপর থেকে বায়োকেমিস্ট্রি পড়াতে ক্লাসে ঢুকলেই রাবণ তার দিকে তাকিয়ে এই যে মিস হোমসিক ,পড়াশুনোয় তো লবডঙ্কা আর
উইক এণ্ড এলেই বাড়ি বলে বেঘো গলায় একখানা হাঁক ছাড়তেন।
🍂
আ্যনাটমি ভাইভার দুদিন আগে সন্ধেবেলা দল বেঁধে ঝিনিরা এন আর এসে গেছিল বডি চিনতে। ফার্স্ট এম বি বি এস এর সিট পড়েছে নীল রতনে।
কোন বডিটাতে পরীক্ষা দিতে হবে ডোমের কাছ থেকে জেনে নিয়ে সবাই মিলে সেই বডির অর্গানগুলো খুঁটিয়ে দেখে আসাই নিয়ম।
কেমিক্যাল দেওয়া শুকনো মৃতদেহর আর্টারি ভেইন আর নার্ভ খুব ঘুলিয়ে যায়। এমনকি মাসল টেন্ডনও এতো শুকিয়ে থাকে যে না চেনা থাকলে ভাইভার প্রবল টেনশন মিলে মিশে ভেসলস বলেও ভুল হতে পারে আর আ্যনাটমির প্রথম শর্তই চিনতে পারা।একস্টার্নাল একজামিনার হেলাফেলায় স্টিক দিয়ে যেটা দেখাবেন চিনতে না পারলে পরীক্ষের ওখেনেই ইতি কারণ আইডেন্টিফিকেশন ঠিক হলে তবেই না সেটা থেকেই বাঘাটে গলায় পর পর প্রশ্নগুলো ধেয়ে আসবে।
যাদের যে মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা সবাই গিয়ে তাই বডি দেখেশুনে আসে।রাত আটটা নাগাদ ডোমের পিছু পিছু লো ভোল্টেজ বাতির তলায় ডিসেকশন হলের টেবিলে গোল হয়ে দাঁড়ালো তারা।
হৃষিই তাদের মধ্যে জানে শোনে বেশী বলে
সে ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু চেনাচ্ছিল। মতান্তর ও নিচু গলায় তর্কও চলছিল।চল্লিশ মিনিট টাইম দিয়েছে ডোম। তারপর সে হলঘর তালা দিয়ে কোয়ার্টারে ফিরবে।
হঠাৎ করেই অর্ক ফিসফিসিয়ে উঠল রাত গভীর,কেউ কোত্থাও নেই।ধর যদি কোনো কথা না বলে মড়াটা আস্তে আস্তে উঠে বসে তাকায় এখন?
ভালো মানুষ তৃণা তৎক্ষণাৎ ওরে ম্মারেএএ বলে লাফ দিল আলোকের ঘাড়ে আর হুমড়ি খেয়ে পড়তে পড়তে কোনো রকমে সামলে নিয়ে দারুণ বিরক্ত হয়ে আলোক বলল আমাকে কি তোরা চীনের প্রাচীর ঠাউরেছিস? এমনিতেই ভালো করে দেখতে পাচ্ছি না,যা দেখছি বুঝতে পারছি না, বুঝলেও মনে থাকছে না,যেটুক মনে থাকবে ভাইভার সময় মাথা থেকে বেবাক উড়ে যাবে মালুম দিচ্ছে ; এর মধ্যে পাটের গাঁটরির মতো ঘাড়ে এসে পড়ল! অর্কটাই ঝঞ্ঝাট একটা।ইচ্ছে করে নেংটি ইঁদুরে মতো চিপকে সবকটার মাথা ঠুকে দি।
কুল!কুল!সাগর বলল,খালি খালি বড্ডই টেনশন করছিস।বেশ করব টেনশন করব,কার পিতৃদেবের কী?রুখে উঠল গৌরব ; ঘাড়ের ওপর পরীক্ষের খাঁড়া ঝুলছে আর প্রাণ খুলে টেনশন করতেও পারব না?মামা বাড়ির আবদার!হেসে উঠল সবাই। আস্তে আস্তে। চুপিচুপি বডি চিনতে এসে ষাঁড়ের মতো সব আওয়াজ বের করছে দ্যাখো।অচেনা কলেজে রাতের থমথমে আ্যনাটমি হলও একটুখানি শ্বাস নিল।
ফার্স্ট এম বি বি এস এর ফাঁড়া কাটিয়ে থার্ড ইয়ারে উঠলে সেবার তাদের ঘাড়েই লেডিস হস্টেলের পুজোর ভার পড়ল কেননা এই সময়টাতে সেমেস্টার নামের বিকট রাক্ষসটা কেবল থার্ড ইয়ারের একটু দূরে দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাস ফেলে বলে কাঁধের ভারটা একটু হালকা থাকে তাই চারটে বয়েজ হস্টেল আর একখানা লেডিস হস্টেলে পুজো সেই সেই হস্টেলের থার্ড ইয়াররাই সামাল দেয়। সিনিয়রদের নজরদারিতে কলেজের পুজো দেখে ফার্স্ট ইয়ার।
রোববার সকালে ঝিনি গেছিলো দাদাদের হস্টেলে। পরীক্ষার পর পরই পুজোর কারণে বাড়ি যাওয়া হয়নি মাসখানেক, তাছাড়া থার্ড ইয়ারে ক্লাস আর প্রাকটিক্যালের গুঁতোয় উইক এণ্ড গুলোতেই তারা দল বেঁধে পুজোর কাজের সময় পায়। সে ,আলু আর কৃষ্ণকলি গেছিলো কলেজ স্ট্রিটের দোকানে সরস্বতী পুজোর কার্ড পছন্দ করে ছাপতে দিতে। কাজ সেরে ওরা দুজন পার্ক সার্কাসের বাস ধরল আর ঝিনি দাদাদের সঙ্গে দেখা করতে ওদের হস্টেলে গেল।দানির পোস্ট গ্ৰাজুয়েশনের পরীক্ষাও এসে গেছে।
একটা জরুরি কথা ঝিনি।দানি তাকে দেখেই ষড়যন্ত্রের ভঙ্গিতে ফিসফিস করে বলল।কী হয়েছে? এই যে আর্ম হার্স্ট স্ট্রিট ধরে হেঁটে এলি তুই রাস্তায় কোনো কুকুর দেখলি? কুকুর? ভুরু কুঁচকে ঝিনি বলল না তো।দেখবিও না। রোববার আর বুধবার আমাদের হস্টেলে মাংস হয় তো। বিভূতিদা বল্টুকে নিয়ে কুকুর ধরতে বেরোয়।জগুবাবুর বাজার থেকে একেবারে উড়ালপুলের তলা অবধি এ অঞ্চলে কোনো কুকুর তুই দেখতে পাবি নে।সব ফিনিশড! খেয়ে খেয়ে আমরা শেষ করে ফেলেছি। তোর মাথা।ওয়াক থু! ওয়াক টোয়াক বাদ দে।এই রেটে চললে একদিন কলকাতার সব কুকুর আমরা খেয়ে শেষ করবো।
যত্তসব বাজে কথা। রোববার আর বুধবার আমাদের হরি কাকার মেসেও মাংস হয়। খুব ছোট দুটো টুকরো আর যত চাও ঝোল।কুকুরের? মোটেও না ব্রয়লার মুরগির। আলু সেদিন মাংস নিয়ে খুব চেঁচামেচি করছিল। ডেঞ্জারাস! মাংসের ঝোলের আলু চেঁচাচ্ছে?ধুর বাবা, ত্রিপুরার আলোলিকাকে আমরা আলু বলে ডাকি না? আর আমাদের মাংসে এমন কিপটে হরিদা আলু দেয়ও না। সেদিনকে আলুর থালায় দুটো সরু সরু গলার টুকরো দিয়েছে বলে চেঁচামেচি করে হরি কাকার পিণ্ডি চটকে দিয়েছে।সে একেবারে আঙুলের মতো।অত সরু গলার টুকরো কুকুরের হতেই পারে না। হয়তো সরু কুকুর!
ফালতু বকবি না দানি।কেক কিনে দে। দানি নীচে থেকে বাপুজী কেক এনে বলল সাবধান তলার কাগজটাও কেক ভেবে খেয়ে নিস না। মিতুর সাথে রোল খেতে গিয়ে নাকি তলার কাগজটাও খেয়েছিস কবে। সত্যি,ক্লাস থ্রির পর থেকে তো বুদ্ধি তোর আর বাড়ল না।ফাজলামি করবি না আর একটা দে।দু নাম্বার কেকটা এগিয়ে দিতে দিতে দানি বলল বোকারা বেশী খায় জানিস তো? ঠিক, আর দুটো দে। হস্টেলে ফিরতে ফিরতে একটা খাব আর একটা কাল।আরো দুটো কেক এগিয়ে দিয়ে ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে দানি বলল "তুমি সবটাই খেলে আমি দিনু দাম!"
ছোড়দা ঘরে ঢুকতেই তোরা নাকি পৃথিবীর সব কুকুর খেয়ে ফেলেছিস ছোড়দামনি?
পাঁচ নাম্বার কেকটা ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে ছোড়দা বলল অরুর কথা শুনিস কেন! সেদিন দুপুরে বিভূতিদাকে ধরে পড়ল কী রান্না করো তুমি বোতাম সেদ্ধ হয় না! ঘটনা কী?আরে ভাতের মধ্যে অরু একখানা সার্টের বোতাম পেয়েছিল। খাওয়ার টেবিলে বিভূতিদার হাতে বোতামখানা ধরিয়ে বলতে লাগল বিশ্বেস না হয় নিজে টিপে দ্যাখো তুমি। আলু বেগুনের মতো বোতাম ভাতে তুমি দিতেই পারো কিন্তু তাই বলে ভালো করে সেদ্ধ করবে না এ কেমন কথা?
ঝিনিদের হস্টেলেও হরি কাকার মেসে সারাবছর মেনু ফিক্সড।ফিফথ ইয়ারের শুভ্রাদি সেদিন বলছিল এর'ম পায়রার ডিমের মতো সাইজের ডিম তুমি পাও কোথায় কাকা? দোকানে।তালে দোকানদার নিশ্চয়ই মুরগিদের বলে লেডিস হস্টেলে যাবে ডিম ;ছোট করে পাড়বি তোরা।
ক্লাসের ফাঁকে রোজ তবু আলুর সঙ্গে থালা হাতে তিনতলায় হরিকাকুর মেসে দুপুরের ভাত আনতে ছোটে। বুধবার আর রোববার দুপুর বাদে সব দিন দুপুরে সিলভার কার্প আর রাতে ডিমের ঝোল হয়।বরাবর সাবান গোলার মতো অখাদ্য স্বাদের সেই ঝোল থেকে শুধু মাছ বা ডিম টুকু তুলে নেয় সবাই।
পাতলা হলুদ একটা নোনতা জলের নাম ডাল। সেই ডাল ভাতে ঢেলে নিয়ে ঝুরো আলুভাজায় নুন মেখে কুঁদরি বা লাউঘন্ট দিয়ে ভাত খেয়ে নেয় সবাই। অনেকে অবশ্য ভাজা মাছটা রুমে নিয়ে একটু টমেটো আলু কেটে কাঁচা লঙ্কা আদা থেঁতো করে ঝোল বানিয়ে নেয়।
এর মধ্যে ছোড়দা তাকে একদিন অমিতাভদার কাছে নিয়ে গেল। ছোড়দা আবৃত্তি শেখে ওনার কাছে। সারা বাংলা প্রতিযোগিতায় কর্ণ কুন্তী সংবাদ করতে হবে ছোড়দার সাথে। গলা তো বেশ মিঠে আর নরম।সোলো কম্পিটিশনের জন্য একটা কবিতা বেছে দিই দাঁড়াও বলে চন্দন পিঁড়ি নদী... তুমি কি এখনো সাগরের কাছাকাছি আছো... কবিতাটা গোটা গোটা অক্ষরে অমিতাভদা লিখে দিলেন।দুজনের কেউই তারা প্রাইজ টাইজ পেল না অবশ্য কিন্তু কবিতাটা তার সঙ্গে রয়ে গেল।
আজকাল সে বুঝতে পারে তারে প্যাঁচানো এই শহর খুব আস্তে আস্তে জড়িয়ে ধরছে তাকে।এমনিতে বোঝা যায় না শুধু ছুটিছাটার দিনে বা শনিবার তাড়াতাড়ি হস্টেলে ঢুকে গেলে প্যাথোলজি বা পি এস এম বই বগলে চারতলা ছাদের জলের ট্যাঙ্ক বেয়ে চিলেকোঠার পাঁচ তলার ছাদে উঠে সে আর আলু পড়তে বসে যখন খানিক পরে আলো মরে যায়।বিকেলের সেই মরা আলোয় ন্যাড়া চিলেকোঠার ছাদে চিৎপাত হয়ে ওরা শুয়ে থাকে। একটা দুটো তারা ফুটে ওঠে।তখনই মনে হয় এমুড়ো ও মুড়ো দেখা যায় না এমন এক মস্ত ময়াল তাকে পেঁচিয়ে ধরে খুব আস্তে আস্তে চাপ দিচ্ছে আর হাড় মটমটিয়ে মিশে যাচ্ছে নিরুপায় রক্ত মাংসের সঙ্গে।এই বজ্র আলিঙ্গন থেকে তার আর বেরোবার উপায় নেই।
সেই ক্ষোভেই হয়ত এই মেডিকেল সাইন্স আর কলকাতা শহর তার দূরপর হয়েই রইল। শুধু ওই ন্যাড়া চিলেকোঠার ছাদে ওঠে যখন, দিনের আলো মরে গিয়ে হালকা বেগুনি রঙ ধরে আকাশে; পাঁচ তলার ন্যাড়া চিলেকোঠার ছাদে চিৎ হয়ে শুয়ে সে আপনমনে বিড়বিড় করে আমি যে গান চাই/সেই গান শোনাতে পার না কেন নদী?সব ঢেউ পারে না তো হৃদয় দোলাতে/সব পাখি জানে না তেমন ছন্দ... চন্দন পিঁড়ি নদী... তুমি কি এখনো সাগরের কাছাকাছি আছো?
0 Comments