জ্বলদর্চি

চন্দ্রমল্লিকা/ ভাস্করব্রত পতি

বাংলার ঘাস পাতা ফুল ফল, পর্ব -- ৬৬
চন্দ্রমল্লিকা

ভাস্করব্রত পতি

'চন্দ্রমল্লিকা, চন্দ্রমল্লিকা
চাঁদের দেশের পথভোলা ফুল চন্দ্রমল্লিকা।
রঙ পরীদের সঙ্গিনী তুই অঙ্গে চাঁদের রূপ শিখা॥
ঊষর ধরায় আস্‌লি ভুলে তুষার দেশে রঙ্গিনী
হিমেল দেশের চন্দ্রিকা তুই শীত শেষের বাসন্তিকা॥
চাঁদের আলো চুরি ক'রে আনলি তুই মুঠি ভ'রে,
দিলাম চন্দ্রমল্লিকা নাম তাই তোরে আদর ক'রে।            ভঙ্গিমা তোর গরব ভরা,            
রঙ্গিমা তোর হৃদয় হরা,
ফুলের দলে ফুলরানী তুই ─ 
তোরেই দিলাম জয়টিকা'॥
   -- কাজী নজরুল ইসলাম
সাদা চন্দ্রমল্লিকা

সুদুর ঝাড়খণ্ডের মধুপুরের প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে একসময় যে চন্দ্রমল্লিকার আগমন ঘটেছিল পশ্চিমবঙ্গের বুকে, আজ তাইই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার ফুলচাষীদের গর্বের বিষয়। সংসার চালানোর অন্যতম হাতিয়ার। যদিও চন্দ্রমল্লিকার বেশিরভাগ প্রজাতির উদ্ভব পূর্ব এশিয়া। তবে বৈচিত্র্যময় চন্দ্রমল্লিকার মূল কেন্দ্রস্থল চিন। এখানে চন্দ্রমল্লিকা চাষের ঐতিহ্য ১৬০০ বছরের প্রাচীন। সাং রাজবংশের সময়কালে এই চাষের শ্রীবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি ঘটেছিল বলে জানা যায়। 

এটি চিনের 'চার অভিজাত' ফুলের মধ্যে একটি। বাকি ফুলগুলি হল বরই ফুল, বাঁশ এবং অর্কিড। চিনের ঝোংশান শহরের নামের আভিধানিক অর্থ হল 'ক্রিস্যান্থিমাম শহর'। চিনের বেইজিং ও কাইফেং, আমেরিকার চিকাগো ও স্যালিনাস শহরের সরকারি ফুল হিসেবে পরিচিত চন্দ্রমল্লিকা। ১৯৮৩ সাল থেকে এই কাইফেং শহরের বুকে আয়োজিত হয়ে চলেছে চন্দ্রমল্লিকা সাংস্কৃতিক উৎসব। ১৯৯৪ সালে এটি চিন কাইফেং চন্দ্রমল্লিকা সাংস্কৃতিক উৎসব নামে পরিচিতি লাভ করেছে। যা চিনের সবচেয়ে বড় চন্দ্রমল্লিকা উৎসব। প্রতিবছর ১৮ ই অক্টোবর থেকে ১৮ ই নভেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। অষ্ট্রেলিয়ায় মা দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয় চন্দ্রমল্লিকা ফুল দিয়েই। 
ফুলভর্তি চন্দ্রমল্লিকা বাগানে চলছে ফুলের পরিচর্যা

সাদা চন্দ্রমল্লিকা প্রতিকূলতা, বিলাপ এবং শোকের প্রতীক। ফ্রান্স, কোরিয়া, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইতালি, হাঙ্গেরি, স্পেন, ক্রোয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে চন্দ্রমল্লিকা ফুল ব্যবহৃত হয় মৃত ব্যক্তিকে সম্মান জানাতে এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। অল সোলস ডে এবং অল সেন্টস ডেতে চন্দ্রমল্লিকা ফুল অর্পণ করা হয় মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে। কোথাও কোথাও এটি সততার প্রতীক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি ইতিবাচক দিক এবং প্রফুল্লতার  প্রতীক। চিন দেশে চন্দ্রমল্লিকার অর্থ প্রফুল্লতা বা আনন্দ। এখানে লাল রঙের চন্দ্রমল্লিকার অর্থ 'আমি ভালোবাসি'। জাপানে চন্দ্রমল্লিকা হল সেখানকার সম্রাট এবং রাজ পরিবারের প্রতীক। জাপানি সম্রাটের পদ এবং সিংহাসনকে 'ক্রিসান্থিমাম সিংহাসন' বলা হয়। 'দ্য সুপ্রিম অর্ডার অফ দ্য ক্রিসান্থিমাম' হল জাপানের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্মান। একসময় চিনের হান রাজবংশের লোকেরা তাঁদের আয়ু বাড়াতে নবম চন্দ্র মাসের নবম দিনে চন্দ্রমল্লিকার ওয়াইন পান করার রীতি অনুসরণ করত।

আজ পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া, হুগলির চাষীদের কাছে অন্যতম অর্থকরী গাছ এই চন্দ্রমল্লিকা। শীতের মরশুমে গোলাপ, রজনীগন্ধা, জিপসি, মুরগীচটা, চেরীগোল্ড, কসমসের বাজারে চন্দ্রমল্লিকার যে আলাদা একটা আলাদা আভিজাত্য রয়েছে, সেকথা প্রতিটি চাষীই একবাক্যে স্বীকার করেন। ডেকোরেটিং শিল্পে চন্দ্রমল্লিকা এখন অন্যতম ফুল। আর এই পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি মুম্বাই, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, দিল্লি, ভূবনেশ্বর ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যের পথে নিয়মিত পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রময়িকা। আসছে বৈদেশিক মুদ্রা। মূলতঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানার বিভিন্ন অঞ্চলে চন্দ্রমল্লিকার চাষ সবচেয়ে জোরদার। হুগলীর জিরাটে সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় চন্দ্রমল্লিকার চারা। মূলতঃ কাটিংয়ের সাহায্যে এই চারা তৈরি করে চাষীরা। 

চন্দ্রমল্লিকাকে ইংরেজিতে বলে Chrysanthemum। এই ইংরেজি প্রতিশব্দটি গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে। এই Chrys এর অর্থ স্বর্ণ বা সোনা। আর anthemum এর অর্থ ফুল। অর্থাৎ সোনার ফুল। ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'কার্স অফ দ্য গোল্ডেন ফ্লাওয়ার' সিনেমায় যে 'সোনালী ফুল'-এর উল্লেখ করা হয়েছে, তা এই চন্দ্রমল্লিকাই। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম Chrysanthemum indicum L। এটি Asteraceae পরিবারের অন্তর্গত। এর অপর নাম হল 'সেবতি'। 
চন্দ্রমল্লিকার চারা দেখাশোনা করার কাজ চলছে। ফুল ফোটার অপেক্ষায়।

এছাড়াও আরও যেসব প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায় সেগুলি হল -- 
Chrysanthemum aphrodite
Chrysanthemum arcticum
Chrysanthemum argyrophyllum
Chrysanthemum arisanense
Chrysanthemum boreale
Chrysanthemum chalchingolicum
Chrysanthemum chanetii
Chrysanthemum cinerariaefolium
Chrysanthemum coronarium, 
Chrysanthemum crassum
Chrysanthemum glabriusculum
Chrysanthemum hypargyrum
Chrysanthemum indicum
Chrysanthemum japonense
Chrysanthemum japonicum
Chrysanthemum lavandulifolium
Chrysanthemum mawii
Chrysanthemum maximowiczii
Chrysanthemum mongolicum
Chrysanthemum morifolium
Chrysanthemum morii
Chrysanthemum okiense
Chrysanthemum oreastrum
Chrysanthemum ornatum
Chrysanthemum pacificum
Chrysanthemum potentilloides
Chrysanthemum segetum
Chrysanthemum shiwogiku
Chrysanthemum sinuatum
Chrysanthemum vestitum
Chrysanthemum weyrichii
Chrysanthemum yoshinaganthum
Chrysanthemum zawadskii

'চন্দ্রমল্লিকা' আজ রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো পাঁশকুড়ার চাষীদের কাছে আত্মার আত্মীয়। হাজার প্রতিবন্ধকতাতেও দোকাণ্ডা, রাজশহর, নস্করদিঘী, মহৎপুর, কলিশ্বর, নারান্দা এলাকায় চাষীদের জমিতে প্রতিবছর ফোটে সাদা, হলুদ ও বেগুনী রঙের চন্দ্রমল্লিকা। চাষীদের কাছে 'কুইন অব তমলুক', 'রো গোল্ড', চন্দ্রমা স্টার' ছাড়াও 'মিহিজাম', 'বাতাসা', 'পমপম' ইত্যাদি প্রজ্ঞাতি চন্দ্রমল্লিকা চাষের গুরুত্ব বাড়ছে। বড় প্রজাতির চন্দ্রমল্লিকা হল -- চন্দ্রমা, স্নো বল, রোজ ডে, পুইসা পকেট, সোনার বাংলা এবং ছোট প্রজাতির চন্দ্রমল্লিকা হল -- বাসন্তী, মেঘামী, উনা ইত্যাদি। এছাড়াও চাষীদের বাগানে ফুটতে দেখা যায় -- চেরি, ক্লারা কার্টিস, ফায়ারগ্লো ব্রোঞ্জ, জলি চেরি ইত্যাদি। এখন রঙিন জলের মধ্যে সাদা চন্দ্রমল্লিকার ডাঁটা ডুবিয়ে রেখে অসমোসিস পদ্ধতিতে ফুলের বিভিন্ন রঙ করে দেওয়ার চল শুরু হয়েছে। দোকাণ্ডার ফুলের মেলায় এই চন্দ্রমল্লিকার তৈরি মাথার রিবন ফুলপ্রেমীদের কাছে ক্রমশঃ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এখন। কবিদের লেখনীতেও বারবার এসেছে এই চন্দ্রমল্লিকার উপস্থিতি। এই ফুলের রূপ রস সৌন্দর্য দেখে কলমের ডোগায় বেরিয়ে আসে --
'চোখে গাঢ় কাজল,
পায়ে আলতার কারুকাজ,
কপালে ছোট্ট একটা কালো টিপে
আমি তোমার কবিতায় চন্দ্রমল্লিকা হয়ে উঠতাম
কী দোষ হতো আজ তুমি আমার পাশে থাকতে,
আমার শাড়ির কুচি ধরে দিতে
কী এমন ক্ষতি হতো,
হাতে হাত থাকলে?
অপলক তাকিয়ে থাকতে টিপটা ঠিক করতে।
মন খারাপ হলে যে আমার সাজতে ইচ্ছে করে
আর সাজলেই মন খারাপ হয়'।
  --- আনজানা ডালিয়া
এভাবেই বাঁশের খুঁটি দিয়ে চন্দ্রমল্লিকা গাছ বেঁধে রাখা হয়, যাতে ফুলের ভারে লুটিয়ে না পড়ে।

চন্দ্রমল্লিকা চাষ করে আজ কয়েক হাজার চাষীর ফিরেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। আজ অনেকেই চন্দ্রমরিকা চাষ করে দিব্যি লাভের মুখ দেখছেন। স্বর্গীয় অবিনাশ চৌধুরীর দৌলতে আজ বাড়ছে পাঁশকুড়ার ফুলের কদর। মোটামুটি এক একর জমিতে এই চাষে খরচ হয় পঞ্চান্ন থেকে ষাট হাজারের মতো। আর মোট আয় হয় প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তবে ইদানিং সারের দাম বেড়ে যাওয়ায়, মাটির উর্বরাশক্তি না থাকায়, সঠিক দাম না পাওয়ায় এবং আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের অভাবে লোকসানের বহর বেড়েছে। 
চন্দ্রমল্লিকার হাসি

সাধারণত চৈত্র বৈশাখ নাগাদ চারা রোপন করা হয়। 'মাদার প্ল্যান্ট' থেকে সংগ্রহ করা চারা ১০ ইঞ্চি ব্যবধানে লাগাতে হবে। এক একর জমিতে প্রয়োজন হয় প্রায় ১২ হাজার চারা। প্রথমে দোঁয়াশ মাটিকে ঝুর ঝুরে করে সেখানে নিম বা খইল ও চুন মিশিয়ে রেখে লক্ষ্য রাখা উচিৎ যাতে ঐ জল যেন না জমে। এরপর থেকে ২০ দিন পর জমিতে চারা রোপন করতে হয়। সেসময় সার প্রয়োগ করতে হবে। মোটামুটি একর পিছু ৭০০ কেজি নিম বা সরিষার খইল, ১০ লিটার হিউমার, ২০০ ফেভি সুপার ফসফেট, ১০ কেজি এ্যামোনিয়াম সালফেট এবং ১০ কেজি ডি এ পি ব্যবহার করতে হবে। চারা রোপনের ১৫ দিন পর নতুন পাতা গজায়। এবং ২১ দিন পর হালকা সার প্রয়োগ করতে হবে। জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য রাসায়নিক সারের পরিমাণ কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহারে লাভ সবচেয়ে বেশি। অক্টোবর মাসে কুঁড়ি ফোটে এবং নভেম্বরে ফুল ভরে যায় গাছে। ইদানীং এই ফুল ফোটার সময়টুকু পিছিয়ে দিতে চাষীরা চন্দ্রমল্লিকার জমিতে রাতে আলোর ব্যবস্থা করেছে। এরফলে ফুলের কুঁড়ি আসা এবং ফুল ফোটার সময় পিছিয়ে যায়। আসলে তখন ফুলের চাহিদা থাকে। আর সেজন্য চাষীরা ফুলের জন্য একটা যুৎসই দাম পায়। 
মাঠভর্তি চন্দ্রমল্লিকা

চন্দ্রমল্লিকা চাষে কয়েকটি রোগের উল্লেখ করতেই হয়। এইসব রোগ এবং পোকার আক্রমণে অনেকসময় চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। চন্দ্রমল্লিকার চাষে প্রথমেই আসবে 'টুয়া' বা 'নেক ব্লাস্ট' রোগের নাম। এই রোগে পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাতায় মাঝে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। প্রথম অবস্থায় এই রোগ এলে কার্বেন্ডাজিম ও ম্যাঙ্কোজের এবং আরও বাড়াবাড়ি হলে ১০ লিটার জলে ১ গ্রাম স্টেন্টোসাইক্লিন, কপার অক্সি ক্লোরাইড বা কনটাপ মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফল হয়। ফুল ফোটার সময় ছিদ্রকারী পোকার ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা যায়। তখন ক্লোরোপাইরিফস ২০ ই সি (১০ লিটার জলে ২৫ মিলি) এবং সাইপারমিথ্রিন ১০ ই সি (১০ লিটার জলে ১০ মিলি) মিশিয়ে স্প্রে করা উচিৎ। তবে যতদূর সম্ভব সিন্থেটিক প্যারাগ্রয়েড না ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আবার 'মাইটিস' জাতীয় পোকা অনেক সময় পাতার রস চুষে নেয়। সেক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় সপ্তাহে দুবার বিকেলে গাছের গোড়ায় রস রেখে ১০ লিটার জলে ৩০ গ্রাম সালফার এবং ১০ লিটার জলে ২০ মিলি এন্ডোসালফান মিশিয়ে স্প্রে করতে হয়। তবে বাড়াবাড়ি হলে লিটার পিছু ১ মিলি প্রপিনোফস ব্যবহার করলে ভালো ফল মেলে। মাঝেমাঝে চন্দ্রমল্লিকার পাতা ঝলসে যায়। একে 'ব্যামাটোর' বলে। সাধারণত এ রোগের কোনও প্রতিকার নেই। তবে মাটি তৈরির সময় ব্লিচিংয়ের সঙ্গে তুঁতে মিশিয়ে দিলে এ রোগের আক্রমণ কম হয়। অনেকে আজকাল এ রোগের প্রতিকার হিসেবে স্টেন্টোসাইক্লিন এবং কার্বেন্ডাজিম তথা সাইভিস্টিন, ব্যাভিস্টিন, ডেংরাসাল ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন।

সাদা চন্দ্রমল্লিকা প্রতিকূলতা, বিলাপ এবং শোকের প্রতীক। ফ্রান্স, কোরিয়া, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইতালি, হাঙ্গেরি, স্পেন, ক্রোয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে চন্দ্রমল্লিকা ফুল ব্যবহৃত হয় মৃত ব্যক্তিকে সম্মান জানাতে, শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। কোথাও কোথাও এটি সততার প্রতীক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি ইতিবাচক দিক এবং প্রফুল্লতার  প্রতীক। চিন দেশে চন্দ্রমল্লিকার অর্থ প্রফুল্লতা বা আনন্দ। এখানে লাল রঙের চন্দ্রমল্লিকার অর্থ 'আমি ভালোবাসি'। জাপানে চন্দ্রমল্লিকা হল সেখানকার সম্রাট এবং রাজপরিবারের প্রতীক। জাপানি সম্রাটের পদ এবং সিংহাসনকে 'ক্রিসান্থিমাম সিংহাসন' বলা হয়। 'দ্য সুপ্রিম অর্ডার অফ দ্য ক্রিসান্থিমাম' হল জাপানের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্মান।

🍂

Post a Comment

1 Comments

  1. কমলিকা ভট্টাচার্যApril 06, 2025

    আজ চন্দ্রমল্লিকায় বাবার স্মৃতি মনে এলো,যেদিন রাতে মৃত্যু তাকে ফুলের দেশে নিয়ে গেল সেদিন সারা দুপুর বাবা আর আমি 200টি চন্দ্রমল্লিকার চারা টপে পুঁতে ছিলাম।
    আর সেই দুপুরের ক্লান্তির কথা ভেবে রাতে বাবার বিছানা পাতার সময় বাবাকে জগাইনি।
    কিন্তু বাবা আর জাগি নি।

    ReplyDelete