যেসব কথা লেখা হয় না
পর্ব- ৮
সুমনা সাহা
দিনের আলো লুকিয়ে রাখে রাতের যত তারা,
মনসায়রে ডুবে থাকে স্মৃতি তেমন ধারা।
ভুলে গেছি ভাবছি যতই মেঘ ঘনিয়ে আসে,
কান্না হাসি টাপুর টুপুর বৃষ্টি হয়ে ভাসে।
(স্বরচিত)
একটা ছিল দেবদারু গাছ। মস্ত, বিরাট। তাকে দেখতে হত আকাশের দিকে মুখ তুলে। বারান্দায় দাঁড়ালে চোখের সামনে দেখতাম সটান সোজা উঠে গেছে যেন আকাশ ছোঁবে বলে। প্রকৃতি প্রেমের প্রথম পাঠ ঐ দেবদারু গাছটা। পরে তো সাজানো বাগানে কত সুন্দর করে ছাঁটা দেবদারু গাছের সারি দেখেছি। সেগুলো যেন ইংলিশ মিডিয়াম বোর্ডিং স্কুলের ছাত্ররা। ঐ গাছটা কিন্তু একেবারে আলাদা। কেমন বেখাপ্পা রকমের লম্বা। মা বলত, “একে কেউ শখ করে লাগায়নি। কোনও পাখির ঠোঁটে বয়ে আনা বীজ থেকে গাছ হয়েছে। এ কি এখানকার গাছ নাকি? এরা পাহাড়ে হয়। পাহাড়ি গাছগুলো সব এইরকম বিরাট হয়।” দিনে রাতে কতবার এসে গাছটাকে দেখতাম। মনে হত, ওর কাছে দূর দেশের খবর আছে। গাছের নিচে সব সময় অনেক বীজ পড়ে থাকত। বাদামের মত খোসা ছাড়ালে ভিতরে সাদা একটা বীজ। হয়তো পাখিরা সেই বীজ খায়। একদিন খুব ঝড় বৃষ্টির সময় গাছটার উপর বাজ পড়ল। গাছটা জ্বলে কালো একটা কাঠের কংকাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল অনেক দিন। পরে হয়তো এস্টেট থেকে কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আমি কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গল্পের বলাইয়ের মতোই কেঁদেছিলাম। ওই জায়গায় একটা সেফটিক ট্যাঙ্ক বসিয়ে তার উপর সিমেন্ট দিয়ে রোয়াকের মত বাঁধিয়ে দিয়েছিল। সেখানে লোডশেডিং হলে পাড়ার দাদারা বসে নানা ঢপ পেশ করত। সেসব ঠিক কোন সময়টাতে, মনে পড়ে না। সময়ের খেই হারিয়ে যায়। সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি...
এক একটা দশকের এক একটা আলাদা আলাদা চরিত্র থাকে। যেন এক একটা স্বতন্ত্র যুগ চিনিয়ে দেয়। আমাদের ছোটবেলা সত্তরের দশকের। সেটা মহানায়ক উত্তমকুমারের যুগ, ডবল-ডেকার বাসের যুগ, ঘরে ঘরে আত্মীয় এসে একটানা মাসাধিক থেকে যাওয়ার যুগ, দশ টাকায় রোজকার বাজার হয়ে যাওয়ার যুগ, আর ছিল লম্বা লম্বা স্কুল ছুটির যুগ—সামার ভেকেশন এক-মাস, পুজো ভেকেশন এক-মাস, উইন্টার ভেকেশন এক-মাস। এছাড়া সারা বছরের অন্যান্য ছুটি তো ছিলই। কিন্তু এই তিন মাসের তিনটে ছুটির তিনটে আলাদা রঙ। গরম আর বর্ষার মাঝামাঝি মনসাপুজোর নেমন্তন্নয় শ্যামনগরের পিসিবাড়ি যাওয়া, পুজোর ছুটিতে পুজোর দিনকটা বই শিকেয় তোলা থাকলেও বিজয়া দশমীর পরের দিন থেকেই জোরদার পড়াশুনো, কারণ স্কুল খুললেই অ্যানুয়াল পরীক্ষা। আর সবচেয়ে টেনশন ফ্রি ছুটিটা বছর শেষের শীতের ছুটির—সার্কাস দেখার, চিড়িয়াখানায় যাওয়ার আর আমার জন্মদিনের। হ্যাঁ, আমার জন্মদিনটা বেশ ধূমধাম করে হত। আত্মীয়দের নেমন্তন্ন করে খাওয়াত মা-বাবা। এমনকি যাদের নেমন্তন্ন করা হয়নি, তারাও উপস্থিত হয়ে যেত। সবার মনে থাকত সেই দিনটা, দিনটাই এমন—বড়দিন। পাড়ায় সারা বছর রকমারি ফেরিওয়ালা আসার যেমন বিরাম ছিল না, তেমনই আসত বিচিত্র বেশভূষা আর সুরের ভিখারি। আর একটা অদ্ভুত ব্যাপার ছিল, গল্পের বইয়ের সব চরিত্ররাই জীবন্ত হয়ে জীবনের সঙ্গে জুড়ে থাকত। সেজ-বোন সবে যখন টলমল করে চলতে আরম্ভ করেছে, মা-র বুকের ভিতরে ঘুম পাড়িয়ে রাখা পড়াশুনোর ইচ্ছেরা প্রবল ভাবে জেগে উঠল। অনেক রাত্রি মা আর বাবার কথা কাটাকাটি শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছি আমরা। পরদিন সকালে আবহাওয়া গম্ভীর থাকত। আমরা ভয়ে ভয়ে শান্ত হয়ে থাকতাম। দাদাও চুপচাপ হয়ে যেত। বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ার সময়—“সহিতে না পারি আর সংসার যাতনা/ত্যজিব জীবন আমি করেছি বাসনা” পড়তে পড়তে যেন চৈত্র দুপুরের ঝড়ের আগে একটুখানি শুকনো বাতাস শূন্যে ঘূর্ণির মত পাক খেয়ে ওঠার মত একটা কাঁপা কাঁপা দীর্ঘশ্বাস মার পাঁচালির সুরে ঝরে পড়ত। অবশেষে অনেকদিনের গুমোটের পর একদিন বাবা মা-র জন্য বই নিয়ে এল। অনেক বই। শুনলাম, মা নাকি প্রাইভেটে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। পড়শি মাসিমা, দিদি এবং বৌদিরা জনে জনে এসে কেউ মা-র এহেন দুঃসাহসের জন্য অভিনন্দন জানালো, কেউ বা সংসারের ভাবী সব্বোনাশের আতংকিত ছবি এঁকে গেল। কিন্তু মা-কে কিছুতেই দমানো গেল না। ততদিনে মা একজন সবসময়ের অ্যাসিস্টেন্ট পেয়ে গেছে। মেজ-মাসি তখনও বাংলাদেশেই ছিল। সেজ-মামাদের ঘরে যেমন ভানু-মাসি ছিল, ভানুমাসিদেরই কিরকম লতায় পাতায় আত্মীয় হয়, তাদের বাড়ির একটি মেয়ের দায়িত্ব মা-কে নিতে বলল মেজ-মাসি। ওরা পাঁচ বোন। বড় আর মেজর বিয়ে হয়ে গেছে। ওর বাবা ছিল ভাগ-চাষি। অভাবের সংসার। দুটি মেয়ের বিয়ে দিতেই সর্বস্বান্ত। সেজটি বয়স্থা। নাম ঝুলন। তার পরের দুই বোনের বিয়ের বয়স হয়নি। আমাদের দাদু, মানে মাতামহকে ঝুলনের বাবা দুটি হাত ধরে বলেছিল, “ঝুলনকে ওপাড়ে পাঠাইয়া দ্যান সাইজে কত্তা। এহানে থাইকলে মান-ইজ্জত বাঁচাইতে পারুম না।” তার শর্ত ছিল একটাই, মাইনে-পত্তর লাগবে না, খাওয়া-পরা দিয়ে বাড়ির মেয়ের মত রাখতে হবে। বসিয়ে রাখবে না, ঘরের কাজকর্মে সাহায্যও করবে বৈকি, কিন্তু উপযুক্ত পাত্র সন্ধান করে মেয়েকে পাত্রস্থ করতে হবে।” আমার মা কথা রেখেছিল। মা ঝুলন মাসিরও বিয়ে দিয়েছিল। আমার বিয়ের আগে। তবে পাত্র সে নিজেই পছন্দ করে এনেছিল। ততদিনে তার বাবা দেহ রেখেছেন ওপাড় বাংলায়। তার বাবার আজীবন স্বপ্ন ছিল ‘একটা রেড্যো যদি পাতাম!’ একটা রেডিও পেলে কী পরিবর্তন এসে যেত, আমরা জানতাম না। কিন্তু ঝুলনের বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে মা ঝুলন মাসির বরকে খাট-বিছানা বাসনপত্র ইত্যাদির সঙ্গে একটা রেডিও দিয়েছিল। এই ঝুলন মাসি আসায় রান্নাঘরের চাপ থেকে মুক্তি পেয়ে মা ফেলে আসা পড়াশুনো আবার শুরু করার কথা ভাবতে পেরেছিল। সিলেবাসের বই তো এসে গেল। কিন্তু অনেকদিন পড়াশুনো ছেড়ে দেওয়ার ফলে মা-র থৈ পেতে অসুবিধা হচ্ছিল। একজন গৃহশিক্ষকের খোঁজ পড়ল, যিনি বাড়িতে এসে মা-কে পড়াবেন এবং খুব কম সময়ের মধ্যে পরীক্ষায় বসার মত তৈরি করে দেবেন। বোর্ডের পরীক্ষার আর মাত্র তিন মাস বাকি। আমাদের দিদিমা সব শুনে বলল, “চিত্তরে কই, তোরে পড়াবে। ও সব সাবজেক্ট দেখায়ে দেবে।” মামা বলল, “চিত্তদা অনেকদিন আগেই বাংলাদেশ থেকে চলে এসেছে, দমদম যশোর রোডের কাছে একটা ভাড়াবাড়িতে থাকে, অনেকগুলো প্রাইভেট টিউশন করায়, আমি বললে কৈ’দিকে নিশ্চয় পড়াবে।” সেজ-মামা বরাবর মা-কে কৈ’দি বলে ডাকত। চিত্তমামা মা-কে পড়াতে সানন্দে রাজি হল। কিন্তু টাকাপয়সা নিতে রাজি হল না। চিত্তমামা ছিল কাঠ বাঙাল। মস্ত জিভ কেটে বলল, “অরে পড়াইয়া টাকা নিমু? আমারে মহাপাতকী হইতে কন? ছি ছি সে হইব না! বুন্ডিরে আমি অ্যামনেই দ্যাখাইয়া দিমু।”
চিত্তমামা মা-কে পড়ান। ছাত্রী একজন, দর্শক তিনজন, আমি, মেজবোন আর দাদা। সেজবোন চিত্তমামার কোলেই বসে থাকত। দাদার মূল উদ্দেশ্য হাসির রসদ সংগ্রহ করা। চিত্তমামার পরিশ্রমী চেহারা। মাথার চুল কপালের দিকে পাতলা। কপালের দু’পাশের রগ ফুটে উঠত পড়ানোর সময়। চৌকো মুখের হাসিটা ছিল দুই কানের লতি পর্যন্ত বিস্তৃত। মুখে সর্বদা পান থাকত। যাওয়ার আগে বাটা থেকে পান সেজে মা দুটো পান দিয়ে বলত, “চিত্ত দা, ট্রেনে যেতে যেতে খাবেন। কাঁচা গুয়া দিয়েছি।” গুয়া মানে সুপুরি। চিত্তমামা খুশি হয়ে হাসত। যেদিন পড়ানো হল কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের ‘ছোটর দাবী’, চিত্তমামা আবেগে আপ্লুত হয়ে ব্যাখ্যা করে চললেন। ‘বিশাল রসের বনের চেয়ে ঘটের ছোট আমের শাখা’ এটা বলতে গিয়ে চিত্তমামা বলল, “গাছে অনেক আম আছে, তয় কি? ঠাকুরের আসনে ঘটের পরে একখান আম দিছ, পোকরা, ভেঙরো একখান ছুট আম, তারই কী না শোভা!” এটা আমাদের চিরকালের প্রবাদ বাক্য হয়ে দাঁড়ালো—‘ঘটের পরে পোকরা ভেঙরো একখান ছুট আম!” দাদা সেই কথাটা চিত্তমামার ভঙ্গি নকল করে যখন বলত, মুখে পানের বিকল্প একটা কিছু রাখত, আমরা হেসে একশা হতাম। একদিন পড়ানোর মাঝখানে লোডশেডিং হয়ে গেল। আর সামনের মালির বাগানের বাঁশ ঝাড় থেকে সমস্বরে ‘হুক্কাহুয়া হুয়া হুয়া’ করে অনেক শেয়াল ডেকে উঠল। চিত্তমামার সেকি ভয়, “ও বুন্ডি, তোমাগো এহানে শিয়াল আইলো কোয়ানদে?” আমাদের কোয়ার্টার আর মালির বাগানের মাঝে একটা পাঁচিল ছিল বটে, কিন্তু সেই পাঁচিলের এপার-ওপার অবাধ যাতায়াতের জন্য ইট সরিয়ে সরিয়ে প্রায় পাঁচ-ছটা পথ তৈরি করা হয়েছিল। ঠাকুরদা আর দাদা যে-ঘরে ঘুমাত, সম্প্রতি যেখানে সন্ধ্যাবেলায় মা-কে পড়াচ্ছে চিত্তমামা, তার জানলার ঠিক সামনে পাঁচিলের গা ঘেঁষে বিরাট একটা বাঁশ-ঝাড়। একটু হাওয়া বইলেই তার পাতাগুলো শন শন করে দুলত। আমরা চেঁচিয়ে বলতাম, “বাঁশ গাছ করে নাচ।” সেই বাঁশ-ঝাড়ের নিচের গর্তে ছিল শেয়ালের বাসা। অন্ধকার হলেই ওরা বেরিয়ে আসত আর ‘হুক্কা হুয়া হুয়া হুয়া’ করে ডাকত। আমাদের পাড়ায় নেড়ি কুকুরের সংখ্যাও নেহাত মন্দ ছিল না। দলে ভারি বলে তারাও শেয়ালদের ভয় করত না, উলটে ‘ভৌ ভৌ’ রবে সম্মুখ সমরে দাঁড়িয়ে পড়ত। বাউন্ডারি ওয়ালের এপাড়ে কুকুরের পাল, ওপাড়ে শেয়ালের দল। কেউ দাপট দেখাতে ছাড়বে না। দুই দলের সমস্বর ডাকে মাঝে মাঝে আমাদের রাত্রে ঘুম ভেঙে যেত। সকালে উঠে দাদা ফলাও গল্প শোনাত, “রাত্রে দু’দলের মারাত্মক ফাইট হল। আমি চোখের সামনে সব দেখলাম!” আমরা চোখ গোল গোল করে ওর অ্যাকশন সহযোগে গল্প শুনতাম। চিত্তমামা বলেছিল, “বুন্ডি তুমি পড়ো। কিন্তু এ-বছর পরীক্ষা নাই বা দিলা! ভাল করে তৈরি হয়ে সামনের বার পরীক্ষায় বসবা।” কিন্তু মা জেদ করে সেবারই পরীক্ষা দিয়েছিল আর ভাল নম্বর পেয়ে পাশও করে গেল। পাড়ার কয়েকজন কাকু মা-কে দূর থেকে দেখলেই নমস্কার করত, আর বলত, আপনি পারেনও বটে! দেখিয়ে দিলেন তিনটে বাচ্চা নিয়ে সংসার সামলে কি না করা যায়!” আড়ালে কেউ কেউ আবার মা-কে ইন্দিরা গান্ধী নাম দিয়েছিল।
রাত্রে শুধু শিয়ালের ডাকেই ভয় করতাম, তা নয়। আরেকটা ভয় ছিল ঘোষাল কাকুর। দিনের বেলা তিনি নিপাট ভাল মানুষ। রাত্রে মদ্যপ হয়ে টলমল পায়ে পাড়ায় ঢুকতেন। আমাদের গোলমাল বা কান্নাকাটির শব্দ পেলেই জড়ানো গলায় হুঙ্কার দিতেন—“অ্যাই টুলটুলির বোন কুলকুলি, আমি ধরে নিয়ে যাব!” ব্যাস, জোঁকের মুখে নুন পড়া যেন। দুই বোন দু’পাশ থেকে মাকে জোরে জাপটে ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে শুয়ে পড়তাম। সেই ঘোষাল কাকুর এক ভাগ্নে পরবর্তী কালে স্কলারশিপ পেয়ে আমেরিকায় পড়তে গিয়েছিল। তখন আমার স্ট্যাম্প (ডাক টিকিট) কালেকশনের নেশা। মা বলেছিল, “ঘোষাল দা’র কাছে আমেরিকা থেকে চিঠি আসে, গিয়ে বিদেশের স্ট্যাম্প নিয়ে আসতে পারিস।” আমি ভয়ে ঢোঁক গিলে বলেছিলাম, “যদি বন্দি করে রাখে?” মা হেসে বলেছিল, “কিচ্ছু বলবে না। তোদের কত প্রশংসা করে বাবার কাছে, জানিস?” বিস্মিত হতাম। মা-র কথায় বিশ্বাস করে গেলাম একদিন। ভয়ে বুক ঢিপঢিপ করছিল। আমি বিদেশের স্ট্যাম্প নেব বলায় কি খুশি! জল দিয়ে ভিজিয়ে খামের উপর আঠা দিয়ে লাগানো বড় বড় স্ট্যাম্প খুলে আমাকে দিল। বার বার বলল, “আবার আসিস। সামনের মাসে।” সেদিন কাছ থেকে রোগা পটকা বিপত্নীক মানুষটাকে দেখে কেমন যেন মায়া হয়েছিল। শেষের দিকে শরীর আরও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবুও নেশা করা ছাড়তে পারেনি। মাঝে মাঝে নর্দমায় পড়ে যেত। আমার বাবা তুলত হাত ধরে, বলত, “আপনি ব্রাহ্মণ সন্তান হয়ে এসব ছাইপাঁশ খান কেন?” তখন নাকি দুষ্টু হেসে বাবাকে বলত, “একবার খেয়ে দেখো চক্কোত্তি দা, তাহলে তুমিও বুঝবে, কেন ছাড়তে পারি না!”
(ক্রমশ)
0 Comments