জ্বলদর্চি

পুলকরঞ্জন বেরা (শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব, স্বাধীনতা সংগ্রামী, ময়না)/ ভাস্করব্রত পতি

মেদিনীপুরের মানুষ রতন, পর্ব -- ১৫৯
পুলকরঞ্জন বেরা (শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব, স্বাধীনতা সংগ্রামী, ময়না) 

ভাস্করব্রত পতি

'তখনও তমলুক শহরের প্রধান রাস্তা পিচের ছিল না। প্রশাসনিক কেন্দ্র বর্গভীমা মন্দির, হ্যামিলটন হাইস্কুল, কোর্ট, রূপনারায়ণ নদ বাঁধের ধার এইসব নিয়েই সেদিনের তমলুকের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ছিল গতানুগতিক ও বৈচিত্র্যহীন। সেদিনের এই শহরের আধা সামন্ততান্ত্রিক ক্ষয়িষ্ণু সামাজিক পটভূমিকায় পুলকদার আবির্ভাব এনেছিল বিদ্যুতের আলো। সাহিত্যচর্চায়, নাটক রূপায়নে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে, বিদ্যাচর্চায়, অগণিত ছাত্রদের শিক্ষাদানে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। এই শহরের প্রতিটি ধূলিকণার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল নাড়ির টান। তিনি আমাদের কাছে জীবন দর্শনের আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছিলেন'।
 -- শিবময় অধিকারী

বামপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী পুলকরঞ্জন বেরা ছিলেন মেদিনীপুরের শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা পুরুষ। সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গঠন, চেতনা বৃদ্ধি, সমাজ পরিবর্তন, সমাজ সংস্কারের লক্ষ্যে আদ্যন্ত সংস্কৃতিবান এই শিক্ষকের ভূমিকা ছিল বহুমুখী চিন্তাভাবনার পরিচায়ক। শিক্ষাজগতে আজকের পরিস্থিতিতে উদ্ভুত টানাপোড়েন নিরসনে এইসব মানুষের অভাব অনুভব করা যায়। সুস্থ রাজনীতি, সঠিক শিক্ষা ও নির্মল সংস্কৃতির ত্রহ্যস্পর্শে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দক্ষ সংগঠক, দায়িত্ববান শিক্ষক এবং আদর্শবান দেশ নাগরিক। ধীরে ধীরে নিজে অচিরেই সকলের কাছে হয়ে উঠেছিলেন একটা জীবন্ত প্রতিষ্ঠান। 'পুলকদা' নামের সেই প্রতিষ্ঠান আজও বাংলার শিক্ষকসমাজের চোখে জ্বাজ্বল্যমান হয়ে আছে। 

১৯২৯ এর ১৩ ই অক্টোবর ময়নার দক্ষিণ চংরাচক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পুলকরঞ্জন বেরা। বাবা বঙ্কিম বেরা ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং তৎকালীন ময়না পেডী হাইস্কুলের (বর্তমানের ময়না পূর্ণানন্দ বিদ্যাপীঠ) শিক্ষক। মা ছিলেন সাধারণ গৃহবধূ আশালতা বেরা। ময়না পেডী হাইস্কুল এবং তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলে বিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে আই এ এবং মহিষাদল কলেজ থেকে বি এ পাস করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর জন্য ভর্তি হন। পরবর্তীতে প্রাইভেটে ইসলামিক হিস্ট্রি ও ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। 

তাঁর জ্যেঠতুতো দাদা শচীন্দ্রনাথ বেরার সঙ্গে হেমচন্দ্র কানুনগো, মানবেন্দ্রনাথ রায়, মুজফ্ফর আহমেদের সাথে দেখা করেন। শচীন্দ্রনাথ বেরাকে সাথে নিয়ে ১৯৪৬ এর জুলাই মাসে ময়নায় নিজের বাড়ির সামনে প্রাথমিক স্কুলের মাঠে র‍্যাডিক্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ঝাণ্ডা তোলেন। এভাবেই জড়িয়ে পড়েন সক্রিয় রাজনীতিতে। ছাত্রাবস্থাতেই নিয়মিত যেতেন শিক্ষক রঞ্জিৎ গুহর বাড়ি।  সেসময় এই রঞ্জিৎ গুহ চেষ্টা করছিলেন দুমড়ে যাওয়া শিক্ষাব্যবস্থাকে খাদের কিনারা থেকে তুলে ধরতে। 

রঞ্জিত গুহর নেতৃত্বে শুরু হয়েছে মার্কসবাদী চক্র। সেই চক্রের অন্যতম সদস্য তখন পুলকরঞ্জন বেরা। পাশে পেলেন সুনীল ঘোষকে। এই দুজন মিলে তখন কলেজে প্রতিষ্ঠা করলেন 'ছাত্র ফেডারেশান'। ১৯৪৯ এ পুলকরঞ্জন বেরা হলেন ছাত্র ফেডারেশনের জেলা কার্যকরী সমিতির সদস্য আর সুনীল ঘোষ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁদের চোখে তখন সমাজ পরিবর্তনের সোনালী স্বপ্ন। 

ইতিমধ্যে ১৯৪৮ এর মার্চে কমিউনিস্ট পার্টিকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়। তাতে কি? লড়াই আন্দোলনের পথ থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। ১৯৪৮ এ সুধীর অধিকারী, ফণী দাস এবং ১৯৪৯ এ পুলকরঞ্জন বেরা, সুনীল ঘোষরা পেলেন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ। ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে 'তমলুক মিউনিসিপ্যাল ওয়ার্কার ইউনিয়ন। '১৯৪৮ এর ১৬ নভেম্বর সেই ইউনিয়নের নেতৃত্বে পালিত হল ধর্মঘট ও কর্ম বয়কট। দাবি মানতে বাধ্য হল কর্তৃপক্ষ। একে একে সফলতা পেতে থাকে তেভাগা আন্দোলনও। এরপরই গঠিত হয় কৃষক সমিতি। সকলের সঙ্গে সমান সম্পর্ক রেখে হয়ে ওঠেন দক্ষ সংগঠক, আদর্শ শিক্ষক এবং সমাজ পরিবর্তনের দায়িত্বশীল নেতৃত্ব। 

১৯৫০ এর ৪ ঠা জানুয়ারি মহিষাদল কলেজ হোস্টেল থেকে পুলকরঞ্জন গ্রেপ্তার হন। সেসময় ছাত্র ফেডারেশন সহ সাতটি বামপন্থী সংগঠনকে কংগ্রেস সরকার বেআইনি ঘোষণা করেছে। আসলে সরকারের নির্দেশে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করা ছিল অপরাধ। ১৪ মাসের জেল হয় তাঁর। কিন্তু পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী চক্রান্তের অভিযোগ করে। এর প্রতিবাদে তিনি ৫৯ দিন অনশন করেন। তিনি ছাড়াও সেসময় গ্রেফতার হন সুধীর অধিকারী, অশোক মিশ্র, সুনীল ঘোষও। 

পরবর্তীতে ময়নার কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম বিধায়ক (১৯৫২) কানাই ভৌমিক সহ বিশ্বনাথ মুখার্জী, ভূপাল পাণ্ডা, গীতা মুখার্জী প্রমুখ নেতৃবৃন্দের সুনজরে পড়েন। কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার জন্য তাঁকে Preventive Detention Act অনুযায়ী বন্দী করা হয় মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে। সেখানে এক মাসের কারাবাস ভোগ করতে হয়। ১৯৫১ এর মার্চ মাসে মুক্ত হন তিনি। ১৯৫০ এ কমিউনিস্ট পার্টির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ছাত্র পুলকরঞ্জনের চোখে স্বপ্ন কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা। যুক্ত হলেন ছাত্র আন্দোলনের সাথে। ১৯৫৪-র ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে শুরু হয় লাগাতার ঐতিহাসিক আন্দোলন। সেখানে অন্যান্য ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। 

অবশেষে প্রবেশ করলেন কর্মজীবনে। শ্রীরামপুর এগ্রিকালচারাল হাইস্কুলে সহ শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ১৯৫৫ এর ১ লা আগস্ট। এখানে ১৯৫৬ এর ১৫ ই মে পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। এখান থেকে চলে যান চংরাচক জগদীশ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে। এখানে শিক্ষকতা করেন ১৯৫৬ এর ১৭ ই মে থেকে ১৯৫৭ এর ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর চলে যান চনশ্বরপুর হাইস্কুলে। সেখানে ছিলেন ১৯৫৭ এর ১ লা ডিসেম্বর থেকে ১৯৬০ এর ১৪ ই মে পর্যন্ত। আবারও পরিবর্তন। এবার চন্দ্রী চন্দ্রশেখর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেন ১৯৬০ এর ১২ ই সেপ্টেম্বর। ১৯৬১ এর ২৮ শে এপ্রিল পর্যন্ত এখানে ছিলেন। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আকাশছোঁয়া। শিক্ষার প্রসারে তিনি নিজের জীবনের ব্রত করে ফেলেছেন এভাবেই। এবার জেলা ছাড়তে বাধ্য হলেন। ১৯৬১ এর ১৮ ই মে হাওড়ার শ্যামপুর হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেন। ১৯৬৯ এর ৮ ই ডিসেম্বর তিনি ফিরে এলেন নিজের জেলায় ঘোষপুর বহুমুখী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এখানে শিক্ষকতা করেন ১৯৭৭ এর ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত। হাউরের এই ঘোষপুর হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে অশোক পাল উল্লেখ করেছেন, 'অনেক ছাত্র ছাত্রী, অনেক শিক্ষক। বড় মাঠ, বিশাল পুকুর, একশোর বেশি ছাত্র নিয়ে হোস্টেল। কিছুদিনের মধ্যেই সব ঠিকঠাক করে নিলেন। পুলকরঞ্জনের সহজ সরল ব্যবহারে সবাই আপ্লুত। প্রধান শিক্ষকের কর্মদক্ষতায় ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক অভিভূত। তাঁরা নিশ্চিন্ত। খুব ভালোভাবে স্কুল চলতে থাকলো। বিদ্যালয়ের বার্ষিক ফল ভালো হতে থাকলো। মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা এসে ভর্তি হলো। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সাহিত্য পড়াতেন। অভিভূত ছেলেমেয়েরা স্থানুবৎ। পুলকরঞ্জন অতি মনোগ্রাহী পাঠদানে নিজেকে আরো বিকশিত করলেন। পঠনপাঠনের এই উৎকর্ষতা শিক্ষক মহাশয়দেরও বিস্মিত করত। গ্রাম্য পরিবেশ ঘোষপুর হাইস্কুলের। কিছুটা আদিবাসী এলাকা। আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের প্রতি তাঁর অপরিসীম দরদ। পিছিয়ে পড়া অনুন্নত শ্রেণির মানুষের সন্তান। প্রথম প্রজন্ম বিদ্যালয়ে এসেছে হাজারো সমস্যা বা বাধার প্রাচীর অগ্রাহ্য করে। তাই এঁদের শ্রেণিকক্ষের ব্যর্থতা সহানুভূতির সঙ্গে দেখতেন। বাধা ঠেলে, এগিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর একশোভাগ সহযোগিতা থাকত'।

আবারও পরিবর্তন হল তাঁর স্কুল। এবার যোগ দিলেন দেউলি আদর্শ বিদ্যাপীঠে। এখানেই শিক্ষকতা করতে করতে ১৯৮২ এর ১২ ই সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। একজন আদর্শ প্রধান শিক্ষক হওয়ার যে যে গুণাবলী থাকার প্রয়োজন, তার সবগুলিই লক্ষ্য করা গিয়েছিল পুলকরঞ্জন বেরার জীবনে। কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ফেডারেশন আর নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে ফেলেন নিজেকে। ১৯৬০ সালে এবিটিএ'র জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হন। তবে ১৯৬৪ পর্যন্ত সংগঠনের বেশিরভাগ দায়িত্ব পালন করতেন সহ সম্পাদক শুভেন্দু রায়। এরপর থেকে তিনি তাঁর কাজে থেকেছেন অবিচল। ১৯৭৭ এ ময়নার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েও শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি রূপায়ণে খামতি দেখাননি। কখনো সম্পাদক পদে আবার কখনও সভাপতি পদে থেকে শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা ছিল অনবদ্য। অশোক পাল লিখেছেন, 'এবিটিএ'র যে লক্ষ্য, আদর্শ অর্থাৎ প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি, সাম্যবাদী চেতনার বিস্তার, সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষকে নিয়ে শিক্ষার আন্দোলনকে গণ আন্দোলনে রূপদানের সংগ্রামী মানসিকতা সম্পন্ন প্রথম জেলা সম্পাদক পুলকরঞ্জন'। 

শুধু মানবিক শিক্ষক কিংবা শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব নয়। তিনি ছিলেন একজন সফল নাট্য নির্দেশকও। একজন সুদক্ষ অভিনেতাও। ১৯৬৫ সালে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কালিন্দী' নাটকে শেষবারের মতো অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। তিনি কপালকুণ্ডলা, সিঁদুরে মেঘ, তিতাস একটি নদীর নাম, বৈশাখী ঝড় ইত্যাদি চলচ্চিত্র চলচ্চিত্রায়িত করতে চেয়েও বাস্তবায়িত করতে পারেননি। এমনকি সিঁদুরে মেঘ ছায়াছবিতে অনুপ ঘোষালের কন্ঠে তিনটি বাংলা গানের রেকর্ডিং করার যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করেও শেষ পর্যন্ত তা সফলতা পায়নি। পুলকরঞ্জন বেরা এবং পীযূষ মহাপাত্র যৌথভাবে কলকাতা থেকে প্রকাশ করতেন 'শীষ' পত্রিকা। এছাড়াও তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিল 'কিংবা' পত্রিকা। প্রাক্তন সাংসদ সত্যগোপাল মিশ্রের সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রচনা করেছিলেন বাংলা সাহিত্যের পাঠ্যপুস্তক। ১৯৮৩ থেকে তাঁর নামে শুরু হয় 'পুলক বেরা স্মৃতি মেধা পরীক্ষা'। গড়ে উঠেছে পুলক বেরা স্মৃতিরক্ষা সমিতি। ২০০২ থেকে এবিটিএ পূর্ব মেদিনীপুর ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করছে পুলকরঞ্জন বেরার স্মরণে রক্তদান শিবির। তাঁর নামেই তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলে প্রতিষ্ঠিত হয় 'পুলক মঞ্চ' (২০০৩ এর ৩০ নভেম্বর)। একজন শিক্ষক কতখানি জনপ্রিয় এবং শিক্ষাদরদী না হলে এরকম সম্মান পেতে পারে! 
'এইখানে শেষ হয়ে যাক্ সব 
যা পেয়েছি সেই ঢের 
অনেক হোঁচট খেয়ে পথ চলা 
আজ তার সফল উৎসব।
বাতি জ্বলবে না। বাজবে না সানাই, 
বিনিদ্র রাত্রির ব্যর্থ অশ্রু, 
সকালের কাজের জীবন, 
বিফলতা প্রতি অঙ্কে- তবু খেদ নাই। 
আঁকাবাঁকা কালো স্রোতে জমাট আঁধার 
আকাশে একটি শুকতারা 
দক্ষিণে হেলানো বৃশ্চিক-
হাতছানি তবু তুমি দিয়েছে আবার। 
প্রেতিনী কিম্বা প্রিয়া বিচার করিনি 
বিবেক বিশীর্ণ ক্লিষ্ট 
আজ তাই মুহূর্তের দায় 
নিলুম দু'হাত ভরে ধন্য আমি ঋণী'।
   --- ক্ষণিক, পুলকরঞ্জন বেরা
(তথ্য ঋণ : আমাদের পুলকদা, অশোক পাল, ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬)

🍂
ad

Post a Comment

0 Comments