বিমান মৈত্র ও নরেন হালদার-এর কবিতা
গল্প
বিমান মৈত্র
যখন এসেই পড়েছি, কিছু দানাপানির জোগাড়
করাও অপরিহার্য --- ঘরামির কাজই শ্রেয় মনে হল
হয়তো এভাবেই নির্মাণ হয় তীব্র অচেনা বোধের
জাতীয় সড়ক, এখানে কেউই আমরা পাশ করা
শল্যবিদ নই, ভূতগ্রস্থ দুর্ঘটনার কথা জানিনা
কথা ছিল তোমাকে উড়িয়ে আনার ---- অন্তর্গত গোলাপের একটি কাঁটা ---- পাখির ঠোঁটের সদম্ভ উক্তির মত, তোমারও রক্তে লবণ-সোহাগ ফূটেছিল
দন্ডিত প্রশ্ন চিহ্নের মতো বিহ্বল --- চিবুকের
তিলখানি থুয়েছিলে হাঁটু মোড়া অস্বস্তির চাকে
দুরারোগ্য সেই নিরাভরণ দিনগুলির কথা ভেবে আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম তীব্র অচেনা বোধে
পরিব্রাজক পথপ্রাণ তোমার কুটির বিলাসে, আলো
আর বিভ্রমের সাথে, যদিও এখন ঘুমোবার সময়, জেগে থাকো যন্ত্রণার অনুগত রক্তের লবণ-সোহাগ
দগ্ধ হোক মধুক্ষরা তিলের উপমা।
🍂
নিম
নরেন হালদার
নিম গাছের নিচে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিল পথিক।
ভাঙা ভাঙা কথাগুলো গাছের ডালে লেগে
ঠিকরে পড়েছিল পথচলতি মানুষের পায়ের কাছে।
তেতো বাতাসে ঘুম ভাঙলো কিনা, নিমগাছ খবর রাখে না,
খোঁজ করতে গেলে প্রবল বাতাস আসে - ঝড়ের মতো
তাকে আগ্নেয় পাহাড় বলা যাবে না বা রক্তাক্ত বিছানা -
নিম ফুলে সাজানো ছিল নবীন বাসর বসত।
নিমগাছগুলো দাঁড়িয়েই আছে, যেমন ছিল শরতেরা
মুখে কালো বোরখা বেঁধে ফিস ফিস করে
কথাগুলো আবার বলেছিল। যদি নিমের স্পর্শ লাগে !
স্পর্শ লাগলো কিনা সে কথা বলবো না আমি -
কোলের উপর যে মাথা লেপটে ছিল উষ্ণভাবে
তাতে তা দেওয়ার মতো বিস্ময় ছিল না, নিমফলও ছিল না।
নিমফল ভালো, রক্ত শুদ্ধ করে, শরীরে ফেরে দৃঢ়তা
0 Comments