জ্বলদর্চি

ক্লায়েন্ট /পুলককান্তি কর

চিত্র- শুভম দাস

ক্লায়েন্ট
পুলককান্তি কর


পাশ ফিরে শুয়ে থাকা নীলেশকে দেখে তেমন একটা উত্তেজনা অনুভব করল না তুলি। প্রায় সতের বছর পরে দেখা। চেহারাটা একদমই ভেঙে গেছে। মাথার চুল নেই - বোধহয় কেমোথেরাপির এফেক্ট! তবু মুখের গড়নটায় বিশেষ পরিবর্তন হয় নি। তুলিকে দেখে নীলেশ খানিকটা অবাক হয়ে বলল, 'কী ব্যাপার? তুমি এখানে? 
-খবর পেলাম, তাই। 
-খবর কি ইন ডিটেলস পেয়েছ? না কি উপর উপর? 
-তোমার মুখ থেকে শুনি। একেবারে সঠিকটাই জানা যাবে তাহলে! 
-প্যানক্রিয়াসে ক্যান্সার। লাস্ট স্টেজ। 
-ডাক্তার বলেছে লাস্ট স্টেজ?
-দিনক্ষণও বলে দিয়েছে! মেরে কেটে দু মাস। 
-ওভাবে ভাবছো কেন? ট্রিটমেন্ট তো চলছে! 
-যারা ট্রিটমেন্ট করছে, তারাই যখন বলছে, তখন তো মানতেই হবে। ছাড়ো ওসব কথা! তা তুমি হঠাৎ করে এলে এখানে? 
-তুমি কি চাইছো আমি চলে যাই?
-না, তা নয়,আসলে একটু অবাক হচ্ছি - এর আগেও নার্সিংহোমে তো কমবার ভর্তি হই নি! সেসব খবরও নিশ্চয়ই পেয়েছো...
-তোমার এই এক দোষ নীলেশ! সবকিছু বড্ড জটিল করে দ‍্যাখো তুমি। তোমার মনে হল কেন, আমি নিয়ম করে তোমার খবর রাখি? আমি কি তোমার পেছনে স্পাই লাগিয়ে রেখেছি?
-তা নয় - আমাদের অনেক কমন বন্ধু আছে তো - তাদের থেকে তুমি খবর পেতেই পারো! 
-সেটা তো তোমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য! তুমি কি খবর রেখেছ একটুও? 
-আমি খবর রাখি - এটা যখন তুমি চাওনি তবে আর রাখবো কেন?
-আমি চাইনি এভাবে দাগিয়ে দিও না! সেপারেশনের সময় তোমার উপর অসহ্য একটা বিরক্তি ছিল - হয়তো সেজন্যেই দু-একবার তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি - মুখেও বলেছি যাতে তুমি যোগাযোগ না করো, কিন্তু তুমি যে সেটাকে একেবারে বেদবাক্য করে নেবে সেটা ভাবিনি। 
-একজন যখন চায়না, সেটা তো মেনে চলা উচিৎ। 
-চাইতাম না তো অনেক কিছুই, সেগুলো কি মেনে চলা উচিৎ বলে মনে হয়নি তোমার? 
-এই দ‍্যাখো, এলে মানেই ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। এখন যে কথায় কোনও কিছু আবার নতুন করে ফিরে আসবে না - সেসব নিয়ে তুলকালাম করার দরকার কী?
-আমার মোটেই তুলকালাম করার কোনও প্রবৃত্তি নেই, সেই ভেবে আসিও নি। তুমি নেহাৎ কথা তুললে বলেই বললাম। 
   চুপ করে রইল নীলেশ। বরাবরই ঝগড়া-ঝাঁটি এড়িয়ে চলে সে। ওর শরীর কেমন হাঁসফাঁস করে। একটু অস্বস্তি অনুভব করতেই ও নলটল সরিয়ে উঠে বসার চেষ্টা করল। তুলি বলল, 'আমি কি একটু সাহায্য করবো?' 
-তুমি পারবে না। সিস্টারকে ডাকো। 
সিস্টার এসে একটু মৃদু ধমক দিয়ে বললেন, 'এত জোরে জোরে কথা বলছেন কেন আপনারা? মেট্রন রাউন্ডে আছেন। ফালতু আপনাদের জন্য আমাকে কথা শুনতে হবে!' 

🍂
ad

-নীলেশ বলল, স‍্যরি সিস্টার! জানেনই তো আমার স্বর একটু উঁচু। ফিসফিস করলেও আপনি দরজার বাইরে শুনতে পারবেন। যাইহোক এ.সি টা একটু বাড়ানো যাবে? বড্ড গরম লাগছে। 
-শান্ত হয়ে চুপ করে বসুন। ডাক্তার বাবু বলেছেন - আপনার যাতে গরম ঠান্ডা না হয়। কাল রাতেও কেশেছেন, অতএব টেম্পারেচার আর কমানো যাবে না। 
   তুলি ব্যাগ থেকে একটা খবরের কাগজ বের করে বলল, 'স্থির হয়ে বসো একটু হাওয়া করে দিই।' নীলেশ কিছু না বলে বড় বড় শ্বাস নিতে লাগলো। ওর মনে পড়ল, বিয়ের ঠিক পরে ওরা একবার গ্রামের বাড়ি গিয়েছিল; ওখানে কারেন্টের কোন ঠিক-ঠিকানা ছিল না - এই আছে এই নেই। একদিন একটু হাওয়া হয়ে দু'পশলা বৃষ্টি হতেই সেই যে কারেন্ট গেল তো গেলই! সারারাত ছটফট। তুলি নতুন বউ। শাড়ি পড়ে ঘেমে নেয়ে একসা। নীলেশ সারারাত তালপাতার পাখা দিয়ে হাওয়া করেছিল সেদিন। এখন মনে হয় ভুল করেছিল সে। মানুষ অকারণ এবং অতিরিক্ত যত্ন পেলে, স্বাধীনতা পেলে তার দাম রাখে না। নীলেশ খানিকক্ষণ চুপ করে বলল, 'আসার কারণটা তো বললে না!' 
-অতুল সেদিন ফোন করে বলল তোমার নাকি 'এখন তখন অবস্থা, পারলে একবার দেখা করে এসো।' তাই এলাম। 
-ও। ভালো। ভালোই করেছো একদিক দিয়ে। জীবনের একটা মূল্যবান সময়ে সাড়ে তিন বছর তো একসাথে ছিলাম! যাক্ শেষ দেখা হয়ে গেল। ভুল ত্রুটি আমার তরফে যা কিছু ছিল মাফ করে দিও । সেই সঙ্গে কামনা করো, সামনের জন্মে যেন আমাদের আর দেখা না হয়। 
-কেন, আমি এত খারাপ? 
-আমি তোমার খারাপ ভালো নিয়ে কিছু বলিনি তুলি। তোমার আমার দুজনের জীবন যেভাবে কাটলো, পরের জন্মে তার আর পুনরাবৃত্তি চাই না। 
-তোমার কোন খারাপটা কাটল নীলেশ? দিনরাত মদ, মেয়েছেলে...
-আবার বাজে কথা বলছো তুলি! মদটা আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু দ্বিতীয়টা, আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি-- তুমি শুধু অকারণ সন্দেহ করে করে পুরো ব‍্যাপারটাকে এই  জায়গায় দাঁড় করিয়েছ। 
-তোমার অফিসের ওই আর্কিটেক্ট মেয়েটার সাথে তোমার লটঘট ছিল না? তোমার অফিস স্টাফ, বাইরের লোকজন সব মিথ্যে বলছে? 
-আমি এসব নিয়ে আলোচনা করে করে ক্লান্ত হয়েই তো সেপারেশনে গেছি তুলি - আজ এসব দোষারোপ করে লাভ কী? 
-আমি খবর পেয়েছি ওই মেয়েটা যাওয়ার পরে তোমার বন্ধু অনিলের বাড়িতে নাকি তোমার যাতায়াত বেড়ে গেছিল, লোকজন তো বলে সেটা ওর বউয়ের টানে! অনিলের সাথে তো তোমার তারপরে মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তুমি কি বলতে চাও, এসব শুধু রটনা? 
-বাঃ অনেক খবর রাখো তো তুমি! ভালো। তা এসব খবর নিয়ে তোমার কি আত্মশ্লাঘা হয় -- যাক বাবা, ছেড়ে এসে ভালো করেছি!
-ভালো তো করেইছি নীলেশ। দিনরাত ওইরকম মদ গিলে থম হয়ে বসে থাকা আমি সিম্পলি টলারেট করতে পারছিলাম না।
-তবে আর খোঁজ নিতে এসেছ কেন? যে সম্পর্ক ছেড়ে এসেছি তার আর কাদা খুঁড়ে লাভ আছে কিছু?
-খোঁজ আমি নিতাম না, খোঁজ এসে যেত। 
-তুমি এন্টারটেইন করতে বলেই না আসতো! যারা তোমাকে আমার খবর দিত, কই আমাকে তারা তোমার খবর দিতো না তো! 
-দেবে কী করে? সর্বক্ষণের মাতালের কী আর ফোনের বন্ধু থাকে? 
   নীলেশ চুপ করে রইল। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মিছিমিছি এইসব বাগবিতণ্ডায় প্রবৃত্তি হলো না তার! খবর যে তার কাছে একদম ছিল না তা নয়। ডিভোর্সের পর তুলি তার স্কুলেরই এক শিক্ষকের সাথে লিভইন করত প্রায় বছর সাতেক। ওদের নিজেদের ঝামেলার সময় থেকেই এই সম্পর্কে শুরু। নীলেশ জানতো, কিন্তু বলেনি কোনওদিন। আজও এইসব বলতে তার রুচিতে বাধলো। কেন এই সম্পর্কটা টিকলো না, সেসব বিষয়ে ওর আগেও কৌতুহল ছিল না, এখনও নেই। 
   তুলি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, 'তোমার দেশের বাড়ির খবর কী? বাবা মা আছেন, না গত?
-গত দুজনেই। 
-কবে? 
-বাবা বছর ছয়েক আগে, মা গেল বছর। 
-তোমার দাদা, তাদের ছেলেমেয়েরা? 
-সবাই ভালো। 
-তোমার দাদার ছেলে, যে তোমার বাড়িতে থেকে এখানে পড়াশোনা করত শুনেছিলাম, সে কোথায়?
-কে সন্তু? ও চাকরি পেয়ে ব্যাঙ্গালোরে চলে গেছে। 
-তা তোমার এত শরীর খারাপ, ওরা জানে না? 
-বলিনি কাউকে।
-তোমার একজন ম্যানেজার ছিল, আশিস, ও আছে এখনও?  
-হ্যাঁ। সেই সব কিছু দেখাশোনা করে। 
-কই তাকে নিচে দেখলাম না তো! 
-ও সকালে এসে দেখা করে গেছে। বিকেলে একটা নতুন সাইট দেখতে যাবার কথা - সেজন্য আসবে না। 
-তা তোমার এত বড় ব্যবসা - সবকিছু বিলি ব্যবস্থা করেছ? 
-না এখনও করিনি। 
-কিছু ভেবেছ? 
-না। 
-দ‍্যাখো আইন মোতাবেক তোমার যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি তোমার ছেলের পাওয়ার কথা - যদি না তুমি উইল করে অন্যকে দাও। অন্যকে দেওয়ার তো প্রশ্নই নেই, তবে তুমি উইল করে তোমার ছেলেকেই যদি উত্তরাধিকারী করে দাও আমার দৌড়ঝাঁপের সময় ও খরচা বাঁচবে। 
   নীলেশ খানিকক্ষণ মনোযোগ দিয়ে নিজের নখ খুঁটতে লাগলো। বলল, 'ছেলের নাম কি?'
-সেটাও তুমি ভুলে মেরে দিয়েছ? ধন‍্যি বাবা তুমি! 
-না ভাবলাম কোনও কিছুই যখন আমার থেকে তোমার নেওয়ার ইচ্ছে ছিল না, আমার কোনও স্মৃতিই তোমার সাথে বওয়ার ইচ্ছে ছিল না, আমার দেওয়া নামটা কি রাখবে? তখনই তো তোমার 'নীরজ' নামটা পছন্দ ছিল না। 
-স্মৃতি বওয়ার ইচ্ছে না থাকলে কী হবে! স্বয়ং তোমার সন্তান যখন আমার কাস্টোডিতে! ওর  নীরজ নামটা আছে, তবে তুমি যে নামে ডাকতে - সেটা আর কেউ ডাকে না। ও জানেও না ওরকম ওর কোন নাম ছিল! 
-কী নামে ডাকো ওকে? 
-তুতাই। 
-তা তুতাই জানে আমার শরীর এরকম অসুস্থ? 
-হ্যাঁ। 
-তার বাপের নামটা কী লেখে ও! আমার নাম? 
-অগত‍্যা। বাস্তবকে না মেনে তো উপায় নেই। তবে তোমাকেও বলিহারি। এমন বাপ তুমি একটা খবর পর্যন্ত রাখো না। তুতাইয়ের মাঝে একবার বাইক এক্সিডেন্ট হয়ে প্রায় সাত মাস যমে মানুষে টানাটানি - লাখ লাখ টাকার বিল - একবারও তোমার মনে হলো না - ব্যাঙ্কে তোমার টাকা পচছে - আর ছেলেটা... 
-টাকার দরকার ছিল জানালেই পারতে। আমি তো হাত গুনতে জানিনা।
-সেটাই তো বলছি। অবশ্য এজন্যই লোকে বলে পুরুষ মানুষ। আমি না হয় পরের মেয়ে, সে তো তোমারই ছেলে। একদিনও মনে হয়নি, ওর খবর রাখা উচিৎ! অবশ্য তুমি তো ভেবেছো গ্রহ গেছে, ঘর ফাঁকা থাকলেই না তোমার সুবিধা! 
-বাজে কথা একদম বোলো না। বাচ্চার কথা ভাবলে তুমি কি ডিভোর্স নিতে? 
-তুমি কি ওর কথা ভেবে মদ ছেড়েছিলে? 
-মদ কী করে ছাড়বো তুলি? দিন দিন তোমার অহেতুক সন্দেহ, মানসিক অত্যাচার... মদ ছিল বলে সইতে পারতাম। 
-তাহলে আমি চলে যাওয়ার পর মদ ছাড়োনি কেন? তখন তো অত্যাচার করার কেউ ছিল না! 
-তখন আর ছাড়বার কী দরকার ছিল? যাইহোক তোমার আসার আসল কারণটা তবে এই! 
-পুরোটা না হলেও কিছুটা তো বটে! 
-যার থেকে মুক্তি চেয়েছ, তার সম্পত্তি নিতে তোমার রুচিতে বাধবে না? 
-আমি তো নিচ্ছি না। ছেলের জন্য বলছি। আমি সেরকম ভাবে তোমার থেকে কোনও কমপেনসেশন নিই নি।
-সেটা তুমি দয়া করো নি। তুমি চাকরি করতে, সুতরাং কম্পেন্সেশন পেতে না। আর ছেলের কথা ভেবে তখন থোক দশ লাখ টাকা তোমার নামে ফিক্সড করে দিয়েছিলাম - অস্বীকার করো না। 
-দশ লাখে কী পিতৃত্বের দায় মেটে? সারা জীবন তো ছেলেটাকে কিছুই দাওনি। ছেলের জন্য তার মা হিসেবে কিছু যদি বলি, সেটা কি অন্যায়? 
-এই সম্পত্তি লিখে দিলে সেই দায় মিটে যাবে বলছো? 
-এটা ওর অধিকার; তুমি ওকে বঞ্চিত করতে পারো না।
-ওর বয়স এখন সাড়ে আঠারো। সাবালক হয়ে গেছে। তা তুমি ওর সাথে এইসব সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা কর নি? 
-না। 
-তুমি যে আজ আমার কাছে এসেছ সেটা সে জানে? 
-হ্যাঁ ওকে বলেই এসেছি। 
-ও আসতে চায়নি? 
-না। তুমি ওকে কি কোনও ভালো স্মৃতি দিয়েছো যে ও তোমায় মৃত্যুশয্যায় দেখতে আসবে? 
-ও আসবে, এ আশা তো আমি করিনি তুলি! তবে কিনা ও এলে আমি খুশি হয়ে যদি আবেগবশে সবকিছু লিখে দিই - সেটা আখেরে ওর নিজের জন্য ভালো হতো না কী? ইগো থাকা ভালো, তবে বাস্তব বুদ্ধিটা একটু কম তোমার ছেলের। আমার ব্যবসা নিয়ে ও চালাবে কী করে? 
-শোন, বেশি ভাও খেও না। আইনত তোমার সম্পত্তিতে তোমার ছেলের অধিকার। যদি ভালোয় ভালোয় না দাও তো আমাকে আইন আদালতের পথ দেখতে হবে। 
-তাই দ‍্যাখো গিয়ে! 
-মানে? 
-মানে আর কী? আমি আপাতত নীরজের জন্য আমার সমস্ত কিছু দিয়ে যাব- এমন মনস্থ করিনি। একটা আধটা বাড়ি রেখে যেতেও পারতাম হয়তো, তবে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে সেটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। যাইহোক আরও দু'মাস তো বেঁচে আছি। তার মধ্যে যদি আমার মন বদলায়, যথাসময়ে জানতে পারবে। আজ এসো।
   তুলি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলল, 'কেন বিষয়টাকে জটিল করছ নীলেশ? তোমার এই ঘাড় ত‍্যাড়ামোই তোমার সর্বনাশ করল আজীবন! আমি অন্তত বুঝিয়ে সুুঝিয়ে তুতাইকে তোমার মুখাগ্নির জন্য রাজি করাতে পারতাম। নিজের ছেলে বেঁচে থাকতে তার হাতে মুখাগ্নি নেওয়ার শেষ সাধটুকুও তোমার নেই?' 
-আমি মরে গেলে মৃতদেহে কে আগুনের ছ্যাঁকা দেবে- সেই নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই তুলি। সম্পত্তি যদি ওর জন্য কিছু লিখেও যাই, তবে দয়া করে দেখো নীরজ যেন আমার মুখাগ্নি না  করে। আমি জীবনের শেষ আগুনটুকু কিনতে চাই না! তুমি যাও আপাততঃ। 
   তুলি চলে যেতে বড় একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো অজান্তে। সিস্টার এসে বললেন, 'ভদ্রমহিলা কে? আত্মীয়া নাকি?'
-ক্লায়েন্ট। খুব বড় ক্লায়েন্ট। দুটো ফ্ল্যাট বুক করে রেখেছিলেন, নিশ্চিত করে গেলেন মরার আগে সেগুলোর ডেলিভারি পাবেন কিনা!

Post a Comment

0 Comments