আবীর ভট্টাচার্য্য চক্রবর্তী
বৃষ্টি-কথা
কলম-কালি ছুঁলেই বুঝি মেঘমাধুরী কাব্য হয়!
সাধপূরণী অলখ দায়,হৃদয় জানে, সবার নয়।
এই বাদলে কোন গহীনে পুড়ছে কার হৃদয়তল
কোন গোপনে কাকে কখন জুড়ায় কার বৃষ্টিজল
শাল-মহুলে, উতলা বায়ে মেঘদূতের নিমন্ত্রন
যক্ষ বুঝি মন দুয়ারে পাতলো তার বিরহাসন!
প্রকাশাকুল নান্দীমুখে স্ব-উন্মন আখরদল…
মাদল-মেঘ-আমন্ত্রনে ডাক পেয়েছে মফস্বল!
সময় কাঁটা ঘোরে ঘুরুক,মেঘকাব্য হিরন্ময়
যখন ভেজে অঝোরপাতে; বৃষ্টি ঝরে নগরময়।
বর্ষণ
বুকের মধ্যে আজও ভীষণ উথাল পাতাল বৃষ্টি পড়ে
বহুদিনের আগলবন্দী কার উদাসী কন্ঠ ঝরে
খুঁজে বেড়াই আলোর দিশা
পেরিয়ে এই অন্ধ নিশা
চকিত অশনি,সঘন আঁধার, ত্রাশ শিহরণ বায়
চোখের মধ্যে চোখের জলের বন্যা কে আটকায়।
আষাঢ়ধারায় ভেসে যাচ্ছে নির্বিকল্প শ্লোক…
আমার চাওয়ায় অঝোর বৃষ্টি, ভিজছে উদ্দালক।
বৃষ্টি কথা
মৃদুল আখরে আঁকি কবোষ্ণ-নতি যত
মরণ উজিয়ে শুনি জীবন-গান
ছায়ার পথটি বেয়ে আলোক-প্রকাশী মায়া
বোধির আধারে লেখে সাধন-দান।
আকাশও তার কাছে অশ্রুভারানত
যাপন অতলে জাগে কামনা-বান
অরূপ সকাল ডাকে বিবাগী গোধূলি ছায়া
আঁধার গহনে পাতে মাদল-প্রাণ।
আলোকবর্ষ দূরে, স্হিতধী জীবন গত,
স্বপন মোহে দেখি এমনই ধারাস্নান...
পরের জনমে যদি গাছেই পাই কায়া
চেতনে যাপনে জাগে,যেন গো সেই ধ্যান!
🍂
0 Comments