এবং তুমি
আকাশকে আমি বিশ্বাস করিনি।
শীতের বিকেলে ছাতা নিয়েছি,
মেঘ ঝরা বৃষ্টির ভয়ে।
মা কে বিশ্বাস করেছি।
অনিঃশেষ বিশ্বাস।
পঞ্চগব্যে গোময় গোমূত্র জেনেও
গোগ্রাসে গিলেছি।
বাতাসকে আমি বিশ্বাস করিনি।
বাসন্তী বিকেলেও
পলাশের বনে যাই নি কখনো
ঝড় হতে পারে ভেবে।
বাবাকে আমি বিশ্বাস করেছি।
হাত ধরে নিয়ে গেছে কখনো অন্ধকারে
তবুও বিশ্বাস, আলো আছে জেনে।
জলকে কখনো বিশ্বাস করিনি।
সাঁতার জেনেও, ডুব জল
পেরোই নি কোনদিন।
তোমাকে বিশ্বাস ছিল, তাই
জানতে চাই নি কখনো,
ছেড়ে যাবে না তো??
শীতের বিকেলে ভিজিনি কখনো।
ঝড় আজো বিপদ আনে নি।
কতবার ডুব জল পেরিয়ে গিয়েছি একা।
বাসন্তী বিকেলে তবু
পলাশের বনে,
একা একা হাঁটি,
ভোরের শিশিরে দেখি
নিজেরই পায়ের ছাপ,
বৈশাখী বিকেলে
ঝড় থেমে গেলে
একা একা রামধনু দেখি।
পিরীতি ছড়া
আমার বুড়ি, রাগের ঝুড়ি
রাগতে পেলেই সুখ,
পিরীত কথা কইলে পরে
বুক করে ধুক পুক।
বুকের কথা উঠল যখন
তখন বলেই ফেলি,
হৃদযন্ত্রের বৈকল্য
আমার বেলায় খালি।
সবার সাথে সমান পিরীত
আমার বেলায় ফাঁকি,
ছিনে জোঁকের মতন ই তাই
আমিও লেগে থাকি।
জোঁকের মতো রক্ত চোষা?
এক্কেবারে না,
একটু ছোঁয়া, আলতো চুমু,
এখন ভোগে মানা।
কপালে ভাঁজ? পরের কথা
একটুকু তো উঠুক?
ছাড় এখন, নটে গাছটা
আস্তে ধীরে বাড়ুক।।
🍂
0 Comments