জ্বলদর্চি

সুকমল ঘোষ ও দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে-র কবিতা

সুকমল ঘোষ ও দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে-র কবিতা 

বর্ষবরণ 
সুকমল ঘোষ

টিভির স্ক্রিনে ঝিরঝির ঝিরঝির মালটিকালারের ঢেউ। রঙ কি তবে,তার গতিপথ হারিয়েছে; নাকি হিংসুটে এক দৈত্যের অনুপ্রবেশে ভাইরাল এফেক্ট। হাবুর মা’র চোখ সরেনা। এই বুঝি ফিরে এলো ন্যাপকিনের এ্যাড কিংবা পোয়াতি মেয়ের সার্টিফায়েড হরলিক্স। খোকা –ওঘর থেকে চেঁচিয়ে ওঠে-“মা, বাঁকুড়ার সিরিয়ালটা শুরু হলে বলো।” টিভির স্ক্রিনে ঝিরঝির শব্দটা ক্রমশঃ বাড়ছে, অস্পষ্ট দুয়েকটা কথা,ছায়া ছায়া মুখ; ঢেউয়ের ওঠানামা; হাপর টানা ।

সংবিধান সংশোধনীর কাজ এখনও শেষ হয় নি । টেকনিশিয়ানের ফোনে লাইন বিজি । -“ ইস রুটকি সভী লাইন ব্যস্ত হ্যায়; কৃপয়া….থোরী বাদ পুনঃ প্রয়াস করে ।”


আস্তরণ 
দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে 

আস্তরণ 
পড়ে গেছে চোখের উপর, ধৃতরাষ্ট্র হয়েছি আজ। 
গান্ধারীর মনের ভেতর ঢুকতে পারিনি। চেয়েছিল সে কি অন্ধ অনুশাসন নাশ?

আস্তরণ পড়েছে পাতার উপর। সূর্যালোক পৌঁছেছেনা, ঠিক করে সালোকসংশ্লেষও হচ্ছে না। শত, শত পাতারা  কি মানছে আলোর অনুশাসন?

আস্তরণ 
পড়েছে সূর্যালোকের উপর। আট মিনিটেরও বেশি সময় লাগছে কি পৃথিবীতে পৌঁছতে! আলোয় আলো হতে! সূর্যও কি আছে অনুশাসনের মধ্যে? 

আস্তরণ পড়েছে মনের উপর। মনের কোণে জমে থাকা ধুলোবালি গুলো জমে জমে  পাহাড় হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে মন। অনুশাসনের কোন বাঁধা কি মানছে মানুষের মন?

🍂
ad

Post a Comment

0 Comments