নীলম সামন্ত
দহনের শিখা থেকে সামান্য লাল ঝুঁকে আছে। টকটকে লাল- খানিকটা ছাই চাপা হতেই নৌকা আঁকা হল। মাইকে গান বাজছে "ফাগুনের' মোহনায়" - ছলাৎ ছলাৎ অক্ষর সব বৌ-বসন্ত খেলতে চায়। এই বুঝি বৌ উঠে পালাবে—পেছন পেছন ধাওয়া করবে বৌ ছুঁতে চাওয়া ঈষৎ ঘোলাটে হাত। ছোঁয়াছুঁয়ি খেলার অ্যালগরিদম অনুযায়ী এই মুহুর্তে কি হতে পারে সেই হিসেবে যাব না। কোন অগভীর স্তুতির সামনে মাথাও নত করব না। বরং হুইপ জারি করা দাহ্য নিঃশ্বাস জানুক পৃথিবীর কোন ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই। খেলা ধুলোর শেষে হাটে-বাজারে মৃত্যু শুয়ে থাকে। ফাগুন হোক কিংবা চৈতী।
আসলে বছরের বেশিরভাগ মাসেই দ্বন্দ্বের মাস। অবসানের কিশলয়-প্রকল্প ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে ঠোঁট কামড়ায়। এদিকে রংচটা মুখোশ ব্যক্তিগত আস্ফালনে শেষ করে বানিজ্যিক উপন্যাস৷ একদিন এরাই উদারতার কথা বলত। মিছিলে পা মিলিয়ে সে কী ভীষণ প্রতিবাদ। প্রেম প্রণয়, ছিঁড়ে কুটিকুটি করা ডাইরির পাতা সবই একে একে রাষ্ট্র হয়ে উঠল। তারপর নারী দেহ। মায়ের মতো আগল দিতে সকলে পারে?
সহজ প্রশ্নের জটিল উত্তর। অতয়েব নির্বাক-ধূসর থাকাই পিঠ বাঁচানোর খেলা।
🍂
খেলা বললে আবারও বৌ বসন্তের কথা মাথায় আসে। পদ্ম পাতার ওপর টলমল বউ— কেউ বৈঠা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জাতিস্মর প্রেম। রাষ্ট্রের ম্যানহোল তখনও ব্যস্ত৷ জানে না ঋতু পরিবর্তনের সাথে বৌ এর মুখও পরিবর্তন হয়। মন্ডলের কথা পরবর্তী অধ্যায়ে জমা। এমত অবস্থায় নৌকাডুবির কথা মনে পড়ে। উফ যদি সত্যিই বউ বদলে যায় বৌ এর সাথে! আর বহু বছর পর জানাজানি হয় বাকি চাষাবাদের ইতিহাস। চিঠি নির্ভরতা ফিরে আসবে হয়তো। হয়তো বা পোস্টমাস্টারের পোশাকে ঢুকে পড়বে ডুব দেওয়া নৌকা।
ও প্রেম, যে রাতে ছাতিম ফোটে, তুমি কি চিনে নিতে পারো নড়বড়ে দু'টো হাত? কতবার নীল হেঁটে গেছে। কতবার আমিও... গন্ধে সুগন্ধে অসময়েও বসন্তবীজ বেড়ে ওঠে— যেন অসমাপ্ত চুম্বনের এঁটো আবেশ।
বাড়িতে বসেই সংগ্রহ করতে পারেন 👇
0 Comments