জ্বলদর্চি

সাতে সমুদ্র /শুভদীপ মাইতি

সাতে সমুদ্র 
              
শুভদীপ মাইতি 


আর্কটিক


হাইড্রোগ্রাফিক ভূমধ্যসাগর।
অক্ষাংশের দক্ষিণে এ কেমন মায়াময় লবণাক্ত ঋতু!
তীরবর্তী অবশিষ্ট দেহাবশেষে জ্বলে উঠছে চিরপ্রশান্ত উপশম ও উজ্জ্বল খনিজ।

বালিয়াড়ির ভিত ও ঝাউ গাছের শিকড়ে নেমে আসছে তাপমাত্রা, 
সমুদ্রপৃষ্ঠের পতন ও আচ্ছাদিত ভ্রমে—
সীমিত অধিকম্পে মিলে যাচ্ছে স্বর।

সীমান্তবর্তী অন্বেষনে বাতিঘরে পাক খাচ্ছেন দ্রষ্টা।
মুখোমুখি জেগে থাকে মানচিত্র– মাটি, জল, নতমুখ ফিরে যাওয়া ঢেউ।


উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর

মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা ও অভিযানের স্নানপথ।
পেরিয়ে যাচ্ছে মহাসাগরের তল বরাবর, জলের গভীরতম স্রোত

বিষুবরেখার উত্তরে কিংবা অক্ষাংশের মাঝামাঝি ক্রমশঃ গাঢ় হচ্ছে বৃত্তাকার উষ্ণ জলের প্রবাহ

অনন্ত অববাহিকায় বৃষ্টিপাতের ধরণ প্রবাহিত হলে,
যিনি স্রষ্টা, তিনিই দিনের পর দিন ফেলে রেখেছেন অশ্বঘোটকের পাহারা দেওয়া নীল জলপথ।

🍂



দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর

প্রাচীন অন্ধকারমুখি। মেরু অঞ্চলের উপরিভাগে অবস্থান করছে কোষের বিভাজন।

পুকুর ঘাটের চাল ধোয়া জল অপাপবিদ্ধ;
তরঙ্গে তরঙ্গে গাঢ় হচ্ছে হিম-অঙ্ক তাপ।
উল্লিখিত শীর্ষনামে ছড়িয়ে পড়ছে বিদ্যুৎ।
আবদ্ধ প্রনালী। ভেতরে ভেতরে চাগিয়ে উঠছে মোচড়

সংরক্ষিত বরফ জমছে আদরণীয় শরীরে।
ভেতরে ভেতরে ওৎ পেতে আছে কামিনী ফুলের ঘ্রাণ


ভারত মহাসাগর

মহার্ঘ প্রান্তিক মিথস্ক্রিয়া ও উষ্ণ জলবায়ু।

অতিরিক্ত দুষণের মুখোমুখি পৃষ্ঠদেশ।
সিলিসিয়াস স্রোতের অ-স্তরীয় পলল ও প্রবাহিত জলে
মুখ লুকোচ্ছে নিরক্ষরেখা।

তীরভূমির উপকূলবর্তী হ্রাস পেলে লবনজাত খনিজ,
পাশাপাশি উন্মুক্ত হচ্ছে বেঁচে থাকার, বেঁধে থাকার গিঁট


উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর

অনুকূল বাতাসে সম্মুখীন হ্রাস পাচ্ছে বাষ্পীভূত জল

গভীর খাদ ও নিমজ্জিত পর্বতে কখনো কখনো প্রকট হন‌ ঈশ্বর

আমাদের বিচ্ছেদ যখন ছুঁয়ে নিচ্ছে পান্থশালার অপেক্ষা,
প্রাচীন অবনমনে সমৃদ্ধ হচ্ছে উপকূলবর্তী মৎস্য নির্ভর নোনাচাতর।



দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর

দুর্গম সমুদ্র মেরু ও মহাসাগরীয় সঞ্চালনে শান্তিপূর্ণ প্রান্তিক সাগর।

একটি বিন্দু ক্রমাগত পাল্টে যাচ্ছে বলয়ে।
দূরবর্তী সীমান্ত থেকে ফিরে আসছে ঢেউ।

অবশেষে মুখোমুখি মিলিত জলের দুটি ধারা


অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর

সর্বাধিক গভীরতায় দলগত বিরোধের কারনে, বিরুপ দেহকে বারবার ভাসিয়ে দিচ্ছে মানচিত্র।

অবস্থিত স্তরবিন্যাস ও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে ক্রমশঃ দক্ষিণ দিকে সরে যাচ্ছে সীমা।
উপকূল বরাবর ফিরে আসার আগে, সমগ্র দখল নিচ্ছে চৌম্বকীয় টান।

কেবলমাত্র কোন ভূমি সংযোগ ছাড়াই যখন আলাদা হয়ে যাচ্ছে ড্রেক প্যাসেজ,
আইসবার্গের দূর্গমতায় অবিরাম নিষ্কাশনে বাঁধা থাকছে পথ।

Post a Comment

0 Comments