জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা / র ঘু না থ চ ট্টো পা ধ্যা য়

 গুচ্ছকবিতা

র ঘু না থ  চ ট্টো পা ধ্যা য় 

১.
বাহাত্তুরে জলের আশঙ্কা


শূন্যতাকে পড়তে গিয়ে একা হয়ে যাই
হু-হু করে বেড়ে ওঠে একাকিত্বের জমি
একাকিত্ব কোনোদিন দেখায়নি পয়মন্ত আশ্চর্য
বরং একাকিত্ব আমাকে হারিয়ে দিয়ে
প্রতিদিন হেসে ওঠে এক আকাশ...

আর একদশক পর বাহাত্তরে যেতেও পারি
এই আশঙ্কায় ভক্তি ও বিশ্বাসকে নিয়ে
সেরে নিয়েছি কয়েকদফা জরুরী মিটিং
ওদের হাতেই সঁপে দিয়েছি
আমার আগামী বাহাত্তর এবং পরবর্তী অধ্যায়...

এ পর্যন্ত যেসব শূন্যতাকে পড়তে পারিনি
ইষ্টমন্ত্রের কাছে চেয়ে নেব
তাদের রেসিডেন্স ও চাবিছড়া
ইষ্টমন্ত্র চব্বিশঘন্টা আমাকে দেখে
আমারও ডুবে থাকার কোনো ছিদ্র নেই...

তথাপি,বাহাত্তুরে জলের আশঙ্কায় মরে যাচ্ছে খিদে...।

        
🍂

                        
২.
একটি খুচরো এপিসোড 


চালের গুণে ফুটে ওঠে ভাতচরিত্র
আকর গ্রন্থে কাঁকর খুঁজছো?খোঁজো
আমি না হয় একটু এগিয়ে যাই।

গনেশাদি পঞ্চদেবতার নৈবেদ্যবৎ
ঠারোগুয়া ও পঞ্চউপকরণের পাশে
তিনসত্যি সাজিয়ে দিলেও 
কাঁচা বিশ্বাস পাকা হয়ে যায়না।

এভাবে বিশ্বস্ত হতে চাইনে
তোমাদের তাসের অট্টালিকা নিয়েও 
আমার কোনো এপিসোড নেই।
                     -

৩.
কীর্তন

সঠিক ফরমূলাও টেনে নিয়ে যায় খাদের কিনারে
প্লাস-মাইনাসের ভুলে বাজাতে পারিনা বিজয়শঙ্খ
অনেক কষ্টে পুনর্নির্ণয়ের অনুমতি পাশে দাঁড়ালে
উড়তে উড়তে পূর্ণিমাতে পৌঁছুই ও পূর্ণতিথি মেখে
একঘর ফুঁ নিয়ে কীর্তনে ফিরি। 


৪.
প্রতিপদযুক্ত জল

টলমল করছি প্রতিপদযুক্ত জল
ক্ষুধা খুঁজছে রোদ ঝলমল পূর্ণিমা।
নিজস্ব কোনো কাঁসর-ঘন্টা-শঙ্খ নেই
ভীষণ অ-মাইক,ঘটা করে জানাতে পারিনা
প্রস্তুতি,শুভারম্ভ,মাঝপথ এবং উদযাপন।

ভীষণ তাকিয়ে থাকে নির্ভরশীল পর্বগুলো।
নাস্তিক নই,পঞ্জিকাকে সমীহ করে
এ-ঘর ও-ঘর উঠোন মন্দির সেরে
জল খেতে দুপুরের ঘাম ঝরে যায়।
এরপর তিলমাত্র আগ্রহ থাকে কী?
তথাপি বিগ্রহের মত তাকিয়ে থাকতেও পারিনা।

শুধু সহজলভ্য মহাপ্রসাদের বংশ-পরিচয় নিয়ে
অদ্যাবধি কোনো মাথাব্যথা নেই।
অথচ,সম্মুখের ছিদ্রহীন কাউন্টে আমি মিসিং
প্রতিপদ চিরটাকাল এভাবেই থেকে গেল...!


৫.
পুরোনো অসুখটা 

পুরোনো অসুখটা অভুক্ত অগ্রদানীর জেরক্স কপি
কয়েক দশক ধরে বুক জুড়ে কাঙালি খেতে বসেছে
সমস্ত ইহকাল পরকাল চটকে, নুনঝাল মাখিয়ে
কবজি ডুবিয়ে আমাকেই খাচ্ছে।

একহাতে খাচ্ছে তো অন্য হাতে ঘটি বাজাচ্ছে
দু'বেলা ভোজন দক্ষিণা গুনতে গুনতে
তর তর করে মুড়িয়ে যাচ্ছি নটেগাছ
ব্যর্থ সব বৈজ্ঞানিক ডোজ,ব্রত-সংযম ও ইষ্টমন্ত্র।

ক্ষয়ে যাচ্ছে,চটে যাচ্ছে বহিরাঙ্গের গৌরাঙ্গ জ্যোতি 
আক্রান্ত জ্যোতির ঐশ্বরিক উঠোনে
ফুটে উঠেছে যে সব আবলুস সংজ্ঞা
সবই পুরোনো অসুখের তীব্র স্ট্যাঞ্জার।

বিবিধ আলোর আমন্ত্রণে জল ঢেলে
পুরোনো অসুখটা যখন দু'কলম আনন্দস্নান লেখে
আমি তখন শরীরের কোষে কোষে হাতড়ে বেড়াই
বহুযুগ আগে নিভে যাওয়া মুখের আগুন...।
 উৎসব ১৪৩২ জ্বলদর্চি 
                       

Post a Comment

0 Comments