দেববানী-র গুচ্ছ কবিতা
রাত্রি এসেছে বলে
গোধূলি যখন হাতছানি দেয়
নেমে আসে কালো রাত্রি
অন্ধকারের অসীম পাথারে
নিঃসঙ্গ এক যাত্রী।
সুগভীর সেই কাজল নয়ন
সকল ক্লান্তি হরা
হাসনুহানার গন্ধ আবেশে
মন হল মাতোয়ারা।
মাতাল হয়েছে পাগল হাওয়াও
রাত্রি এসেছে বলে
বাঁশিতে কে যেন দিয়েছিলো ফুঁ
দূর পাহাড়ের কোলে।
হাজারটা তারা তারই আঁচলে
স্ফটিকের মত জ্বলে
নিশাচর জাগে নিশার আশায়
দিনের বেদনা ভুলে।
পাতায় পাতায় জাগে শিহরণ
রাত্রি এসেছে বলে
বিরহ-শোকের পুঁথি গুলি সব
সাথে নিয়ে যাবে চলে।
শেষ দেখা
এই তো সেদিন দেখা
পথের ধারে;
হাসি কান্নায় কিছুক্ষণের আলাপ।
আজকে সবই স্বপ্ন প্রতিম লাগে
করুন সুরে একলা বিরহ জাগে।
যে চলে যায় "সব পেয়েছির দেশে"
সে তো আবার ফেরেনা কখনো।
আধো ঘুমে খুঁজেই ফিরি তাকে
ক্লান্ত শরীর, শ্রান্ত এবার মন ও।
সঞ্জীবনী সুধা
শীতের রাতের নিস্তব্ধ জনপদ
কেমন স্থবিরের মত দাঁড়িয়ে থাকে।
ইতি উতি বস্তির মানুষ গুলো
আবর্জনার স্তূপ থেকে পাওয়া
কাগজের ঢিপি বানিয়ে
আগুন জ্বালায়।
সেই আগুনে হাত গুলো সেঁকে
উষ্ণতা চারিয়ে দিতে চায়
সারা শরীরে।
শরীর কতটা উষ্ণ হয়
অনুভব করতে পারি না।
কিন্তু আগুন ওদের মুখে
পবিত্র হাসি ফুটিয়ে তোলে।
আর ওদের উজ্জ্বল চোখ
আমাকে দিয়ে যায় বেঁচে থাকার
অমোঘ সঞ্জীবনী সুধা।
আমার এই দীনতাকে আমি
প্রতিরাতে উৎযাপন করি।
🍂
বর্ষার একটি দিন
আজ শ্রাবণের মেঘলা দিনে
জল থৈথৈ সৃষ্টি,
টাপুর টুপুর বৃষ্টি দুপুর
শাপলা শালুক পদ্ম পুকুর
হঠাৎ হাওয়ার শীতল পরশ
লাগছে ভারি মিষ্টি।
রাত্রি এসেছে বলে
গোধূলি যখন হাতছানি দেয়
নেমে আসে কালো রাত্রি
অন্ধকারের অসীম পাথারে
নিঃসঙ্গ এক যাত্রী।
সুগভীর সেই কাজল নয়ন
সকল ক্লান্তি হরা
হাসনুহানার গন্ধ আবেশে
মন হল মাতোয়ারা।
মাতাল হয়েছে পাগল হাওয়াও
রাত্রি এসেছে বলে
বাঁশিতে কে যেন দিয়েছিলো ফুঁ
দূর পাহাড়ের কোলে।
হাজারটা তারা তারই আঁচলে
স্ফটিকের মত জ্বলে
নিশাচর জাগে নিশার আশায়
দিনের বেদনা ভুলে।
পাতায় পাতায় জাগে শিহরণ
রাত্রি এসেছে বলে
বিরহ-শোকের পুঁথি গুলি সব
সাথে নিয়ে যাবে চলে।
0 Comments