জ্বলদর্চি

সেলাই : একটি চলচ্চিত্র ---চিত্তচঞ্চলকারী /তনুশ্রী ভট্টাচার্য


সেলাই : একটি চলচ্চিত্র—চিত্তচঞ্চলকারী

তনুশ্রী ভট্টাচার্য

অমৃতা বিপ্লব
অমৃতা কৃষ্ণেন্দু
লাবনী কৃষ্ণেন্দু
উপরোক্ত দুই জোড়া তরুণ তরুণীর তৎক্ষণাৎ প্রেমে ঢোকা ও প্রেম থেকে বেরিয়ে আসা আবার শেষে ঠিকঠাক নির্বাচনের মাধ্যমে 'সব ভালো যার শেষ ভালো' র মতো আপ্তবাক্য ফলো করে মধুরেণ সমাপয়েৎ করে দুঘন্টার   'সেলাই ' সিনেমাটি নির্মিত  হয়েছে। পরিচালক নবাগত তরুণ স্বরূপ পাল।
কলাকুশলীরাও এক্কেবারে নবাগত ।
সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো হয়ে গেল  মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির চারুলতা প্রেক্ষাগৃহে গত ১২.৯.২০২৫ তারিখে।

 সিনেমাটির গল্পে প্রেমের রুমালগুলো একের পর এক ছিঁড়েছে আর জুড়েছে। সেলাই করেছেন রুমালের মালিকরা নিজেরাই । তারপর একে ওপরকে বিনিময় করেছেন। যার রুমাল তাকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন।
 
আধুনিক প্রজন্ম Zen Z বা জেন জি র  জীবনশৈলী নিয়ে "সেলাই"  সিনেমাটি  তৈরী  করেছেন তরুণ পরিচালক ।বর্তমান সময়ের ইয়ং জেনারেশনের লাইফ স্টাইল এ সিনেমার উপজীব্য।  যুবকযুবতীরা যেন  সদ্যফোটা পদ্মের মতো ঢলঢল করছে। এখনো জীবনের কাঁটা, খোঁচা, হোঁচট খায় নি। গাম্ভীর্য  গভীরতা তাদের ছুঁতে পারেনি। তারা কখনো প্রেমের প্রতি,সম্পর্কের প্রতি, বন্ধুত্বের প্রতি,  পরিবারের প্রতি লয়্যাল থাকে বা থাকেও না। তবে লয়্যাল থাকার বিপরীতে   যা করে সেটাকে ঠিক বিশ্বাসঘাতকতাও বলা চলে না। আসলে তারা এত খোলামেলা রাখঢাক না করেই মেলামেশা করে যে তারা নিজেরাও ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারে না যে আসলে তারা ঠিক কি চায়। তারা দু:খ পায় ,দু:খ দেয়, পাশ থেকে সরে যায়, আবার পাশে এসে দাঁড়ায়। অল্পেতেই ডিসিশন নিয়ে ফেলে । সেটা কখনো ভুল কখনো ঠিক। এক প্রেমে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না। বিশেষ করে কৃষ্ণেন্দু আর লাবণী। তাদের প্রেমের পাত্রপাত্রী তথা সঙ্গী বদল করা নিয়েই সিনেমাটিতে সম্পর্কের জটিলতা। এর ফলেই সম্পর্কগুলো ছিঁড়ে গেল । শেষে আবার তাদেরই উদ্যোগে সেলাই করা হোল। এটাই 'সেলাই' শিরোনামের চলচ্চিত্র টির কেন্দ্রীয় ভাব। 

কৃষ্ণেন্দু অমৃতার প্রেমের কুঁড়ি  সদ্য ফুটেছে।  কৃষ্ণেন্দু চরিত্রগত ভাবে দুর্বল-- না পারে নিজের কথা বোঝাতে না পারে প্রেমিকার কথা বুঝতে। ওদিকে অমৃতাও খানিকটা তাই। প্রথম দেখায় প্রেমিক কি ব্যবহার করবে,তার চিন্তায় উদ্বেল। কৃষ্ণেন্দু  ইতস্ততভাব বা দোলাচলমানতায় ভরা  এক আলগা আলগোছে চলা চরিত্র ।  ক্রমশই  সে আলগা এক চরিত্রের ভিত্তির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে তার আর অমৃতার সম্পর্কে  কথাবার্তায় । সেই সুযোগে লাবণী  যে কিনা একটা অরফ্যানেজ হোম নিয়ে থাকে এবং এত প্রেম ট্রেম নিয়ে মাথা ঘামায়ই না,যথেষ্ট আলট্রামডার্ণ , ঠোঁটকাটা স্বভাবের, কোনো অবশেশন নেই প্রেম নিয়ে ---- সেও হঠাৎ এক সন্ধ্যায় প্রেমে পড়ল কৃষ্ণেন্দুর অথচ সে জানে অমৃতার সঙ্গে কৃষ্ণেন্দুর হালকা একটা রিলেশনশিপ চলছে। আবার ওদিকে তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য দেখে মূর্তি নামের  কৃষ্ণেন্দুদের বাড়ির সহকারী মেয়েটি যে মনে মনে কৃষ্ণেন্দুকে ভালোবাসে   মানসিক আঘাত পেয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে  হসপিটালে ভর্তি হল।  তখন আবার কৃষ্ণেন্দু লাবণী সবাই তার পাশে থাকল মানবিক কারণে। মুর্তিকে কৃষ্ণেন্দু বুঝিয়ে বলে যে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠা সম্ভব নয়। মূর্তি নিজের ভুল  বুঝতে পারে।
ওদিকে দার্জিলিঙে বেড়াতে যাওয়ার পথে একই গাড়িতে ট্রাভেল পার্টনার ছিল  বিপ্লব অমৃতা লাবণী। বিপ্লব অমৃতার প্রতি দুর্বল হল। অমৃতার ছবি এঁকে গাড়িতে রেখে দিয়ে বিপ্লব নেমে গেল। প্রেমের অভিজ্ঞান।
কিন্তু অমৃতা কৃষ্ণেন্দুকে পছন্দ করে। কৃষ্ণেন্দু আর বিপ্লব একই অফিসের কলিগ।  কৃষ্ণেন্দুর কাছ থেকে বিপ্লব এই সত্যটা জেনে ভেঙে পড়লেও সে চুপচাপ থাকে । অমৃতাকে হালকা করে আভাষ দেয় যে সে অমৃতাকেই ভালোবাসে।  কিন্তু অমৃতা  সেটা জোর দিয়ে নেয় না। এদিকে অমৃতা যখন জানতে পারে যে তার বেস্ট ফ্রেন্ড   লাবণী কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে তখন সে বাড়ি ছেড়ে উধাও হয়ে যায়। তৈরী হয় সংকট, জটিলতা।
 
 এইভাবে চরিত্রদের নিজেদের আলপটকা পদক্ষেপে যখন একটা সংকট তৈরী হয়ে যায় তখন সেই সংকটে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করতে চায় সংকটাপন্নকে বা নিজেরাও সংকট থেকে উদ্ধার পেতে চায়।  সেই সূত্র ধরেই একদিকে   প্রেমের আদানপ্রদানে ব্যর্থ প্রেমিক বিপ্লব আর অন্যদিকে  প্রেমের খেলায় অমৃতাকে সরিয়ে কৃষ্ণেন্দুর জীবনে ঢুকে পড়া লাবণী  উদ্বিগ্ন হয়ে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে প্রেমে আঘাত পাওয়া  অমৃতাকে। অমৃতাকে যে লাবণী আঘাত দিয়েছে   সেই লাবণীই   স্বয়ং তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে খুঁজতে মরিয়া হয়।  এদিকে বিপ্লব জানে যে অমৃতা তাকে তেমনভাবে গ্রহণ করেনি ভালোবাসার  মানুষ হাসেবে, সে কৃষ্ণেন্দুকেই ভালোবাসে তবুও তার প্রকৃত উদার মন, উপকারী মন, হেল্পফুল মন, সংবেদনশীল মন নিয়ে অমৃতাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে এবং তাকে  জীবনবিমুখ হয়ে যাবার চুড়ান্ত মুহূর্তে জীবনমুখী করে তোলে। 
 এইভাবে চার তরুণ তরুণীর ছিঁড়ে ছিঁড়ে যাওয়া প্রেমকে ঠিকঠাক সেলাই করে করে  শেষে দুখানা সলিড প্রেমের পরিণতি দিয়ে সিনেমাটি শেষ হয়। 

 মনের গঠনের বা  মনের গতিপ্রকৃতির বা পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে মনের চলন গমন নিয়েই একটি অত্যাধুনিক  এবং অত্যাবশ্যকীয় সিনেমা তৈরী করেছেন পরিচালক।
  পঁচিশ এর কোঠায় থাকা ছেলেমেয়েরা বেষ্ট ফ্রেন্ডকে  বি এফ বলে ,কথায় কথায় স্ল্যাং ব্যবহার করে, ভাইকে প্রেম করতে শেখায়, অরফ্যান শিশুদের নিয়ম করে গিফ্ট দেয়, খুশি হয় নিজেরা, খুশি করে অন্যদের । ছেলে বাবাকে নামধরে স্কুলমাস্টারের মতো কেশববাবু বলে, আবার মৃত মায়ের স্বপ্নে বিভোর থাকা  বাবার স্বপ্নভঙ্গ করে বাস্তবে আনে । পিতাপুত্রের সম্পর্ক টার অন্য পরিচয় দেন পরিচালক। নি:সঙ্গ বাবার সঙ্গে ঠাট্টা মশকরা করে হালকা ভাবে বাঁচে--দুজনেই ছেলে আর বাবা। বাবা ছেলেকে  বর্তমানে মৃত স্ত্রীর দেওয়া প্রথম উপহার দেয় জীবনের সংকটে জয়ী হতে ---যেন এক শক্তিশালী  টোটকা।
 ছেলের আর ছেলের গার্লফ্রেন্ডকে বাড়িতে প্রথম আগমনের দিনেই চা করে খাওয়ায়,  তাদের আলাদা ঘরে একান্তে বসতেও দেয় ---চা য়ের নতুন নাম দেয়  গরম নদী-- বেঢপ কথা --তবুও ওদের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে যায়। জেন জি র ভাষ্য।
এই সিনেমায় কেউ স্মৃতি নিয়ে বাঁচে। কেউ সঙ্গীত নিয়ে বাঁচে। স্মৃতিকাতর হয়ে স্ত্রীকে খোঁজে এক স্বামী।  অতীত রোমন্থন করে ।কবিতা বলার মুহূর্ত মনে করে বিগত দাম্পত্য সুখের সন্ধান করে। জয় গোস্বামীর ঈশ্বর ও প্রেমিক কবিতাটির চয়ন  এবং কালিম্পংএর পাহাড়ী অরন্যের মাঝে দাঁড়িয়ে আবৃত্তি---এক দাম্পত্যের ছবি এঁকে দেয় ---গভীর ও ঐকান্তিক।লোকেশন নির্বাচনে পরিচালকের রসবোধের পরিচয় পাবেন দর্শক।
🍂

একজন সঙ্গীত শিক্ষক যিনি মিউজিকের তাত্বিক সৌন্দর্যে জীবনের সৌন্দর্য খোঁজেন আর ছাত্রছাত্রীদেরও সেই জীবনবোধ শেখান। এখানে বেষ্ট চয়েস রজতাভ দত্ত।  তাঁর স্ক্রীন প্রেজেন্সের যেমন চুম্বকীয় আকর্ষণ আছে তেমনি বিভিন্ন এ্যাঙ্গল থেকে তাঁকে ক্যামেরায় বন্দী  করার কৌশলটিতে  পরিচালক একশো শতাংশ  সার্থক। শুধু একটা গীটারের তারে আঙুল ঠেকিয়ে সংলাপ বলার একটি মুহূর্তে যেন সঙ্গীতের সাতসুর বেজে ওঠে দর্শকের কানে। আর তাঁকে দিয়ে পরিচালক তাঁর জীবন ও মার্গসঙ্গীতের যে দর্শন বলিয়ে নিয়েছেন সেটি সিনেমাকে এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে।   একদিকে হালকা মনের  তরুণ তরুণী অন্যদিকে গভীর প্রেমবোধ আর জীবনের তত্বকথা ------পরিচালক যেন সত্যিই সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারির কাজ করেছেন সিনেমাটিতে।  এ শুধু সাধারণ ফোঁড় তোলা সেলাই নয় --এ এক লক্ষ্ণৌ চিকনের কাজ বা কাশ্মিরী স্টিচ।


চারটি তরুন তরুণীর পারস্পরিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়েই ছবি। তবে এই  অগভীর যুগের মতোই সেই টানাপোড়েনে গভীরতা তেমন তৈরী হয় না বা পরিচালক তৈরী করতে চাননি । তাদের সম্পর্কগুলো ছেঁড়া রুমালের মতো সেলাই করে করে চালাচ্ছে ওরা। অর্থাৎ সিনেমাটি এগিয়ে চলেছে। একজন দক্ষ সুচীশিল্পীর মতোই পরিচালক  সেলাই করে করে এগিয়ে নিয়ে গেছেন কাহিনীকে। 
অভিনয় দুর্দান্ত। প্রত্যেকেই প্রতিভাবান। চরিত্রের স্পিরিট ফুটিয়ে তুলেছেন। 
ক্যামেরার কাজে মন জুড়িয়ে যাবে দর্শকের। কালিম্পং ,দার্জিলিং এর সবুজ চাবাগিচা মেঘ আকাশ পাহাড় মন ভালো করে দেয়। কোনো কোনো দৃশ্য যেন কবিতা হয়ে উঠেছে । বিশেষ করে যে দৃশ্যে  বিপ্লব পাহাড়ের এক দুর্গম স্থানে একা বসে আছে।তার একাকীত্ব বোঝানোর উত্তর আধুনিক  স্টাইল বা নিউ ওয়েভ সিনেমার চলনটি পরিচালক খুব মেধাবী উপায়ে ব্যবহার করেছেন। পরিচালকে সাধুবাদ ক্যামেরার ওপর নিজস্ব নিয়ন্ত্রণের কৌশল আয়ত্ত করার জন্য। বা অমৃতাকে উদ্ধারের পরে নদীর কোলে  ক্যামেরার সেন্স অফ টাইমিং  অসাধারন।  আবারো ধন্যবাদ পরিচালকের মুন্সিয়ানায়। কিছু সিম্বলিজম ব্যবহারের ক্ষেত্রে  পরিচালকের ডিটেইলসের প্রতি মনোযোগ  দর্শককেও শিক্ষিত করে তোলে। সে সন্ধ্যায় লাবণী আর কৃষ্ণেন্দু যখন রাস্তার ডিভাইডারের দুজন দুদিক দিয়ে হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছে তাদের প্রথম প্রেমের  সংলাপ  আর একে অপরের প্রতি  লয়্যাল থাকার  আলোচনা করতে করতে তখন ঐ ডিভাইডারের এমন প্রতীক ব্যবহারে মুগ্ধ হতে হয়। সরু একফালি ডিভাইডার যেন ওদের দুজনের  মধ্যে অমৃতার হালকা উপস্থিতিকেই জানান দেয়।  বুদ্ধিদীপ্ত প্রয়োগ। আগামীদিনের জন্য শুভেচ্ছা জানাতেই হয় পরিচালককে।
সঙ্গীত  এ ছবির মূল্যবান সম্পদ। যেমন বানী তেমন সুর তেমন গায়কী তেমন প্রয়োগ। অনেক নীরবতা বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে গানে, অনেক বেদনা শিউলির আনন্দে ঝরে পড়ে মনকে হালকা করেছে। মিউজিক এবং গান একটা চরিত্র হয়ে উঠেছে। দৃশ্যায়ন যদি টুকরো টুকরো ক্যানভাস হয়  তবে তাকে রেশমী সুতোর সেলাই বুনেছে এ ছবির আবহ সঙ্গীত। গানের ভূমিকা এ সিনেমায় এরকমই। নারী ও পুরুষ কন্ঠ সুপ্রযোজ্য।
 
তবে দু একটা  কথা বলতেই হয়-- যেগুলো কাহিনীতে বড্ড একঘেয়ে  অপ্রয়োজনীয় বা বাড়তি হয়ে গিয়ে কাহিনীর মেদ বাড়িয়েছে।  গানের ক্লাসের জন্য বা অফিসের আলোচনা বা কৃষ্ণেন্দু র বাবার জন্য এত ক্যামেরার রিলস  খরচ না করলে ছবিটি আরো নির্মেদ টানটান হতো। সংলাপে ওভারস্মার্টনেস আনতে গিয়ে বেঢপ বেমক্কা কিছু  ডায়ালগ ছবিটির সরলতাকে বাঁকিয়ে দিয়েছে।  ওগুলো না থাকলেও এই জেনারেশনের ভালো লাগত ছবিটি।

তবুও ছবিটি উপভোগ্য। এই শতাব্দীর প্রথম প্রজন্ম এবং বিশেষ করে এই দশকের ছেলেমেয়েরা জীবনের  সমস্যা আর সমাধান   নিজেরাই করে---- সেটিকেই উপজীব্য করে পরিচালক নক্সী কাঁথার  ফোঁড় তুলেছেন সেলুলয়েডে। এবং অবশ্যই সেটা চিত্তচঞ্চলকারী। দর্শকধন্য হবে, আশা রাখি।


ছবিটির মুক্তি আসন্ন। এই২০২৫ সালেই মুক্তি পাবে। 

অভিনয়ে:
রজতাভ দত্ত, দেবাশীষ সেন শর্মা, অ্যাঞ্জেলা গোস্বামী, চিত্রাঙ্গদা সমাজদ্বার, সাগ্নিক কোলে, প্রীতি কে., ময়ুখ ভট্টাচার্য, কাব্য কাশ্যপ, সুমনা দাস, সুমন গাইন, শুভদীপ ঘোষ

পরিচালনা: স্বরূপ পাল
গল্প ও সংলাপ: সমুদ্র সিংহ
চিত্রগ্রহণ: সৈকত বালা
পটভূমি সঙ্গীত (BGM): সৌমাল্য সিংহ
সৃজনশীল প্রযোজক: তীর্থঙ্কর রায়
সহ-পরিচালক: তীর্থঙ্কর রায়
সম্পাদনা: প্রণয় দাশগুপ্ত

মেকআপ: মৌপ্রিয়া সরকার, বিনয় সরকার, অমৃতা পাল, সেন কমল
পোষাক পরিকল্পনা: রঞ্জাবতী, ইয়েসবাবু
সাউন্ড ডিজাইন ও ফিল্ম মিক্স: কৌশিক ঘোষ
প্রোডাকশন ডিজাইন: মধুরিমা সিংহ ও প্রিয়াঙ্কা করাঙ্গা
DI কালারিস্ট: সৌরভ দাস (ICG)
VFX: TSM

পরিচালনা বিভাগ: স্মৃতি কে., দেবস্মিতা পাল, শিবরাজ, বিজয়, রাজু বণিক
টিজার: তীর্থঙ্কর রায়
প্রোডাকশন ম্যানেজার: শেখর সুর রায়, ইন্দ্রনীল দে
গ্যাফার: অরুণাভ চন্দ্র
ডাবিং কো-অর্ডিনেটর: পার্থ প্রতিম

পোস্ট-প্রোডাকশন প্রধান: গৌর দাস
পোস্ট-প্রোডাকশন স্টুডিও: স্টুডিও কোলাজ (কলকাতা)
পোস্টার ডিজাইন: নিত্যনন্দ নিয়োগী
প্রোডাকশন টিম: জিত দাস, রাজকুমার মাইতি, শুভ সূতরাধার, অর্কপ্রভ দত্ত, পার্থ প্রতিম।।

Post a Comment

0 Comments