সত্যই সুন্দর
মনের চোখ দিয়ে যে প্রকৃত সুন্দর উপলব্ধি করা যায়, চর্মচক্ষুতে বাইরের জগতে সেই সৌন্দর্যকে কি দেখা যায়!
নিজেকে আমরা যখন হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি, তখন সৌন্দর্যের সঙ্গে নীতিবোধ যুক্ত হয়, সৌন্দর্যের ভালো মন্দ, সৌন্দর্যের প্রয়োজনীয়তা তখন সামনে এসে দাঁড়ায়।
সৌন্দর্য পরিণামে মঙ্গলকর, আনন্দ দেয়, দেয় অমৃতের আস্বাদ, দেয় সত্যজ্ঞানের পরিচয়।
সত্য, প্রয়োজন সাধনের ঊর্ধ্বে সকলের সঙ্গে যুক্ত থেকে পদ্মের পাপড়ির মতো বিকশিত হয়, যেন লক্ষ্মী দেবীর আবির্ভাব ঘটেছে, সত্য, মঙ্গল আনন্দের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
শুধু ফুলের সৌন্দর্যে আমরা মোহিত হই না, ফুল যেখানে ফলের গুঢ়তর মাধুর্য ও পরিণতি লাভ করেছে সেখানে সৌন্দর্যের সঙ্গে মঙ্গল একাত্ম হয়েছে।
সুন্দরের মধ্যে সত্যের আর সত্যের মধ্যে প্রেম ও আনন্দের আস্বাদ মেলে। অন্তর জগতে চলছে এক সুন্দরের আরাধনা এক মঙ্গলের আরাধনা। প্রতিদিনের তুচ্ছ বন্ধন থেকে মুক্ত হলেই বৃহত্তর জীবনের আস্বাদ পাই, সৌন্দর্য, প্রেম ও আনন্দের সাক্ষাৎ পাই, সেই তো সত্য, সেই তো মঙ্গল, সেই তো সৌন্দর্য।
ভাবনা
তোমার মত ভাববো বললেই তো আর ভাবা যায় না।
অসম্মানকে বড় গায়ে লাগে। তোমার মতন করে অসম্মানকে অন্তর্হিত করতে পারি না।
কত সহজে তুমি, যে দূরে চলে গেছে তাকে যেতে দাও।
তোমার মত করে এত সহজেই তা আমি পারি না।
সব স্মৃতি নিয়ে চাদর মুড়ি দিয়ে থাকি।
কত সহজে তুমি, অকৃতজ্ঞদের ভুলে যাও।
আমি ভুলতে চাইলেও তা পারি না। তাদের অকৃতজ্ঞতা আমাকে কুরে কুরে খায়।
কত সহজে তুমি, ছেড়ে চলে যেতে চাও।
আমি তা ভাবতেও পারি না,
স্মৃতিরা সব বসে থাকে অতীতের ঘেরা টোপে।
তোমার মত করে অন্যায় দেখেও চুপ থাকতে পারি না।
বড় জ্বালা ধরে, তার প্রতিবাদ না করতে পারলে।
এত সহজে তুমি সবকিছু মেনে নিতে পারো কি করে?
ভাবনা আর বাস্তবকে মেলাতেই আমার সারা দিন কেটে যায়।
0 Comments