জ্বলদর্চি

ঘুমিয়ে গেছে গানের পাখি (কুড়ি তম পর্ব ) /চিত্রা ভট্টাচার্য্য

 ঘুমিয়ে গেছে গানের পাখি 

(কুড়ি তম পর্ব) 

 চিত্রা ভট্টাচার্য্য   


ভাটিয়ালী গানে কবি নজরুল

গীত ও সঙ্গীতের সম্ভারে মরমী কবির অবিস্মরণীয় কথা ও সুরের ঐন্দ্রজালিক সৃষ্টি তে মোহিত হয়ে রয়েছি। তাঁর সৃষ্টি র সন্ধানে  নজরুল রচনাবলীর পাতা উল্টে যত গানের সুর শুনে মুগ্ধহই --সে যেন কানের ভিতর দিয়ে মরমে প্রবেশ করে ভাসিয়ে নিয়ে যায় কোন সুদূরের স্বর্গলোকে। আজকের প্রবন্ধে তাঁর স্মৃতিচারণের অবসরে মনে পড়ে  (নজরুল রচনাবলী, ৮ম খণ্ড ১৭-১৮পৃ ;  ) কবি যেখানে লিখেছেন ;---
'' আমায় সাদর সম্ভাষণ করেছে তোমাদেরই আগে তোমাদেরি গিরি-সিন্ধু-নদী-কান্তার পরিশোভিত পরিস্থান। তোমাদেরি গিরিরাজের কোলের কাছটিতে সর্ষেফুলের আঁচল বিছিয়ে যে উদাসিনী বালিকাকে নদীর ঢেউ খেলানো চুল এলিয়ে বসে থাকতে দেখেছি , আমায় সর্বপ্রথম মৌন অভিনন্দন জানিয়েছে সে। … তোমাদের কর্ণফুলির তরঙ্গে যে তরুণী তার ভরা যৌবনের স্বপ্ন বিছিয়ে, কাননের কুন্তল এলিয়ে ঘুমিয়ে আছে, আমায় সর্বপ্রথম আমন্ত্রণলিপি পাঠিয়েছে সেই- তার সম্পান মাঝির হাতে। ... তোমাদের বনে বনে ঘুরে ফেরে যে বালিকা বনলক্ষী- তার হলদে পাখি, বউ কথা কও, পিক-পাপিয়ার নুপুর কানন বাজিয়ে, গুবাক তরুর হাতছানি দিয়ে আমায় সবার আগে ডেকেছে সেই আলুলায়িত কুন্তলা কপালকুন্ডলা। তোমাদের উদার আকাশ মেঘের আল্পনা এঁকে আমার আসন রচনা করেছে, -বৃষ্টি-প্রপাত-ছন্দে তোমাদের আসমানি মেয়েরা আমার শিরে পুষ্পবৃষ্টি করেছে, তোমাদের জলপ্রপাত নির্ঝরিণী আমার গজল গানে সুর দিয়েছে, তোমাদের সিন্ধু-হিল্লোল আমার রক্তে নতুন দোল দিয়েছে।''
🍂

 সেইকবে কবি নজরুল ‘জনসাহিত্য সংসদ’ নামে একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে এমন আত্মপ্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছিলেন ,
‘কাব্য ও সাহিত্যে আমি কী দিয়েছি, জানি না। আমার আবেগে যা এসেছিল তাই আমি সহজভাবে বলেছি।
‘আমি যা অনুভব করেছি তাই আমি বলেছি। ওতে আমার কৃত্রিমতা ছিল না। কিন্তু সংগীতে যা দিয়েছি, সে-সম্বন্ধে আজ কোন আলোচনা না হলেও ভবিষ্যতে যখন আলোচনা হবে, ইতিহাস লেখা হবে তখন আমার কথা সবাই স্মরণ করবেন, এ-বিশ্বাস আমার আছে। সাহিত্যে দান আমার কতটুকু তা আমার জানা নেই।‘তবে এইটুকু মনে আছে, সংগীতে আমি কিছু দিতে পেরেছি।’ – (নজরুল গবেষক / অরুন বসু, )
শতাব্দীর বাংলা গানের সংগীতে উৎকর্ষের বিচারে ‘কিছু দিতে পারা’র আত্মপ্রত্যয় কাজী নজরুল ইসলামের নিষ্ফল ছিল না। তাঁর শ্রেষ্টত্ব অবিসংবাদিত। বাংলার সুরের আকাশে ধ্রুবতারা হয়ে আজীবন উজ্জ্বল নক্ষত্র দুটি নাম বাঙালী হৃদয়ের সাথে যাঁদের ঘনিষ্ট পরিচয় একজন অবশ্যই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অন্যজন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল তাঁর  অগ্রজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত  মূলত কবি এবং সংগীতসাধক ছিলেন। সাধনার ফলেই তিনি হতে পেরেছিলেন কালজয়ী সংগীতের বাণী-শিল্পী, সুরকার, সংগীত-পরিচালক ও রাগ-সংগীতের স্রষ্টা। 

''রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে নজরুলের স্বাতন্ত্র্য যেখানে চোখে পড়ে শতাব্দীর বাংলা গানে অনুজ উত্তরসূরির আলাদা হয়ে যাওয়া সেখানেই নিহিত। একজন অরূপের সাধক, অপরজন রূপের পূজারি। বাণীসমৃদ্ধ  বিষয়বৈচিত্র্য ও সুরবৈশিষ্ট্যের জন্য নজরুল সমসাময়িক অন্যান্য সংগীত রচয়িতা, সুরস্রষ্টাদের তুলনায় নিজের একক ভুবন সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছেন। এত বিচিত্র বিষয়কে অবলম্বন করে এত অধিকসংখ্যক সংগীত রচনার দৃষ্টান্ত বাংলা সংগীতের ইতিহাসে নজরুল ছাড়া দ্বিতীয় আর কারো নেই। ''  (নজরুল জীবনী কার/পীযুষ কুমার ভট্টাচার্য,   ) 

কবি নজরুল বাংলা  লোকসংগীতের বিভিন্ন  ধারার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং সেই ধারা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অজস্র গান রচনা করেছেন। লোকসংগীতের ধারা যেমন বাউল, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, ঝুমুর ইত্যাদি অবলম্বনে গান রচনা করেছেন, যা তাঁর বিভিন্ন ধারায় সঙ্গীত রচনার বৈচিত্র্যকে তুলে ধরে। তাঁর মাত্র তেইশ বছরের সৃষ্টিশীল জীবন বৈচিত্র্যে ভরপুর। ভাওয়াইয়া লোকগীতি গানের উদাস সুরের চড়াই উৎরাই তাঁকে নবনব সৃষ্টির নেশায় যেমন মাতিয়ে রেখেছিল  তেমনি বাংলা লোকসংগীতের একটি প্রধান ধারা ভাটিয়ালী গানের রচনায় ও সুর সৃষ্টির মাধুর্য্যে কবি প্রেরণা পেয়েছেন সৃষ্টির আনন্দে। 

নদীমাতৃক দেশ এই বঙ্গভূমি কে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে নদী তীরবর্তী গ্রামীণ সাধারণ মানুষের জীবন। তাদের সুখ দুঃখ, প্রেম-বিরহ-বেদনা-আশা-আকাঙ্খার অভিব্যক্তির সাথে নিবিড় আধ্যাত্মিকতার প্রকাশ।   ভাটিয়ালী গানের উদাত্ত সুর তাদের একঘেয়ে জল জীবনে আশার সঞ্চার করে, খেয়া পারাপারে প্রাণিত করে ঘুরে বেড়ায় নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে পালের হাওয়ায়।  লোকগীতির গবেষক দের মতে এর মূখ্য ভাব প্রেম।  লৌকিক ও আধ্যাত্মিক উভয় প্রেমে বিচ্ছেদজনিত করুণ রস সঞ্চারিত হয়েছে গান থেকে গানের বিস্তীর্ণ সুরের লহরীতে।   

কবির ভাটিয়ালী গীত রচনার প্রসঙ্গে মনে পড়ছে কার্ফা রাগে রচিত  তাঁর বহুল প্রচলিত "এ-কূল ভাঙে ও-কূল গড়ে" গানটির কথা ।  যার মূলভাব হলো জীবনের উত্থান-পতন ও অনিশ্চয়তা। সারমর্মটি হলো, নদীর যেমন একদিকে ভাঙন ও অন্যদিকে নতুন চর জেগে ওঠার খেলা চলে, তেমনই মানুষের জীবনও নানা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়—একসময় যিনি খুব ধনী ও প্রভাবশালী থাকেন, তিনি আবার দরিদ্র ও অসহায় হয়ে যেতে পারেন। এই গানের মাধ্যমে জীবন ও সময়ের চিরন্তন পরিবর্তনশীলতাকে তুলে ধরা হয়েছে। 

''ও কূল-ভাঙা নদী রে
আমার চোখের নীর এনেছি মিশাতে তোর নীরে॥
যে লোনা জলের সিন্ধুতে নদী ,নিতি তব আনাগোনা,
মোর চোখের জল লাগবে না ভাই তার চেয়ে বেশি লোনা,
আমায় কাঁদতে দেখে আসবিনে তুই উজান বেয়ে ফিরে॥
আমার মন বোঝে না নদী--,
তাই বারেবারে আসি ফিরে তোর কাছে নিরবধি।
তোর অতল তলে ডুবিতে চাই, তুই ঠেলে দিস তীরে॥ ''
নদীর স্রোতের মতো জীবনেরও কোনো নিশ্চয়তা নেই।এই গানটি মানুষের অসহায়ত্বকেও প্রকাশ করে। নদীর ভাঙনে যেমন সবকিছু ভেসে যায়, তেমনি জীবনের প্রতিকূলতায় মানুষও অসহায় হয়ে পড়ে। 
 
 ”ভাটিয়ালী, ‘ভাটি’ অর্থাৎ নিম্নভূমি এবং ‘আলী ’ অর্থাৎ আইল বা আলকৃষি জমিতে জল আটকাবার  সীমা নির্দেশের জন্য যে মাটির অনুচ্চবাঁধ  দেওয়া হয় সেই আল থেকে উদ্ভূত হয়েছে আলি শব্দ টি।  মূলত  ভাটিয়ালী শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দেখাযায় যে, ছোট ছোট আল দ্বারা বিস্তৃত নিম্নাঞ্চলের গান কে  ভাটিয়ালী বলে।  এই গানগুলো সাধারণত নদীর প্রবাহ এবং মাঝিদের জীবনের প্রতিচ্ছবিকে কেন্দ্র করে রচিত হয়। এখানে ভাটিয়ালী শুধু একটি বিশেষ ধরণের লোকসংগীত নয়, একটি বিশেষ অঞ্চলের পরিচয়ও বহন করে”। ভাটিয়ালী ভাটির গান, মাঝি-মল্লাদের গান। ”সুরের মধ্যেই সংগীতের প্রকৃত সৌন্দর্য-মাধুর্যের উৎস নিহিত। ভাটিয়ালী গানের সুর করুণ। আবহমান বাংলায় মাঝি-মল্লারা নদী-বিল-হাওরে নৌকা ভাসিয়ে দিয়ে অতি একান্তে এই গান গেয়ে পার্থিব ও অপার্থিব জীবনের আস্বাদন লাভ করেন। ভাবের মাহাত্ম্যে ও সুরের লালিত্যে এ গান অনন্য”। (আহমেদ ওয়াকিল, ১৯৯৭)।
 কবির  আরেকটি বহুল প্রচলিত ভাটিয়ালী গান   ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে প্রকাশিত ও 'চোখের চাতক' নামক সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। 
 
"আমার গহীন জলের নদী
  আমি তোমার জলে ভেসে রইলাম জনম অবধি॥
ও ভাই তোমার বানে ভেসে গেল আমার বাঁধা ঘর
  আমি চরে এসে বস্‌লাম রে ভাই ভাসালে সে চর।
  এখন সব হারিয়ে তোমার জলে রে আমি ভাসি নিরবধি॥"

 কাজী নজরুল রচিত ভাটিয়ালী গানের সংখ্যা খুব বেশি নয়।চর্যাপদ থেকে শুরু করে বর্তমান গীতিকবিগণ তাঁদের গান রচনার বিষয়বস্তু এবং সুর হিসেবেও লোকজ ঐতিহ্যের ব্যবহার করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় কাজী নজরুল ইসলামের সংগীত সৃষ্টিতেও প্ৰতীয় মান। ..  নজরুল লোকসংগীতের ধারার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং লোকগীতির বিভিন্ন ধারা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গান রচনা করেছেন।     সেই সূত্রে গড়ে উঠেছে তাঁর ঐতিহ্যময় ভাটিয়ালী গীতিমালার প্রেক্ষাপট। নজরুলও সেই ধারা বজায় রেখে অনায়াসে গান রচনা করেছেন। তাঁর অন্যতম বিখ্যাত রচনা আরেকটি গান ---

পদ্মার ঢেউ রে ─
মোর শূন্য হৃদয়-পদ্ম নিয়ে যা, যা রে।
এই পদ্মে ছিল রে যার রাঙা পা
আমি হারায়েছি তারে॥
মোর পরান-বঁধু নাই, পদ্মেতাই মধু নাই (নাই রে)
বাতাস কাঁদে বাইরে, সে-সুগন্ধ নাই রে
মোর রূপের সরসীতে আনন্দ-মৌমাছি নাহি ঝঙ্কারে রে॥
ও পদ্মারে ─
ঢেউয়ে তোর ঢেউ উঠায় যেমন
পদ্মার ঢেউ রে" ---
কবি  রচিত একটি  বিচ্ছেদধর্মী ভাটিয়ালী গান, যা পদ্মা নদীকে কেন্দ্র করে লেখা। যেখানে পদ্মানদীর ঢেউয়ের মাধ্যমে কবির বিরহব্যথা প্রকাশিত হয়েছে।  গানটি দাদরা তালের। কথা, সুর ও প্রযোজনা নজরুল ইসলাম  নিজেই করেছেন। ( শোনা যায় ,এটি হিন্দুস্তান রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল এবং আজো শ্রদ্ধেয় সংগীত শিল্পী শচীন দেববর্মনের কণ্ঠে গানটি  বিখ্যাত হয়ে আছে )।  

লোকমুখে বিখ্যাত এবং বহুল প্রচারিত আরেকটি জনপ্রিয় ভাটিয়ালি গান   

''আমি কূল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস্ ননদীরে 
সই, বলিস্ ননদীরে।
শ্রীকৃষ্ণ নামের তরণীতে 
প্রেম-যমুনার তীরে বলিস্ ননদীরে
      সই, বলিস্ ননদীরে॥
          সংসারে মোর মন ছিল না-''----

 এই গান টির বর্ণনায় পাওয়া যায় রূপকল্প ও সান্ধ্য ভাষায় কৃষ্ণ-প্রেমে অধীর রাধার অভিসার।  রাধার অভিসারের প্রধান অন্তরায় তাঁর ননদিনী। অভিসারে যাওয়ার পথে তাঁর সখিদের ডেকে তিনি- ননদিনীকে জানাতে বলেছেন- যে তিনি অভিসারে চলেছেন। বৈষ্ণব পদাবলী তে রাধাকৃষ্ণের পালায় কোথাও প্রমান নেই যে রাধা কৃষ্ণের সাথে পালিয়ে গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন। তাই এই গানটি একটি রূপক কল্পনার অনুসঙ্গ যেমন  প্রেম-যমুনা, শ্রীকৃষ্ণের নামের তরী, কৃষ্ণ নামের কলস গলায় বেঁধে রাধা কালীদহে ঝাঁপিয়ে পড়বে।  এইগানে নদী, সাগর সবই ব্যবহৃত হয়েছে রূপাকার্থে। রাধা যেন নদী কৃষ্ণনামের কলস গলায় বেঁধে কালীদহে ঝাঁপিয়ে পড়ার মধ্যে রয়েছে- কলঙ্ককে বরণ করে শ্রীকৃষ্ণপ্রেমে আত্মসমর্পণ। সেখানেই তাঁর প্রেমের মুক্তি। সেই কলঙ্কের পাল তুলে তিনি কৃষ্ণনামের তরীতে চলেছেন, সংসারের কুল ছেড়ে প্রেমের অকূল সাগরে অবগাহন করতে। অভিসারণী রাধা চলেছেন কৃষ্ণাভিসারে।এই ভাটিয়ালি গানে বিরহী মনের বেদনা প্রকাশ পেয়েছে। এসব গানের সহজ সরল সুর মনকে উদাস করে এবং হৃদয়ে আবেগমথিত করে রাখে ।
  
এই গানের কথায় কবি স্পষ্ট করে বললেন জীবনের এক নিগূঢ় সত্য।  এ-কূল ভাঙ্গে ও-কূল গড়ে এইতো নদীর খেলা সকাল বেলা আমির, রে ভাই ফকির সন্ধ্যাবেলা। ----

 অনিত্য এ জীবনে প্রতিক্ষণের পালাবদলে পরিবর্তন শীল জগৎ। এ জীবনে সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। নজরুল রচিত ভাটিয়ালী গীতির এই ধরণের গানগুলোতে জীবনের সেই  চরম সত্যের প্রকাশ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়ে উঠেছে।  প্রভুর চরণই শেষ আশ্রয়স্থল।  তবে সব গানেই বিরহ ও প্রেমের প্রকাশ রয়েছে নানা আঙ্গিকে। কখনো বিরহের মধ্যেই মিলনের প্রবল আকাঙ্খা, আবার কখনো বা প্রিয়জনকে কাছে পাবার তীব্র আকাঙ্খা, প্রত্যাশা। এ গানের কথায় সুরে কবি জীবনের সেই হতাশা,শূন্যতায় ভরা হৃদয় বেদনার কথা প্রকাশ করেছেন।

তথ্য সূত্র : নজরুল সঙ্গীত / করুণা ময় গোস্বামী।
নজরুল জীবনী কার / আহমেদ ওয়াকিল

Post a Comment

0 Comments