জ্বলদর্চি

লকডাউন ও বিশ্ব প্রসঙ্গে: একটি দার্শনিক প্রয়াস/আকাশ নট্ট

প্রবন্ধ

লকডাউন ও বিশ্ব প্রসঙ্গে: একটি দার্শনিক প্রয়াস

আকাশ নট্ট  

আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য এমফিল করতে ঢুকেছি। সময়টা ২০২০ সালের শুরুর দিক। প্রাণে তখন নতুন উন্মাদনা— নতুন কিছু করার আনন্দে বাঙালি যুবকের যেমনটি হয়। তখন থেকেই কানে আসতে শুরু করেছিল করোনার প্রাদুর্ভাবের কথা। বিষয়টাকে তখন অতটা গুরুত্ব দিইনি।  নিয়মিতই কোর্স ওয়ার্কের কাজ চলছিল। কিন্তু মার্চ মাস পড়তেই গোটা ভারতবর্ষের জীবনে নেমে এল এক অনির্দিষ্ট স্তব্ধতা।  সমগ্র বিশ্বেই তখন অনুরূপ অবস্থা। আজ সেই লকডাউনের পৃথিবীর দিকে যখন তাকাই তখন বিস্ময় বোধ হয়! কী ভেবেছিলাম, আর কী হল ? ওই যে বাংলায় প্রবাদ আছে না, 'রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী।" এই অন্তর্যামীর সন্ধান পেতে গিয়েই কত শত বছরের দর্শনের ইতিহাস অতিবাহিত হল।  
খানিকটা সেই দর্শনের ইতিহাস ঘেঁটে, আর খানিকটা জীবন ও মননে হেঁটে আমরাও  নিজের মতো একটা উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি। 
ভাববাদী দর্শন তত্ত্ব অনুসারে প্রকাশ (appearance) ও বাস্তবতার (reality) মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।  আমরা আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে জগতের যেসব জিনিস দেখতে পাই বা অনুভব করি তা হল কেবল প্রকাশ মাত্র বা বলা ভালো অসম্পূর্ণ প্রতিচ্ছবি।  তবে সেই সমস্ত জিনিস বা বস্তুগুলি যে ধারণার প্রতিফলন, প্লেটোর মতে তাই  বাস্তব (real)। অর্থাৎ সহজ ভাবে বলতে গেলে ধারনাই মূল, ধারণারই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য রূপ হল বিভিন্ন বস্তু। এই ধারণাগুলির সমন্বিত রূপ,  যা শীর্ষে অবস্থান করে, তাই হল পরম বাস্তবতা (absolute reality)।  এ যেন এক পিরামিড, যার নিচে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও স্থান-কালের চৌহদ্দিতে সীমাবদ্ধ কিছু বস্তুর অবস্থান এবং এই সমস্ত বস্তুর প্রকৃত আকার স্বরূপ ধারণাগুলি পিরামিডের সিঁড়ি বেয়ে এক পরম ধারণায় উন্নীত হয়, যা শাশ্বত। প্লেটো ও অ্যারিস্টোটল উভয়ই জগতকে এক চিরন্তন ধারণার আলোকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। এই ধারাকে হেগেল এক সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক পরিণতির দিকে নিয়ে গেলেন। তিনি বললেন পরম বাস্তবতা হল বিশ্ব-আত্মা, যা প্রকৃতি, জীবন ও মননের ভেতরে দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করে। এই দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়াটিকে তিনি থিসিস, অ্যান্টিথিসিস ও সিন্থেসিস এই তিনটি পর্যায়ক্রম অনুসারে উল্লেখ করলেন। থিসিস হল এক বিমূর্ত ধারণা (সত্তা)—যা তর্কশাস্ত্রের আলোচ্য বিষয়, অ্যাটিথিসিস হল প্রকৃতি, যার অন্তর্ভুক্ত স্থান-কাল নির্দিষ্ট জড়পদার্থ, উদ্ভিদ, প্রাণী ইত্যাদি।  উভয়ের মধ্যে যে বিরোধ তার মীমাংসা করে সমন্বয় সাধন করে আত্মা (spirit)। এ যেন এক উদ্দেশ্যমূলক যাত্রা— বিমূর্ত থেকে সুনির্দিষ্টের দিকে। ইতিহাসের মধ্যেই হেগেল দেখতে পেলেন তার বিশ্ব-আত্মার (world-spirit) ক্রমপ্রকাশ, যা তার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এক সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ধাবিত হয়। এই পর্যায়ে এসে হেগেল বিশ্ব আত্মাকেই কর্তা বানিয়ে দিলেন। মানুষ এখানে যন্ত্র মাত্র। বিশ্ব-আত্মাই যন্ত্রী। এই যে আমি প্রবন্ধটি লিখছি এখানে আমি নিছক এক যন্ত্র, বরং যে আইডিয়াটি ক্রমঃপ্রকাশ্য, সেটিই হল কর্তা বা যন্ত্রী। 
এবার হেগেলের শিষ্য মার্কস জোর দিলেন বস্তুবাদের উপর। এতদিন বলা হচ্ছিল ভাব বস্তুকে প্রভাবিত করে। এখন মার্কস যোগ করলেন বস্তুও ভাবকে প্রভাবিত করে। এবার জোরটা এসে পড়ল বস্তুর উপরেই— যেন sand timer-টি উল্টে গেল। তিনি সমস্ত সমাধান আর ভাব বা চেতনায় খোঁজার চেষ্টা করলেন না। বরং হেগেলের দ্বন্দ্বতত্ত্বের ধারা অনুসরণ করে মার্কস দাবি করলেন যে, প্রত্যেক বস্তুর স্বাভাবিক গতি হল তার স্বসত্তার নেতিকরণ ঘটিয়ে বিপরীত অবস্থায় উত্তরণ। এই নেতিকৃত অবস্থা পুনরায় নেতিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়। বস্তুর প্রথম অবস্থাকে ইতি (thesis), নেতিকৃত দ্বিতীয় অবস্থাকে নেতি (anti-thesis) এবং দ্বিতীয় অবস্থার রূপান্তরণকে নেতির নেতি বা সম্বাদ (synthesis) বলা হয়। ইতিহাসের বিস্তৃতি ঘেঁটে মার্কস বের করলেন সমস্যার স্থানগুলো এবং সেই অনুযায়ী সমাধান দিলেন। সেই সমাধান ছিল অনেকটাই অনুমান সাপেক্ষ। রাশিয়ায় লেনিন, ইতালিতে গ্রামশি, চীনে মাও-জে-দঙ মার্কসকে সংশোধন করে দেখালেন মানবসমষ্টির মুক্তির পথ। 
ইতিমধ্যে কির্কেগার্ড, নিটসে, সার্ত্রের হাত ধরে অস্তিত্ববাদ (Existentialism) আসতে শুরু করেছিল ব্যক্তি মুক্তির দাবি নিয়ে। এবার মানুষকেই করে দেওয়া হল তার ভাগ্যনিয়ন্তা। আর কোন প্রক্রিয়া নয়, বরং অস্তিত্বটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়াল। আবার ফরাসি কাঠামোবাদ (Structuralism) বলে বসল কোন কিছুর নিজস্ব কোন পরম অর্থ নেই, একটি উপাদান তখনই অর্থবহ হয় যখন সেটি একটি বৃহত্তর কাঠামোর মধ্যে অন্যান্য উৎপাদনের সঙ্গে  সম্পর্ক তৈরি করে। সেই অর্থে ব্যক্তি কোন বিচ্ছিন্ন বিষয় বা কর্তা নয়, বরং তার কাজগুলো নির্দিষ্ট কাঠামোর দ্বারা প্রভাবিত। পরবর্তীতে এল উত্তর কাঠামোবাদ (Post Structuralism) যা পুনরায় সামগ্রিকতাকে খন্ড খন্ড করে বুঝতে চেষ্টা করল। 
বস্তুত প্রতিটা দর্শনই তাদের তত্ত্ব বা আদিকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকটি আদিকল্প নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করেছে এবং সেই সমস্যা সমাধানে নিজের সীমাবদ্ধতাকে হাজির করেছে। ফলে তা আর এক নতুন আদিকল্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এভাবে অগ্রগতি ঘটেছে দর্শনের। কখনো ভাব, কখনো বস্তু, কখনো ব্যক্তি, আবার কখনো সমষ্টি হয়ে উঠেছে দর্শনের কর্তা। দর্শন তত্ত্বের উপর যদি কোন কিছুর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে থাকে তা হল সেই যুগের অবস্থান। যুগধর্ম যেমন নতুন নতুন দর্শনের উদ্ভব ঘটায় তেমনি তা সেই দর্শনগুলোকে নিখুঁত হতে দেয় না, খানিকটা যেন বিভ্রান্ত করে। 
🍂

অনন্ত সময় প্রবাহের এক কোণে দাঁড়িয়ে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হল তাতে একটা কথাই বারবার মনে হয় যে, এই পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র সম্ভাবনাময় প্রাণী। বিবর্তনের এক জটিল ও প্রগতিশীল প্রক্রিয়ায় আজ সে এই স্থানে উপনীত। সে যা যা করেছে সবটাই পৃথিবীকেন্দ্রিক। পৃথিবী ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে নতুন কিছু খোঁজার আগ্রহ তার বরাবরের। কিন্তু তার মস্তিষ্ক ও ইন্দ্রিয়ের ধারণক্ষমতা বড্ড সীমিত, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে তো বটেই। সেই কারণেই মানুষ ব্রহ্মাণ্ডের কোন সামগ্রিক ধারণাই এখনো দাঁড় করাতে পারেনি। তবে সে এটুকু জেনে ফেলেছে যে অ্যারিস্টটালীয় পৃথিবীকেন্দ্রিক ধারণা অসত্য। কিন্তু ব্রহ্মাণ্ডের স্বরূপ নির্ধারণ এখনো সুদূর পরাহত। এই কারণেই যত দর্শন-চেতনা সবটাই অর্ধেক। মূল সত্যের কিনারা পেতে গেলে আগে সেই সামগ্রিকতার কিনারা করতে হবে। 
এখানে আমরা পেলাম এক অধরা সমগ্রের ধারণা। ধারণা অধরা হলেও ব্রহ্মাণ্ড তার সামগ্রিকতা নিয়ে উপস্থিত।  সেই উপস্থিতিতেই পৃথিবীর উৎপত্তি কি কেবল অ্যাক্সিডেন্ট? সৌর পরিবারের ছন্দবদ্ধ প্রবাহে পৃথিবীর এই জটিল আয়োজন কি কখনো নিছক একটা ঘটনার ঘটনা হতে পারে? আমার উদ্দেশ্য খুব একটা মহৎ নয়, কেবল অসম্পূর্ণ ব্রহ্মাণ্ডের ধারণার প্রেক্ষিতে পৃথিবীকে রাখা, তার ক্ষুদ্রত্বকে দেখা এবং সর্বোপরি নিজের তাৎপর্যহীন জীবনের তাৎপর্যকে একটু হলেও ঠাহর করা। 
আমি দেখছি আমার ঘুম ভেঙে চা খাওয়া, নিজের কাজগুলো নিয়ে কখনো ব্যস্ত হয়ে পড়া; কখনো অসহ্য অবসরকে সহ্য করা থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে ছেড়ে একটু একটু করে ঊর্ধ্বে উঠতে উঠতে দেখছি এই পরিবার,সমাজ, রাষ্ট্র ছোট হতে হতে গোটা পৃথিবীটা কিভাবে আমার চেতনার ড্রয়িংরুমে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। যখনই নিজেকে এই ভাবনার কৃতিত্ব দিতে প্রয়াসী হয়েছি এক আপাত শূন্যতা আমাকে গ্রাস করেছে— আমি তার কূল কিনারা কিছুই খুঁজে পাই না। তারপর কখন বেখেয়ালে ডুবে গেছি দৈনন্দিন তুচ্ছতায়— কী পেলাম আর কী পেলাম না-এর সমীকরণে। 
বস্তুত সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের ধারণার (অধরা?) প্রেক্ষিতে মানুষের কর্মকাণ্ডগুলোকে যদি ব্যাখ্যা করি তবে কী পাই? সেখানে মানুষের নিয়ন্ত্রণ কতটুকু? মানব প্রজাতির যে বিবর্তন প্রক্রিয়া তাতে প্রাকৃতিক নিদানই তো শেষ কথা। আর সেই নিদান অনুসারেই অন্যান্য জীব প্রজাতির তুলনায় মানব প্রজাতির সম্ভাবনার সর্বাত্মক বিকাশ ঘটেছে। তাই আজকের ভূতাত্বিক যুগকে বলা হচ্ছে Anthropocene age, যেখানে মানুষ নিজেই এক ভৌগোলিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। মানুষের কার্যক্রমের ফলেই বদলাচ্ছে ভৌগলিক পরিবেশ-প্রকৃতি—যেন মানুষই কোন এক নিয়ন্তা! কিন্তু ভাববাদী দর্শন বলবে মানুষ আসলে ধারণার সমষ্টি। ধারণা বা আইডিয়াই হল কর্তা— ঠিক যেমন প্রাকৃতিক নিদান। আর সেই নিদান অনুসারে মানুষের সম্ভাবনার অর্থ ধারনা বা দর্শনের অগ্রগতি। 
এই অবস্থান থেকে যদি আমরা করোনার প্রাদুর্ভাবের সময়কালকে ব্যাখ্যা করি তাহলে কী দাঁড়ায়? ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব। তার ফলে প্রায় বছরখানেক বিশ্বব্যাপী জনজীবন স্তব্ধ। এক বিরাট সংখ্যক মানুষ মারা গেল। এতে করে প্রকৃতি কি নিজেকে খানিকটা গুছিয়ে নিল? বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে যে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের সূচনা তার সর্বাত্মক প্রয়োগ ঘটল এই পরিসরে। আসছে AI -এর ধারনা। অতি দ্রুত বদলাচ্ছে মানব প্রজন্মের নাম— জেন-জি, আলফা, বিটা। উনিশ শতকের সূত্রপাতকে বোঝাতে গিয়ে ঐতিহাসিক ডেভিড টমসন যেমন বলেছিলেন, "Perhaps the final significance of the quarter century of turmoil is that too much history happened in too short a time."  একবিংশ শতকের সূত্রপাতও যেন তাই- 'কম সময়ে অধিক ইতিহাস ঘটে যাওয়া।'  ইতিহাসের মধ্য দিয়ে দর্শনের ক্রমবিকাশ। এই ক্রমবিকাশের প্রক্রিয়ায় সম্ভবত ভাব এবং বস্তু উভয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক যেমন ব্যক্তি ও সমষ্টি। বস্তু ছাড়া যেমন ভাবের প্রকাশ অসম্ভব তেমনি ভাব ছাড়া বস্তুর কোন গুরুত্ব নেই। ব্যক্তিকে নিয়েই তো সমষ্টি, সমষ্টি ছাড়া ব্যক্তির অস্তিত্ব কোথায়? এ যেন এক উত্তরণের পর্ব!
এইবার আরেকটি প্রশ্ন ভেবে দেখার। করোনার প্রাদুর্ভাব যদি আরও পঞ্চাশ বছর আগে ঘটত তবে গোটা বিশ্ব কীরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হত? সে সময় তো আর মানুষের যোগাযোগের এমন সর্বাত্মক দ্রুত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তো দূরের কথা, সে সময় প্রত্যেক বাড়িতে টিভি পর্যন্ত আসেনি। ফলে সতর্কবার্তাগুলো এত দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যেত কিনা সন্দেহ! হয়তো গোটা বিশ্ব এখনকার তুলনায় আরো ভয়াবহ ভাবে বিপর্যস্ত হত। একদিকে আর্থিক সংকট, অপরদিকে জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দীর্ঘদিন ঘরবন্দি জীবন হয়ে উঠত এখনকার তুলনায় হাজার গুণ বেশি যন্ত্রণাদায়ক। আজকের বিশ্বে মানুষ ঘরবন্দী থাকলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমের দৌলতে একে অপরের সাথে অনায়াসেই যোগাযোগ রাখতে সক্ষম। এখানে কি কোন বিধান বা অনিবার্যতার ধারণা উঁকিঝুঁকি মারছে? প্রখ্যাত রুশ সাহিত্যিক টলস্টয় অবশ্য বলবেন, " সর্বোচ্চ অনিবার্যতা এবং সর্বনিম্ন স্বাধীনতার ধারণার" কথা। এই অনিবার্যতা, যাকে তিনি বলছেন "The Unknown Substance of Life". 
কী যেন আমি খুঁজে চলেছি! দৈনন্দিন বাধ্যবাধকতা, সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপের দায় থেকে যেন মুক্তি চাইছি। লেখাটি একটি সান্ত্বনা হয়ে উঠছে কোনরকমে। সান্ত্বনার নামে হয়তো নিজেকেই প্রতারিত করছি। কিংবা এমনটাও তো হতে পারে আজকের এই লেখাটি তুচ্ছ হলেও পাঠক কুলের কোন এক প্রান্ত থেকে আগামীতে মহত্তর কিছুর সূচনা ঘটবে।।

Post a Comment

0 Comments