জ্বলদর্চি

নিউজিল্যান্ডের নর্থ আয়লানডের ওয়েলিংটন শহরে বেড়ানোর গল্প - ৫/কথাকলি সেনগুপ্ত


নিউজিল্যান্ডের নর্থ আয়লানডের ওয়েলিংটন শহরে বেড়ানোর গল্প - ৫

কথাকলি সেনগুপ্ত 

ঊনত্রিশে নভেম্বর, দুহাজার পঁচিশ; আজ আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল নিউজিল্যান্ডের নর্থ আয়লানডের ওয়েলিংটন শহরের লামটন কোয়ে (Lambton quay); সেখান থেকেই টিকিট কেটে কেবিল কার রাইড শুরু হল। মোটামুটি ভাবে প্রতি বারো মিনিটের মাথায় একাধিক কেবিল কার পাহাড়ের ওপর যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছে। আবার ফেরত ও নিয়ে চলেছে। সারা দিন ধীরে সুস্থে সেখানে মিউজিয়াম এতে ঘুরে, চুড়োয় অবস্থিত ক্যাফে তে বসে চারিদিকের অসাধারণ সুন্দর দৃশ্যের শোভা দেখতে দেখতে দুপুরের খাবার খাওয়া, তারপর সংলগ্ন ওয়েলিংটন শহরের বোটানিক্যাল গার্ডেন টিকে ঘুরে ঘুরে দেখা। তারপর নিজের সময়ে আবার কেবিল কার এর ওখানে চলে আসা। ফিরতি পথে লামটন কোয়ে পর্যন্ত চারিদিকের শোভা দেখতে দেখতে নেমে আসা - সব মিলিয়ে এটি অতি বিরল আর মনে রাখার মতন অভিজ্ঞতা বটে।

সেখান থেকেই আমরা 60 কিলোমিটার দূরের এদিককার একটি বিখ্যাত জায়গা কাপিটি কোস্ট এর দিকে বেড়াতে চলে গিয়েছিলাম। সুদীর্ঘ সমুদ্রের ধার, পাহাড়ে আর বনে শোভা চারিদিকের শোভা বড়ই মনোরম। সেখানে গিয়ে প্রথমে গেলাম 'পারাপারাউমু সী বীচ' এতে। একেবারে ছোট বেলার দীঘার সমুদ্রের ধারের মতন এটির বালি ও বেশ শক্ত।
🍂

 বড় বড় ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ি নিয়ে স্থানীয়দের উপস্থিতি ঘুড়ি ওড়ানো আর ছোটদের খেলাধুলো এসবে মুখরিত ছিল জায়গাটি। আর জল অনেক টাই ছোটদের খেলার জন্য ভেতরের দিকে বড় জোর পায়ের পাতা ডোবার গভীরতায় করে রাখা। তাই ভয়ের কিছুই নেই। 

সেখান থেকে গেলাম 'না মানু' (Nga Manu) সীনিক রিজার্ভ' এতে। জলজ আর অন্য অনেক ধরনের পাখিদের দেখে খুব  ভাল লাগছিল সেখানে। তারপর লোয়ার হাট এতে সমুদ্রের ধারে একটি ক্যাফে তে খানিক বসে নিয়ে বাসস্থানে ফিরে এলাম। 

নীচে যথাসাধ্য বিস্তারিত তথ্য লিখে ছবিগুলো পাঠালাম।  মনে হয় আমার ভ্রমণ প্রেমিক আর প্রকৃতি প্রেমিক বন্ধুদের ভাল লাগবে।

Post a Comment

0 Comments