স ন্দীপ কা ঞ্জি লা ল
আবর্তন
অনেকে থাকতে আমাকে কেন ভালোবাসলে?
একথা যদি বলো
বলবো,তোমার কন্ঠস্বর খুব পরিষ্কার।
আর কত কষ্ট সয়ে ভালোবাসবে?
মনে করাবো
গোলাপের নিচের কাঁটার কথা।
আর কত ধৈর্য ধরবে আমার জন্য?
শোনাবো
নদীর দীর্ঘ পথ বয়ে যাওয়ার কারণ।
তুমি নিশ্চিত আমি একদিন ফিরবই?
ভদ্রভাবে বলবো আবর্তন গতির এটাই নিয়ম।
বাংলায়
পরীক্ষায় বসলেই পাশ।
রঙ্গ ভরা বঙ্গে তেরো পার্বন বারো মাস।
বাহুবলি সুপারহিট। তত্ত্ব তৃণভোজী খায় ঘাস
সত্য বড় বালাই। পতাকা মোড়া বালিশ
তাতে ঘুমোয় লাশ।
ভারতে ভালো গণতন্ত্র। বাংলায় বাঁশ।
বসন্তের অপেক্ষায়
ওরা আমাকে প্রতিনিয়ত ভয় দেখাচ্ছে
যাতে আমি ভয় পেয়ে
তোমার সাথে আর না দেখা করি।
ভুলেও ওপথ না মাড়াই
ওরা ভয় পেয়েছে তোমাকে আর আমাকে
কিন্তু তোমার আশ্চর্য রকমের নীরবতা
আর তেরছা চাহুনি দেখে
বুঝে নিই ফুরিয়ে যাওনি
তোমাকে ভালোবাসার কারনও ছেড়ে যায়নি।
বিশ্বাস করি কাঁটাভরা শ্বাপদ সংকুল জঙ্গলে
নিয়ম মেনে এখনও ফুল ফোটে।
এখন আমাদের ধৈর্য লাগবে।
সামনে বর্ষাকাল অতিক্রমণের জন্য নয়
অপেক্ষা করে আছি আর একটা বসন্তের জন্য।
কখন ফুটবে কৃষ্ণচূড়া।
তখন আমাদের পরস্পরের হাতগুলো লাগবেই
আগুন স্বাক্ষী রেখে আগামী শপথের জন্য।
ঘুরে দাঁড়াও
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তবেই
মানুষ ঘুরে দাঁড়ায়।
অনেকেই ভাবে দেওয়াল
এখনও অনেক দূর।
একমাত্র বোন, যেবার শ্বশুর বাড়িতে মারা গেল
গিয়ে দেখি, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে
ঘরের ভিতর।
একটুও অবাক হইনি দেখে!
কারন বোনের শরীরটা ছিল
দেওয়াল থেকে বেশ খানিকটা দূরে।
তুমি ছাড়া কাটে না সময়
কথায় বলে টাকায় কি না পাওয়া যায়
এমন কি বাঘের দুধ পর্যন্ত। তাই আমার
সারাজীবনের যা টুকু সম্বল নিয়ে বসে আছি,
তুমি আমাকে ফিরিয়ে দাও,আমার তোমার
সেই বিকেলগুলো।আমার একটু দেরি হলে তোমার
ঘন ঘন ফোন, তোমার দেরি দেখে আমি তাই
করতাম। সেই নদীর পাড়ে বসে খুনসুটি। নখের
ডোগায় দূর্বাঘাসের ডগা ছিঁড়ে দাঁতে চিবানো।
মাঝে মাঝে ঢিল ছোঁড়া নদীর জলে, আমাদের
ছেলে না মেয়ে হবে তাই নিয়ে আঙুল ধরা। নাম
নিয়ে বিস্তর তর্ক,শেষ পর্যন্ত আমার হেরে যাওয়া।
তখন তোমার মুখে বিজয়ীর হাসি দেখে,
শুধু সেই নদী নয়,যতদূর চোখ যেত পুরোটাই
লিখে দিতাম মনে মনে। কনে দেখা আলো গায়ে মেখে,
পাখির উড়ে যাওয়া দেখলে, তুমি আমি দুজনেই
বলে উঠতাম, সময় কোথা দিয়ে চলে গেল টেরই পেলাম না।
এখন লকডাউনের বাজারে সময় একদম কাটছে
না।এই আমার শেষ জীবনের যা টুকু সহায় সম্বল
নিয়ে বসে আছি। আমার তোমার সেই বিকেলগুলো
সব ফেরত দাও।
-----
9 Comments
প্রতিটি কবিতায় খুঁজে পেয়েছি কবির এক দৃঢ় প্রত্যয়। আশাহত না হওয়ার মন্ত্র।
ReplyDeleteধন্যবাদ জলদর্চি। এ এক অনন্য প্রয়াস। আনন্দিত।
ReplyDeleteবেশ ভালো।
ReplyDeleteপড়লাম।
ReplyDeleteভালো লাগলো
খুব সুন্দর
ReplyDeleteবেশ ভালো।👍
ReplyDeleteবেশ ভালো
ReplyDeleteভাষায় বাহুল্যবর্জিত ঋজুতার সঙ্গে
ReplyDeleteবক্তব্য পরিবেশনে তীরন্দাজ !
দ্বিধাহীন বক্তব্য। কবিতা অনবদ্য।
ReplyDelete