বি রূ পা ক্ষ প ণ্ডা
গাজন গানের আনন্দ
তুই দেখছিস বেগবতী নদীজল
ভালোই বুঝিস্ মদন দাসের খোল
কথায় কাজে ধান-দুর্বা-খই
তামার গা,সুবল মাঝির সই
তুলসীতলার মাটির প্রদীপ ঠিক
অথচ ওরা সরা-মালসার ভিড়ে
জলই জানে জলের অতুল কূল
উড়াকাঠে ওড়ে কৃঞ্চচুড়া ফুল
দশাঘাটে থাক দাদন নেওয়া জাল
অভিমানী মেঘে সমুহ জীবন বাঁধা
আনপড় তুই,পথভোলা এক বুলি
খুঁড়েই দ্যাখ গাজন গানের কলি
জেহাদ
বারবার ভাবি ব্যাকরণের বাইরে যাবো না । ফেলে দেব বোতল , সিগারেট , এ্যাসট্রে
বাদামি ধোঁয়া ছেড়ে চলে যাব জাহাজি যাপনে। গতির উৎপত্তি ধরে হেঁটে যাব
ইতিহাস পুরাণে। তারপরও যদি কেউ এসে বলে " এটা কী জীবন নাকি ? "
তখন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব বেশ কিছু চিন্তাবিদের বত্রিশ পাটি দাঁত ।
একটি জরুরি আবেদন
আমার নিজের ভেতরে থাকা
আর একটা জীবনকে বের করতে পারি না
রাগে,ক্ষোভে, প্রেমেও না
নেশার ঘোরেও না
তার রূপই বা কেমন ইত্যাদি ভাবতে ভাবতে
আমি এখন চ্যাপ্টা চাঁদ ।
এমনি সময়ে খেলার ছলে
ঝকাস্ মনে করলেও আমি কিন্তু লক্ ।
তাই ঝুল বারান্দায় রোদের কোলে আমি একা
কেউ এসে বের করে দেবেন আমার ভেতরের লোকটাকে ?
বিষণ্ন পাণ্ডুলিপি
এক.
দুঃস্বপ্নের রাত । মৃত্যুর জ্বলন্ত স্মরণ
দুচোখে ঢাকা আতঙ্কে মন্দির মসজিদ ।
দুই.
দীর্ঘছায়া পাতানো রুগ্ন সময়
অন্নাভাবে গিলে খাচ্ছে ভারতীয় মানচিত্র ।
তিন.
ওপরে ধোঁয়ার আকাশ তাসের তুরুপ
নীচের সবই নটরাজের জটার বাঁধন ।
অ-কবিতা বিষয়ক
ধাতে সয় না, তবুও কবিতা লিখি।
দাদু ' নিত্যকর্ম পদ্ধতি ' পড়ে চালকলা
আনতে আনতে বাবার জন্ম দিয়েছেন ।
তিনি চাল কলা সাথে নিয়ে টুকিটাকি
ডাক্তারি বিদ্যার ভদ্রলোক ছিলেন ।
ভদ্রতাহীন সখ্যতায় বড় হতে হতে
নিজের ভাতে নিজেই দিয়েছি ছাই ।
ধাতে সয় না, তবুও কবিতা লিখছি
প্রিয় সম্পাদক , আপনার কাগজে
আমার কবিতা চলবে তো ?
-------
0 Comments