জ্বলদর্চি

কৌশিক গুড়িয়া

কৌ শি ক  গু ড়ি য়া


আউটসাইডার

বুড়ো হয়ে গেলে লেখা আসে না

        চুল পেকে গেলে

        গোঁফ সাদা হয়ে গেলে লেখা আসে না

যৌবনে তো কিছুতেই নয়

সে বয়সে প্রেম আসে, কবিতার মতো !

তবে লেখা আসে কখন ?

কবিতা আসে অনুশোচনায়, বৃষ্টিতে উদোম                                                                                           ভিজে এসে, কাদা পায়…

লেখা আসে,

যে রাস্তা চলে গেছে উঠোন পেরিয়ে

                          খিড়কির দিকে



মিথ 

একটি সাবলীল কবিতা পড়ার পর যে রকম হয়

একজন কামুক যেভাবে শরীর থেকে শরীর তুলতে চায় না

একজন সরদিয়া যেমন ব্রম্ভান্ড ভুলে 

       নেভানো মঞ্চের মধ্যে আভা হয়ে ওঠেন


সেভাবেই স্মৃতির গায়ে গুঁজে রেখেছি সমস্ত লেখা !

কোনও দিন হয়তো ঘুম ভেঙে দেখব

পাপোশের তলায় 

নিহত একটি প্রজাপতিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে 

সারিবদ্ধ ক'টা কালো পিঁপড়ে ... 


মেটিরিয়া মেডিকা

কোনো কোনো বাড়িতে পুরনো  তক্তপোশ থেকে যায়

নাতি-নাতনিদের নিয়ে পা দুলিয়ে

                        গল্প করেন বৃদ্ধ বাবা-মা


কোনো কোনো বাড়িতে বাতিল জামাকাপড়ের পুঁটলি

জোলো বাতাসে লোল হয়ে যাওয়া তবলা

কিংবা রিড ভাঙা হারমোনিয়াম

                        অবলীলায় ইতিহাস হয়


দূরের সম্পর্কের মায়া মনে পড়ে খাটের তলায় ।

ভোরে ঝরে যাওয়া চুল, রাতে গাল মুছে

                            ফেলে দেওয়া তুলো…

কী নেই সেখানে !


বহুদিন পর দূর সম্পর্কের মাসি, পিসতুতো বোনের

সঙ্গে দেখা হলে, পুরনো  হারমোনিয়াম কি

                     আবারও বেজে ওঠে


প্রত্নধুলোর মধ্যে,  টিকটিকি আরশোলার

                    পরিতক্ত ক্রিয়ার ভিতর… 


পরব

পাঁচ ভাই পালা করে জেগে

আছে, ফালি একটা চাঁদ

মাসান্তে, ডাল চাই নুন চাই আর

চাই কনিষ্ঠ আহ্লাদ... 


মুক্তি

দানের পর সমীহ আর ব্রতর পর ঈদ

যেভাবে তুচ্ছর শেষে বিহ্বলতা, বড় হয়

অনন্তের শেষে জাগ্রত ভয়! 


--------  









Post a Comment

1 Comments

  1. সহজ সরল ভাষার কবি। কবিতাও সুন্দর।

    ReplyDelete