সৌ মে ন শে খ র
জার্নি
চিলেকোঠায় রোদ রেখে ঠিক কতটা সরে এলে
কমে আসে ব্যাস্তানুপাতিক ভগ্নাংশের শিহরণ!
নিঃশব্দ বন্ধনী চুঁইয়ে নামা আপেক্ষিক প্রশ্রয়ে
চৌকাঠ পেরিয়ে আসে কিউবিক হারমোনিয়াম
রোদ আর রিডের তুখোড় ফর্মুলার উপাখ্যানে
একটা গ্লাসরঙের স্কোয়ার রুট বহুতল প্রেমের হ্যাঙ্গারে
এভাবেই,
দৃষ্টিরা ক্রমশ বোতাম হয়ে ওঠে স্লিভলেস অন্ধকারে
স্মরনিকা
তীব্র স্রোতে ফতুর হওয়া অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ ছুঁয়ে
আমরা স্বস্তিক চিহ্নে খুঁজে নিচ্ছি
রোজনামচার মানে।
আমার শহরে আতিশয্যের ফ্লেক্স জুড়ে
ক্যাটস-আই -এর বিজ্ঞাপন
অথচ আমরা একদিন নদী হতে চেয়েছিলাম...
বেমানান
ছুঁয়ে দিও অপেক্ষার ঘরবাড়ি
সব রঙীন রকমারি পেন্সিল
আর পেন্সিল কাটার ছুরি
নিস্পন্দ রাত ভেঙে বৃষ্টি নিঝুম
কাক চক্ষু জলের শিরোনাম বনাম
মিসেস. স্পর্শকাতর বালিশ ঘুম
পিটুইটারির ম্যাজিক না স্রেফ গেম
আজও জমে যায় কিন্তু মাননীয়া...
নাইটির সাথে বেপাড়ার জিন্সের প্রেম
একটা রোদরঙ হাওয়া লংরুটের বাসে
পড়ে পাওয়া চাকার দাগ নিয়ে
ঝরেছে অনেক পাতা শিশির সহবাসে
ফাঁসির দড়ি বোঝেনা মন খারাপের মানে
উপেক্ষায় পোড়ার গল্প অপেক্ষারা জানে
মৃন্ময়ীকথা
বিষাদ ছায়া পড়ে আসে সে বিষণ্ণ বালিকার পাশে।
জিয়নকাঠির নীচে জেগে ওঠে তার বিবর্ণ রুপকথা-আলো।
মৃন্ময়ী জেগে থাকে,ধূসর সমুদ্রে একা,নিঃশব্দ নাবিকের মতন।
তবু ঘুম নেমে আসে এ বিহান বেলায়, বড় ক্লান্ত লাগে তার।
ঘুমের ভেতর জেগে ওঠে এলোচুল,
খোলা মাঠ আর প্রিয় স্পর্শের পারিজাত রেখা।
চাঁদ হারিয়েছে তার,হারিয়েছে প্রিয় পুতুলের খেলাঘর।
আজ অনেক আলোকবর্ষ পার হয়ে এসে...মনে পড়ে তার ছোট্টবেলার মায়ের কথা, ভেজা মাটির কথা।
এলোচুল ভিজে যায় বিনম্র বসন্তধারায়।
মৃন্ময়ী ভাবে এই যে গোধূলি আলো, এই যে উতলা হাওয়া...এ সবই আজ মেঘ হয়ে আসে
হয়তো বা অনিমেষ বালিকাবেলা
এপিলগ
এভাবেই ছোঁয়া যাবে সব আহত স্পর্শদাগ
ভগ্নাংশ দূরত্বে ধূসর অটোগ্রাফের বিস্ফোরন
নিষাদের মতো নির্বাক পাতা ঝরার মরশুমে
নরম হবে পৃথিবী ...অপমৃত্যুর বিজ্ঞাপনে!
একটা ঘুমচোখের কিশোর স্বপ্নিল গিটার হাতে
এসে দাঁড়াবে প্লাস্টিক কাব্যের এপিলগে...
তখন হয়ত কোথাও লেভেল ক্রসিংয়ের অপেক্ষায়
হলদে প্রেসক্রিপশানের গা বেয়ে নামবে ওষুধগন্ধী বিকেল
আর আমরা সবাই মেলাতে বসবো
স্বর্গ আর স্যারিডনের প্রাগৈতিহাসিক উপপাদ্য।
-----
0 Comments