জ্বলদর্চি

উপন্যাসের আয়নায় || পর্ব - ১


উপন্যাসের আয়নায় || পর্ব - ১

প্র শা ন্ত  ভৌ মি ক

প্রাক কথন

সাহিত্যের অনেকগুলো শাখার মধ্যে উপন্যাস উল্লেখযোগ্য একটি। এটাই সাহিত্যের সবচেয়ে আধুনিক শাখা। উনিশ শতকের মাঝামাঝি বাংলা ভাষায় প্রথম উপন্যাস লেখা হয়।

আক্ষরিক অর্থে উপন্যাস হলো উপযুক্ত বা বিশেষ রূপে স্থাপন। অর্থাৎ উপন্যাস হচ্ছে কাহিনি রূপ একটি উপাদানকে বিবৃত করার বিশেষ কৌশল, পদ্ধতি বা রীতি। ‘উপন্যাস’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ novel-এর আভিধানিক অর্থ হলো : a fictitious prose narrative or tale presenting picture of real life of the men and women portrayed. উপন্যাস হচ্ছে গদ্যে লিখিত এমন এক বিবরণ বা কাহিনি যার ভেতর দিয়ে জীবনযাপনের বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়ে থাকে।
উপন্যাস বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। কখনও তা কাহিনি-নির্ভর, কখনও চরিত্র-নির্ভর; কখনও মনস্তাত্ত্বিক, কখনও বক্তব্যধর্মী। বিষয়, চরিত্র, প্রবণতা এবং গঠনগত সৌকর্যের ভিত্তিতে উপন্যাসকে নানা শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন- সামাজিক উপন্যাস, ঐতিহাসিক উপন্যাস, মনস্তাত্বিক উপন্যাস, রাজনৈতিক উপন্যাস, কাব্যধর্মী উপন্যাস, গোয়েন্দা উপন্যাস, পত্রোপন্যাস, হাস্যরসাত্মক উপন্যাস, আত্মজৈবনিক উপন্যাস, আঞ্চলিক উপন্যাস, রহস্য উপন্যাস, রূপক উপন্যাস, চেতনাপ্রবাহ রীতির উপন্যাস, রোমান্সধর্মী উপন্যাস, পুরাণ কাহিনীমূলক উপন্যাস, বীরত্বব্যঞ্জক উপন্যাস ইত্যাদি।(চলবে)

Post a Comment

1 Comments