জ্বলদর্চি

গৌতম বাড়ই

   ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   


গুচ্ছ কবিতা 

গৌ ত ম  বা ড় ই 


শূন্য রজনীগন্ধা বাসি গোলাপগুচ্ছ

আকাশে ভাসে সূর্য
কীটকালো নীল দেখি আঁধার
বাতাসে ভাসে মারিয়া
ও! মারিয়া
 
চন্দনতীর্থ
স্নায়ুজল কাটে রাত
বরবাদ কর্টেক্সের হাড়দানা
এককোণে মারিয়া
ও! মারিয়া

স্কিটজোফ্রিনিয়া
ভূমিআঁকে পিথাগোরাস থিওরেম
চাকা ঘোরে প্রজাপতি পাখা
নষ্ট্রাডামুসের কাঁধেহাত মারিয়া
ও!মাই মারিয়া

মিহিগুঁড়ো চার্চিল চাঁদ
কোভিডে নিখিল ভ্যাকসিন
তাইহোকু সন্দিহান কনফুসিয়াস
অষ্টমীর একশো আট মারিয়া
ও!মারিয়া
অস্থাবর খাটে রজনীগন্ধা
হাতে গোলাপগুচ্ছ?


শেষঅঙ্ক

এখন জানি আমার প্রতিটি পদক্ষেপ 
ধাবিত কোথায়
কোথায় গিয়ে বিলীন হচ্ছে আমার
সোনালী রাত-দিন 
অস্তাচল সূর্যের বুকে জমা পড়া
প্রতি পলকের হাভাতে ভালোবাসা 
জানি আমার বুক পেরিয়ে জল আর
তর্জনের মাঝে দাঁড়িয়েও
ঢেউ গুনি গুনি ঢেউ- নিরন্তর


শব্দ খোঁজে এ শহর

ট্রাফিক সিগন্যাল ঋষিতার ওড়নায় ঢাকা
কবিতার মুখ।শব্দের যাতনা দৈন্যতার
নিরুত্তাপ কিছু শব্দ বারুদের গন্ধ পায়
এত কাঙাল এ শহর! এখন বনগাঁ রাণাঘাট
নিদেনপক্ষে একটুকরো বারাকপুর আসে না
শব্দ ঢেউ তুলে আছড়ায় পোড়াবুকের
এখন শব্দ খোঁজে এ শহর
বাইপাসের সাজানো অহংকার খোপের--


স্তবক কাব্য-৫

(১)
ওরা চাঁদ জোছনায়
ভেজা রাত্তির কথা বলে
আলো তার মানে নাকো কিছু
ফাঁক ফোঁকরে গলে গলে পড়ে
অন্ধকারে উঁকি দেয় দু-চারটি ঝকমকির।
(২)
সভ্যতা ছায়াপথ দূরের আলোক বিন্দু
বাঁশ কাঠ ইট লোহা তার টালি টায়ার
মিশরীয় কোলাজ জীবন্ত সব শব
দু -পা দূরের নদী সময় প্রতীক্ষায়
কন্ডাক্টর বচন-মালের দায়িত্ব যার যার
(৩)
বনের ফুলে সাজসজ্জা কে করে?
কি করে? আকাশ  নীল নীলাচলে
সবুজ প্রান্তরে উড়কি ধানের মুড়কি আর
শালী ধানের চিঁড়ে 
স্মৃতি সুড়ঙ্গ খোঁজে।
আমার বাড়ি যাইও  ভ্রমর
(৪)
বলাই বাহুল্য বহুবর্ণ পাখী ঝর্নার বনে
অহলদাঁড়ায় দূর্দান্ত সূর্যোদয় প্রেম
বর্ষার বিধ্বস্ত রাস্তায় লাটপান্ছার অপরূপ
নীচে মেঘছায়া সবুজের ছাদ বিস্তীর্ণ
চুপটি করে পাশেই থাক শৈলশিখর
(৫)
একগুচ্ছ নারী কলকল কল্লোল
হাতে তাদের রং বেরংয়ের ম্যাকাও
সালোকসংশ্লেষ যারা পড়েছিলো
নিষ্ঠুর বৃক্ষছেদন শেষে নামাবলী গায়।
ডিজিটাল থাম নগর অভ্যন্তর

   ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   

Post a Comment

0 Comments