গুচ্ছ কবিতা
পাঠশালা
মুর্শেদের গানে রোজ পাঠশালা বসে
পাথরের তসবি হাতে তিনি পেরিয়ে যান
গাঁথা ও দোঁহার নির্জন ছায়া
মেঘের আঙরাখা থেকে
ফোঁটা ফোঁটা জল নামে প্রদীপ ও সারিন্দায়
সমাধি ও দরগায় মোম বসাতে বসাতে
নিবু নিবু চিরাগের দাঁড় বেয়ে
চলে যান দুনিয়াজাহানের পথে
ঝোলা থেকে শুশ্রূষার পাত্র বাড়িয়ে দেন রাত্রির দিকে
দুঃখে ভেজা রুটি আলো চলকে তোলে সামান্যই
সব পেরেশানি ভুলে দেখি সে কুসুমভোর
সহজপাঠের পথে মৃদু গায়
ধুলোকুটো ধুয়েমুছে পোড়োরা বসেছে পূবমুখো
ভুঁষো কালির লম্ফ উঁচু করে ধরেন তিনি
মাটির জানলা খুলে রোজ সকাল আনেন...
মানব জমিন
কে চেয়েছে রূপের দোতারা বলো মন?
শূন্যের মোহর তুলে ধুলো পায়ে দুপুর দুপুর
ফকিরের গান শুধু ঘুরে ঘুরে রোগা এই রাস্তায়
কাঁসার ঘুঙুর বাজায়
শুকনো ডালের মতো হাতে
উড়ে আসে মৌমাছি,অচিনপালক
খমকের বোল ফেটে ছড়িয়েছে ধুলোবীজ
দুপুরের আনন্দকণা হাওয়ায় হাওয়ায় ওড়ে অলীক যোজন
চালতা ফুলের মতো শাদা আলপথে
সুর শুধু সুর ফুলে ফেঁপে
ছেঁড়া আলখাল্লার জেবে জোয়ার এনেছে দ্বিতীয়ার
দিনমণি নিবে এলে
গ্ৰহনের পথ জ্বেলে জ্বেলে সামান্য যেটুকু আগুন
ভাঙা তীর্থের মতো এই ঘাট
ছায়ার গরবী বাঁকা নদী চাঁদের সংকেতে পড়ে
রুদ্ধশ্বাস দুলে ওঠে যেই,
সন্ধেজলের পাশে ভিক্ষের ঝুলি এসে উনুন ধরায়
অন্নের আঠালো গন্ধে ভরপুর ঘেমে ওঠে মানবজমিন...
ওষধি
পদ্মের পাপড়ি দেখতে পাও
গর্ভগৃহের মুখে ওল্টানো ঝিনুক দেখে
হেসে ওঠো আপনমনে
খলখল সিঁদুরের স্রোতে ভয় পাও না?
হাসতে হাসতে তবে ডিঙোচ্ছি মন্তরপড়া গাছ
এবার কামিনী দ্যাখো,সামান্য ফুল থেকে
নারী নয়,নারী নয়,প্রেতযোনি!
রক্তগোটার পাশে ধড়ফড়ায় রাত
ধোঁয়া ওঠে বাজপড়া ঢ্যাঙা তালগাছে
ওসব আমারই জ্বলন্ত কড়ে আঙুল,
নীল দুধে ডোবানো নখ আর চুলের গোছা
এদিকে খুলি ফেটে উঠে বসছে মড়া
পোড়া কাঁথা, করোটি ভর্তি মদ আর
ভাঙা কলসের শ্মশানে দাঁড়িয়েছি উলঙ্গসমান
আর সকলেই দোরকপাট এঁটে চাকরি-বাকরি,
রোগভোগ,রক্ষে করো মা,
পোয়াতি বউ নজর না লাগে
মাজা ব্যথার তেল,গর্ভপাতের শেকড়
পিশাচসিদ্ধ মাগো,সাধনসার বিশল্যকরণী দাও
আরও কিছুদিন বেঁচে উঠি নয়ানসুখে
তুমি কেন ভয় পাওনা?
কতদিন ঘুমোসনি বলে খড়খড়ে মুখ মুছে দাও
রাতের কোটরে গোছা গোছা তারা নামে
নক্ষত্রের পাতা গায়ে ঘুমোই শূন্যের পায়ের কাছে
কে শিখেছে তবে বলো,দ্রোণফুল,কস্তুরীমালা
আর কাজরিগন্ধ এই ঘুম ঘুম সহজ বশীকরণ...?
মুর্শেদের গানে রোজ পাঠশালা বসে
পাথরের তসবি হাতে তিনি পেরিয়ে যান
গাঁথা ও দোঁহার নির্জন ছায়া
মেঘের আঙরাখা থেকে
ফোঁটা ফোঁটা জল নামে প্রদীপ ও সারিন্দায়
সমাধি ও দরগায় মোম বসাতে বসাতে
নিবু নিবু চিরাগের দাঁড় বেয়ে
চলে যান দুনিয়াজাহানের পথে
ঝোলা থেকে শুশ্রূষার পাত্র বাড়িয়ে দেন রাত্রির দিকে
দুঃখে ভেজা রুটি আলো চলকে তোলে সামান্যই
সব পেরেশানি ভুলে দেখি সে কুসুমভোর
সহজপাঠের পথে মৃদু গায়
ধুলোকুটো ধুয়েমুছে পোড়োরা বসেছে পূবমুখো
ভুঁষো কালির লম্ফ উঁচু করে ধরেন তিনি
মাটির জানলা খুলে রোজ সকাল আনেন...
মানব জমিন
কে চেয়েছে রূপের দোতারা বলো মন?
শূন্যের মোহর তুলে ধুলো পায়ে দুপুর দুপুর
ফকিরের গান শুধু ঘুরে ঘুরে রোগা এই রাস্তায়
কাঁসার ঘুঙুর বাজায়
শুকনো ডালের মতো হাতে
উড়ে আসে মৌমাছি,অচিনপালক
খমকের বোল ফেটে ছড়িয়েছে ধুলোবীজ
দুপুরের আনন্দকণা হাওয়ায় হাওয়ায় ওড়ে অলীক যোজন
চালতা ফুলের মতো শাদা আলপথে
সুর শুধু সুর ফুলে ফেঁপে
ছেঁড়া আলখাল্লার জেবে জোয়ার এনেছে দ্বিতীয়ার
দিনমণি নিবে এলে
গ্ৰহনের পথ জ্বেলে জ্বেলে সামান্য যেটুকু আগুন
ভাঙা তীর্থের মতো এই ঘাট
ছায়ার গরবী বাঁকা নদী চাঁদের সংকেতে পড়ে
রুদ্ধশ্বাস দুলে ওঠে যেই,
সন্ধেজলের পাশে ভিক্ষের ঝুলি এসে উনুন ধরায়
অন্নের আঠালো গন্ধে ভরপুর ঘেমে ওঠে মানবজমিন...
ওষধি
পদ্মের পাপড়ি দেখতে পাও
গর্ভগৃহের মুখে ওল্টানো ঝিনুক দেখে
হেসে ওঠো আপনমনে
খলখল সিঁদুরের স্রোতে ভয় পাও না?
হাসতে হাসতে তবে ডিঙোচ্ছি মন্তরপড়া গাছ
এবার কামিনী দ্যাখো,সামান্য ফুল থেকে
নারী নয়,নারী নয়,প্রেতযোনি!
রক্তগোটার পাশে ধড়ফড়ায় রাত
ধোঁয়া ওঠে বাজপড়া ঢ্যাঙা তালগাছে
ওসব আমারই জ্বলন্ত কড়ে আঙুল,
নীল দুধে ডোবানো নখ আর চুলের গোছা
এদিকে খুলি ফেটে উঠে বসছে মড়া
পোড়া কাঁথা, করোটি ভর্তি মদ আর
ভাঙা কলসের শ্মশানে দাঁড়িয়েছি উলঙ্গসমান
আর সকলেই দোরকপাট এঁটে চাকরি-বাকরি,
রোগভোগ,রক্ষে করো মা,
পোয়াতি বউ নজর না লাগে
মাজা ব্যথার তেল,গর্ভপাতের শেকড়
পিশাচসিদ্ধ মাগো,সাধনসার বিশল্যকরণী দাও
আরও কিছুদিন বেঁচে উঠি নয়ানসুখে
তুমি কেন ভয় পাওনা?
কতদিন ঘুমোসনি বলে খড়খড়ে মুখ মুছে দাও
রাতের কোটরে গোছা গোছা তারা নামে
নক্ষত্রের পাতা গায়ে ঘুমোই শূন্যের পায়ের কাছে
কে শিখেছে তবে বলো,দ্রোণফুল,কস্তুরীমালা
আর কাজরিগন্ধ এই ঘুম ঘুম সহজ বশীকরণ...?
অপর ভুবন
মৃত্যুকে চিনে ফেলেছিল তারা
কুড়ুল হাতে ঘোরে
মানুষের ইচ্ছেপূরণই আদিম পেশা
সমস্যা নেই,পৃথিবীতে ব্যর্থ শ্রমিকই বেশি
পাতালেও হাহাকার কম নয়
জল খুঁজতে বেরিয়ে শেকড়রা তাই
অন্ধকার সিঁড়ি ধরে নেমে যায়
আরও সরু মাটির গলিতে
কাহিনীর বেশিরভাগই নুয়ে আসে
ডালপালা জানে,অস্থিরতা কতো বেশি অপরাধ
বিশেষ করে দেবতারা যেখানে
গম্ভীর ও মৌনতার অভিনয় করেন
গাছেদের তৃষ্ণা বেড়ে যায় বলেই তারা
মেঘের ভেতরে রেখেছেন শাদা হাড় ও বিদ্যুৎ
ছোবলে বিষ নিয়ে ঘোরে মানুষও
বাতাসের গলা তবু জড়িয়ে ধরে গাছেরা
পৃথিবীর ছাদে উঠে বলে
মাটি ফুঁড়ে দ্যাখো জন্ম নিচ্ছে আমাদের জারজ শিশুরা
চারারাও ঢেঙা হয়ে ওঠে
জলের উপহার ভেবে হাত পাতে বজ্রের দিকে
দেবতারা শিউরে ওঠে
বিদ্যুৎচমকে ঘন আকাশ ফেটে যায়...
মৃত্যুকে চিনে ফেলেছিল তারা
কুড়ুল হাতে ঘোরে
মানুষের ইচ্ছেপূরণই আদিম পেশা
সমস্যা নেই,পৃথিবীতে ব্যর্থ শ্রমিকই বেশি
পাতালেও হাহাকার কম নয়
জল খুঁজতে বেরিয়ে শেকড়রা তাই
অন্ধকার সিঁড়ি ধরে নেমে যায়
আরও সরু মাটির গলিতে
কাহিনীর বেশিরভাগই নুয়ে আসে
ডালপালা জানে,অস্থিরতা কতো বেশি অপরাধ
বিশেষ করে দেবতারা যেখানে
গম্ভীর ও মৌনতার অভিনয় করেন
গাছেদের তৃষ্ণা বেড়ে যায় বলেই তারা
মেঘের ভেতরে রেখেছেন শাদা হাড় ও বিদ্যুৎ
ছোবলে বিষ নিয়ে ঘোরে মানুষও
বাতাসের গলা তবু জড়িয়ে ধরে গাছেরা
পৃথিবীর ছাদে উঠে বলে
মাটি ফুঁড়ে দ্যাখো জন্ম নিচ্ছে আমাদের জারজ শিশুরা
চারারাও ঢেঙা হয়ে ওঠে
জলের উপহার ভেবে হাত পাতে বজ্রের দিকে
দেবতারা শিউরে ওঠে
বিদ্যুৎচমকে ঘন আকাশ ফেটে যায়...
1 Comments
খুব ভালো দি
ReplyDelete