জ্বলদর্চি

সব্যসাচী ও সুভাষচন্দ্র / মুক্তি দাশ

সব্যসাচী ও সুভাষচন্দ্র


মু ক্তি  দা শ

‘বঙ্গবাণী’ মাসিক পত্রিকায় অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক উপন্যাস ‘পথের দাবী’ যখন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল, তখন সুভাষচন্দ্রের সংগে শরৎচন্দ্রের পরিচয় মাত্র দু’বছরের পুরোনো। সুভাষ তখনো ‘নেতাজি’ শিরোপায় ভূষিত হন নি। তাঁর রাজনৈতিক কর্মপ্রবাহ তখনো পূর্ণমাত্রায় বিকাশলাভ করেনি।

১৩২৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যা থেকে বঙ্গবাণীতে ‘পথের দাবী’র ধারাবাহিক প্রকাশ শুরু হয়। শেষ হয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যায়। সেইসময়ই তখনকার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অনেক বিদগ্ধ ব্যক্তি অনুমান করে নিয়েছিলেন যে, পুস্তকাকারে বইখানি বেরুনো মাত্রই ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করে দেবে। হয়েছিলও তাই। ডাবল-ক্রাউন ষোলো পেজী ফর্মায় মোট ৪২৬ পৃষ্ঠার বই হয়ে ‘পথের দাবী’র প্রথম সংস্করণ উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রকাশনায় কটন প্রেস, ৫৭, হ্যারিসন রোড, কলিকাতা থেকে মুদ্রিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করলো বাংলা ১৩৩৩ সালের মধ্য-ভাদ্রে, ইংরেজি ১৯২৬ সালের ৩১শে আগস্ট। এবং এর কয়েকমাস বাদেই বইটি যথারীতি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা হলো। ১৯২৭ খৃষ্টাব্দে ‘আত্মশক্তি’ পত্রিকার ১৪ই জানুয়ারি সংখ্যায় লেখা হলো – “গত বুধবার সরকার এক ঘোষণাপত্রে জানাইয়াছেন শ্রীযুক্ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখিত উপন্যাস ‘পথের দাবী’র প্রচার আজ হইতে বন্ধ হইল এবং উহা সরকার কর্ত্তৃক বাজেয়াপ্ত করা হইল। কারণ ঐ পুস্তকপাঠে ১২৪এ ধারায় বর্ণিত রাজদ্রোহ করিবার ইচ্ছা পাঠকের মনে জাগ্রত হইবার সম্ভাবনা আছে।”

এর তিন বছর বাদে লাহোরে অনুষ্ঠিত একটি সভায় শরৎচন্দ্র বলছেন – “একটা বই লিখলুম পথের দাবী – সরকার বাজেয়াপ্ত করে দিলে। তার সাহিত্যিক মূল্য কি আছে না-আছে দেখলে না। কোথায় গোটাদুই সত্য লিখেছিলুম, সেইটাই দেখলে।”

যাইহোক, প্রায় বারোবছর ‘পথের দাবী’র ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। ১৯৩৯ সালের ১০ই মার্চ ‘নবশক্তি’ পত্রিকায় ঘোষিত হলো – “বাঙ্গালা সরকার পথের দাবী উপন্যাস হইতে নিষেধাজ্ঞা তুলিয়া লইয়াছেন।” ততদিনে অবশ্য শরৎচন্দ্রও আর ইহজগতে নেই।

এ সমস্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনাবলী ইতিহাস-সচেতন মানুষের কাছে আজ আর অজ্ঞাত নয়। তবু ভূমিকা হিসেবে এর পুনরাবৃত্তি এখানে অনাবশ্যক বা অপ্রাসঙ্গিক হবে না। ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের নায়ক সব্যসাচী তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, রাজনৈতিক কর্মধারা, নীতি ও মতবাদ এবং সর্বোপরি জীবনাদর্শের দিক থেকে যেন আমাদের বাংলার দামাল ছেলে দেশনায়ক সুভাষচন্দ্রেরই প্রতিবিম্বিত রূপ। সুভাষচন্দ্র যেন সব্যসাচীরই জীবন্ত-সংস্করণ। এই অদ্ভূত যোগসূত্রের রহস্যটা কোথায়? তাহলে কি শরৎচন্দ্র সব্যসাচীর উৎস-চরিত্র হিসেবে সুভাষচন্দ্রকেই তাঁর ‘পথের দাবী’ উপন্যাসে গ্রহণ করেছিলেন?

আগেই বলা হয়েছে, সুভাষের সংগে শরৎচন্দ্রের পরিচয়ের প্রায় বছর দুই পরে ‘পথের দাবী’ বঙ্গবাণীতে ধারাবাহিক প্রকাশিত হতে থাকে। সুভাষ নিজেও বলেছেন – “শরৎচন্দ্র শুধু সাহিত্যিক ছিলেন না, রাজনীতির ক্ষেত্রেও তাঁর দান ছিল এবং সেই সুবাদেই ১৯২১ খৃষ্টাব্দে শরৎচন্দ্রের সহিত আমার প্রথম পরিচয় ঘটিয়াছিল।”

স্ব স্ব  ক্ষেত্রে জ্বাজ্জল্যমান নক্ষত্রের মতো মহান এই দুই বিশাল সমাভিমুখী ব্যক্তিত্বকে একটি কেন্দ্রবিন্দুতে মিলিয়ে দেবার কৃতিত্ব দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের। শরৎচন্দ্র তখন হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা। ১৯১৬ সালে পাকাপাকিভাবে বর্মা ছেড়ে চলে এসেছেন। সাহিত্যিক হিসেবেও তখন তাঁর যথেষ্ট প্রতিপত্তি। অপরদিকে সুভাষচন্দ্রও তখন বিলেতফেরৎ এবং আই-সি-এস ত্যাগী। এইসময় দেশবন্ধুর মধ্যস্থতায় মুখোমুখি হলেন দুই মহান কর্মযোগী। সেই ঐতিহাসিক পরিচয়ই অবশেষে রাজনীতির সোপান বেয়ে কবে যে পৌঁছে গেল হৃদয়ের অলিন্দে! ঘনিষ্ঠতা থেকে বন্ধুত্ব। এবং এই বন্ধুত্ব ও সখ্যতা থেকেই দু’জনের মধ্যে ক্রমশ গড়ে উঠেছিল এমন এক হার্দ্যিক সম্পর্ক যা তাঁদের জীবনের শেষতম দিন পর্যন্তও অটুট ছিল।

দেশবন্ধুর মহান নেতৃত্বের ছত্রচ্ছায়ায় সুভাষ ও শরৎ নির্দ্বিধায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ব্রিটিশ-শাসিত তদানীন্তন অস্থির রাজনীতির কর্মযজ্ঞে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাননি তাঁরা। শুধু সামনে এগিয়ে যাবার ব্রত। দেশ থেকে ইংরেজ বিতাড়নের উন্মাদনাপূর্ণ খেলায় যেন দু’জনেই মাতোয়ারা। শরৎ ও সুভাষের এই সহাবস্থান ভারতবর্ষে ব্রিটিশ-শাসনের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে নিঃসন্দেহে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছিল।

কে না জানে, সুভাষের রাজনৈতিক জীবন ছিল যেমন সদাব্যস্ত, অস্থির তেমনি নিঃসঙ্গ। সহকর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া একের পর এক আঘাতে তিনি মানসিকভাবে পর্যুদস্ত, বাংলার কংগ্রেসে সুভাষ-বিরোধী গোষ্ঠী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের নেতৃত্বে তাঁকে কোণঠাসা করার দুর্মর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সুভাষের প্রতিটি পদক্ষেপ তখন কন্টকাকীর্ণ। একাকীত্বের যন্ত্রনায় কাতর, জর্জরিত সুভাষের মনে তখন ক্রমাগত অসীম বল, সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়ে গেছেন শরৎচন্দ্র। বলেছেন – “বিশ্বাসঘাতকতা শুধু কৃতঘ্নকেই ছোট করে না। যাকে বঞ্চনা করে তাকেও একটু না একটু খাটো করে রেখে যায়।”

শরৎচন্দ্র যেমন এক দুর্বার আকর্ষণে বারে বারে ছুটে গেছেন সুভাষের এলগিন রোডের বাড়িতে, সুভাষও তেমনি সময়ে অসময়ে বিপদে আপদে নানা ব্যাপারে পরামর্শ নিতে ছুটে গেছেন ‘শরৎদাদা’র কাছে, তাঁর মনোহরপুকুর রোডের বাড়িতে।

চিন্তায় এবং মননে শরৎ ও সুভাষের একাত্মতা ও সমমন্যতার পরিচয় অনেকক্ষেত্রেই পাওয়া যায়। দলগত স্বার্থে ও প্রয়োজনে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত সভাসমিতি ও সম্মেলনে বহুবার শরৎ ও সুভাষ একত্রে যোগ দিয়েছেন। কোথাও শরৎ সভাপতি, সুভাষ বক্তা। কোথাও বা সুভাষ সভাপতি, শরৎ বক্তা। মোটকথা তাঁদের যুগ্ম উপস্থিতি সভা বা সম্মেলনের গুরুত্ব ও গাম্ভীর্য যে অনেকখানি বাড়িয়ে দিতো, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কখনো বরিশাল, কখনো কুমিল্লা, কখনো রংপুর, আবার কখনো বা খোদ কলকাতাতেই দু’জনে মিলে কত যে সভাসমিতি করে বেড়িয়েছেন!

১৯২৯ সালের শেষের দিকে হাওড়া জেলা যুব সম্মেলনে সভাপতি শরৎচন্দ্র। সুভাষচন্দ্র এই সভায় দীর্ঘভাষণ দান করেন। ভাষণের বৃহৎ অংশ জুড়ে রয়েছে শরৎ-স্তুতি। শরৎচন্দ্র যে সুভাষের জীবনে কতখানি প্রেরণা ও নির্ভরতার স্থল ছিলেন, এই শ্রদ্ধাপূর্ণ ভাষণেই তার পরিচয় বিধৃত হয়ে আছে –

“পূজনীয় শরৎদাদা, আজ আপনাকে আমাদের মাঝে আমাদেরই একজন আপনার হিসাবে পেয়ে আমরা যে কতবড় একটা শক্তি অনুভব করছি তা মুখের কথায় বলতে যাওয়া ব্যর্থতার রূপান্তর মাত্র।…তরুণের বুকে ভালোকে ভালো বলার শক্তি ও অন্যায়কে অন্যায় বলার জোর আপনিই দিয়েছেন। আপনার সত্যের নির্মম ছুরিকাঘাতে ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট্রের মিথ্যা ও ছলনার আবরণ শতধা হয়ে সত্য উজ্জ্বল, সুস্পষ্ট হয়ে আমাদের চোখের সামনে ফুটে উঠেছে।….” ইত্যাদি।

সুভাষচন্দ্র শরৎ-সাহিত্যের একজন গুণমুগ্ধ পাঠক। বিভিন্ন সময়ের কারাবাসের নির্জন একাকীত্বে তাঁকে যুগপৎ সঙ্গ ও প্রেরণা দান করেছে শরৎচন্দ্রের বই। শরৎচন্দ্রের আন্তরিক সংস্পর্শ ও সাহচর্য যে সুভাষের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশের সহায়ক হয়েছিল, তা স্পষ্টই বোঝা যায়।
সুভাষচন্দ্রকে কেউ কোনোদিন নাকি হাসতে দেখেননি – এরকম একটা কথা প্রচলিত আছে বটে। তা সুভাষের ওপর যে রাজনৈতিক গুরুভার ন্যস্ত হয়েছিল, তাতে তাঁর হাসবার ফুরসুৎই বা কোথায়! তার ওপর দলীয় কোন্দল, সহকর্মীদের নীচ স্বার্থপরতা ও বিশ্বাসঘাতকতা তাঁর মুখের হাসিটুকু মুছে নিয়েছিল। তবে কেবল দুটি মানুষের সান্নিধ্যে এলেই তাঁর ভারগ্রস্থ মন নিমেষেই হয়ে যেত নির্মল, নির্ভার। এঁদের একজন অবশ্যই শরৎচন্দ্র। অপরজন দ্বিজেন্দ্র-পুত্র দিলীপকুমার রায়। এঁদের কাছে তিনি ছিলেন স্বতঃস্ফূর্ত হাসির ফোয়ারা। দিলীপকুমার রায়ের কথায় – “সে যে কী হাসি হাসতে পারত…মনে হতো ঠিক যেন একটি ছোট শিশু হেসে গড়িয়ে পড়ছে।”

১৯৩৩ সালের প্রথমদিকে ব্রিটিশসরকার যখন সুভাষকে ইউরোপে নির্বাসিত করলো এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দ এ-ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্লিপ্ত ও নীরব – তখন নিরাশ হয়ে শরৎচন্দ্র ক্ষোভে, দুঃখে, রাগে সক্রিয় রাজনীতি থেকে চিরদিনের মতো বিদায় নিলেন। বললেন – “দেশের লোক এমন একটা স্বার্থত্যাগীকে চিনলো না!...”

অবিকল একই রকম নৈরাশ্যব্যঞ্জক উক্তি ‘পথের দাবী’র লেখক করেছিলেন সব্যসাচীর উদ্দেশ্যে। শুধু তাই নয় – “তুমি তো আমাদের মত সোজা মানুষ নও – তুমি দেশের জন্য সমস্ত দিয়াছ, তাই ত দেশের খেয়াতরী তোমাকে বহিতে পারে না, সাঁতার দিয়া তোমাকে পদ্মা পার হইতে হয়, তাই ত দেশের রাজপথ তোমার কাছে রুদ্ধ, দুর্গম পাহাড় পর্বত তোমাকে ডিঙাইয়া চলিতে হয়; কোন বিস্মৃত অতীতে তোমারই জন্য ত প্রথম শৃঙ্খল রচিত হইয়াছিল, কারাগার ত শুধু তোমাকে মনে করিয়াই প্রথম নির্মিত হইয়াছিল, সেই ত তোমার গৌরব!...মুক্তিপথের অগ্রদূত! পরাধীন দেশের হে রাজবিদ্রোহী! তোমাকে শতকোটি নমস্কার!” 

সব্যসাচীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ‘পথের দাবী’র লেখকের এইসব আবেগমথিত কথাগুলির মধ্যেও তো সব্যসাচী ও সুভাষচন্দ্র মিলেমিশে একাকার  হয়ে গেছেন।

অথচ ‘পথের দাবী’ লেখার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি সুভাষচন্দ্রের সংগে পরিচয়ের পূর্বেই শরৎচন্দ্র নিয়েছিলেন। যদিও তা প্রকাশিত হয় সুভাষের সংগে পরিচয়ের পরে। তা স্বত্বেও সব্যসাচী ও সুভাষের মধ্যে এমন অন্তর্গত মিল যে কেমন করে সম্ভব হলো – ভাবতেও অবাক লাগে! শরৎচন্দ্র কি এ যুগের বাল্মীকি? রাম জন্মাবার আগেই রচিত হয়ে গেল রামায়ন?

শরৎ ও সুভাষের দীর্ঘ সতেরো বছরের সৌহার্দ্যপূর্ণ আত্মিক সম্পর্কে, বহু অশুভশক্তির নিরলস প্রচেষ্টা স্বত্বেও, কোথাও কোনোদিন চিড় ধরেনি। সব্যসাচী যদি শরৎচন্দ্রের মানস-নায়ক হন, তাহলে সুভাষ নিশ্চয়ই বাস্তব-নায়ক। তবু ‘পথের দাবী’ লেখার সময় শরৎচন্দ্রের হাতের কাছে সুভাষচন্দ্রের মতো জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত যে ছিলো না – একথা মানতেই হয়।

আসল কথা হলো, সুভাষের সংগে আলাপের অনেক আগে থেকেই শরৎচন্দ্র তখনকার রাজনীতির সংগে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। যদিও তিনি সন্ত্রাসবাদের সমর্থক ছিলেন না, তবু বিপ্লবীদের প্রতি তাঁর সমবেদনা ও সহানুভূতির যেন শেষ নেই! গোপনে বিপ্লবীদের সংগে তাঁর যোগাযোগ ছিল অক্ষুণ্ণ। অর্থ, আশ্রয় অথবা নিছক পরামর্শ দান করেই তিনি বিপ্লবীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বিপ্লবীদের সামাজিক মর্যাদা দানের পথিকৃৎ তিনি। দীর্ঘকাল যাবৎ বিপ্লবীদের পত্রিকা ‘বেণু’তে তিনি লিখে গেছেন বিনা দক্ষিণায়, অথচ সাহিত্যাকাশে তিনি তখন ভাস্বর। বিপ্লবীদলের সংগে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগই মূলত শরৎচন্দ্রকে ‘পথের দাবী’ রচনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। নির্ভীকচেতা যেসব বিপ্লবীদের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শলাভ তাঁকে বিপ্লববাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলেছিল, সেইসব বিপ্লবীব্যক্তিত্বেরই সমন্বয় ঘটেছে ‘পথের দাবী’র সব্যসাচী চরিত্রে। রবীন্দুশেখর বসু তাঁর ‘শরৎচন্দ্র ও সুভাষচন্দ্র’ প্রবন্ধে বলেছেন –

“বাঘা যতীন, ডাক্তার যদুগোপাল মুখোপাধ্যায়, নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, ডক্টর ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত (স্বামী বিবাকানন্দের অনুজ), তারকনাথ দাস প্রমুখ মহাবিপ্লবীদের গুণাবলীর সিন্থেসিস হল পথের দাবীর সব্যসাচী। আর ভবিষ্যতের মানুষ পরমাশ্চর্যে 
দেখতে পেল সব্যসাচী মূর্ত হয়ে উঠেছে সুচাষচন্দ্রের নেতাজীরূপে উত্তরণে।”
 
 

Post a Comment

3 Comments

  1. অনেক তথ্য পাওয়া গেলো।
    তবে দৃষ্টিকটু বানান ভুল যথেষ্ট।

    ReplyDelete
  2. খুব ভালো লাগল, সুন্দর তথ্যবহুল লেখা। আন্তরিক শুভেচ্ছা! 🌹🌹

    ReplyDelete